সংবাদ শিরোনামঃ

ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে নয়া মোড় ** করোনা মোকাবিলায় সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে : প্রধানমন্ত্রী ** জামায়াতের সাবেক আমীর মকবুল আহমাদের ইন্তেকাল ** ফেনীতে মকবুল আহমাদের দাফন সম্পন্ন ** কেমন আছেন খালেদা জিয়া? ** তাকওয়া অর্জন, গুনাহ মাফ ও কুরআন নাজিলের মাস রমাদান ** লকডাউনকে কেন্দ্র করে ক্র্যাকডাউনে নেমেছে সরকার : মির্জা ফখরুল ** মিয়ানমারে স্বাধীনতাকামী ও অভ্যুত্থানবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সমঝোতা ** রাজনীতি নির্বাচন সবই নির্বাসনে ** মাহে রমজান ও তাকওয়া ** সৎ কর্মশীলদের কাজ আল্লাহ বিনষ্ট করেন না ** মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করুন **

রেজি: ডিএ ৫১৭।। ৬০ বর্ষ : ৩য় সংখ্যা ॥ ঢাকা শুক্রবার ৩ বৈশাখ ১৪২৮ ॥ ৩ রমজান ১৪৪২ : Friday 16 April 2021

॥ সাইদুর রহমান রুমী॥
বিগত কয়েক বছর যাবত এমনিতেই ব্যবসার সার্বিক অবস্থা খারাপ। তার ওপর করোনা আর সরকারি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের অভাবে পুরো অর্থনীতি স্থবির হয়ে ব্যাংকে অলস টাকার পাহাড় গড়ে উঠছে। ফলে দেশে তৈরি হয়েছে নতুন এক পঙ্গু অর্থনীতি, যেখানে বিনিয়োগ নেই, ব্যবসা à¦¨à§‡à¦‡Ñ à¦¨à§‡à¦‡ নতুন কর্মসংস্থান। প্রতিদিনই বাড়ছে বেকারত্ব আর দারিদ্র্য। ব্যবসা-বাণিজ্য আর নতুন বিনিয়োগ না থাকায় অর্থনীতি ভয়াবহ খরার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিনিয়োগ-কর্মসংস্থানহীন এ নতুন অর্থনীতি সংশ্লিষ্টদের ভাবিয়ে তুলছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, সমাপ্ত বছরের ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংকগুলোয় বিনিয়োগযোগ্য অর্থের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। এখন বছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) হিসাব ধরলে তা অনেকগুণ বাড়বে, যা এ মাসের মধ্যেই প্রকাশ হবে। তবে এই সময়ে ব্যাংকগুলোয় অতিরিক্ত তারল্যের পরিমাণ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বিনিয়োগ আর ব্যবসা বাণিজ্যের নিম্নমুখী অবস্থায় এর সূচক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তাই নিয়ে শঙ্কিত সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে বেশিরভাগ ব্যাংক আমানতের সুদহার কমিয়ে ৪ শতাংশের নিচে নামিয়ে এনেছে। একই সঙ্গে সময়ের পরিবর্তনে এখন ঋণ বিতরণ বাড়াতে ‘ইন্টারনাল ক্রেডিট রিস্ক রেটিং বা আইসিআরআর’ নীতিমালাও শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া বাধ্য হয়ে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও বিকল্প বিনিয়োগকেও উৎসাহিত করছে। কিন্তু বিনিয়োগ বাড়ছে না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা বাড়ায় আর সরকারের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ না থাকায় নতুন ঋণ নেয়ার মতো সাহস বড় বিনিয়োগকারীরা পাচ্ছেন না। পরিস্থিতি যেন দিন দিন খারাপের দিকেই যাচ্ছে। দীর্ঘদিন বিনিয়োগ না হওয়ায় পুঞ্জীভূত এই অর্থ ব্যাংকগুলোকে ভোগান্তিতে ফেলেছে। আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতিতে অনেক খাতের পণ্য ও সেবার চাহিদা কমে গেছে। নতুন বিনিয়োগ দূরে থাক, বিদ্যমান উৎপাদনের সক্ষমতারও পুরোপুরি ব্যবহার হচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ ক্যাপাসিটি কমার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও কমে গেছে। এটা অর্থনীতির জন্য মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। কারণ অর্থনীতিতে স্বাভাবিক গতি বজায় থাকলে এই অর্থ বিনিয়োগ হতো। এ অবস্থায় বেসরকারি খাতে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি ক্ষুদ্র-মাঝারি খাতের ঋণের জন্য কাঠামোগত সংস্কার দরকার বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। যদিও ক্ষুদ্র-মাঝারি বিনিয়োগকারী অনেকেই অভিযোগ করেন ব্যাংকগুলো তাদের ঋণ দিতে ব্যাপক গড়িমসি করে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের আগে থেকেই বেসরকারি ঋণের গতি ছিল মন্থর। করোনার পর থেকে তা আরো নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। কারণ উদ্যোক্তারা নতুন বিনিয়োগে যাচ্ছেন না। ফলে মূলধনী যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী আমদানিও কমছে ব্যাপকভাবে। এর মানে উৎপাদনের যে সক্ষমতা রয়েছে, সেটার পুরোপুরি ব্যবহার হচ্ছে না। এসব কারণে বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদাও কম। এ পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোর হাতে অতিরিক্ত তারল্য ও অলস টাকা বেড়ে গেছে। এটা অর্থনীতির জন্য  মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সমাপ্ত ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে অতিরিক্ত তারল্যের পরিমাণ দুই লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে কোনো ধরনের বিনিয়োগে নেই এমন অর্থের পরিমাণ (অলস টাকা) প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। গত তিন মাসে মার্চ পর্যন্ত অলস টাকা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি ও বিদেশি সব খাতের ব্যাংকেই অলস টাকা পড়ে আছে। করোনা ছাড়াও সার্বিক পরিস্থিতিতে বিনিয়োগের চেয়ে বিদেশে টাকা পাচারই সবচেয়ে লাভজনক বলে ব্যবসায়ীরা মন্তব্য করছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের মতে, করোনা সংক্রমণ শুরু হলে অর্থনীতিতে চাহিদা বাড়াতে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় বাজারে টাকার সরবরাহ বাড়ানো হয়। আবার করোনার মধ্যে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে অনেক বেশি। ব্যাংকের আমানত সংগ্রহেও ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু প্রণোদনা ঋণের বাইরে দীর্ঘদিন নতুন ঋণের চাহিদা নেই। সব মিলিয়ে ব্যাংকের হাতে উদ্ধৃত তারল্য ও অলস টাকা বেড়েছে। নতুন করে আবার করোনা ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় অলস টাকার পরিমাণ আরও বাড়ছে বলে উল্লেখ করেন তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে অতিরিক্ত তারল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ লাখ ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯৮ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা ছিল বেসরকারি ব্যাংকগুলোর। সরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর কাছে অতিরিক্ত তারল্য ছিল ৮৩ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা। আর ২২ হাজার ১৯৩ কোটি টাকার অতিরিক্ত তারল্য জমা হয় বিদেশি ব্যাংকগুলোর হাতে। এর তিন মাসে আগে ব্যাংকিং খাতে অতিরিক্ত তারল্য ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। আর গত তিন মাসের ব্যবধানে অতিরিক্ত তারল্য বেড়েছে প্রায় ৩৫ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। অন্যদিকে একই সময়ে ব্যাংকগুলোর হাতে পড়ে থাকা অলস টাকার পরিমাণও বেড়েছে। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে অলস টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। এই অংক অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি, তিন মাস আগে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যা ছিল ২১ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা। করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর আগে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে অলস টাকার পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা। বেসরকারি খাতের ঋণের সাম্প্রতিক গতিধারা এবং শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি কমে যাওয়ার পরিসংখ্যানেও বেসরকারি বিনিয়োগ কমে যাওয়ার বিষয়টি প্রতিফলিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত অর্থবছরের ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বেসরকারি খাতে ঋণ বেড়েছিল মাত্র ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ। এটি গত আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল। চলতি অর্থবছরেও বেসরকারি খাতের ঋণে শনিরদশা চলছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ১১ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এটি স্মরণকালের সর্বনিম্ন। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে ৩৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। কারখানা সম্প্রসারণ, সংস্কার ও নতুন কারখানা স্থাপনের জন্য মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয়। শুধু মূলধনী যন্ত্রপাতিই নয়, এ সময়ে শিল্পের মধ্যবর্তী পণ্যের আমদানি কমেছে প্রায় ১৬ দশমিক ২২ শতাংশ। এছাড়া শিল্পের কাঁচামাল আমদানিও কমেছে ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ফলে নতুন করে কোনো কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না, বরং উদ্যোক্তারা বেশি বেতনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছাঁটাই করছেন ক্ষেত্রবিশেষে।
এছাড়া করোনার ক্ষতি পোষাতে সরকার ঘোষিত বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলো যাতে সঙ্কটে না পড়ে, সে জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বেশ কয়েকটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন এবং বিদ্যমান তহবিলের আকার বাড়ানো হয়েছে। এর আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৫১ হাজার কোটি টাকার মতো তহবিলের জোগান পায় ব্যাংকগুলো। এছাড়া সিআরআর দুই দফায় দেড় শতাংশ কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে আরো ১৯ হাজার কোটি টাকা নতুন করে ঋণ দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করে ব্যাংকগুলো। পাশাপাশি ব্যাংকে তারল্য বাড়াতে তিন দফায় রেপো রেট কমিয়ে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে এক বছর মেয়াদি বিশেষ রেপো। ১৭ বছর পর ব্যাংক রেট ১ শতাংশ কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হয়েছে। অন্যদিকে স্বস্তির খবর হলো, করোনার সময়ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে চাঙ্গাভাব অব্যাহত আছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে কয়েক মাস ধরে বাজার থেকে প্রচুর ডলার কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ডলার কেনা বাবদ নগদ টাকাও ব্যাংকের হাতে যাচ্ছে।
অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, রফতানি ও রেমিট্যান্সের পাশাপাশি এখন রাজস্ব ও বিনিয়োগ বাড়ানোই বড় চ্যালেঞ্জ। লকডাউনে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবিকা ব্যাপক হুমকির মুখে রয়েছে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থাগুলোর মতে, করোনার প্রথম ধাক্কা এখনো কাটেনি এবং সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ব্যবস্থাও গড়ে ওঠেনি। দ্বিতীয় ধাক্কায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকায় অভিঘাত আরো বেশি পড়বে। প্রথম ধাক্কায় কিঞ্চিৎ সঞ্চয় ছিল তা ভাঙিয়ে সংসার চালিয়েছেন, আত্মীয়-স্বজনের সহায়তা নিয়েছিলেন অথবা জমি বিক্রি বা বন্ধক রেখেছিলেন। দ্বিতীয় ধাক্কায় এখন কোথায় ধার পাবেন বা আগের ঋণই কীভাবে শোধ à¦¹à¦¬à§‡Ñ à¦à¦®à¦¨ এক অনিশ্চয়তার জীবনের মধ্যে নিপতিত হয়েছেন বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ। এদিকে করোনা ভাইরাস মহামারির অভিঘাতে তৈরি পোশাক রফতানি এবং রেমিট্যান্স কমে গিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাংক। এমনিতেই ইউরোপ-আমেরিকায় করোনার কারণে অনেক তৈরি পোশাক ক্রেতা সময়মতো মাল ছাড় না করায় বহু গার্মেন্ট ব্যাপক ক্ষতি এবং অনিশ্চতার মুখে রয়েছে।
আর বর্তমানে ব্যাংক খাতে তারল্যের পরিমাণ ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো একদিকে নতুন বিনিয়োগ থেকে নিজেদের গুটিয়ে রেখেছে, অপরদিকে চাহিদামতো সরকারের ট্রেজারি বিল-বন্ডেও বিনিয়োগ করতে পারছে না। এমনকি কলমানি ও অন্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত হিসেবেও রাখতে পারছে না।
জানতে চাইলে বেসরকারি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকে অলস টাকার পাহাড় সৃষ্টি à¦¹à¦¬à§‡Ñ à¦à¦Ÿà¦¾à¦‡ স্বাভাবিক। কারণ যে ঋণ দিয়েছি, তা ফেরত আসছে না। তাই ব্যাংকাররা ভীষণ চিন্তিত এবং সতর্ক। দেশে বিনিয়োগ নেই। কেন জানি বিনিয়োগে আগ্রহ নেই বেশিরভাগ ব্যবসায়ীর। আমদানিও অপর্যাপ্ত। নতুন কোনো শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে না।
তাই ভালো গ্রাহকগণ ঋণ নিতে চাইছেন না। উল্টো দাগী ঋণখেলাপিরা নতুন করে ঋণ চাইছেন। না দিলে ‘দেখে নেয়ার’ হুমকিও দিচ্ছেন কেউ কেউ। সে কারণে আমরা বড় বেকায়দায় আছি।
এদিকে অতিরিক্ত তারল্যের চাপ সামলাতে ব্যাংকগুলো আমানতের সুদহার সর্বনিম্নে নামিয়ে এনেছে। এক বছর আগেও যেখানে কোনো কোনো ব্যাংক ৮ শতাংশের বেশি সুদে তিন-ছয় মাস মেয়াদি আমানত সংগ্রহ করেছে, এখন তা ৩-৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। তারপরও অতিরিক্ত তারল্যের রক্ষণাবেক্ষণে ব্যাংকারদের হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে একাধিক ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী জানিয়েছেন। তারা বলেন, ব্যাংক আমানতের গড় সুদহার ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। পরিস্থিতি যা তাতে বিনিয়োগ বা ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়াতে না পারলে অচিরেই ব্যাংক আমানতের সুদহার ১-২ শতাংশে নেমে আসবে।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাধারণ সম্পাদক এ প্রসঙ্গে বলেন, করোনায় নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে না। ফলে তারল্য জমছে। করোনার কারণে সব কিছু ধীর হয়ে গেছে। নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে না। অতিরিক্ত তারল্য ব্যাংক খাতকে এখন কষ্ট দিচ্ছে। যেভাবে আমানত আসছে, ঠিক সেই তুলনায় নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে না। তার মতে, নতুন বিনিয়োগের জন্য আমাদের আন্তরিকতার অভাব না থাকলেও দেশে করোনার কারণে এ মুহূর্তে বড় কোনো শিল্প উদ্যোগ নেই বললেই চলে। ভালো ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগের ঝুঁকি নিতে চাইছেন না বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি এবং বিশিষ্ট গার্মেন্ট ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, বিনিয়োগ না করে শুধু ব্যাংকে টাকা জমা করে লাভ নেই। তবে আগে বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ব্যবসায়ীদের টাকা ফেরত দেয়ার মতো সুযোগ দিতে হবে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।