সংবাদ শিরোনামঃ

মার্কিন-ভারত প্রক্সি-যুদ্ধ! ** জামায়াতের মিছিলে পুলিশের গুলি ** শাহবাগের কথায় রায় দেয়া হলে ট্রাইব্যুনালের আর প্রয়োজন কি? ** রাজনৈতিক অপশক্তি প্রতিরোধে মানুষ চায় বিরোধী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ** ফ্যাসিবাদকে সহায়তা দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ সম্ভব নয় ** কন্যা পররাষ্ট্রনীতিতে পিতার পথ পরিত্যাগ করেছেন ** ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবি ** তালায় কপোতা খনন প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত **

ঢাকা, শুক্রবার, ৩ ফাল্গুন ১৪১৯, ৪ রবিউস সানি ১৪৩৪, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

বঙ্গোপসাগর, মেঘনা-বুড়া গৌরাঙ্গের ভয়াল ছোবলে চরফ্যাশনের দু’শত বছরের পুরনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচরে দিনের পর দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন স্থাপনা

কামরুজ্জামান, চরফ্যাশন (ভোলা) থেকে : বঙ্গোপসাগর, মেঘনা-বুড়া গৌরাঙ্গের ভয়াল ছোবলে চরফ্যাশনের দু’শত বছরের পুরনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচরে দিনের পর দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসত-ভিটা, ফসলি জমি, স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ ও মৎস্য আড়ৎসহ গুরূত্বপূর্ণ স্থাপনা। তীব্র ভাঙনের কবলে গত ১৫ দিনে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। আর এসব বসত-ভিটা হারানো মানুষ খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। তারা আশ্রয়ের কোনো ঠিকানা পাচ্ছে না। তাদের দিন কাটছে অনেক কষ্টে। ভাঙনের তীব্রতায় আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে ঢালচরের জেলে পল্লীর বাসিন্দারা।

সরেজমিনে এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, দ্বীপজেলার এক তৃতীয়াংশ মৎস্য আয়ের উৎস হচ্ছে ঢালচর। নদী ও সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে চলছেন এখানকার ৩০ হাজার মানুষ। মাছের ওপর নির্ভরশীল হয়ে বেকারত্ব দূর করার চেষ্টা চললেও এসব মানুষের স্বপ্ন আশা ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে নদী ও সাগরের ভয়াবহ ভাঙন। এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্য মতে, গত ৬ মাসে ১টি বৃহৎ বাজার, ৪টি গুচ্ছগ্রাম,২শতাধিক ঘর-বাড়ি, ১টি মাদরাসা, ২টি মসজিদ, ৫টি পুকুর, ১টি ফরেস্ট অফিস, ২৫০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও শতাধিক একর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। চলতি শীত মৌসুমেও ভয়াবহ ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

এখন ভাঙনের মুখে পড়েছে ২টি গুচ্ছ গ্রাম, ২টি মৎস্য আড়ৎ, একটি পুলিশ ফাঁড়ি, ৩টি শিা প্রতিষ্ঠান, একটি কোয়াটার, রেস্টহাউজ , একটি ফরেস্ট অফিস এবং হ্যালিপ্যাডসহ অসংখ্য ঘর-বাড়ি। ভাঙন রোধ কল্পে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পুরো ঢালচর বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে শত বছরের প্রাচীন এ দ্বীপটি। ভাঙনের ফলে এক তৃতীয়াংশ বিলীন হয়ে যাওয়ায় চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ঢালচরবাসী। পুরো জনপদ ভেঙে গেলে তারা কোথায় আশ্রয় নেবে সে চিন্তায় দিশেহারা তারা। গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা মনোয়ারা, সকিনা ও বিবি রাবেয়া বলেন, ‘বর্ষা মওসুমেও নদীতে ঘর-বাড়ি বিলীন হয়ে যায়। বহু কষ্ট করে নতুন ঘর তুলেছি। কিন্তু এখন আবার ভাঙন চলছে। এখন আর কোথাও আশ্রয় নেওয়ার জায়গা নেই।’ ঢালচরের বাসিন্দা সেকান্দার, নিরব, শাহে আলম বলেন, ‘যেভাবে ভাঙন চলছে। এ ভাঙন অব্যাহত থাকলে সাগরে বিলীন হয়ে যাবে পুরো ঢালচর।’ ঢালচরের মৎস্য ব্যবসায়ী মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘ঢালচরকে ভাঙনের হাত থেকে রার দাবিতে কিছুদিন আগে আমরা মানব বন্ধন ও বিােভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি’ কিন্তু আজো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ নির্বাহী প্রকৌশলী অপূর্ব কুমার ভৌমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই আলম বলেন, ‘ঢালচরের নদী ভাঙন রোধ কল্পে আপাতত কোনো প্রকল্প নেই। ভাঙনের মুখে পড়া স্থাপনাগুলো আমরা অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছি।’ এদিকে, সহায় সম্বল হারিয়ে দিশেহারা ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকা মানুষগুলো ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।