সংবাদ শিরোনামঃ

সার্বভৌমত্ব এখন ঝুঁকির মুখে ** ত্রিমুখী লড়াই জমে ওঠেছে ** বাংলাদেশ ভারতের পানি আগ্রাসনের শিকার : মির্জা ফখরুল ** সারাদেশে জামায়াতের বিক্ষোভ ** জনবিচ্ছিন্ন সরকারের উদ্বিগ্নতা বাড়ছে ** মাওলানা নিজামী ও সাঈদীকে বিচারের নামে হত্যার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলুন : নূরুল ইসলাম বুলবুল ** রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা ** বিজেপি নেতার খায়েশ : কান টানলে কিন্তু মাথাও আসবে! ** ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফির ছোবলে যুব সমাজ ** ২২৬ এমপি কোটিপতি কর দেন না ৪২ জন ** সরকার জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করতেই বিচারের নামে শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যার গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে ** ঝিড়ি-ঝর্ণা, নদী-ছড়ার দূষিত পানি ব্যবহার করছে অধিবাসীরা **

ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪২১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৩৫, ২৫ এপ্রিল ২০১৪

॥ আসাদুল্লাহ আল গালিব॥
ধানমণ্ডি মাঠ আড়াই বছর ধরে দখল করে রেখেছে শেখ জামাল কাব, ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার জন্য আ’লীগ সরকার নদী বন্ধ করে রাস্তা নির্মাণ করে দিয়েছে। পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ভারতের ভয়ে আন্তর্জাতিক আইনে স্বার করছে না সরকার, এবি সিদ্দিক অপহরণে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’, পুলিশ, চাঁদাবাজ, নারায়ণগঞ্জ আ’লীগসহ আ’লীগ নেতারা জড়িত কিনা তা পরিস্কার নয়। গত ৪ বছরে তিন হাজার আটশরও বেশি অপহৃত হয়েছে। যাদের মতা নেই তারা ফিরে আসবে না। তিস্তায় ৭ হাজার কিউসেক পানির বদলে আছে চারশত, দেশের জনসাধারণ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই দাবি তোলা। ৪৭’র দেশ ভাগ অনুযায়ী ভারতের করিমগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ ও পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশের মধ্যে আসবে। বাংলাদেশে ভারতের ৫ লাখ লোক অবৈধভাবে আছে। আ’লীগের মতো ভারতের কাছে নতজানু দলের কাছে আশা করা বৃথা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সবচেয়ে বেশি পদদলিত করেছে আ’লীগ। রাজনীতি পেশীশক্তি নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। আমরা জনগণের ওপর নির্ভর করছিনা। কোনো রাজনীতিবিদ কোনোদিন ভুল স্বীকার করেননি। নির্বাচন কমিশন ইতিহাসের সবচেয়ে অমতার পরিচয় দিয়েছে। সংসদে যে বিরোধী দল রয়েছে তা গৃহপালিত। সরকার ১০০ দিনে কোনো সাফল্য দেখাতে পারেনি, সুশাসন করতে পারেনি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার আয়োজন করে ঐ মন্ত্রী তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মাত্র চার লাখ টাকার মালিক ১২ কোটি টাকার মালিকে পরিণত হয়েছে, যার টাকা ছিলনা সে ব্যাংকের মালিক হয়ে গেল? এই দুর্নীতিবাজদের বিচার হয়নি।

গত সপ্তাহে দেশের সবকটি চ্যানেলের টকশোতে দেশের সাম্প্রতিক বিষয়ে সুচিন্তিত মতামত দিতে গিয়ে উপরোক্ত মন্তব্য ও বক্তব্য প্রকাশ করেন, দেশের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ, বিশ্লেষক, পরিবেশবিদ ও  নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

