সংবাদ শিরোনামঃ

মার্কিন-ভারত প্রক্সি-যুদ্ধ! ** জামায়াতের মিছিলে পুলিশের গুলি ** শাহবাগের কথায় রায় দেয়া হলে ট্রাইব্যুনালের আর প্রয়োজন কি? ** রাজনৈতিক অপশক্তি প্রতিরোধে মানুষ চায় বিরোধী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ** ফ্যাসিবাদকে সহায়তা দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ সম্ভব নয় ** কন্যা পররাষ্ট্রনীতিতে পিতার পথ পরিত্যাগ করেছেন ** ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবি ** তালায় কপোতা খনন প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত **

ঢাকা, শুক্রবার, ৩ ফাল্গুন ১৪১৯, ৪ রবিউস সানি ১৪৩৪, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

সোনার বাংলা রিপোর্ট : বিরোধীদল দমনে ব্যর্থ হয়ে সরকার হাটছে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের বাঁকা পথে। এলক্ষ্যে প্রধান বিরোধীদল বিএনপিকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করতে চালানো হচ্ছে গোয়েন্দা তৎপরতা। এই কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে গ্রহণ করা হয়েছে ১২০ কোটি টাকার বাজেট। বিএনপিসহ বিরোধীদলকে মোকাবেলা করতে ব্যবহার করা হচ্ছে রাষ্ট্রযন্ত্রকে। ফলে ক্রমেই ভয়াবহ সংকটের দিকে যাচ্ছে দেশ। যে কোনো মূল্যে পুনরায় ক্ষমতাসীন হবার জন্য নানা তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার। সরকারি নীলনকশা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গ্রেফতার করা হচ্ছে বিএনপি ও জামায়াতের শতশত নেতাকর্মীকে। সরকারি ছকে চলার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয় বিরোধীদলীয় নেতৃবৃন্দকে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি সাপ্তাহিক হলিডে এ সম্পর্কিত চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

সাপ্তাহিক হলিডের ঐ প্রতিবেদনটিতে বলা হয়- শান্ত নীরব রাত। শুক্রবার। কর্মব্যস্ত ঢাকাবাসি যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, একটি সাদা টয়োটা গাড়ি সুউচ্চ দেয়ালের পাশ দিয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের প্রবেশ পথের কয়েক গজ ভেতরে একটি বাংলোর সামনে এসে দাঁড়াল। গাড়ি থেকে দ্রুতবেগে নেমে গেলেন তিন ভিআইপি অতিথি। তারা দ্রুতবেগে ঢুকে গেলেন প্রশস্ত আঙিনায় ঘেরা সুরক্ষিত একটি বসার ঘরে। অতিথিদের মধ্যে দু’জন হচ্ছেন প্রধান বিরোধীদল বিএনপির সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা। যারা বিএনপি থেকে বহিস্কৃত হবার পর নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) গঠন করেন। অপরজন প্রভাবশালী গোয়েন্দা কর্মকর্তা। এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা নতুন দল গঠনে সহযোগিতা করেন এবং বিএনএফকে শক্তিশালী করতে তৎপর রয়েছেন।

বিগত কয়েকমাস ধরে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বে বিএনএফ আকার আকৃতিতে বড় হতে থাকে। দলীয় অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন নাজমুল হুদাকে বহিস্কার করেন। যদিও দলটি এতে বাধাগ্রস্ত না হয়ে পত্র-পল্লবে বিকশিত হতে থাকে। মধ্যম সারির বেশকিছু নেতা, বিএনপির সাবেক কেবিনেট মন্ত্রী জাহানারা বেগম, চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আরেফ মইনুদ্দিন হুদার নেতৃত্বে পরিচালিত বিএনএফে যোগদান করেন। বিএনপির বিদ্রোহীদের নতুন ফ্রন্টে যোগদানে ভূমিকা রাখেন এই গোয়েন্দা। মি. হুদা ও গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যোগাযোগে মওলানা ভাসানীর ‘হককথার’ অখ্যাত সম্পাদক ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে শাসকদল আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতাসীন হতে প্রধান বিরোধিদল বিএনপিকে বহুভাগে ভাগ করার পুরনো খেলায় মেতে উঠেছে।

