সুশীল ফোরামের গণঅবস্থান কর্মসূচিতে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া

চাঁদাবাজি করে গণজাগরণ হয় না

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদাবাজি করে গণজাগরণ হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। তিনি বলেন, গণজাগরণ হতে হবে জনগণের মন থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে। সংবাদপত্রের উপর হামলা করে সত্য ঢাকা যাবে না। আয়না ভেঙ্গে ফেললেও চেহারার কদর্য মুছে ফেলা যাবে না। ছাত্রলীগেকে চাঁদা না দেয়ার কারণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী ও তার স্বামীর নামে হল নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।

তিনি সুশীল ফোরাম কর্তৃক সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে গণমাধ্যমের উপর হামলা ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস কাবের সামনে আয়োজিত গণঅবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। সুশীল ফোরামের সভাপতি মো:. জাহিদের সভাপতিত্বে গণঅবস্থান কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এডভোকেট আব্দুস সালাম আযাদ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার ও স্বদেশ জাগরণ পরিষদের সভাপতি কামরুজ্জামান সেলিম। পরিচালনা করেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সাহেদ।

যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসঙ্গে রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, যদ্ধাপরাধের বিচারের কার্যক্রম সরকারের লোকেরাই পরিচালনা করেছেন। এ্যাটর্নি জেনারেলসহ সব লোকই তো সরকারের তাহলে আবার আইনে ফাঁক রাখা হলো কেন? এর জবাব প্রধানমন্ত্রীকেই দিতে হবে। তিনি বলেন, আমরাও যুদ্ধাপরাদের বিচার চাই। কিন্তু এ বিচার হতে হবে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ।

প্রধান অতিথি বলেন, শাহবাগের গণজাগরণের নামে এখন ছাত্রলীগের ছেলেরা সারাদেশে চাঁদাবাজি করছে। গণজাগরণ হতে হবে সকল নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে। হলমার্ক, শেয়ারবাজার আর পদ্মাসেতু দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাঁচার করা হয়েছে। সরকারের এ সব অপকর্মের বিরুদ্ধেও গণজাগরণে কথা বলতে হবে। খুন, হত্যা, গুম ও মানবতাবিরোধী সকল অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বজিৎ হত্যা, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার আজ পর্যন্ত হচ্ছে না। সম্প্রতি বরিশাল বিএম কলেজের অধ্যক্ষকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা যেভাবে লাঞ্ছিত করেছে এই নির্মম দৃশ্য দেখে গোটা জাতি হতবাক হয়েছে। কিন্তু সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কেয়ারটেকার সরকার পুনর্বহালসহ জনগণের দাবির বিরুদ্ধে কোনো প্রকার চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করা হলে জনগণ কঠিন আন্দোলনের মাধ্যমে এর জবাব দেবে বলেও তিনি সরকারের প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

এডভোকেট আব্দুস সালাম বলেন, আবদুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার পর এখন সরকার আইনের উপর হস্তক্ষেপ করে তার সাজা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বাকশালের প্রেতাত্মারা আজ শাহবাগে গিয়ে গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে।

সভাপতির বক্তব্যে মো. জাহিদ বলেন, সরকার আমার দেশ, নয়াদিগন্ত ও সংগ্রাম পত্রিকাকে বন্ধ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। দৈনিক নয়াদিগন্ত কার্যালয় ও প্রেসে আগুন দিয়ে সরকার গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদানের রায় ঘোষণার পর এখন আবার সরকার বামপন্থীদের পরামর্শে আইন সংশোধন করে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পাঁয়তারা করছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।