সংবাদ শিরোনামঃ

সার্বভৌমত্ব এখন ঝুঁকির মুখে ** ত্রিমুখী লড়াই জমে ওঠেছে ** বাংলাদেশ ভারতের পানি আগ্রাসনের শিকার : মির্জা ফখরুল ** সারাদেশে জামায়াতের বিক্ষোভ ** জনবিচ্ছিন্ন সরকারের উদ্বিগ্নতা বাড়ছে ** মাওলানা নিজামী ও সাঈদীকে বিচারের নামে হত্যার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলুন : নূরুল ইসলাম বুলবুল ** রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা ** বিজেপি নেতার খায়েশ : কান টানলে কিন্তু মাথাও আসবে! ** ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফির ছোবলে যুব সমাজ ** ২২৬ এমপি কোটিপতি কর দেন না ৪২ জন ** সরকার জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করতেই বিচারের নামে শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যার গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে ** ঝিড়ি-ঝর্ণা, নদী-ছড়ার দূষিত পানি ব্যবহার করছে অধিবাসীরা **

ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪২১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৩৫, ২৫ এপ্রিল ২০১৪

রানা প্লাজা ধ্বংসের ১ বছর

ট্রাজেডি-কমেডি ও কোরাস

রানা প্লাজা ধ্বংসের ১ বছর

॥ খোদাকাত হাসান॥
২৪ এপ্রিল ২০১৩। পৃথিবীর কোনো অংশে রাত আর কোনো অংশে দিনের আলো। বাংলাদেশ নামের এক ভূখণ্ডের রাজধানীর অদূরে ‘সাভার’ উপজেলা। সেই সাভারে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে ৯টা ২০মিনিট এর মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টনের ৯তলা ভবন ৫০০০ হাজার মানুষের উপর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে।

ফাশ ব্যাক : ২৩ এপ্রিল ঐ ভবনে ফাটল ধরা পরে। স্থানীয় প্রশাসন ঐ ভবন ব্যবহার অনুপযোগী ঘোষণা করে। এ খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশও হয়। ২৩ ও ২৪ তারিখ বাংলাদেশে বিরোধী ১৮ দল আহূত ৩৬ ঘণ্টার হরতাল চলছিল। পরদিন অর্থাৎ ২৪ এপ্রিল ভবনের মালিক ‘রানা’ সরকারদলীয় ক্যাডার হরতাল বিরোধী মিছিল করার নিমিত্তে ফাটল ধরা ভবনের গার্মেন্ট মালিকদের গার্মেন্ট খুলতে বাধ্য করে। উদ্দেশ্য একটাই প্রমাণ করা হরতাল হয়নি বা হরতাল বিরোধী মিছিল-মিটিং করে সরকারের আনুকূল্য লাভ কিন্তু বিধিবাম, তা না হয়ে অনিচ্ছায় কাজে আসতে বাধ্য হত্তয়া নির্দোষ শ্রমিকদের উপর ভবন ধসে পড়ে। মজার ব্যাপার আরো লুকিয়ে আছে এখানে যেমন ৫ মে ২০১৩ হেফাজতে ইসলামের ডাকা ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি ঠেকাতে শাসক দলের ২৭ এপ্রিল ২০১৩ নারী সমাবেশের কথা ছিল। তার রিহার্সেল দেয়ার কথাও চলছিল।

