রেজি : ডিএ ৫১৭ ॥ ৬৩ বর্ষ : ১ম সংখ্যা ॥ ঢাকা, শুক্রবার, ৮ চৈত্র ১৪৩০ ॥ ১১ রমজান ১৪৪৫ হিজরী ॥ ২২ মাচ ২০২৪

চিকিৎসক স্বল্পতায় বিদেশ যাচ্ছেন অনেকেই
॥ হামিম উল কবির ॥
বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্রেইন টিউমার রোগী। কিন্তু চিকিৎসক স্বল্পতায় অনেকেই বিদেশ চলে যাচ্ছেন। একই সাথে চলে যাচ্ছে দেশের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা। জনসংখ্যার তুলনায় দেশে যতসংখ্যক নিউরো সার্জন প্রয়োজন, এর চেয়ে সাড়ে ৭ গুণ চিকিৎসক কম আছেন। সে কারণে অবস্থাপন্ন পরিবারের লোকেরা সময়মতো সঠিক চিকিৎসা পেতে বিদেশ চলে যাচ্ছেন। কারণ ব্রেইন টিউমারের চিকিৎসা ওষুধ প্রয়োগ করে সুস্থ করার চেয়ে অপারেশনেই বেশি কার্যকর।
ব্রেইন টিউমার কী?
শরীরে কোনো কোষের অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধির ফলে যেকোনো স্থান ফুলে যেতে পারে চাকার মতো অথবা গোলাকার বলের মতো। এটাকেই টিউমার বলে। এ টিউমার যখন ব্রেইনে হয়, তখন এটাকে ব্রেইন টিউমার বলে। দেশে ব্রেইন টিউমার রোগী যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই তুলনায় চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। যেকোনো বয়সেই ব্রেইন টিউমার দেখা দিতে পারে। ঠিক কী কারণে ব্রেইন টিউমার দেখা দেয়, তা এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। বংশগত সমস্যা ও হাইডোজের রেডিয়েশনের কারণে ব্রেইন টিউমারের ঝুঁকি বাড়ে। ব্রেইন টিউমারের লক্ষণসমূহ নির্ভর করে টিউমারের আকার, ধরন ও অবস্থানের ওপর। তবে ব্রেইন টিউমার হলে প্রায় প্রতিটি রোগীর ক্ষেত্রেই কিছু সাধারণ শারীরিক লক্ষণ প্রকাশ পায়। দীর্ঘদিন ধরে মাথাব্যথা, খিঁচুনি, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, বমি হওয়া, মানসিক ও আচরণগত পরিবর্তন, শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য বজায় না থাকা কিংবা স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলায় সমস্যা দেখা দিলে, কথা বলার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিলে ব্রেইন টিউমার হিসেবে ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হয়ে থাকেন। অন্য কারণেও এ সমস্যাগুলো হতে পারে। কিছু ব্রেইন টিউমারের উৎপত্তি মস্তিষ্কেই এগুলো প্রাথমিক ব্রেইন টিউমার। আবার কিছু ক্ষেত্রে শরীরের অন্য কোনো স্থানের টিউমার থেকে ছড়িয়ে ব্রেইনে আসে। এটাকে সেকেন্ডারি বা মেটাস্টাটিক ব্রেইন টিউমার বলা হয় থাকে। সব ধরনের টিউমার দুই প্রকার। একটি হলো ‘বিনাইন’ এবং অন্যটি ‘মেলিগন্যান্ট’। বিনাইন টিউমার বেশি ক্ষতিকর নয়। এটি চিকিৎসায় পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়। ‘মেলিগন্যান্ট’ টিউমার থেকেই ব্রেইন ক্যান্সার হয়ে থাকে। সবচেয়ে খারাপ হলো সেকেন্ডারি বা ‘মেটাস্টাটিক’। এটি হলে চিকিৎসা করা অনেকটা দুরূহ ও ব্যয়সাপেক্ষ হয়ে পড়ে।
মস্তিষ্কের টিউমারের পরিসংখ্যান
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ তথ্য মতে, ২০২০ সালে বিশ্বে তিন লাখ আট হাজার ১০২ জন মস্তিষ্কের ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে মারা গেছে প্রায় আড়াই লাখ। আমাদের দেশে এর সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে নিউরোলজিস্টদের হিসাবে, ২০২০ সালে এক হাজার ২৮৪ জন আক্রান্ত হয়েছে, ব্রেইন টিউমারে এবং একই বছরে মারা গেছে এক হাজার ১৪৪ জন। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজারের মতো ব্রেইন টিউমার রোগী থাকতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এ হার আরো বেশি। এ পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যাচ্ছে মস্তিষ্কের ক্যান্সার বা টিউমার কতটা মারাত্মক। কারণ মেলিগন্যান্ট ব্রেইন টিউমারে মৃত্যুর হার ৮৯ শতাংশের বেশি। প্রকৃতপক্ষে সংখ্যাটি আরো বেশি হবে। কারণ বাংলাদেশে ব্রেইন টিউমারের সঠিক পরিসংখ্যান নেই। দেশব্যাপী একটি সমীক্ষা করা হলে একটি প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসতে পারে। কেউ কেউ আবার এ সংখ্যা ৬ হাজারের কাছাকাছি বলে থাকেন।
