অধ্যাপক মুহম্মদ মতিউর রহমান ছিলেন দেশীয় সংস্কৃতির অন্যতম অভিভাবক : সিএনসি

সেন্টার ফর ন্যাশনাল কালচার (সিএনসি)-র সভাপতি ও নির্বাহী পরিচালক এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, আমরা গভীর দুঃখ ও বেদনার সাথে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বরেণ্য সাহিত্যিক ও ধীমান সংস্কৃতিজন অধ্যাপক মুহম্মদ মতিউর রহমানের ইন্তেকালের খবর পেয়েছি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি সুদীর্ঘ ছয় দশক ধরে আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির অন্যতম অভিভাবক হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন পঞ্চাশ দশকের অন্যতম সাহিত্য ও সংস্কৃতিজন। তাঁর বহুমাত্রিক অবদান আমাদের স্মরণে রাখতে হবে। একজন মেধাবী, গবেষক ও সাহিত্যিক হিসেবে তিনি শুধু শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেননি, একজন নিষ্ঠাবান শিক্ষাব্রতী হিসেবেও দেশে-বিদেশে অমূল্য অবদান রেখেছেন। শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য ও সেবার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অতুলনীয়। সিএনসির অন্যতম উপদেষ্টা মনীষী এই মহাপুরুষের রুহের মাগফিরাত আমরা কামনা করছি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীদের প্রতি অফুরন্ত সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালা যেন তাঁকে বেহেশত নসিব করেন।
তিনি ছিলেন আমাদের সাহিত্য আন্দোলনের গুরু : একাডেমি
ফর প্লুরালিজম
‘একাডেমি ফর ডেমোক্রেসী এন্ড প্লুরালিজম’ ও মুক্তবুদ্ধি সাহিত্য সংঘের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট গবেষক শাহ আব্দুল হালিম এক বিবৃতিতে বলেন, ষাটের দশকে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বরেণ্য সাহিত্যিক ও ধীমান সংস্কৃতিজন অধ্যাপক মুহম্মদ মতিউর রহমানের নেতৃত্বে ও অভিভাবকত্বে অনেকগুলো সাহিত্য প্রতিষ্ঠান ও সাহিত্য আন্দোলন গড়ে ওঠে। শিক্ষিত মানুষকে তিনি সাহিত্যমোদী ও সংস্কৃতি মান হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়াস পেয়েছিলেন। আমরা এই মনীষীর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। অধ্যাপক মুহম্মদ মতিউর রহমান গত ৮ এপ্রিল ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ শিশু সংগঠক : এখন সময়ের সম্পাদক
নিউইয়র্ক থেকে এখন সময়ের সম্পাদক কাজী শামসুল হক ও কানাডা থেকে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাসুদ ঢালী ভিন্ন ভিন্ন বিবৃতিতে গভীর শোক ও মর্মবেদনা প্রকাশ করে বলেন, মরহুম অধ্যাপক মুহম্মদ মতিউর রহমান ছিলেন পূর্ব বাংলার নিজস্ব জাতি সত্তা গড়ে ওঠা জাতীয় শিশু সংগঠন শাহীন ফৌজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। আমরা উভয়ই ছিলাম ঐ পবিত্র প্রতিষ্ঠানের যথাক্রম পরিচালক। আমরা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।