একদিকে মানবিক বিপর্যয় অন্যদিকে : ৫০০০ হাজার শ্রমিক, যার অধিকাংশ নারী তাও আবার গার্মেন্ট কর্মী। এ সমাজের অচ্ছুৎ অংশ বললে বেশি বলা হবে না তার চেয়ে হেয় হীন নিচু মানুষ (!) “এটা আমার নিজস্ব বোধ নয়, তথকথিত এলিট যারা তাদের অভিব্যক্তি” তাদের উপর ৭০ হাজার টন ইট বালু সিমেন্ট রড পাথর ভেঙে পড়েছে, আহত হয়েছে, হাত-পা গেছে, পাথরের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যুর হীমশীতলতা অনুভব করছে। যার যতটা সাধ্য সামর্থ্য আছে তা নিয়ে নিজ নিজ উদ্যোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছে উদ্ধার কাজে। রক্তের প্রয়োজন, অক্সিজেনের প্রয়োজন, পানির প্রয়োজন, প্রয়োজন সঠিক তদারকি তত্ত্বাবধানের। চলেছে তবে ঢিলেঢালাভাবে। জোরালোভাবে চলেছে, রাষ্ট্রযন্ত্রে রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের উদ্বোধন। নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন। সন্ধ্যায় দেশমন্ত্রীর গাঁজাখুরি গপ্প ‘পিলার ধরে বিরোধীদের টানাহেচড়া’ তিনি এর উপর পিএইচডি করেছিলেন কিনা? তার পরের দিন সংসদে দাঁড়িয়ে সরকার প্রধানের আত্মপক্ষ সমর্থন, ভবন মালিকের পক্ষে সাফাই গাত্তয়া! ভালোই লাগল! ভালোই দেখাল নতুন রাষ্ট্রপতিও! ৫০০০ হাজার মানুষ ৭০ হাজার টন ওজনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা আছে-আর রাষ্ট্র নতুন রাষ্ট্রপতি পেয়ে উৎসব করছে। নতুন রাষ্ট্রপতি জাতির পিতার কবর জিয়ারতে ব্যস্ত-হারিয়ে যাত্তয়া মানুষগুলোর কবর খোড়ার আয়োজন। দু’দিকে দু’রকম চিত্র। একদিকে বুকফাটা আর্তনাদ, বেঁচে থাকার সমস্ত চেষ্টা, ইচ্ছা ব্যর্থতায় পর্যবসিত, অন্যদিকে পদপ্রাপ্তির পদলাভের ক্রুর হাসি, মৃত্যু-পঙ্গুত্ব-অসহায়ত্ব, বন্ধুত্ব-কাক্সিক্ষত প্রাপ্তি, রাজনীতি, কিছু মানুষের জন্য, কিছু কিছু মানুষের জন্য নিয়তি।

বিশ্ব মানবতা : বাংলাদেশের স্বজনহারা মানুষ, ধ্বংসস্তূপের নিচে চিড়েচ্যাপ্টা হত্তয়া মানুষগুলো, বার্গার-স্যান্ডউইচ হত্তয়া মানুষ ভবন ধসের ভয়াবহতা টের পেয়েছিল, স্বজন হারিয়ে জীবন দিয়ে, হাত-পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে। টের পায়নি ক্ষমতাসীনরা। রাষ্ট্রযন্ত্রের বড় বড় অংশগুলো টের পায়নি। এ সম্পর্কে তাদের ধারণা ছিল নগণ্য অপ্রতুল। ধারণা হয়েছিল জাতিসংঘের, ধারণা হয়েছিল বৃটিশ উদ্ধারকারী দলের। তাইতো ওরা প্রস্তুত হয়েছিল লন্ডনের হিথ্রো বিমান বন্দরে। শুধু বাংলাদেশ বলবে, বাংলাদেশের পক্ষে কেউ বলবে আমরা আর পারছি না আমাদের সাহায্য কর। বাংলাদেশের পক্ষে কেউ বলেনি। বলত যদি কেউ স্বজন হারাত। স্বজন হারা কেউ যদি রাষ্ট্রযন্ত্রের শীর্ষ অংশ হত তাহলে হয়ত বলত। কেউ না কেউ বলত। গরিব মানুষগুলোর পক্ষে কেউ বলার নেই, বলার থাকে না। প্রথম ঊষা থেকে এ মানুষগুলোর পক্ষে কেউ বলার ছিল না। আর বলতে হবে কেন? ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর কথা তো কেউ বলে দেয়নি, বলে দেয়নি ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তি এভাবে হোক। এই গত শতকে ইরাক আক্রমণের আমন্ত্রণ কেউ জানায়নি। কেউ অবশ্য বলেনি আফগানিস্তান থেকে তালেবান উৎখাতের নামে হাজার হাজার নিষ্পাপ আফগানের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করো। যখন রানা প্লাজা বিপর্যয় ঘটেছিল বাংলাদেশে সে মাসের গোড়ার দিকে ফরাসিরা মালিতে সাহায্যকারী যোদ্ধা পাঠাল, যোদ্ধারা দখলে নিল মালি। কি অপূর্ব সুযোগ আমরা ওদের দিলাম না। মানবতা আর মানবাধিকার পশ্চিমাদের নীতি সংবিধান। ধিক! শত ধিক! ধিক্কার। আমরা বলতে পারি না, বলতে পারিনি, তাই ওরা আসেনি, মানার মতো শোনার মতো অজুহাত।