মাইগ্রেন ভেবে ভুল চিকিৎসা হয়
এ ব্যাধির বেশিভাগ উপসর্গ সাধারণ মাথাব্যথা কিংবা মাইগ্রেনের ব্যথা হিসেবে ভুল চিকিৎসা হয়ে থাকে। শুধু মাথাব্যথা থাকলে অথবা দীর্ঘসময় ধরে মাথাব্যথা চলতে থাকলে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ব্রেইন টিউমার হতে হলে অন্য যে উপসর্গগুলো থাকে, সেগুলোও থাকতে হবে। ব্রেইন টিউমার হলে ব্রেইনে চাপ পড়বে এ লক্ষণ নিউরোলজিস্টরা সহজেই বুঝতে পারবেন। প্রয়োজন সঠিকভাবে ডায়াগনসিস করা। মস্তিষ্কেই বিনাইন টিউমার বেশি হয়ে থাকে। ফলে এ ধরনের টিউমার হলে অনেক দিন এটা নিয়েই জীবনযাপন করা যায়। নিউরোলজিস্টরা বলছেন, মস্তিষ্কে যেহেতু জায়গা কম, তাই সেখানে বিনাইন টিউমার হলেও মস্তিষ্কে এর প্রভাব খুব কম পড়ে না। লক্ষণগুলো তাড়াতাড়ি দেখা দেয়। এর ফলে রোগী দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন এবং সহজে রোগ ধরা পড়ে। মস্তিষ্কের টিউমার যেকোনো বয়সে হতে পারে। শিশুদের ক্যান্সারের দ্বিতীয় কারণ এটি। কিন্তু এর কারণ এখনো অজানা রয়ে গেছে। তবে কিছু জিনের মিউটেশনে (রূপান্তর) এটি হতে পারে। এছাড়া রেডিয়েশনেও টিউমার হতে পারে।
ব্রেইন টিউমারের লক্ষণ
নিউরোলজিস্টরা জানিয়েছেন, মস্তিষ্কে টিউমারের মূল লক্ষণ মাথাব্যথা। তবে মাথাব্যথা হলেই যে মস্তিষ্কের টিউমার হয়ে থাকে, তা নয়। মাথাব্যথার জন্য বেশিরভাগ ঘটনাই অন্যান্য কারণে হয়ে থাকে। মস্তিষ্কে টিউমারের কারণে মাথাব্যথার ধরন কিছুটা ভিন্ন। টিউমার হলে মাথায় সারাক্ষণ ব্যথা থাকে। পুরো মাথায় হালকা বা মাঝারি ধরনের ব্যথা হতে পারে। এ অবস্থায় হাঁচি-কাশি দিলে মাথাব্যথা বেড়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠলে ব্যথা বেশি হয়। মাথাব্যথার সঙ্গে বমি হতে পারে। মাথায় টিউমারের অবস্থানের ওপর নির্ভর করেও কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন মস্তিষ্কের সামনের দিকে টিউমার হলে রোগীর আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, রোগী হঠাৎ রেগে যেতে পারে, সবকিছুতেই মনোযোগে ঘাটতি দেখা দেয়। এছাড়া শরীরের এক পাশ ধীরে ধীরে অবশ হয়ে যেতে পারে, চোখে দেখার ক্ষমতা কমতে থাকে, হাঁটতে সমস্যা হয়, শারীরিক ভারসাম্যহীনতা নষ্ট হয়, স্পষ্ট করে কথা বলতে পারে না, খিঁচুনি হয়ে থাকে, কানে কম শোনার সমস্যার মতো আরো কিছু লক্ষণ দেখা যেতে পারে। টিউমার নির্ণয়ে শারীরিক পরীক্ষার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি জরুরি মস্তিষ্কের সিটিস্ক্যান বা এমআরআই। এছাড়া আরো কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে।
দেশেই টিউমারের চিকিৎসা
বাংলাদেশে প্রয়োজনের তুলনায় নিউরোসার্জনের সংখ্যা খুবই কম। নিউরো স্পাইন সোসাইটি বলছে, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে এক হাজার ৬০০ নিউরোসার্জন প্রয়োজন, কিন্তু আছে মাত্র ২১২ জন। তা সত্ত্বেও অনেক আগে থেকেই আমাদের দেশে ব্রেইন টিউমারের চিকিৎসা হচ্ছে এবং বেশিরভাগ টিউমারের চিকিৎসা এখানেই করা সম্ভব। গত ১০ বছরে বাংলাদেশে নিউরোসার্জারি বা ব্রেইন টিউমার সার্জারি অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তারপরও সচ্ছল পরিবারের লোকেরা ব্রেইন টিউমারের চিকিৎসা করাতে বিদেশ চলে যাচ্ছেন। যদিও কিছু আধুনিক ব্যবস্থা এখনো আমাদের দেশে আসেনি। যেমন রেডিওসার্জারি, গামা-নাইফ সার্জারির মতো চিকিৎসা আমাদের দেশে নেই। কিন্তু অন্যান্য চিকিৎসায় আমাদের দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো সার্জারি বিভাগ অন্য চিকিৎসাগুলো তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন। তবে নিউরোলজিস্টরা বলছেন, মস্তিষ্কের চিকিৎসায় দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। নিউরোলজিস্টের পাশাপাশি দেশে বেশ ভালোমানের নিউরোসার্জনও আছেন। তারা প্রায় প্রায় সব ধরনের অপারেশনের করছেন দেশে।
