সংবাদ শিরোনামঃ

অন্তিম যাত্রায় রাজনীতি ** বিদেশ নামক সোনার হরিণের পেছনে অন্ধের মতো ছুটবেন না -প্রধানমন্ত্রী ** আমাকে আর কত হয়রানি করা হবে -আদালতে আল্লামা সাঈদী ** আঞ্চলিক দলগুলোর প্রভাব বাড়ছে ** শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে সময়োপযোগী নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে : আ ন ম শামসুল ইসলাম ** দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন -ডা. শফিকুর রহমান ** রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে কার্যকর পথ পাচ্ছে না বাংলাদেশ? ** ভোটাধিকার হলো গণতন্ত্রের আত্মা ** মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর--নূরুল ইসলাম বুলবুল ** মানুষের দুর্দশা লাঘবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে----সেলিম উদ্দিন ** ক্ষমাপ্রার্থীকে আল্লাহ পছন্দ করেন ** নিরাপদ শিক্ষাকার্যক্রম নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হতে হবে **

রেজি: ডিএ ৫১৭।। ৫৯ বর্ষ : ৩৯তম সংখ্যা ॥ ঢাকা শুক্রবার ২৪ পৌষ ১৪২৭ ॥ ২৩ জমা .আউয়াল ১৪৪২ : Friday 8 January 2021

॥ হারুন ইবনে শাহাদাত ॥
 à¦¸à§à¦¬à¦¾à¦§à§€à¦¨à¦¤à¦¾à¦° পঞ্চাশ বছরেও দেশে গণতন্ত্র শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারেনি। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। কিন্তু এ ব্যর্থতার দায় কার? এমন প্রশ্নের উত্তরে সরকার ও বিরোধী দলের একে অপরের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ হতাশার পাল্লাকেই ভারী করে। স্বাধীনতা লাভের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষাও কম হয়নি। কিন্তু ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের পর সংসদীয় গণতন্ত্রের যে ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছিল, তাতে কুঠার আঘাত হিসেবে বিবেচনা করা হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে একতরফাভাবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে। যদিও আওয়ামী লীগের দাবি, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচন আদর্শ নির্বাচন হয়নি। কিন্তু এই নির্বাচনের ভেতর দিয়ে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা তো অব্যাহত আছে।’
২০১৪ সালের পর থেকে ৫ জানুয়ারি এলেই জনগণের রক্তক্ষরণ বেড়ে যায়। দলমত-নির্বিশেষে রাজনৈতিক সচেতন প্রতিটি অন্তরাত্মা গুমরে  কাঁদতে থাকে। ভোটাধিকার হারানোর কষ্ট তারা ভুলতে পারে না। এবার অবশ্য দুই দিন আগেই বুকে চাপা ক্ষোভের আগুন জ্বলতে দেখা গেল নোয়াখালীর বসুরহাটে। গত ৩ জানুয়ারি ভোটাধিকার রক্ষার দাবিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বসুরহাট পৌরসভায় সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে ৬ ঘণ্টার বেশি সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। সূত্রে প্রকাশ, গত ৩ জানুয়ারি রোববার দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদরের বসুরহাট জিরো পয়েন্ট এলাকায় ভোটাধিকারের দাবিতে তার সমর্থকদের বিক্ষোভ চলাকালে আবদুল কাদের মির্জা এক বক্তৃতায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন, কিন্তু ভোটের অধিকার এখনো প্রতিষ্ঠা হয়নি। দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি বন্ধ হয়নি। তাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট অনুষ্ঠানের নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত তিনি অবস্থান কর্মসূচিতে অনড় থাকবেন। কেউ পাশে না থাকলে প্রয়োজনে তিনি একা লড়ে যাবেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খান সন্ধ্যার দিকে সাংবাদিকদের জানান, বিকেল ৫টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী বসুরহাট জিরো পয়েন্টে যান। তিনি আবদুল কাদের মির্জাকে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার পাশাপাশি জেলা কমিটি নিয়ে করা অভিযোগ নির্বাচনের পর বসে মীমাংসার আশ্বাস দেন। এরপর আবদুল কাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। পরে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
