রেজি : ডিএ ৫১৭ ॥ ৬৩ বর্ষ : ১ম সংখ্যা ॥ ঢাকা, শুক্রবার, ৮ চৈত্র ১৪৩০ ॥ ১১ রমজান ১৪৪৫ হিজরী ॥ ২২ মাচ ২০২৪

দিন দিন গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে দলটি
॥ হারুন ইবনে শাহাদাত ॥
দেশটা চলছে। আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করছে। বিগত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকার-অনুগত নির্বাচন কমিশনের ভোটের হিসাবই বলছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। বিরোধীদলের দাবি, শতকরা মাত্র ৫ জন ভোট দিয়েছে। আওয়ামী লীগের সমর্থকরাও বিগত ডামি নির্বাচনে ভোট দেয়নি। তাই এ সরকারকে জনগণের সরকার বলা যায় না। রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, সরকার নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংসের মাধ্যমে জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। জনগণের অধিকারই শুধু হরণ করেনি, স্বস্তির জায়গাটাও কেড়ে নিয়েছে। তাই সর্বত্র একটা গুমোট দমবন্ধ হওয়া অবস্থা বিরাজ করছে। জনমতের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো বিদ্যুৎ, পানি, চিকিৎসাসেবাসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সেবার মূল্যবৃদ্ধি করছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের আদর্শবিরোধী শিক্ষাব্যবস্থা চাপিয়ে দিচ্ছে। পবিত্র মাহে রমযানে চলছে বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। দেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য ইফতার মাহফিল পালনে শুধু নিরুৎসাহিতই করছে না, শিশু-কিশোদের মাহে রমযানে সিয়াম সাধনায় ব্যাঘাত ঘটাতে এ চৈত্রের খরতাপে স্কুল-কলেজ খোলা রেখেছে, খোদ রাজধানীর বুকে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে ইফতার আয়োজন ও পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের অনুষ্ঠানে দলীয় সন্ত্রাসীরা হামলা করছে। সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক সকল সনদে স্বীকৃত জনগণের প্রতিনিধি এবং মানবাধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ সংগঠন বিরোধীদলগুলোর প্রতি সরকারের বৈরী আচরণের মাত্রা এতটাই যে, পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, সরকার দেশ থেকে বিরোধীদল নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। দেশ ও জনগণের স্বার্থের চেয়ে প্রতিবেশী একটি দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে গিয়ে আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে বলে তারা মনে করেন। জনবিচ্ছিন একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতা দখল ও টিকে থাকতে জনগণ নয়, পেশির ওপরই ভরসা করে। আওয়ামী লীগ সেই পথেই হাঁটছে, গণতন্ত্র-মানবাধিকার তাদের কিতাবে থাকলেও গোয়ালে নেই।
গণতন্ত্র-মানবাধিকার কিতাবে আছে
বিগত ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ দেশ শাসন করলেও দেশে ও দেশের বাইরে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে ইতিবাচক ইমেজ গড়তে পারেনি। বরং যতটুকু ছিল, তা-ও হারিয়েছে। বিগত প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে বিরোধীদলকে এ প্রক্রিয়ার বাইরে রাখতে ষড়যন্ত্রের নতুন নতুন জাল ফেলেছে আওয়ামী লীগ। অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিমরোলার থেকে বাদ পড়েন না মূলধারার প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নেতারাও। বিগত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ক্ষমতাসীনরা নির্বাচনের পর নিজের স্বৈরাচারী নখর আস্তিনের নিচে লুকিয়ে গণতান্ত্রিক ইমেজ গড়ার চেষ্টা করছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। কারণ গণতন্ত্র-মানবাধিকারের কথা এখনো তাদের কিতাবে আছে। কিতাব পরিবর্তন করে আদি মডেলের বাকশাল কায়েমের নীলনকশা অনুসরণ করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার ষড়যন্ত্র করছে না পশ্চিমা চাপের কারণেই বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। কিন্তু এতে শেষ রক্ষা হবে না। কারণ এ অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে কোনো ষড়যন্ত্রই গোপন থাকে না। তাই গণতান্ত্রিক ইমেজ গড়তে হলে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়া এবং বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চালানো অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিমরোলার বন্ধ করার বিকল্প কোনো পথ সরকারের সামনে নেই।