১৯ এপ্রিল একাত্তর টিভির টকশোর বিষয় ছিল ধানমণ্ডি মাঠ দখল। এ বিষয়ে স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, এই মাঠ ধানমণ্ডিবাসীদের জন্য উন্মুক্ত স্থান। এই মাঠটি গত আড়াই বছর যাবৎ অবরুদ্ধ করে রেখেছে শেখ জামাল কাব। এলাকাবাসীর কাউকে ঢুকতে দেয়া হয় না। অবরুদ্ধ করার জন্য আদালত থেকে কোনো প্রকার অনুমোদন নেয়নি তারা। মাঠটি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য ২০০৪ সাল থেকে এই মাঠে মেলার আয়োজন বন্ধ করার নির্দেশ দেয় আদালত। ২০১১ সালে সকলের জন্য উন্মুক্তকরণের জন্য আদালত সিটি কর্পোরেশনকে নির্দেশ দেয়। মাঠটি সিটি কর্পোরেশনের। ২০১৩ সালে আদালত অবমাননার জন্য কেন আইনি পদপে নেয়া হবে না তার ব্যাখ্যা চেয়ে হাইকোর্ট সিটি কর্পোরেশনের কাছে ব্যাখ্যাও চেয়েছে। বর্তমানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কাবটি মাঠটিকে দখল করে রেখেছে। আদালত সকল স্থাপনা ভাঙার নির্দেশ দিলেও তারা তা ভাঙেনি। এর উত্তরে শেখ জামাল কাবের সভপাতি মঞ্জুর কাদের বলেন, ধানমণ্ডি কাবকে সকল সরকার পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। এই মাঠে এক সময় অসামাজিক কার্যক্রম হতো। তখন কোনো পরিবেশবাদী সংগঠন কেন প্রতিবাদ করেনি। এখন এটা খেলার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।

এ পর্যায়ে উপস্থাপক প্রশ্ন করেন কাব সভাপিতকে যে, আড়াই বছর ধরে আপনারা মাঠটি দখল করে রেখেছেন তার আইনত কোনো ডকুমেন্ট আপনাদের কাছে আছে কি না?  এর উত্তরে কাব সভাপতি মঞ্জুর কাদের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি শুধু বলেছেন, মাঠটি আমরা রণাবেণ করছি। যে কেউ খেলার জন্য আসতে পারে।

২০ এপ্রিল আর টিভির টকশোতে শ্যামল দত্ত বলেন, ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার নদী বন্ধ করে রাস্তা নির্মাণ করে দিয়েছে। তবুও বাংলাদেশ তিস্তার জন্য কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। আমাদের প্রশাসনিক টিম ভারতীয় টিমের কাছে পেরে উঠছে না। উত্তরবঙ্গ মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। আগামীতে পানি হবে একটি বড় ইস্যু।

জল পরিবেশ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ম এনামুল হক বলেন, নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ভারতের ভয়ে আন্তর্জাতিক আইনে স্বার করছে না বাংলাদেশ। ৩৫টি দেশের মধ্যে ৩৪টি দেশ স্বার করেছে। ৩৫ টি দেশ স্বার করলেই এই কনভেনশনটি একটি আন্তর্জাতিক আইনে পরিণত হবে। আমাদের যৌথ নদী কমিশন শক্তিশালী নয়। তাদের কাছেই ডাটা থাকে না। তারা শুধু প্রটোকল নিয়েই থাকে। যুগ্ম-সচিবের মর্যাদার অধিকারী এসব দায়িত্ব প্রাপ্ত লোকজনের নদী সম্পর্কে ধারণাই নেই। তাই তারা নদী রায় কোনো ভুমিকা রাখতে পারছে না।

বাংলা ভিশনে নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নুরুল কবির বলেন, আলোচিত এবি সিদ্দিক অপহরণের পরে উদ্ধারের ঘটনায় সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। এর পিছনে কারা ছিল তা উদ্ধার করতে পারেনি সরকার। এই অপহরণের ঘটনায় নানা ধরনের কথা আলোচিত হচ্ছে। এর জন্য ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’, পুলিশ, চাঁদাবাজ, নারায়ণগঞ্জ আ’লীগসহ আ’লীগ নেতারা জড়িত কিনা তা পরিস্কার নয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যমতে গত ৪ বছরে তিন হাজার আটশরও বেশি অপহৃত হয়েছে। গত কয়েক মাসে ১৬৮ জন লোক হারিয়ে গেছে। এটা যে সরকার বন্ধ করতে পারছে না তা স্পষ্ট। এজন্য আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা হতে পারে।