এই ঘটনা কোরিয়ান পৌরাণিক বাহিনী অবলম্বনে নির্মিত সেদেশে ও বিদেশে জনপ্রিয় দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত লেখক জিম ইউন সুজের লেখা ড্রামা সিরিয়াল গবলিনের সাথে তুলনা করেছেন অনেক রাজনীতি বিশ্লেষক। গবলিন ড্রামা সিরিয়ালে দেখা যায়, দুষ্ট লোকদের অপরাধের মাত্রা যখন বেড়ে যায়, তারা নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনবরত সত্য কথা বলতে থাকে। শত চেষ্টা করেও নিজের মুখ বন্ধ রাখতে পারে না। বাংলায় একটি প্রবাদ, আছে, ‘সত্যের ঢাক আপনি বাজে।’  বিশ্লেষকরা মনে করেন, সেই ঢাক হয়তো বাজতে শুরু করেছে। সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের পরও দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় দেশের জনগণের ভোটাধিার খর্ব করা প্রসঙ্গে কথা এসেছে। আন্তর্জাতিক একাধিক সংস্থা দেশে গণতন্ত্র নেই বলে সরকারকে সতর্ক করেছে। সর্বশেষ গত ২০২০ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে ৪২ বিশিষ্ট নাগরিক নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি জানিয়েছেন। এখন আর এনিয়ে কারো দ্বিমত à¦¨à§‡à¦‡Ñ à¦¬à¦°à§à¦¤à¦®à¦¾à¦¨ নির্বাচন কমিশন ও সরকার জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
 à¦­à§‹à¦Ÿà¦¾à¦§à¦¿à¦•à¦¾à¦° হলো গণতন্ত্রের আত্মা। ভোটাধিকার ছাড়া গণতন্ত্র বাঁচতে পারে না। গণতন্ত্রের মূলমন্ত্রই হলো, রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের অংশগ্রহণ। তারা তাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট শর্তে নির্ধারিত সময়ের জন্য কয়েকজন প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দায়িত্ব জনগণের জান-মাল-ইজ্জত রক্ষা করা। ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করা বা চিরদিন ক্ষমতায় থাকার নীলনকশা আঁকা নয়। তারা কল্যাণকর আইন প্রণয়ন করে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার সাথে সাথে নাগরিকদের সুখ-সমৃদ্ধশালী করতে দেশ গড়ায় আত্মনিয়োগ করবেন। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নিজেরা রাষ্ট্রের মালিক নন, আমানতদার মাত্র। আমানতের খিয়ানত করলে জনগণ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতার মসনদ থেকে তাদের বিদায় করে নতুন প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা মনে করেন, একনায়কতন্ত্র কিংবা রাজতন্ত্রে মাত্র একজন রাজা থাকেন, কিন্ত্র গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সবাই রাজা। তারা প্রাণ খুলে, ‘আমরা সবাই রাজা, এই রাজত্বে’ এমন স্লোগান দিলে রাষ্ট্রদ্রোহী বলে তাদেরকে কেউ গারদে নিক্ষেপ করে না। গ্রেফতার-নির্যাতন কিংবা খুন-গুমের মতো রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ভয়ে কোনো নাগরিক অথবা বিরোধী দলের নেতাকে পরিবার-পরিজন, নিজগৃহ ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হয় না। কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর দেশের চিত্র সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘৫ জানুয়ারি ২০১৪ গণতন্ত্র হত্যার এক নজিরবিহীন কালো অধ্যায়। ওইদিন নির্লজ্জ একতরফা নির্বাচন করার উদ্দেশ্যই ছিল ৭৫-এর একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত করার পথে অগ্রসর হওয়া। ৭৫-এর ২৫ জানুয়ারি গঠিত যে একদলীয় বাকশালী সরকার ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়, সেই ব্যর্থতার জন্য আওয়ামী লীগারদের মনোবেদনা পুঞ্জীভূত থাকে। সেই ব্যর্থতার গ্লানি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যই বর্তমান অবৈধ সরকার ভিন্ন আঙ্গিকে জনসমর্থনহীন একটি তামাশার নির্বাচনে সেই একদলীয় বাকশালের নবসংস্করণ তৈরি করেছে। জনমতকে তোয়াক্কা না করে, অ্যামিকাস কিউরিদের মতামতকে উপেক্ষা করে; এমনকি নিজদলীয় সংসদ সদস্যদের মতামতকেও উপেক্ষাসহ সকল বিরোধী দলের দাবিকে অগ্রাহ্যের মাধ্যমে শুধুমাত্র এক ব্যক্তির ইচ্ছায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। স্ববিরোধিতার এক নিকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, যারা জ্বালাও-পোড়াওয়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার জন্য আন্দোলন করেছিল, তারাই আজীবন ক্ষমতায় থাকার লালসায় সেই ব্যবস্থা সংবিধান থেকে মুছে দেয়। আর এটি করতে গিয়ে রক্তের অজস্র স্রোতধারায় অর্জিত গণতন্ত্রকে সমাহিত করতে বাংলাদেশের বহুদলীয় বহুমাত্রিক পরিচয়কে মুছে দেয় তারা। গণতন্ত্রের পথচলাকে থমকে দেয়া হয়।’
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বচানের পরপরই ২০ দলীয় জোটের অন্যতম প্রধান শরিক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদেরও স্বীকার করেন, দেশে এখন আর গণতন্ত্র নেই।  তিনি বলেন, ‘সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে দেশে ক্রমে একনায়কতন্ত্র চালু করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে গণতন্ত্রের চর্চা হয় না। তার দল সবসময় সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে।’ এ কথা কারো অজানা নয়, দেশে গণতন্ত্রহীন আজকের এই অবস্থার জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মতো জাতীয় পার্টিও সমান দায়ী। তাদের মুখেও আজ সত্যবাক্য শোনা যাচ্ছে। তার মানে জনগণের মনের কথা আজ সর্বত্র প্রতিধধ্বনিত হচ্ছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির পথ ধরেই হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন। এ নির্বাচনে বিরোধী দলগুলো অংশগ্রহণ করেছে, কিন্তু জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। অর্থাৎ ৫ জানুয়ারির ধারাবাহিকতার কোনো পরিবর্তনের প্রতিফলন কোথাও নেই। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। যে ভারত সরকারের অন্যতম অবদান বাংলাদেশের রাজনীতির, আজকের এই অবস্থা সেই ভারতীয় থিঙ্কট্যাঙ্কগুলোও সত্যকে অস্বীকার করতে পারছে না।
