সংবাদ শিরোনামঃ

মার্কিন-ভারত প্রক্সি-যুদ্ধ! ** জামায়াতের মিছিলে পুলিশের গুলি ** শাহবাগের কথায় রায় দেয়া হলে ট্রাইব্যুনালের আর প্রয়োজন কি? ** রাজনৈতিক অপশক্তি প্রতিরোধে মানুষ চায় বিরোধী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ** ফ্যাসিবাদকে সহায়তা দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ সম্ভব নয় ** কন্যা পররাষ্ট্রনীতিতে পিতার পথ পরিত্যাগ করেছেন ** ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবি ** তালায় কপোতা খনন প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত **

ঢাকা, শুক্রবার, ৩ ফাল্গুন ১৪১৯, ৪ রবিউস সানি ১৪৩৪, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

ক্ষতিপূরণ না পেয়ে কৃষকরা ক্ষুব্ধ : হাইকোর্টে রিটপিটিশন : বাঁধ নির্মাণ কাজ বন্ধ

তালায় কপোতা খনন প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

তালা (সাতক্ষীরা) : হাইকোর্টে রিট পিটিশনের কারণে কপোতাক্ষ খননে টিআরএম প্রকল্পের আওতায় বাঁধ নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে

মো. নুর ইসলাম, তালা (সাতক্ষীরা) থেকে : সাতীরার তালায় কপোতা নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প’র (১ম পর্যায়ে) আওতায় ৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে পাখিমারা বিলে টিআরএম বাস্তবায়নের জন্য বাঁধ নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। প্রকল্পের এক বছর মেয়াদ শেষ হলেও এখনো প্রায় আড়াই কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। প্রকল্পভুক্ত জমিগুলোতে এখনও প্রভাবশালী মহলের দখলে চিংড়ি চাষ হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের প থেকে জমির মালিকানা নির্ধারণের প্রাথমিক কাজ শেষ হলেও জমির মালিকদের তিপূরণের টাকা দেয়ার ব্যবস্থা হয়নি। এমনকি তিপূরণের টাকা নির্ধারণ নিয়ে বিতর্ক ও বিরোধ থাকায় জমির মালিকদের মধ্যে চাপা ােভ বিরাজ করছে। টিআরএম প্রকল্পভুক্ত প্রায় ৭ হাজার বিঘা জমিতে চিংড়িচাষ অব্যাহত রাখতে একটি সুবিধাভোগী মহল হাইকোর্টে রিটপিটিশন করে এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ২শ’৬২ কোটি টাকার কপোতা খনন প্রকল্পের কাজ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা েেগছে, কপোতা নদের অববাহিকায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প (১ম পর্যায়) পাখিমারা বিলে টিআরএম প্রকল্পের পেরিফেরিয়াল বাঁধ নির্মাণ বাবদ ৫কোটি ৭৪ লাখ ৮ হাজার ১৬ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে ২০১১-১২ অর্থ বছরে ১২ হাজার ৭৮০ মিটার দৈর্ঘ্যরে বাঁধ নির্মাণ গত বছরের (২০১২ সালের) ১২মার্চ থেকে শুরু করে ২৩ জুন শেষ হবার কথা ছিল। মেয়াদ শেষ হওয়ার দীর্ঘ ৭ মাস পরও এই প্রকল্পের অগ্রগতি নেই। প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। প্রকল্প এলাকা জুড়ে চিংড়ি চাষ হচ্ছে। কেউ ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে চিংড়ি চাষ করছেন। আবার জমির মালিকদের নিকট থেকে হারি নিয়ে শত শত বিঘা জমিতে চিংড়ি চাষ করছে প্রভাবশালী মহল। এসকল প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে ও অর্থ সহযোগিতায় কয়েকজন জমির মালিকদের বাদী করে হাইকোর্টে রিটপিটিশন দায়ের করে টিআরএম প্রকল্প সাময়িক বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।

হাইকোর্টে রিটপিটিশনকারী আয়ুব আলী সানা, জালাল মোড়ল, সাইফুল্লাহ সরদার, আবু শাহিনসহ কয়েকজন বলেন, ‘জমির ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়া সহ কয়েকটি সমস্যার কারণে মামলা করা হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গেলে প্রকল্পভুক্ত এলাকার জমির মালিক মহাসীন কবীর মুকুল, বাছের আলী, হাসিবুর রহমান, শাহিনা বেগমসহ অনেকেই বলেন, ‘আমরা অবশ্যই টিআরএম চাই, তবে আগে আমাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’

এলাকার সচেতন নাগরিকদের অভিযোগ, প্রকল্প এলাকায় যাদের জমি নেই এবং যারা বিভিন্ন ভাবে সরকারি খাস জমি চিংড়ি চাষিদের কাছে লিজ দিয়ে টাকা পেয়ে থাকে তারাই এখন টিআরএম এর বিপে অবস্থান নিয়ে জমির মালিকদের বিভ্রান্ত করে কপোতা খনন প্রকল্প বাঁধাগ্রস্ত করছে। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, দ্রুত পাখিমারা বিলে টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন করা না হলে কপোতা ভরাট হয়ে এই প্রকল্পে ভবিষ্যৎ জলাধারে পানি ঢোকানো সম্ভব হবেনা। এই সুযোগ কাজে লাগাতেই পরিকল্পিত ভাবে মামলা করে টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়নে বাঁধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। ফলে কপোতা নদ প্রকল্পের ভবিষ্যত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এদিকে টিআরএম প্রকল্পের বাঁধ নির্মাণেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যে উচ্চতায় বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে জোয়ারের পানিতে এই বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়বে বলে এলাকাবাসীর আশঙ্কা। আর প্রকল্পভুক্ত এলাকার সড়ক গুলো উঁচু করার দাবিও উঠেছে। আর টিআরএমভুক্ত জমির তিপূরণের মূল্য নির্ধারণ নিয়ে বৈষম্যের কারণে এলাকার জমির মালিকদের মধ্যে রয়েছে চাপা ােভ। যশোরের মনিরামপুরের বিল কাপালিয়া টিআরএমভুক্ত জমির মালিকদের প্রতিবিঘা জমিতে বছরপ্রতি ১৬ হাজার টাকা করে তিপূরণ দেয়া হলেও পাখিমারা বিলের জমির জন্য ৯ হাজার টাকা করে নির্ধারণ করায় কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ রয়ে গেছে।

জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু বলেন,এলাকার জনগণকে বাঁচাতে টিআরএম এর বিকল্প নেই। তবে তার আগে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর গুটি কয়েক ঘের মালিকের ইন্ধনে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারি পানি উন্নয়ন বোর্ডের যশোর ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান বলেন, টিআরএমভুক্ত জমির মালিকদের বিঘাপ্রতি ১৩ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর মামলা নিষ্পত্তি করার চেষ্টা চলছে। মামলা নিষ্পত্তি হলেই টিআরএমের বাকি কাজ শেষ করা হবে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।