সংবাদ শিরোনামঃ

স্থানীয় সরকার ধ্বংসের নীলনকশা ** কেন মানুষ অথৈ সাগর পাড়ি দিচ্ছে, দায় কার? ** দেশকে রাজনীতিহীন করার ষড়যন্ত্র ** গণতন্ত্রহীনতা দেশকে সঙ্কটের দিকে নিয়ে যাবে ** আফগানিস্তানে শান্তির সম্ভাবনা ** গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারে ভোটাধিকারের সুযোগ দিতে হবে : বিচারপতি আব্দুর রউফ ** নরেন্দ্র মোদির সফর : বাংলাদেশের প্রত্যাশা! ** গণতন্ত্র ছাড়া দেশের উন্নতি কখনই সম্ভব নয় ** নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন প্রয়োজন ** সোনা নয়, সোনালী ফাঁস ** নিখোঁজ আর গুম ** জগতসেরা পর্যটক ইবনে বতুতা ** বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষকের মুখে হাসি নেই ** কুষ্টিয়ায় পারিবারিক কলহে নৃশংস হত্যাকাণ্ড বাড়ছে **

ঢাকা, শুক্রবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২২, ৩ শাবান ১৪৩৬, ২২ মে ২০১৫

কূটনৈতিক প্রতিবেদক : বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া আবারও বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে লিবিয়া। দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পূর্বাঞ্চলভিত্তিক সরকার এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশ থেকে কাজের জন্য লিবিয়া গিয়ে সেখান থেকে অবৈধভাবে নৌপথে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগে দেশটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলভিত্তিক সরকারের মুখপাত্র হাতেম উরাইবি গত ১৬ মে শনিবার বাংলাদেশী শ্রমিকদের দেশটিতে প্রবেশে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশী শ্রমিকেরা লিবিয়ায় কাজ করতে আসেন। কিন্তু এরপর তাঁরা অবৈধভাবে নৌযানে চড়ে ইউরোপে পাড়ি জমান। অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে সরকারি তৎপরতার অংশ হিসেবেই এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।’ এই নিষেধাজ্ঞা পূর্বাঞ্চলভিত্তিক সরকারের আওতাভুক্ত স্থলসীমান্ত, নদী ও সমুদ্রবন্দর এবং বিমানবন্দরে কার্যকর হবে।  অবশ্য বাংলাদেশ সরকার ও জনশক্তি রফতানিকারকেরা বলছেন, লিবিয়ার এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের জনশক্তির বাজারে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। কারণ, একবছর ধরে লিবিয়ায় বাংলাদেশী কর্মী পাঠানো প্রায় বন্ধই আছে। তবে এ সিদ্ধান্তে অবৈধভাবে লিবিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা বন্ধ হবে। কিন্তু থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া উপকূলে অনেক বাংলাদেশী অভিবাসী আটক হওয়ার সময়ে একইভাবে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগে লিবিয়ায় কর্মী নেওয়া বন্ধের ঘোষণা আন্তর্জাতিকভাবে দেশের ভাবমূর্তিকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করবে।

লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম) আ স ম আশরাফুল ইসলাম গত ১৭ মে রোববার জানিয়েছেন, ‘পূর্বাঞ্চলভিত্তিক সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।’ হঠাৎ এই ঘোষণা দেওয়ার কারণ কী, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি পাইনি। তবে অনেক বাংলাদেশী লিবিয়ায় এসে নৌপথে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আমরা শুনেছি।’

লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের ওপর পূর্বাঞ্চলভিত্তিক সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। রাজধানী ত্রিপোলি পতনের পর পশ্চিমাঞ্চলে পাল্টা সরকার গঠন করেছে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলকে মানব পাচারের প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করছে মানব পাচারকারীরা। গত মাসে ভূমধ্যসাগর দিয়ে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে নৌযান ডুবে প্রায় ৯০০ অভিবাসী প্রাণ হারান।

লিবিয়া থেকে বাংলাদেশীরা আসলেই নৌপথে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করেন কি না, জানতে চাইলে আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘কারা এভাবে গেছেন, তাঁদের নাম-ঠিকানা আমাদের কাছে নেই। তবে সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরে একটি জাহাজ ডুবে কয়েক শ মানুষ মারা যায়। ওই জাহাজ থেকে এক বাংলাদেশীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যক্তি বলেছিলেন, “জাহাজটিতে আরও অন্তত ২৫ জন বাংলাদেশী ছিলেন।” ওই ঘটনার পর আমরা দেশে চিঠি পাঠিয়ে অবৈধভাবে লোক পাঠানো বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল।’ এরপর লিবিয়া যাওয়ার পধে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ১১ জন ধরা পড়েন।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘অবৈধভাবে লিবিয়া আসার চেষ্টা এবার বন্ধ হবে বলে আমরা আশা করছি। তবে এর ফলে আমাদের বৈধ বাজার সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কারণ গত কয়েক মাস এমনিতেই বৈধভাবে লোক আসা বন্ধ আছে। আমরাও নতুন করে কোনো চাহিদাপত্র অনুমোদন করছি না।’

একসময় বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার ছিল লিবিয়া। সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ার বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ২০০৯ ও ২০১০ সালে ৩৫ হাজার বাংলাদেশী লিবিয়ায় গেছেন। কিন্তু সম্ভাবনাময় লিবিয়ার বাজারে সেই সময়ে জাল ভিসায় লোক পাঠানো শুরু করে দালালচক্র। এঁদের অনেকেই বিমানবন্দরে আটক হন। এসব কারণেই ২০১০ সালে লিবিয়া বাংলাদেশ থেকে লোক নেওয়া বন্ধ করে দেয়। তবে ২০১১ সালে দেশটিতে যুদ্ধাবস্থা শুরুর পর ৩৬ হাজার বাংলাদেশী দেশে ফিরে আসেন। ওই বছর মাত্র ৮৯ জন বাংলাদেশী লিবিয়ায় যান।

তবে গাদ্দাফি সরকারের পতনের পর দেশটির পুনর্গঠনের কাজ শুরু হলে আবারও লোক নেওয়া শুরু করে লিবিয়া। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে ১৪ হাজার ৯৭৫ জন, ২০১৩ সালে ৭ হাজার ১৭৫ জন, ২০১৪ সালে ৪ হাজার ৪৬১ জন কর্মী যান দেশটিতে। আর এ বছর এখন পর্যন্ত ৯৩ জন কর্মী গেছেন। আর বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে সেখানে ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী কর্মরত আছেন। এর মধ্যে একটা বড় অংশই আছেন রাজধানী ত্রিপোলি ও বেনগাজিতে।

জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সহসভাপতি গোলাম কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘লিবিয়ায় যুদ্ধাবস্থাসহ নানা সঙ্কটের কারণে বৈধভাবে সেখানে খুব বেশি লোক যাচ্ছিল না। কিন্তু অবৈধভাবে লোক পাঠানো অব্যাহত আছে। আবার সেখান থেকে ইউরোপ যাওয়া খুব সহজ। কাজেই অনেকে সেই চেষ্টাও করেন। এসব কারণে বৈধভাবে যাঁরা ব্যবসা করতে চান তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। অবৈধভাবে এই বিদেশযাত্রা বন্ধ করা দরকার।’

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।