সংবাদ শিরোনামঃ

স্থানীয় সরকার ধ্বংসের নীলনকশা ** কেন মানুষ অথৈ সাগর পাড়ি দিচ্ছে, দায় কার? ** দেশকে রাজনীতিহীন করার ষড়যন্ত্র ** গণতন্ত্রহীনতা দেশকে সঙ্কটের দিকে নিয়ে যাবে ** আফগানিস্তানে শান্তির সম্ভাবনা ** গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারে ভোটাধিকারের সুযোগ দিতে হবে : বিচারপতি আব্দুর রউফ ** নরেন্দ্র মোদির সফর : বাংলাদেশের প্রত্যাশা! ** গণতন্ত্র ছাড়া দেশের উন্নতি কখনই সম্ভব নয় ** নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন প্রয়োজন ** সোনা নয়, সোনালী ফাঁস ** নিখোঁজ আর গুম ** জগতসেরা পর্যটক ইবনে বতুতা ** বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষকের মুখে হাসি নেই ** কুষ্টিয়ায় পারিবারিক কলহে নৃশংস হত্যাকাণ্ড বাড়ছে **

ঢাকা, শুক্রবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২২, ৩ শাবান ১৪৩৬, ২২ মে ২০১৫

ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেছেন, বিএনপি তিনবার ক্ষমতায় থেকে যে কারণে এক কাঠা জমি উদ্ধার করতে পারেনি। ঠিক একই কারণে আওয়ামী লীগের পক্ষেও অতীতে তিনবার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থেকে এক কাঠা জমি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বরং আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের দক্ষিণ বেরুবাড়ী ইউনিয়নের মালিকানা ভারতকে দিয়ে দিয়েছে। পরিবর্তে তিন বিঘায় আজো বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। অথচ আওয়ামী লীগ ৪র্থ বারের মতো ক্ষমতায় আসীন।

আইওজে চেয়ারম্যান গত ১৯ মে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, মামলাসহ চাণক্য নীতি ও নানা অজুহাত সৃষ্টি করে ভারত বিগত ৪১ বছর ধরে এই চুক্তি বাস্তবায়ন নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করে আসছে। কিন্তু তদানীন্তন আওয়ামী লীগ সরকার জাতীয় সংসদের অনুমোদনক্রমে ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি ত্বরিৎ গতিতে সে বছরই বাস্তবায়ন করে ফেলে। মামলাসহ নানা ঝুট-ঝামেলা শেষ এবং বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মোদি সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ায় কাকতালীয়ভাবে ভারতীয় রাজ্যসভা ও লোকসভায় চুক্তিটি অনুমোদিত হয়। ১৯৫৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তদানীন্তন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী স্যার মালিক ফিরোজ খান নুন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওয়াহেরলাল নেহরুর মধ্যে প্রথম চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। স্বাধীনতা উত্তর বাংলদেশে নুন-নেহরু চুক্তির আদলে প্রণীত ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত হওয়ার ৪১ বছর পর স্থল সীমানা চুক্তিটি ভারতীয় পার্লামেন্টে অনুমোদিত হলো। এই অনুমোদন বাংলাদেশের কাছে দায় মুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের একটি পদক্ষেপ বৈ আর কিছু নয়।

আইওজে চেয়ারম্যান বিবৃতিতে বলেন, শুধু তা নয়, বরং আওয়ামী লীগ ৪১ দিনের জন্যে পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়ার পর থেকে ভারত একতরফাভাবে গঙ্গা নদীর পানি প্রত্যাহারের সুযোগ পায়। ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় নদ-নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্প বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফারাক্কা ব্যারেজের কারণে গঙ্গা নদীর মোহনায় নদীর গভীরতা ক্রমশ কমে যাচ্ছে এবং সমুদ্রের লোনা পানি দেশের দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। ফলে দেশের দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের জেলাসমূহে ইতোমধ্যে শুরু মরুকরণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অনুমতি নিয়ে ভারত টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এই বাঁধ চালু হলে মেঘনা অববাহিকার সবুজ আচ্ছাদনও ধ্বংস হবে। ফলে ফারাক্কার মাধ্যমে যেমন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মেঘনা অববাহিকায়ও অনুরূপ পরিস্থিতির উদ্ভব হবে। তিনি বলেন, কানেকটিভিটির নামে ভারতকে একতরফা ট্রানজিট দেয়ার পাঁয়তারা আওয়ামী লীগের আমলেই শুরু হয়। এর বিরোধিতাকারীদের সমালোচনায় বলা হতো, এতে নাকি বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে। এখন শোনা যাচ্ছে এই ট্রানজিট নাকি বিনা শুল্কে দেয়া হবে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।