বিগত নির্বাচন-পরবর্তী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পর্যবেক্ষণ এবং ২০২৩ সালজুড়ে সরকারের আচরণ বিশ্লেষণ করে লন্ডনভিত্তিক দি ইকোনমিস্ট সাময়িকীর ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) Democracy Index 2023 (গণতন্ত্র সূচক ২০২৩) প্রকাশ করেছে, তাতে এ সত্যই তুলে ধরা হয়েছে। ২০০৬ সালে ইআইইউ প্রকাশিত প্রথম ডেমোক্রেসি ইনডেক্সে ৬.১১ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ত্রুটিপূর্ণ শ্রেণিতে। এরপর ১৭ বছর ধরে বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ নিচের শ্রেণিতে তথা হাইব্রিড রেজিম বা মিশ্র শাসন শ্রেণিতে অবস্থান করছে। হাইব্রিড রেজিমের সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে গিয়ে বলা হয়েছে, হাইব্রিড রেজিম বলতে এমন এক ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেখানে প্রায়ই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়। সরকার বিরোধীদলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। হাইব্রিড রেজিমে রাজনৈতিক সংস্কৃতি, সরকারের কর্মকাণ্ড এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে যেসব দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়, তা ত্রুটিপূর্ণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চেয়ে অনেক বেশি। দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার, দুর্বল আইনের শাসন, দুর্বল নাগরিক সমাজ, সাংবাদিকদের ওপর চাপ ও হয়রানি, নিয়ন্ত্রিত বিচারব্যবস্থাÑ এগুলো হাইব্রিড রেজিমের বৈশিষ্ট্য। উল্লেখ্য, দেশে ১৭ বছর ধরে হাইব্রিড রেজিমে অবস্থানের প্রথম দুই বছর সেনাসমর্থিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশ শাসন করেছে। এরপর ১৫ বছর বিরতিহীনভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের শাসনে গণতন্ত্র ও মানব উন্নয়ন সূচকের উন্নতি হয়নি, বরং দিন দিন অবনতিই হচ্ছে। সরকার ও জনগণ মুখোমুখি হচ্ছে। প্রতিবাদী জনতা অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কিন্তু মাঠ ছাড়ছে না। দীর্ঘকালীন এমন অবস্থা বড় বিপদের অশনিসংকেত বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিষয়টি আওয়ামী লীগ আমলে নিচ্ছে না। তারা দল ও সরকার একাকার করে রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে বদ্ধপরিকর।
কী ভাবছে আওয়ামী লীগ
দল ও সরকার পরিচালনার দায়িত্ব একজনের হাতে থাকলে সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়ে। কারণ দল তখন রাষ্ট্রশক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তখন দলের নেতা-কর্মীরা জনগণের দুঃখ-কষ্টের তোয়াক্কা করেন না। বিনা কিংবা ডামি ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ থাকলে তো কথাই নেই। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, এমন অবস্থাই বিরাজ করছে আওয়ামী লীগে। একটি সূত্রে প্রকাশ, দলকে এমন অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে দীর্ঘদিন ধরে দল ও সরকার পরিচালনায় আলাদা নেতৃত্বের কথা ভাবছে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরাম। সেই আলোচনা এখনো চলমান আছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নেতা জানান, সিদ্ধান্তের দীর্ঘসূত্রতার কারণে ক্রমশ সরকারে বিলীন হতে চলেছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতা ধরে রাখতে বা সরকারে সফল হতে গিয়ে দলটির সাংগঠনিক শক্তি ক্ষয় হচ্ছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর আমরা সাংগঠনিক কাজে মনোনিবেশ করব। আমাদের মেয়াদোত্তীর্ণ শাখাগুলোর সম্মেলন করার চিন্তাভাবনা আছে। আমরা বছরটি সম্পূর্ণ সাংগঠনিক কাজে ব্যয় করতে চাই, ইনশাআল্লাহ।’ সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল। এর তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত অত্যন্ত সুসংগঠিত। তৃণমূল হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণশক্তি। তৃণমূলসহ সব পর্যায়ের কমিটি গঠনে কেন্দ্র প্রস্তুত থাকে। দলীয় ফোরামে এরই মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ শাখার সম্মেলন ও সম্মেলন হয়ে যাওয়া শাখাগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী সম্মেলনের আগেই সব শাখা সম্মেলন করে নতুন কমিটি নিশ্চিত করা হবে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘রোজার মাসে সংযম না করে বিএনপি যতই আন্দোলন করবে, তারা ততই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ বুঝি না। অপরাধী অপরাধীই। অপরাধী যেই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত কঠোর। গতবারের মতো এবারও রমযানে সরকারের পাশাপাশি দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো ইফতার পার্টি করা হবে না। এর পরিবর্তে সারা দেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গরিব ও সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতারি ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।’
অবশ্য বিরোধীদলের দাবি, আওয়ামী লীগ ইসলাম ধর্মবিদ্বেষের কারণে ইফতার মাহফিল না করে জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে।
জনগণের মুখোমুখি আওয়ামী লীগ
জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় এ সরকার ও আওয়ামী লীগের তাদের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই বলে মনে করেন বিরোধীদলের নেতারা। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, ‘দেশে বর্তমানে যে অর্থনৈতিক অচলাবস্থা চলছে, তাতে সাধারণ মানুষের জীবিকা নির্বাহ করা দুঃসহ হয়ে পড়েছে। বিনা ভোটে নির্বাচিত এ সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই।’
 বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গণবিরোধী সরকার জবাবদিহির ধার-ধারে না। এ অবৈধ সরকারের পক্ষে কোনো গণরায় নেই। জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হওয়া দখলদার সরকার ঐতিহ্যগতভাবেই নিপীড়ক হয়। জনগণকে শত্রুপক্ষ ভাবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এক ব্যক্তির সিদ্ধান্তে দেশ চলতে পারে না। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে দেউলিয়া করেছেন। জনগণ এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে নেই। ফ্যাসিবাদী সরকারের হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে।’ তিনি মনে করেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে জনবিচ্ছিন্ন সরকারের পতন হবে।
শুধু বিরোধীদলের নেতারা নন, সমাজের সর্বস্তরের মানুষ, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গবেষণাও আওয়ামী লীগের জনবিচ্ছিন্নতার এ চিত্র উঠে এসেছে।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) পরিচালক ড. ইমরান মতিন মনে করেন, ‘জনমনে বেড়ে ওঠা নেতিবাচক ধারণাগুলো; বিশেষত অর্থনৈতিক গতি-প্রকৃতি সম্পর্কিত ধারণাগুলো বাস্তব ও গভীর। এর মূলে বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব থাকলেও জাতীয় ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সুশাসন ও ব্যবস্থাপনাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এর মাধ্যমেই সরকার জনসমর্থন পায়। আইআরআইয়ের সমীক্ষায় দেখা গেছে, নাগরিকরা রাস্তা, বিদ্যুৎ, খাওয়ার পানি ও শিক্ষার মতো বিষয়ে সরকারের কার্যক্রমের প্রশংসা করলেও মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব ও দুর্নীতি নিয়ে অসন্তুষ্ট। স্পষ্টতই জনগণ মনে করেন যে, বর্তমানে চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও রাষ্ট্রের উচিত কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। কিন্তু তারা মনে করেন, এখন অবধি সেসব পদক্ষেপ বলিষ্ঠ বা কার্যকর হয়নি। আর ঠিক এখানেই প্রয়োজন নীতি প্রণয়ন ও নীতি বাস্তবায়নসংক্রান্ত উদ্ভাবনী চিন্তার প্রয়োগ।’ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া সরকারের কোনো উদ্যোগেই জনমনের আস্থার সংকট কাটবে না। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের উচিত জনগণের মুখোমুখি না দাঁড়িয়ে তাদেরকে সাথে নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে চলা। তবেই জনমনে স্বস্তি ও আস্থা ফিরবে।



অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।