মস্তিষ্কের টিউমারের চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে আছে মেডিকেল চিকিৎসা, সার্জারি (অস্ত্রোপচার), রেডিওথেরাপি এবং কিছু ক্ষেত্রে কেমোথেরাপি। নিউরোলজিস্টরা বলছেন, সার্জারি ব্রেইন টিউমারের মূল চিকিৎসা পদ্ধতি। কিছু টিউমার মস্তিষ্কের মূল অংশ থেকে আলাদা থাকে। এগুলোর চারদিকে পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে। এমন হলে সার্জারির মাধ্যমে টিউমার পুরোপুরি কেটে রোগীকে সুস্থ করা যায়। কিছু ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের মূল অংশে টিউমার দেখা দেয়। সেসব ক্ষেত্রে অপারেশন করে পুরো টিউমার কেটে ফেলা যায় না। তখন টিউমার আংশিক কেটে ফেলে অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হয়। আবার ছোট ছোট কিছু টিউমার আছে, সেগুলো শুধু ওষুধ দেয়া হলে পুরোপুরি সেরে যায়। অস্ত্রোপচারে ঝুঁকি বেশি, কিন্তু চিকিৎসক অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিলে তা দেরি না করে সাথে সাথে করে ফেলাই উত্তম বলে পরামর্শ দিয়েছেন এক নিউরোলজিস্ট।
প্রতিরোধ
ব্রেইন টিউমার প্রতিরোধ করার কোনো উপায় নেই। কারণ বিজ্ঞানের এত উন্নতির পরও কেন ব্রেইন টিউমার হয়ে থাকে, সুনির্দিষ্টভাবে বিজ্ঞানীরা  তা সংজ্ঞায়িত করতে পারেননি। শারীরিক লক্ষণ যদি ব্রেইন টিউমারের মতো প্রকাশ পায়, তাহলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষাই ব্রেইন টিউমার প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা নয়, তবে তা ব্রেইনে টিউমার শনাক্তে সহায়তা করে। মস্তিষ্কে টিউমারটি ছোট থাকা অবস্থায় শনাক্ত হলে তখন চিকিৎসায় সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তি পরীক্ষার জন্য একটি ইমেজিং পরীক্ষা অর্থাৎ সিটিস্ক্যান, এমআরআই করানো হয়ে থাকে। আবার স্নায়ুবিক পরীক্ষা করার পরামর্শ দিতে পারেন চিকিৎসক। কারো ব্রেইন টিউমার হলে বা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ব্রেইন টিউমারের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে মস্তিষ্কে টিউমারের ঝুঁকি থেকেই যায়। ব্রেইন টিউমার প্রতিরোধের সুনির্দিষ্ট কোনো উপায় নেই। তবে ধূমপান থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমাতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেখানে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে থাকে, প্রয়োজন না হলে সেখানে থাকা উচিত নয়। সেখান থেকে দূরে থাকতে হবে। ঘন ঘন এক্সরে করার প্রয়োজন নেই।
মোবাইল ফোন ও মস্তিষ্কের টিউমার
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কেলি স্কুল অব হেলথ, কোরিয়ান ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টার এবং সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মিলিতভাবে ২০০৯ সাল থেকে মস্তিষ্কের টিউমারের সাথে মোবাইল ফোন সম্পর্কিত একটি গবেষণা করে। তাদের গবেষণার বিষয় ছিল, ‘মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্যান্সারের সম্পর্ক।’ ২০২১ সালে তাদের প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঙ্গে টিউমার তৈরির সম্পর্ক আছে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ সাময়িকীতে প্রকাশিত এ গবেষণায় বলা হয়েছে, যদি এক হাজার ঘণ্টা বা প্রতিদিন ১৭ মিনিট করে ১০ বছর কথা বলা হয়, তাহলে মস্তিষ্কের টিউমারের ঝুঁকি ৬০ শতাংশ বাড়ে। এমন বেশকিছু গবেষণাও করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, মোবাইল ফোনে কথা বলার সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্যান্সারের সম্পর্ক নেই। তবে নিউরোলজিস্টরা বলছেন, মোবাইল ফোন থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে থাকে, যদিও খুবই কম মাত্রায়। সে কারণে নিউরোলজিস্টরা মোবাইলে অপ্রয়োজনে কথা না বলতে পরামর্শ দিয়েছেন। ঘুমানোর সময় মাথার নিচে অথবা মাথার কাছাকাছি মোবাইলটি না রেখে দূরে রেখে ঘুমাতে পরামর্শ দিয়েছেন।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।