৭ দফা দাবিতে কলেজ শিক্ষকদের মানববন্ধন

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ, শিক্ষকদের ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদানসহ ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস)। গত ২৪ মে শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস কাবের সামনে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

এ সময় মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা বলেন, আগামি ৩০ মে’র মধ্যে ৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হবে শিক্ষক সমাজ।

এ মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউনুস মোল্লা বলেছেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে শিক্ষাকে সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে ও বাস্তবায়নে শিক্ষক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করে এবং শিক্ষকদের উচ্চতর স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রদানের ঘোষণা দেয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। তিনি বলেন, বিশ্বায়নের প্রতিযোগিতার যুগে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার সৃজনশীল পদ্ধতি সংযোজন করে। এই পদ্ধতির উপর প্রথমেই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে শিক্ষকদের প্রস্তুত করা প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু ছয় বছর পার হওয়ার পরও পর্যাপ্ত শিক্ষক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি যার ফলে শিক্ষকরা সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারেনি। শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল পদ্ধতি আয়ত্ত করতে পারছে না, তাই জোড়াতালি দিয়ে চলছে এই পদ্ধতি। প্রশ্নপত্র ফাঁসের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠেয় পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু শিক্ষার মান ক্রমান্বয়ে অবনতি হচ্ছে।

বাকশিস’র ৭ দফা দাবির অন্যান্যগুলো হলো-স্বীকৃত ও অধিভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানের নন-এমপিও ও শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও প্রদান, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি, ৫০০ টাকার পরিবর্তে বেতন স্কেল অনুযায়ী ৪০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা প্রদান, অনার্স কোর্সের পাঠদানকারী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এমপিও’র আওতাভুক্ত করা, বেসরকারি শিক্ষকদের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নীতকরণ ইত্যাদি।