সংবাদ শিরোনামঃ

ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে নয়া মোড় ** করোনা মোকাবিলায় সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে : প্রধানমন্ত্রী ** জামায়াতের সাবেক আমীর মকবুল আহমাদের ইন্তেকাল ** ফেনীতে মকবুল আহমাদের দাফন সম্পন্ন ** কেমন আছেন খালেদা জিয়া? ** তাকওয়া অর্জন, গুনাহ মাফ ও কুরআন নাজিলের মাস রমাদান ** লকডাউনকে কেন্দ্র করে ক্র্যাকডাউনে নেমেছে সরকার : মির্জা ফখরুল ** মিয়ানমারে স্বাধীনতাকামী ও অভ্যুত্থানবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সমঝোতা ** রাজনীতি নির্বাচন সবই নির্বাসনে ** মাহে রমজান ও তাকওয়া ** সৎ কর্মশীলদের কাজ আল্লাহ বিনষ্ট করেন না ** মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করুন **

রেজি: ডিএ ৫১৭।। ৬০ বর্ষ : ৩য় সংখ্যা ॥ ঢাকা শুক্রবার ৩ বৈশাখ ১৪২৮ ॥ ৩ রমজান ১৪৪২ : Friday 16 April 2021

॥ হারুন ইবনে শাহাদাত ॥
খালি বাড়ি জিনের বাসা, খালিতে বায়ু ঠাসা- মানে খুব সহজ, কোনো জায়গা খালি থাকে না। শূন্য স্থান কোনো  না কোনোভাবে পূর্ণ হয়ে যায়। দেশের রাজনীতি বিশ্লেষকরাও মনে করেন, গণতন্ত্রহীন দীর্ঘ শাসনে রাজনৈতিক দলগুলোকে  হয়তো সরকার নির্বাচনের সাথে সাথে নির্বাসনে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে, কিন্তু সেই শূন্য স্থান খালি নেই। বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠন সেই জায়গা দখল করেছে। ফলে দেশে চলছে এক জটিল সমীকরণ। এই জটিল অবস্থার রাজনৈতিকভাবে সমাধানের পথ খুঁজে পাচ্ছে না সরকার। তাই বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আগের মতো রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সহযোগিতার বদলে থানায় থানায় বসছে সাব-মেশিন গান, এলএমজি।
রাজনীতি বিশ্লেষক কবি সোহরাব হাসান অতিসম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটা কিছু অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার উল্লেখ করে বলেছেন, ‘এখন বাংলাদেশের মাঠের রাজনীতি কোনো রাজনৈতিক দল নিয়ন্ত্রণ করছে না; করছে অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম।’ তিনি আরো বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ, সালথা, শাল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হাটহাজারী, কিশোরগঞ্জ প্রভৃতি স্থানে যা ঘটেছে, তাকে এককথায় বলা যায় ল-লেসনেস বা আইনের শাসনের প্রবল অনুপস্থিতি। অতীতে এ ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটলে প্রশাসন স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করত। দফায় দফায় বৈঠক করত। এখন প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের এমনকি ক্ষমতাসীন দলটির সম্পর্কও সুখকর নয়। সম্প্রতি কিশোরগঞ্জ জেলার আওয়ামী লীগের এক নেতা আলাপ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, এখন দেশে যা চলছে, তা প্রশাসনিক গণতন্ত্র। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডেমোক্রেসি।’
 à¦à¦•à¦¥à¦¾ এখন আর অস্বীকার করার উপায় নেই রাজনীতি সুস্থ ও স্বাভাবিক ধারায় না চলায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র কীভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেশে রাজনীতি সচেতন এমন মানুষ এখন খুব কমই পাওয়া যাবে, যাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। এ কথা যেমন বিরোধী দল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নেতাদের বেলায় প্রযোজ্য, একইভাবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতাদের বেলায়ও প্রযোজ্য। কারণ চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, হত্যা, খুন, গুমের মামলার বদলে থানার ডায়েরিগুলো এখন রাষ্ট্রদ্রোহ, নাশকতা সৃষ্টি, রাষ্ট্রীয় বা পুলিশের কাজে বাধা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কিলিবিল করছে। তাই অতীতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি বা এই জাতীয় কোনো সঙ্কট সৃষ্টি হলে প্রশাসন স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করত। দফায় দফায় বৈঠক করত। কিন্তু এখন প্রশাসন কাদের নিয়ে বৈঠক করবে, সমাজের রাজনৈতিক মুখগুলোর প্রায় সবাই আসামি। যাদের নামে থানায় মামলা আছে, তাদের সাথে বৈঠকে বসবে কোন মুখে। বিরোধী দলের কোনো প্রভাবশালী নেতাকে ডেকে সহযোগিতা à¦šà¦¾à¦‡à¦¬à§‡à¦¨Ñ à¦à¦®à¦¨ দুঃসাহস দেখালে তো সেই