সংবাদ শিরোনামঃ

ভারতের নদী হত্যা অব্যাহত ** সরকার দ্রুত নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে ** সারাদেশে জামায়াতের বিক্ষোভ ** মোদি জিতলে ‘হারবে’ ভারত ** ১৮ দল আন্দোলনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে ** বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ; বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য কোনো বিশেষ ধর্ম দায়ী হতে পারে না : সউদী রাষ্ট্রদূত ** বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ ** পহেলা বৈশাখে ‘ফিলদি রিচ’দের তাণ্ডব! ** বাংলা নববর্ষ ** সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশ কুষ্টিয়াবাসী ** আত্রাইয়ে ইটভাটায় নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি কমে যাচ্ছে উৎপাদন, পরিবেশ হচ্ছে দূষিত ** ক্ষুধার জ্বালায় হনুমানগুলো কাতর **

ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪২১, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৩৫, ১৮ এপ্রিল ২০১৪

আত্রাই (নওগাঁ) : আত্রাইয়ে ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে গাছ ও কাঠ ছবিটি উপজেলার শিকারপুর গ্রাম থেকে তোলা

তাপস কুমার, আত্রাই (নওগাঁ) থেকে : নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ইটভাটাগুলোতে ইট তৈরির জন্য ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে ভাটায় নিয়ে গিয়ে পাহাড়ের সমতুল্য স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। ফলে ফসলি এই জমিগুলো ক্ষতির মুখে পড়েছে। সেই সাথে ভাটাগুলোতে গাছ ও কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশের ক্ষতি সাধন করলেও অজ্ঞাত কারণে সংশ্লিষ্ট বিভাগ নীরব রয়েছেন।

আত্রাই উপজেলা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গছে, শিকাপুর গ্রামের আত্রাই-সিংড়া সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে এমবিএমএ ইটভাটা, মালিক মিজানুর রহমান মামুন মাঠের মধ্যে কয়েক বিঘা ফসলি জমি দখল করে ইটভাটা তৈরি করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে তোলা হয়েছে ইটভাটা। সরকারি নিয়মানুসারে আবাসিক এলাকায় ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই এ নিয়ম মানা হয়নি। গড়ে উঠা এসব ইটভাটার মালিকরা সরকারের প্রচলিত আইনকে তোয়াক্কা না করে কয়লার পরিবর্তে অবাধে পুড়ানো হচ্ছে গাছ ও কাঠ। ইটভাটা চত্বরেই প্রকাশ্যে স্তূপ করে রাখা হয়েছে শত শত মণ গাছসহ বিভিন্ন গাছের ডাল ও বড় বড় কাঠের গুল। ভাটাগুলোতে কাঠ পোড়ানোর ফলে উজাড় হয়ে যাচ্ছে বনজ ও ফলজ গাছ। সরকারি বিধি-বিধান না মেনেই ফসলি জমির উপরে ইটভাটাগুলো গড়ে উঠেছে। আত্রাই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ২৫টি ভাটা রয়েছে। চারদিকে কৃষি জমি আর মাঝখানে ১৫ থেকে ২০ বিঘা জমির ওপর এসব ভাটা।

প্রজাতন্ত্র আইন ১৯৫০-এর অধীনে জেলা প্রশাসক ১৯৯০ সালে একটি সার্কুলার ইস্যু করেন যাতে বলা আছে, কৃষি জমিতে ইটভাটা করা যাবে না। সেই সাথে জনবসতির ৩ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন না করার সুস্পষ্ট নির্দেশনাও রয়েছে। কিন্তু উপজেলার ইটভাটাগুলোর অধিকাংশই মালিক এই আইন অমান্য করে ভাটা স্থাপন করছে। এদিকে উপজেলার ভাটার মালিকরা ইট তৈরি করতে জমির মাটি ব্যবহার করছে। বিভিন্ন মাঠের ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে ভাটায় নেয়া হচ্ছে। দিন দিন ফসলি জমির মাটি কাটার এই প্রবণতা বেড়েই চলেছে। যার ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি ফসলি জমির উর্বরতা শক্তিও আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। এ ছাড়াও ফসলি জমির উপরি স্তর কেটে নেয়ার ফলে ফসলের প্রধান খাদ্য নাইট্রোজেন, পটাশ, জিংক, ফসফরাস, সালফার, ক্যালসিয়ামসহ অর্গানিক বা জৈব্য উৎপাদনের জন্য অপূরনিয় ক্ষতি হচ্ছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে শস্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত এই উপজেলার ফসলি জমিগুলো ভবিষ্যতে বদ্ধ জমিতে পরিণত হবে এবং বর্ষা মওসুমে পানি প্রবাহ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি কৃত্রিম জলাবদ্ধতা দেখা দেবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. আব্দুল আজিজের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি  জানান, ইটভাটা চালু মওসুমের পূর্বে এলাকার জমি মালিকরা একটি আবেদন জেলা প্রশাসক বরাবরে দাখিল করলে উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক ইরি, বোরো, ভুট্টা, বাদামসহ যে সকল কৃষি পণ্য ক্ষতিসাধন হয়েছে তা জরিপ করে ক্ষতির সংখ্যাসহ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এদিকে গত সোমবার ৭ এপ্রিল শিকারপুর গ্রামের ভাটাটির ইট পোড়ানো শেষে বন্ধ করলে ভাটার কালো ধোঁয়ায় এলাকার প্রায় ২৫-৩০ বিঘা  ফসলি আবাদ নষ্ট হয়।

তিনি আরও বলেন, ক্ষতির সুস্পষ্ট অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। এদিকে এলাকার পরিবেশ রক্ষাসহ ফসলি জমি রক্ষার্থে এলাকাবাসীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।