ভারতে রিলায়েন্স শিল্পগোষ্ঠীর অর্থায়নে পরিচালিত থিঙ্কট্যাঙ্ক অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (ওআরএফ) অভিমত হলো, ‘নির্বাচনে যেভাবে আওয়ামী লীগ ও তার জোট শরিকরা প্রায় নব্বই শতাংশ আসন জিতেছে, তা বাংলাদেশে মেরুকরণ বা বিভাজনকে (পোলারাইজেশন) আরো তীব্র করবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এমনকি নজিরবিহীনভাবে একটানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা ও বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার ফলে শেখ হাসিনার সরকার আরো বেশি করে স্বেচ্ছাচার ও একদলীয় গণতন্ত্রের দিকে ঝুঁকবে বলেও যে অনেক পর্যবেক্ষকই মনে করছেন।’
ভারতের ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস (ইডসা) দিল্লির এই থিঙ্কট্যাঙ্কটি ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায়। কাজেই সরকারি অর্থায়নেই পরিচালিত হয় তাদের কার্যক্রম, যদিও তারা গবেষণা করে স্বাধীনভাবেই। তাদের হোমপেজে একটি প্রতিবেদন লিখেছেন প্রতিষ্ঠানের রিসার্চ ফেলো ও বিশিষ্ট বাংলাদেশ গবেষক স্মৃতি এস পট্টনায়ক। তিনি সেখানে তার দীর্ঘ বিশ্লেষণে লিখেছেন, বাংলাদেশ আজ পর্যন্ত এমন একটি নির্বাচন কমিশন গড়ে তুলতে পারেনি, যাকে নিরপেক্ষ ও কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাতশূন্য বলে মনে করা যায়। সেই কমিশনের অধীনে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে à¦ªà¦¾à¦°à§‡Ñ à¦à¦Ÿà¦¾ আসলে কোনো বিরোধী দলই বিশ্বাস করে না।’
আওয়ামী লীগ মনে করে, তারা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করে দেশকে ভয়াবহ সঙ্কট থেকে রক্ষা করেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় জীবন আজ সমৃদ্ধ। তা সমৃদ্ধ  হয়ে উঠবে।’  আওয়ামী লীগ ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য যে সংগ্রাম বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শুরু করেছিল, তারা সরকারে আসার পর তা আরো গতিশীল হয়েছে বলে মনে করেন তারা।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন, নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করার কথা। যাকে বলে ভোট-উৎসব। কিন্তু এর পরিবর্তে ভোটারদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ভয় ও আতঙ্ক।  ২০০৭ সালে এক-এগারো এলো। ২০১৪ সালে আরেকটা বিতর্কিত নির্বাচন হলো। ওই রকম বিতর্কিত নির্বাচন নির্বাচনের ইতিহাসে একটি কালিমা।’
রাজনীতি বিশ্লেষকরা আরো মনে করেন, সত্যিকার ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব। আর সুষ্ঠু গণতন্ত্র নিশ্চিত করা সম্ভব একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে। যাঁরা ভোটার হতে চান, তাঁদের ভোটার হতে দিতে হবে। আর যাঁরা প্রার্থী হতে চান, তাঁদের প্রার্থী হওয়ার অধিকার দিতে হবে। কারণ নির্বাচনে সবার প্রার্থী হওয়ার অধিকার আছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে আরো নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী হওয়া অপরিহার্য। এ অবস্থায় সরকারের সদাচরণ প্রয়োজন। এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দিতে হবে। অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার, রাজনৈতিক দল, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যম, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী ও সমর্থক এবং ভোটারদেরও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এর ব্যত্যয় ঘটলেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। নির্বাচনই একমাত্র শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা বদলের পথ। অনিয়মতান্ত্রিক ক্ষমতার রদবদল কারো কাম্য নয়। পর্যবেক্ষকরা আশা করেন, প্রকৃত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতার পালাবদল ঘটবে। আর সেটি হলে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার বাস্তব প্রতিফলন ঘটবে। এই সত্য উপলব্ধি করে সরকার জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক হলেই চলমান অচলাবস্থার অবসান সম্ভব।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।