সংবাদ শিরোনামঃ

ভারতের নদী হত্যা অব্যাহত ** সরকার দ্রুত নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে ** সারাদেশে জামায়াতের বিক্ষোভ ** মোদি জিতলে ‘হারবে’ ভারত ** ১৮ দল আন্দোলনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে ** বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ; বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য কোনো বিশেষ ধর্ম দায়ী হতে পারে না : সউদী রাষ্ট্রদূত ** বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ ** পহেলা বৈশাখে ‘ফিলদি রিচ’দের তাণ্ডব! ** বাংলা নববর্ষ ** সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশ কুষ্টিয়াবাসী ** আত্রাইয়ে ইটভাটায় নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি কমে যাচ্ছে উৎপাদন, পরিবেশ হচ্ছে দূষিত ** ক্ষুধার জ্বালায় হনুমানগুলো কাতর **

ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪২১, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৩৫, ১৮ এপ্রিল ২০১৪

যশোরের কেশবপুরে বিলুপ্তপ্রায় বিরল প্রজাতির ভবঘুরে হনুমান

মাস্টার আব্দুর রহমান, কেশবপুর সংবাদদাতা : বিলুপ্তপ্রায় বিরল প্রজাতির ভবঘুরে হনুমান। জীব বৈচিত্র্যের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিতি যশোরের কেশবপুরে এর বিচরণ। এক সময় এখানে অনেক বেশি সংখ্যক হনুমান ছিল। দিনে দিনে হনুমানের সংখ্যা কমছে। খাবার না পেয়ে ওরা মাঝে মধ্যে হিং¯à§à¦° হয়ে ওঠে। নির্দিষ্ট আশ্রয়স্থল নেই। পৃথক আবাসস্থল ও সংরক্ষণের বিষয়টি ঘোষণা সর্বস্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্য প্রাণী ও পরিবেশ বাঁচাও স্লোগান তুলে বিভিন্ন এনজিও শুধু নিজেদের পকেট ভারি করছে বলে অভিযোগ। সরকারিভাবে অনেক বার ঘোষণা দেয়া হয়েছে, হনুমানদের অভয়ারণ্য গড়ে তোলা। কিন্তু বাস্তবে কার্যকর হয়নি। আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। হনুমানগুলো সংরক্ষণ ও খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা আসলে খুবই জরুরি। তা না হলে বিরল প্রজাতির কুচকুচে কালোমুখি হনুমান বাঁচানো যাবে না।

বর্তমানে প্রায়  ৩শ’ থেকে ৩৫০ হনুমান আছে কেশবপুর শহরে। আম গাছের মুকুলে স্প্রে করা বিষ খেয়ে, বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে নানাভাবে প্রায়ই হনুমান মারা যাচ্ছে। হনুমানের পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ, নিষ্ঠুর ব্যবহার বন্ধ, অভয়ারণ্য সৃষ্টি ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা দাবি পূরণ হয়নি। কেশবপুর থেকে যশোর ও খুলনাসহ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে যাচ্ছে হনুমান। সে কারণে কেশবপুরে হনুমানের সংখ্যা দিন দিন কমছেই। কেশবপুরের হাসপাতাল, সাহাপাড়া, ভোগতী, রামচন্দ্রপুর ও উপজেলা দপ্তরের পাশে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েক বছর আগে যে চিত্র ছিল তার কোনো পরিবর্তন হয়নি। হনুমানগুলো দলে দলে এখানে ওখানে ছুটোছুটি করছে খাবারের সন্ধানে। হনুমানের খাদ্য পাঁকা কলা, পেঁপে, আম, জাম, লিচু, বাদাম, বিস্কুট, পাউরুটি। এসব খাবার হনুমানের ভাগ্যে সব সময় জোটে না।

মাঝে মধ্যে যশোর ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে শখের বশে দেশী ও বিদেশী পর্যটকরা হনুমান দেখতে ছুটে আসেন। তারা কিছুক্ষণের জন্য হনুমানকে কাছ থেকে দেখা ও ছবি তোলার জন্য বাদাম ও কলা নিয়ে আসে।

স্থানীয় লোকজন অবশ্যই হনুমানের যন্ত্রণা সহ্য করে। যতটুকু সম্ভব খাবার সরবরাহ করে। কিন্তু তাতে চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। কেশবপুরে সাহা পাড়াতে বিরল প্রজতির হনুমানের বিচরণ সবচেয়ে বেশি। দিনে প্রায় ১০/১২টি ঘুরে ফিরে হনুমানগুলো খণ্ড খণ্ড দলে বাড়ির ছাদে ও গাছের ডালে লাফা লাফি করে। অনেক সময় হনুমানগুলো বাড়ির লোকজনের নানা উৎপীড়ন করে থাকে। তারপরেও সাহা পাড়ার প্রায় সবারই সহ্য হয়ে গেছে। তারা- হনুমানের আচরণে অনেক সময় আনন্দ পায়।

মানুষ যেভাবে তার সন্তানকে কোলে পিঠে করে বড় করে, চুমুদেয়, আদর করে, মুখে খাবার তুলে দেয়। হনুমানের ক্ষেত্রেও তার কোনো ব্যতিক্রম নেই। খাবারের কষ্ট ও কারোর নিষ্ঠুর আচারণে হনুমান কাঁদে, আবার অনেক সময় হিংস্র হয়ে ওঠে। কেউ ঢিল ছুরে আঘাত করলে দলবদ্ধ ভাবে তার উপরে লাফিয়ে পড়ে। কেউ দুষ্টামী করলে দাঁত বের করে আঁচরে ক্ষত-বিক্ষত করার ভয় দেখায়। হনুমানের মেজাজ মাঝে মধ্যে বিগড়ে যায়। বিশেষ করে খাবারের কষ্ট তারা সহ্য করতে পারে না।

যশোরের কেশবপুরের অনেকেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযোগ করেছেন, হনুমান বাঁচানোর নামে কিছু এনজিরাও ব্যবসা পেতেছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বহুবার সেমিনার করে বড় বড় বক্তৃতা দিয়ে খাদ্য সঙ্কটের আশ্বাস দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কোনো উল্লেখযোগ্য  à¦ªà¦¦à¦•à§à¦·à§‡à¦ª নেয়া হয়নি। সবই আশ্বাস বাণীতে পরিণত হয়েছে। বিষয়টি নতুন করে সংশ্লিষ্ট ও কর্তৃপক্ষকে ভেবে দেখা দরকার। কিভাবে হনুুমানের অভায়ারণ্য সৃষ্টি ও সংরক্ষণ করা যায় তার ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম জানান, হনুমানের খাদ্যের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের ব্যবস্থা রয়েছে এবং ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে একটি টিম বিভিন্ন জায়গায় সেমিনার চালিয়ে যাচ্ছে ও হনুমানের ৫/৬ টি পয়েন্টে কলা, বাদাম, পাউরুটি সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।