সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আ’লীগের সন্ত্রাসী হামলায় জামায়াত কর্মী নিহত॥ আহত ৪

সিরাজগঞ্জ ও বেলকুচি সংবাদদাতা : সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চরধুল গ্রামে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলায় গত ৯ এপ্রিল জামায়াতের এক কর্মী নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত জামায়াত কর্মী আলমগীর হোসেন (৩০) জসিম উদ্দিন বদ্দু’র ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ ২ আওয়ামী নেতাকর্মীকে আটক করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে  সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াত গত ১৩ এপ্রিল রোববার বেলকুচি উপজেলায় আধাবেলা হরতাল পালন করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আ’লীগ নেতা আবদুল মজিদের নেতৃত্বে গত ৯ এপ্রিল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আসলাম উদ্দিনের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় জামায়াত ও বিএনপি’র নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের ধাওয়া করলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা পিছু হটে যায়। রাত দেড়টার দিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আবার আক্রমণ চালায়। তাদের এলোপাথারী হামলায় অন্তত ৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আলমগীর হোসেনকে হাসপাতালে নেবার পথে সে মারা যায়।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত আলমগীরের বৃদ্ধ পিতা বুদ্ধ শেখ জোবায়ের হোসেন, আব্দুল হামিদ ও কালু শেখকে হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল এলাকা থেকে বওড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রুবেল রানা ও চরধুল গরাখালি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আমিন উদ্দিনকে আটক করেছেন এরা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।

অতর্র্কিত হামলা করে জামায়াত কর্মীকে হত্যা করার প্রতিবাদে জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর শাহীনুর আলম, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম এক যুক্ত বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে তারা হত্যা,সন্ত্রাস, গুম করার মতো নিকৃষ্ট পথ বেছে নিয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, ব্যাঙ আব্দুল মজিদ একজন দুর্ধর্ষ পেশাদার খুনি।  তার সন্ত্রাস আর অত্যাচার ও জুলুমের কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ট। বর্তমান সরকার এই সন্ত্রাসীকে দিয়ে গত ৯ এপিল দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় বেলকুচি উপজেলার ধুলিরচর গ্রামে অতর্কিত হামলা করে নিরীহ জামায়াত কর্মী তাঁত শ্রমিক আলমগীর হোসেনসহ জামায়াত ও এলাকাবাসীকে বেধরক পেটায়। তাদের এক তরফা পিটুনীতে অন্তত ১৫/২০ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে হাসপাতালে নেয়ার পথে আলমগীর হোসেন শাহাদত বরণ করেন। গুরুতর আহতদের মধ্যে ১০ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ, অবিলম্বে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ অতর্কিত হামলা করে জামায়াত কর্মীকে হত্যা করার প্রতিবাদে জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বেলকুচি থানার ওসি আব্দুল হাই জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুনরায় সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।