সরকারের একটি উচ্চ পর্যায়ের সূত্র জানায়, গোয়েন্দা সংস্থা বিএনপির মেরুদণ্ডভেঙ্গে দেয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনামাফিক সাফল্যের সাথেই এগিয়ে যাচ্ছে এবং এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সরকার ১২০ কোটি টাকার বাজেট গ্রহণ করেছে। বিএনপি অনঢ় অবস্থানে রয়েছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের দাবিতে। কথিত অন্তবর্তী সরকারের অধীনে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধ্য করতেই এই গোয়েন্দা পরিকল্পনা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীকে এই এজেন্ডা বাস্তবায়নের কৌশল হিসেবেই কারারুদ্ধ করা হয়। নবগঠিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্ট এর মাধ্যমে উদ্দেশ্য অর্জিত না হলে নিবন্ধিত অপরাপর দলগুলোকে কাজে লাগিয়ে অন্তর্বতী সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান ও পছন্দ মতো আসন ভাগাভাগির কাজ সম্পন্ন করার কৌশল নেয়া হয়। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটককৃত বেশ কয়েকজন জামায়াত নেতাকে চাপ দিচ্ছে নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে দল ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে। সরকার অফার দিচ্ছে আগামী নির্বাচনের জন্য সন্তোষজনক আসন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াত নেতা বলেন, যদি জামায়াত বিএনপির সাথে আগামী নির্বাচনে সমঝোতা না করে তবে কাদের মোল্লাকে যেভাবে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন দেয়া হয়েছে অন্যান্য নেতাদের ক্ষেত্রেও সরকার সেভাবে নমনীয় হবে। একটি সূত্র জানায়, সরকারের এই রাজনৈতিক খেলা সফল নাও হতে পারে। সরকারের এই উদ্যোগ কোনো চিকিৎসায় ভুল ওষুধ প্রয়োগের সাথেই তুলনীয়। কারণ এ অবস্থার যদি আরো অবনতি ঘটে তবে সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে না।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঘনিষ্ঠ এক সহযোগী বলেন, প্রতি চাপ প্রয়োগের জন্য সরকার মীর্জা ফকরুলের প্রতি নমনীয় আচরণ করেনি। বরং তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। কারামুক্ত হওয়ার পর মির্জা ফখরুল শুধু বলেন, সরকার বিএনপিকে ভেঙে টুকরা টুকরা করার চেষ্টা করছে।

একইভাবে অপর বিরোধী দল জামায়াতে ইসলামীর ওপরও প্রচণ্ড চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে বিএনপি থেকে জামায়াতকে দূরে সরানোর কৌশল সফল নাও হতে পারে। কারণ ২০০৮-এর নির্বাচনের পর থেকে বাম ও আওয়ামী লীগ কোয়ালিশন সরকার বর্তমান রয়েছে। জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তি বিএনপি ও জামায়াতের ঐক্য অব্যাহত রয়েছে। সংবিধানে ২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন অন্তর্ভুক্তিকরণ, জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার ইত্যাদি। তারা তাদের আদর্শিক অবস্থান থেকে বিবেচনা করছে। বিএনপিও ২০০৭ সালের ঘটনাবলী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পরিচালনায় অযাচিত সেনা হস্তক্ষেপ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছে এবং সে অনুযায়ী নিজেদের কর্মকৌশল প্রণয়নে আধুনিকতা এনেছে। সরকার বিএনপি ও জামায়াতকে ভাঙ্গার চেষ্টা করছে। কারণ জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দল বানিয়ে নির্বাচনী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ হালে পানি পাচ্ছে না। সরকার সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে তত্ত্বাবধায়কসহ সংবিধানে যে পরিবর্তন এনেছে তাও দেশে ভয়াবহ রাজনৈতিক সঙ্কটের জন্ম দিয়েছে। সুশীল সমাজসহ সাধারণ মানুষ সরকারের প্রতি অনেকটাই ুব্ধ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ মনে করেন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয় সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের ফলে সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে পৌঁছেছে যে কারণে সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসীন হতে অনৈতিক পন্থাসহ যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণে দ্বিধাবোধ করছে না।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।