মহাকাব্য : সাভারের রানা প্লাজা বিপর্যয়ে সাভারের আকাশ বাতাস, রানা প্লাজার নিচে চাপা পড়া মানুষ, চাপা পড়া মানুষগুলোকে খুঁজতে আসা মানুষ, তাদের গগণবিদারী আর্তনাদ, জ্যান্ত পাত্তয়ার আশা যখন শেষ তখন লাশের দাবি, সে লাশ নিয়েও বাণিজ্য। মানুষের কপটতা প্রতারণা সব একাকার। উদ্ধার সামগ্রীর অপ্রতুলতা, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত না হয়েও নিরলসভাবে জীবনের খোঁজ, খেয়ে না খেয়ে নিরলসভাবে মানুষের সাহায্যে মানুষ, চিনি না জানি না তার জন্য চোখ ভর্তি নোনা জলের বান, দীর্ঘশ্বাস, শুভকামনা কি অকৃত্রিম ভালোবাসা, নিজ জীবনের বিনিময়ে হলেও সেই ভূতুড়ে অন্ধকারে বারবার ফিরে যাওয়া জীবন্ত মানুষের খোঁজে। যদি একটা মানুষ পাওয়া যায় জীবন্ত সে কি আনন্দ! এনাম মেডিকেল কলেজের সব শিক্ষার্থী যেন পাস করা ডাক্তার। নিজ উদ্যোগে-সম্মিলিত উদ্যোগে অতিমানবীয় অবিশ্বাস্য সব সাহায্য-সহানুভূতি, ত্যাগ-তিতিক্ষা। সাধারণ মানুষ যার যতটা সাধ্য ছিল ততটা করেছিল সে ছিল এক মহাকাব্য ! মহাকাব্যের অপর পিঠে লেখা আছে যাদের অনেক কিছু করার সামর্থ্য ছিল তারা তা যথাযথ পালন করেনি। আটকায়নি থেমেও থাকেনি মহাকাব্য রচিত হয়েছে। এ মহাকাব্যের সম্মানীয় মহামানব-মানবীদের জন্য রইল অন্তপ্রাণের খুব গভীর থেকে শুভকামনা।

ডলার আবিষ্কার : দ্যাখো পৃথিবী দ্যাখো! দ্যাখো ওই দূর আকাশের তারকারাজি, আমরা বাঙালি ১৭ দিন ধরে ৭০ হাজার টন স্তূপ সরিয়ে ডলার আবিষ্কার করছি, মুঠো মুঠো ডলার। যা আমেরিকা-ইউরোপ থেকে আসেনি এরা এসেছিল কুড়িগ্রাম পঞ্চগড় যশোর পটুয়াখালী মোমেনশাহী ৫৫ হাজার বর্গমাইলের প্রতিটি বর্গমাইল অবহেলিত বর্গমাইল নিরক্ষর বর্গমাইল থেকে। এ দেশের গহীন অন্ধকার থেকে আলোর সন্ধানে। মৃত্যু তুমি পরাজিত হয়েছ রেশমার কাছে। আরো পরাজিত হতে যদি সঠিক দিকনির্দেশনা থাকত এদেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। যদি পৃথিবীর অন্যকেউ অন্যকোনো মানব সম্প্রদায় সব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চলে আসত কিংবা উদ্ধার অভিযানে অংশ নিত। হ্যাঁ মৃত্যু তোমাকে ঠেকাতে যারা ইউরোপ-আমেরিকা-সিঙ্গাপুর উড়ে যায়, তারা যদি তোমাকে ঠেকাতে শুধু বলত কত রেশমা কত শাহিনা কত নাম না জানা স্বপ্ন বেড়িয়ে আসত রানা’র ধ্বংসস্তূপ থেকে। যদি ৭২ বা ১০০ ঘণ্টার মধ্যে পুরো উদ্ধার অভিযান শেষ করা যেত। আমরা সময় নিলাম সময় নিয়েছিলাম ৫০০০ হাজার মানুষকে মৃত্যুর কাছে জিম্মি রেখে। সময়! মৃত্যুর কাছে চেয়ে নেয়া সময় ছিল শেষ পর্যন্ত ১৮ দিন। মাংস ছাড়া হাড় গোড় এদেশের রাজনীতিকদের স্বপ্ন খুড়েখুড়ে বের  করেছি। বের করেছে আমাদের সেনাবাহিনীর চৌকস অফিসাররা। হাড়গোড় কঙ্কাল, মাথার চুল, নারী-পুরুষ যখন কাপড় দেখে সনাক্ত করা হচ্ছে তখনও আমরা সম্বিত ফিরে পাচ্ছি না, কাঁদছি না। সাভার তুমি কাঁদতে শেখালে না! কাঁদো বাঙালি কাঁদো অন্তত একবার কাঁদো! অধর চন্দ্র বিদ্যালয় মাঠে, রানা প্লাজার সামনে পিছনে দাঁড়িয়ে, নাকে রুমাল গুঁজে তবুত্ত কাঁদো! তোমার কাঁদা উচিত? তোমার কান্না ভয় পেয়েছে, মানুষের নির্মমতার কাছে। হাসিনা-খালেদার খামখেয়ালির কাছে, ধর্মব্যবসায়ী আর মখা’র চোখ রাঙানির কাছে, বিজিএমইএ’র কর্তাবাবুদের গোফের আড়ালের হাসির কাছে। এ কান্না থামবে না। সাভার আরো অনেকদিন কাঁদাবে। শত-শত মা হারা, বাবা হারা সন্তান, পঙ্গু হওয়া সেলাই দাদা-দিদিমনি। অনেকের কান্না আর এদের স্বপ্ন সমান তালে এগিয়ে যাবে। বিজিএমইএ’র কর্তবাবুরা খোশগপ্প করবে, পাঁচ তারকা হোটেল মোটেলে বসে দরদাম করবে। ইট রড সুড়কির সাথে মিশে যাওয়া রক্ত মাংস ও কঙ্কালের। মানুষের পচা মৃতদেহের গন্ধ, ক্ষমতার গন্ধ, ডলারের গন্ধ সব মিশে একাকার তবুও কাঁদো-বাঙালি কাঁদো। সম্বিত ফিরে পাও-ঘুরে দাঁড়াও। কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসুক প্রতিটি গার্মেন্টে। যে ভুল আমরা করলাম তা যেন আর না হয়। ভুল থেকে শিখি, ভুলকে ভুলে না যাই। ভুল চুলচেরা বিশ্লেষণ করি, শুদ্ধ হই, ভুলের পথটা রোধ করি। এই একটামাত্র সেক্টর দিয়েই আমরা আরো এগিয়ে যেতে পারবো। এগিয়ে যাওয়ার আগে যারা চলে গেছে তাদের পরিবারগুলোর কাছে আমাদের সাহায্য শুভ কামনা পৌঁছে দেই। যারা আহত পঙ্গু হয়েছে তাদের সঠিক ও যথাযথ পুনর্বাসন করি। এগিয়ে যাই যত বাধা আসুক।

