বিবিসি : চীনে ৯ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিয়ে করা দম্পতির সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৩ সালে দেশে ৭.৬৮ মিলিয়ন নবদম্পতি ছিল, যা আগের বছরের তুলনায় ১২.৪% বেশি। বেসামরিক বিষয়ক মন্ত্রক বলেছে যে, ২০২২ সালের তুলনায় ৮ লাখ ৪৫ হাজার বেশি বিবাহ হয়েছে। ২০১৩ সালে রেকর্ড ১৩.৪৭ মিলিয়ন যুগল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এ তথ্য এমন একসময়ে সামনে এসেছে, যখন সরকার রেকর্ড-নিম্ন জন্মহারকে মোকাবিলা করতে বিবাহের প্রচার চালাচ্ছে। তৎকালীন সময়ে অতিরিক্ত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৯৮০-এর দশকে একটি বিতর্কিত এক শিশুনীতি আরোপের পর চীন কয়েক দশক ধরে জন্মের হার কমতে দেখেছে।
জনসংখ্যার পরিসংখ্যান বাড়ানোর জন্য ২০১৫ এবং ২০২১ সালে নীতিতে পরিবর্তন আনে। চলতি মাসের শুরুর দিকে চীনের প্রিমিয়ার লি কিয়াং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, সরকার জন্মবান্ধব সমাজের জন্য কাজ করবে এবং দীর্ঘমেয়াদি, সুষম জনসংখ্যার উন্নয়নে নজর দেবে। রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনাকারীর মার্চ মাসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে সন্তানের জন্ম, পিতা-মাতা এবং শিক্ষার খরচ কমিয়ে জন্মহার বাড়ানোর জন্য নীতিগুলো উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং পিতা-মাতার ছুটির নীতিগুলোও পরিমার্জন করেছেন।
২০২৩ সালে চীনের জনসংখ্যা টানা দ্বিতীয় বছরের জন্য কমেছে যেখানে রেকর্ড-কম জন্মহার এবং কোভিড-১৯ মহামারিজনিত মৃত্যু হয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দার সময় চীনে অনেকেই একা থাকার পথ বেছে নিচ্ছে। সংশোধিত সম্পত্তি আইন পুরুষের মালিকানাকে সমর্থন করে এমন উদ্বেগের জন্য অল্পবয়সী নারীরাও গাঁটছড়া বাঁধতে গড়রাজি।
সর্বশেষ পরিসংখ্যানগুলোও দেখায় যে, ২০২৩ সালে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য দাখিল করা দম্পতির সংখ্যা বেড়েছে- মোট ২.৫৯ মিলিয়ন দম্পতি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিবাহবিচ্ছেদের জন্য নিবন্ধিত- যেখানে স্বামী/স্ত্রীর কেউই আপত্তি করেনি। এর পাশাপাশি নীতিনির্ধারকরাও জনসংখ্যার বার্ধক্য কমাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, প্রায় ৩০০ মিলিয়ন চীনা জনগণ আগামী দশকে অবসর নেবে, যা প্রায় সমগ্র মার্কিন জনসংখ্যার সমতুল্য।
যেহেতু বিবাহের হারগুলো জন্মহারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত কিছু পর্যবেক্ষক আশা করেন যে, বিবাহের বৃদ্ধি শিশুদের জন্মবৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করতে পারে। জনসংখ্যার পতন রোধ করার চেষ্টা করার জন্য সরকার ২০১৫ সালে তার এক-সন্তান নীতি ফিরিয়ে নিয়েছিল এবং অন্যান্য প্রণোদনাও এনেছে, যেমন ভর্তুকি এবং অর্থ প্রদানের জন্য পরিবার শুরু করতে উৎসাহিত করা।
২০২১ সালে দম্পতিদের তিনটি পর্যন্ত সন্তানের অনুমতি নেওয়ার সীমা শিথিল করা হয়। চীন এশিয়ার একমাত্র প্রধান অর্থনীতি নয়, যা পতনশীল জন্মহার এবং দ্রুত বার্ধক্য জনসংখ্যা মোকাবিলার চেষ্টা করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার বিশ্বে সর্বনিম্ন এবং এর জনসংখ্যা ২১০০ সালের মধ্যে অর্ধেক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাপান ২০২২ সালে ৮০০,০০০ জন্মহার রেকর্ড করেছে এবং হংকং সরকারও শহরের কম জন্মহার মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- জনগণের মুখোমুখি আ’লীগ
- তীব্র যানজটে যাত্রীদের নাভিশ্বাস
- ডামি নির্বাচন বাতিলে রাজপথে সক্রিয় বিরোধীদলগুলো
- বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্রেইন টিউমার রোগী
- উদ্ধার বিলম্ব হওয়ায় শঙ্কিত তাদের পরিবার
- প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতির কারণে নির্বাচনের মান ক্ষুণ্ন হয়েছে
- আল কুরআন হলো সত্য এবং ন্যায়ের মানদণ্ড------মতিউর রহমান আকন্দ
- নামায পড়ায় গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ শিক্ষার্থীকে মারধর
- হলমার্কের তানভীর ও তার স্ত্রীর যাবজ্জীবন
- অবিলম্বে মামুনুল হকের মুক্তি চেয়েছে শিবিরসহ ১০ ছাত্রসংগঠন
- ফালাহ-ই-আম ট্রাস্টের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত