বই পরিচিতি

সোনার বাংলা সাহিত্য ডেস্ক : ‘হ্যাঁ, তিনি নামাজ পড়তেন। কিন্তু বাস্তবে ছিলেন অমুসলিম। তিনি বিশ্বের অন্যতম দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা।’ কে সেই গোয়েন্দা? এই গোয়েন্দাকে নিয়ে থ্রিলারধর্মী উপন্যাস লিখেছেন, কথাসাহিত্যিক ফজলুর রহমান জুয়েল। তার এ নতুন উপন্যাসের নাম ‘আরব দেশে ইংরেজ গোয়েন্দা’। গত একুশে বইমেলা উপলে বইটি  প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি লি.। 

এ উপন্যাসের মূল চরিত্র ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর এক গোয়েন্দা অফিসার। সময়কাল বিগত শতাব্দীর শুরু। উক্ত লেখক ‘সত্য কাহিনী অবলম্বনে এ উপন্যাস রচনা করেছেন। যাকে কেন্দ্র করে কাহিনী বিবৃত হয়েছে, পেশাগত দায়িত্ব পালনে তার কাজ-কর্মের কলাকৌশল আর জীবনচলার ধরণ যেমন ছিল অদ্ভুত, তেমনি বিচিত্র লোমহর্ষক! অনেক সময়ই রিভলভার আস্তীনের নিচে লুকিয়ে রেখে মরুভূমির ধুসর পথে পথে ঘুরে বেড়াতেন। কখনো সমস্ত শরীরে ধুলো মেখে। কখনো নামিদামি ঘোড়া হাঁকিয়ে আমীর-ওমারাদের মতো ছুটে যেতেন দিক-বিদিক। দেখা করতেন বড় বড় কর্তাব্যক্তিদের সাথে। অবতীর্ণ হতেন ঝানু কূটনীতিকের ভূমিকায়। প্রয়োজনে সশস্ত্র যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন গেরিলা যোদ্ধা হয়ে। সাধারণ নাগরিকের বেশে। আবার সময়ে সামরিক ব্যাজ লাগানো উর্দি পরে হাজির হয়েছেন নিজ সেনা ঘাঁটিতে। সবই নির্ভরযোগ্য ইতিহাসের বর্ণনা। তিনি প্রতিপরে নাকের ডগায় টো-টো করে ঘুরে বেড়াতেন। কখনো একবেলা উর্দি পরে যুদ্ধ করতেন। পরের বেলা বেশ পাল্টে আলগোছে ঢুকে পড়তেন প্রতিপরে এলাকায়। ঘুরে ঘুরে দেখে আসতেন তাদের য়তি আর শক্তি-সামর্থ্যরে হালচাল। ফিরে এসে পরবর্তী আক্রমণের কৌশল নির্ধারণ করতেন। কিন্তু কেউ জানত না তার আসল পরিচয়। কখনো এমন হয়েছে, কেউ বলেছে, ‘ভাই! নামাজের জামাত শুরু হয়ে গেছে।’ অমনি তিনি ছুটে গিয়েছেন অজু করতে। সব কাজ ফেলে শামিল হয়েছেন গিয়ে নামাজের জামাতে। পাকা মুসল্লির মতো নামাজ আদায় করেছেন। অথচ তিনি খ্রিস্টান। ইসলাম গ্রহণ করেননি। এই কাহিনী নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে চলচ্চিত্র পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে।’

বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা ৭৮ এবং মূল্য ৭৫ টাকা মাত্র। আমরা বইটির বহুল প্রচার কমনা করি।