ফাহিমকে রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা নিয়ে প্রশ্ন

পরিকল্পিতভাবে বিচারের পথ বন্ধ করা হলো : ডা. শফিকুর রহমান

মাদারীপুরের নাজিম উদ্দিন কলেজের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীর উপর হামলার অভিযোগে হাতে নাতে ধরা পড়া গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিমকে রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে হত্যা করার ঘটনা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মাদারীপুরের নাজিম উদ্দিন কলেজের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীর উপর হামলার অভিযোগে হাতে নাতে ধরা পড়া গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিমকে রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে হত্যা করার উদ্দেশ্য কি? গত ১৮ জুন শনিবার দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, ফাহিমকে গ্রেফতার করার পর তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তাকে তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে হত্যা করার ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করে দেশের জনগণ। তাকে গ্রেফতার করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার নিকট থেকে তথ্য উদ্ধার করে তার সাথে থাকা অন্যদেরও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা উচিত ছিল। আইন অনুযায়ী আদালত তাদের বিচার করে দোষী প্রমাণিত হলে উপযুক্ত শাস্তি বিধান করবেÑএটাই ছিল দেশবাসীর প্রত্যাশা।  তিনি বলেন, আইনের পথ উপেক্ষা করে তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিমকে হাত কড়া পরা অবস্থায় হত্যা করার ঘটনায় জনগণের মনে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে যে, প্রকৃত ঘটনা জনগণকে জানতে না দিয়ে ধামাচাপা দেয়ার উদ্দেশ্যেই কি ফাহিমকে তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে হত্যা করা হলো? সে বেঁচে থাকলে থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়ার আশঙ্কায়ই কি তাকে গুলি করে হত্যা করা হলো? এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেশবাসী জানতে চায়। অভিজ্ঞ মহল মনে করে, ফাহিমকে রহস্যজনকভাবে হত্যা করার ফলে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা পড়ে গেল এবং ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়া হলো। ফাহিমকে তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে হাতকড়া পরা অবস্থায় গুলি করে হত্যা করার ঘটনাটি তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য দেশবাসীকে জানানোর জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।