কর্মকর্তার খবর হয়ে যাবে। এই প্রতিবেদক যখন ছাত্র, সেই সময়ে দেশে এমন বিনাভোটের গণতন্ত্র ছিল না। সামরিক স্বৈরশাসন চলছিল। পৃথক পৃথক অবস্থান থেকে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছিল। বন্ধুপ্রতিম ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ হতো। রক্তও ঝরতো। খুনের মতো কোনো বড় ঘটনা না ঘটলে থানায় মামলা করতে গেলে অনেক ক্ষেত্রেই ওসি সাহেবরা দুই পক্ষের ছাত্র নেতাদের থানায় ডাকতেন। বৈঠক করে বোঝাতেন, ‘তোমরা ছাত্ররা, সামনে পড়ে আছে বিশাল সোনালি সময়, এখন যদি মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে আলাদতে দৌড়াও, তোমাদেরই ক্ষতি। সামনে বিসিএস দিবে, তখন পুলিশ রিপোর্টে এই দাগ থাকলে সমস্যায় পড়বে। তোমরা সবাই দেশের জন্য কাজ করছো। মানুষের কল্যাণ চাও। পথ ও মত আলাদা। তাই বলে দেশপ্রেমে তো কারো ঘাটতি নেই। ভাই ভাইয়ে ছোট-খাটো সমস্যা হতেই পারে।’ বলে দুই পক্ষের হাতে হাত বুকে বুক মিলিয়ে চা-সিঙ্গাড়া দিয়ে আপ্যায়ন করে থানা থেকে বিদায় করে দিতেন। তাদের এমন আন্তরিকতার কারণে প্রশাসনের সাথে ছাত্র-জনতার যে সম্পর্ক তৈরি হতো, তাই ছিল শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার মূল ভিত্তি। তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের মতো থানায় থানায় সাব-মেশিন গান বসানোর প্রয়োজন পড়তো না। ছাত্র-জনতাই বিপদে থানা পুলিশের পাশে দাঁড়াতো। সরকার, প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকলে সমাজের শান্তিপ্রিয় দেশপ্রেমিক সাহসী মানুষের সাথে পরদেশি শত্রুর মতো ভূমিকা পালন করতে পারে না। বন্দুকের নল থেকে তপ্ত সিসা নিশানা যেন তার কোনো ভাই-বন্ধু, পিতা-সন্তান, মা-বোন না হন সবসময় তারা সেই চেষ্টাই করেন। সেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সরকারকেই সবার আগে আন্তরিক হতে হবে। অবশ্যই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হতে হবে। কাউকে নির্মূল, নিশ্চিহ্ন কিংবা শায়েস্তা করতে ছায়াশত্রুতে পরিণত করে গায়েবি মামলা দিলে শান্তি আসবে না।
 à¦¦à§‡à¦¶à§‡ এক সপ্তাহের লকডাউন চলছে। কিন্তু গ্রেপ্তার-নির্যাতন থেমে নেই। হেফাজতকা-ের সাথে কল্পিত ছায়াশত্রু হিসেবে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেও চলছে অভিযান। এই মাহে রমজানে ঘরোয়া আয়োজন থেকে পর্দাশীন ধর্মপ্রাণ মহিলাদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। হেফাজতকা-ের পর বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন, ‘শেষে আরেকটি কথা বলা জরুরি মনে করি। সব অঘটনের দায় পাইকারিভাবে বিএনপি, জামায়াত-শিবির কিংবা হেফাজতের ওপর চাপানোও ঠিক নয়। ঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে ভবিষ্যতে এ রকম অঘটন আরও ঘটতে পারে। শাল্লার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের কোনো ভূমিকা ছিল না। ফরিদপুরের সালথায় প্রশাসনের হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে অঘটন ঘটেছে। স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের দায়ে প্রশাসন জেল-জরিমানা করতে পারে। কাউকে লাঠিপেটা করতে পারে না। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রিসোর্টে দুই ঘণ্টা অবস্থান করার পরও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কী করবে। তারা কি ইচ্ছা করেই হেফাজতের কর্মীদের আসার অপেক্ষা করছিল? রিসোর্টে ধ্বংসযজ্ঞ ঘটার পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গিয়ে হেফাজতের ধর্মব্যবসার বিরুদ্ধে বুলন্দ আওয়াজ তুলেছেন। কিন্তু সাত বছর তাঁরা নিশ্চুপ ছিলেন কেন? কোন রাজনীতির হিসাবে-নিকাশে?’ (দৈনিক প্রথম আলো, ১০ এপ্রিল ২০২১)।
হিসাব-নিকাশ যাই করুন না কেন, এই ভুল যে সরল অংকের মতোই প-শ্রম, এ নিয়ে পর্যবেক্ষকদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। অনেক কষ্ট করে পাতার পর পাতা নষ্ট করে অংক যত বড়ই করা হোক। নম্বর কিন্তু শূন্য। তাই বুদ্ধিমানরা সরল অংকের জটিলতা বাদ দিয়ে সহজ পথে সমাধান চায়। রাজনীতির সেই সহজ অংকের নাম গণতন্ত্র। অবশ্যই বিনাভোটের চলমান কথিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নয়। জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষায় আন্তরিক সরকার ছাড়া দেশের সঙ্কট à¦•à¦¾à¦Ÿà¦¬à§‡Ñ à¦à¦®à¦¨ আশা করা দুঃস্বপ্ন ছাড়া আর কিছু নয়।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।