ঢাবির অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, এবি সিদ্দিক ফিরে আসার জন্য তিনটি ফ্যাক্টর কাজ করেছে। আন্তর্জাতিক মহল, বাংলাদেশের ডোনার এজেন্সী ও মন্ত্রীর হস্তপে। যাদের এই মতা নেই তারা ফিরে আসবে না। এর চেয়ে আলোচিত ছিল সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যাকাণ্ড। কিন্তু তাদের হত্যার কুল কিনারা হয়নি। চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী বাহিনী, প্রভাবশালী মহল এরা এখন সমান্তরাল সরকার। সরকারের সঙ্গে এরা সমান্তরালভাবে চলছে। চলমান এই অপহরণ, গুম, হত্যার রহস্য যদি উদঘাটিত না হয়  তাহলে বুঝতে হবে সরকার এদের সঙ্গে জড়িত।

তিস্তায় শুস্ক মওসুমে ৭ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহ থাকার কথা ছিল। কিন্তু এখন মাত্র চারশত কিউসেক পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অথচ আর্ন্তজাতিক আইন মোতাবেক যে কোনো নদীর পানির ২০ শতাংশ পানি সব সময় প্রবাহিত হবে তার স্বাভাবিক প্রবাহ ধরে রাখার জন্য। আমাদের সরকার শুধু চিঠি দিয়েছে। কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। আমাদের সরকার চিঠি দিয়েছে কিন্তু ভারত সরকার চিঠির কোনো গুরুত্বই দিচ্ছে না। সরকার কতটুকু নতজানু হতে পারে তা ভাবতে অবাক লাগে। আ’লীগ সরকার সব ভারতের হাতে তুলে দিয়েছেন। কিন্তু জনগণের সন্তুষ্ঠির জন্য আ’লীগ যদি কিছু করত তাহলে জনগণ আ’লীগকে মাথায় তুলে রাখত।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নুরুল কবির বলেন, ভারত বাংলাদেশকে কোনো ন্যায্য অধিকার দিবে না, যতদিন আ’লীগ মতায় আছে। এজন্য প্রয়োজন দেশের জনসাধারণ, আঞ্চলিক ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে এই দাবি তুলতে হবে। প্রয়োজনে যুদ্ধে নামতে হবে। এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে, ভারতের সাথে বাংলাদেশ যুদ্ধ করে পারবে না।

সম্প্রতি ভারতের বিজেপি নেতার বাংলাদেশর খুলনা থেকে সিলেট পর্যন্ত ভারতের অংশ বলে দাবি করা নিয়ে বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে নুরুল কবির বলেন, আমাদের ফিরে যেতে হবে ১৯৪৭ সালে। ৪৭’র দেশ ভাগের মূল দাবি ছিল মুসলিম ও হিন্দু প্রভাবাধীন এলাকা নিয়ে পাকিস্তান ও ভারত ভাগ হবে। এ অনুযায়ী বর্তমান ভারতের করিমগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ ও পশ্চিমবঙ্গ পাকিস্তানের মধ্যে আসবে। তাহলে তা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশের মধ্যে আসবে। এমনকি বঙ্গবন্ধূ শেখ মুজিবর তার আত্ম জীবনীতে কলকাতাকে নিয়ে দরকষাকষির কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, একই ভাষাভাষীর কারণে কলকাতা বাংলাদেশের মধ্যে আসবে এটা নিয়ে তখন দর কষাকষি হয়েছিল। কিন্তু কিছু হয়নি।

ভারতের নেতাদের এমন ভাবলে হবে না যে, বাংলাদেশে এ বিষয় নিয়ে কথা বলার মতো বিশেষজ্ঞ নেই। বাংলাদেশে ভারতের ৫ লাখ লোক অবৈধভাবে চাকরি, ব্যবসা করার জন্য অবস্থান করছে। এ তথ্য খোদ ভারত সরকারের। আমি চাইব আ’লীগ এ বিষয় নিয়ে কথা বলুক। তারা ভারতের কাছে এ বিষয়ে ব্যখ্যা দাবি করুক। এসময় আসিফ নজরুল বলেন, আ’লীগের মতো ভারতের কাছে নতজানু দলের কাছে এটা আশা করা বৃথা। তখন নুরুল কবির বলেন, আ’লীগ নির্লজ্জের মতো স্বাধীনতার কথা বলে অথচ স্বাধীনতা রায় তাদের ভূমিকা নেই। এটা দেশপ্রেমিকের কথা।

অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সবচেয়ে বেশি পদদলিত করেছে আ’লীগ। এই সরকার অগণতান্ত্রিক। এই সরকার ভারতের কাছে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণকে অপমানিত করেছে। এই সরকারকে মতাহীন করা ইতিহাসের দাবি। আ’লীগ জোড় করে মতায় গেছে। জনমতের বাইরে গিয়ে মতায় থাকা যায়না।

২১ এপ্রিল আরটিভির টকশোতে বিকল্প ধারার মহাসচিব মাহী বি চৌধুরি বলেন, ৭১ এর মূল বিষয় ছিল গণতন্ত্রের মুক্তি, অর্থনৈতিক মুক্তি, সামাজিক ন্যায় বিচার। কিন্তু আমরা তা পারিনি। রাজনীতিতে পেশীশক্তি নির্ভর রাজনীতি হয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো পেশীশক্তি নির্ভর রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত হচ্ছে। সব রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথ দখলে ব্যস্ত। আমরা জনগণের প্রত্যাশার কথা বলি কিন্তু জনগণের ওপর নির্ভর করতে পারি না।

সিনিয়র সাংবাদিক আশরাফ কায়সার বলেন, আমাদের সামাজিক অগ্রগতি হয়েছে। এর পিছনে লড়াকু সাধারণ মানুষের ভুমিকাই বেশি। জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পায়নি। দলীয় রাজনীতির কারণে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকে সরে এসেছে। কোনো রাজনীতিবিদ কোনোদিন ভুল স্বীকার করেননি। আমার দলের লোকজন অপরাধ করলে এক ধরনের ব্যবস্থা আর অন্য দলের লোকজন অপরাধ করলে আর এক ধরনের ব্যবস্থা। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা না। আমরা ৯১ পরে যে গণতন্ত্রের পথে হাঁটছিলাম তা বড় ধরনের হোঁচট খেল ২০১৪ তে এসে। এর বড় উদাহরণ উপজেলা নির্বাচন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে রাজনৈতিক সহিংসতা হল তার হিসাব কে দিবে। নির্বাচন কমিশন ইতিহাসের সবচেয়ে অমতার পরিচয় দিয়েছে। এরকম একটি নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা করা যায় না। বর্তমানে সংসদে যে বিরোধীদল রয়েছে তা গৃহপালিত বিরোধী দল। এখানে যে একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা থাকবে তা আমরা দেখতে পাইনি। আমরা রাজনীতিবিদদের কথা বলতে গিয়ে যে সকল রাজনীতি বিদদের উদাহরণ দেই তাদের সবাই পাকিস্তান আমলের এবং ৭০ এর দশকের। স্বাধীনতার পরে এবং বর্তমান সময়ে সে রকম রাজনীতিবিদদের দেখিনি। সরকারের ১০০ দিনে সেরকম কোনো সাফল্য সরকার দেখাতে পারেনি।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, সুশাসনের অভাব। সরকার সুশাসন করতে পারেনি। আমরা আমাদের স্বপ্নের দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে যেখানে নিয়ে যেতে পারতাম তা পারিনি। প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাতে হবে, এটা ঘটবেও। সময়ের আলোকে এটার উন্নতি হবে। কিন্তু দেখতে হবে সরকার এটার সঙ্গে কতটুকু জড়িত। বাসে ডিজিটাল করলেই হবে না, যেখানে বাসের যাত্রী গুম হয়ে যাচ্ছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার আয়োজন করে ঐ মন্ত্রী তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কোটি কোটি টাকার লাভ করে নিয়েছে। এটা অবৈধ। কোনো মন্ত্রী এটা করতে পারে না এটা বেআইনি। পুটি মাছের ব্যবসায়ী কয়েক বছরে শার্ক মাছের ব্যবসায়ী হয়ে গেল তাদের বিচার হয়নি। মাত্র চার ল টাকার মালিক ১২ কোটি টাকার মালিকে পরিণত হয়েছে, যার টাকা ছিলনা সে ব্যাংকের মালিক হয়ে গেল? এই দুর্নীতিবাজদের  বিচার হয়নি। দরবেশ, ভাই এদের বিচার হয়নি। তাহলে সু-শাসন হলো কি করে।

২২ এপ্রিল এস এ টিভির টকশোতে আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, বংলাদেশের সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ভারতের সাথে আ’লীগের এলায়েন্স (জোট) আছে। আ’লীগের নতজানু পররষ্ট্র নীতি ভারতের বেলায়।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।