সর্বশেষ : রানাপ্লাজা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচে বড় শিল্প দুর্ঘটনা। এ দুর্ঘটনার নির্মম শিকার গরিব মানুষ। নিহত আহতদের যতটা সাহায্য-সহযোগিতা করা প্রয়োজন ততটা আমরা করতে পারিনি। এ ব্যাপারে যত সাহায্য-সহযোগিতা আমরা পেয়েছি তাও যথাযথ ব্যবহার করতে পারিনি বলে প্রশ্ন তুলছে কেউ কেউ। ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে কি পরিমাণ দান এসেছিল, রাষ্ট্র কতটা সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছিল, বিজিএমইএ কত অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছে, কিংবা বড়মুখো দাতারা কত টাকা দিয়েছে, ক্রেতারা কি ভূমিকা রেখেছে সবই অষ্পষ্ট। অষ্পষ্টতা রয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করছি, না ক্ষতিপূরণ দেব তাও স্পষ্ট নয়। এ্যাকশন এইডের গবেষণা অনুযায়ী রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ১১৩৮ জন প্রাণ হারিয়েছে, জীবিত উদ্ধার হয়েছে ২৪০০ জন। এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনাকবলিত শ্রমিকদের ৭৩.৭% কাজে ফিরতে পারেনি। এদের মধ্যে ৬৪% শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত, ২৪% মনোবিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। একটা বছর অনেক সময়। অনেক মৃতদেহ ডিএনএ টেস্টেও সনাক্ত সম্ভব হয়নি তাদের ব্যাপারে এবং যারা এখনও নিখোঁজ তাদের ব্যাপারে ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত না আসলে বিষয়টা অমীমাংসিত থেকে যাবে।  আইএলও তহবিলে ৪ কোটি ডলারের দেড় কোটি জমা হয়েছে মাত্র, তা দিয়ে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া বা সাহায্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ত্রাণ তহবিল থেকেও জীবনের বিনিময়ে সামান্য কিছু অর্থ বিলি বণ্টন হয়েছে এর আগে। পত্রিকা ওয়ালা লিখেছে রানার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সে সম্পত্তি থেকেও দানের অর্থ আসবে কিনা। লিখেনি রানার সাজা আদৌ হবে কি না ? একটা বছরেও মামলার গতি প্রকৃতি জানা হলো না ? রানা না কি জেলখানায় জামাই আদরে বসবাস করে! রানা প্লাজা ! সত্যি সত্যি রানা প্লাজা কারো কারো জন্য ট্রাজেডি-কারো কারো জন্য কমেডি-কারো কারো জন্য কোরাস!

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।