সংবাদ শিরোনামঃ

দেশে খুন গুম নির্যাতন বেড়েই চলছে ** কেমন হবে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক? ** হত্যা গুম নির্যাতন করে অবৈধ সরকারের শেষ রক্ষা হবে না ** নাজুক পরিস্থিতিতে সরকার ** রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে : নূরুল ইসলাম বুলবুল ** পাবলিক বাসে আহমাদিনেজাদ ** আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি ** আইন-শৃঙ্খলা চরম পর্যায়ে : দায় নেবে কে? ** মিসরে ফ্যাসিবাদের উত্থান ** দু’কোটি টাকার বিনিময়ে হত্যা॥ অস্ত্রের যোগানদাতা আ’লীগ নেতা জাহিদ ** কুষ্টিয়ায় ঘুমহীন গুম আতঙ্ক ** জিয়ার রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতৃত্ব **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২১, ৩০ রজব ১৪৩৫, ৩০ মে ২০১৪

স্টাফ রিপোর্টার : ভারত সফরে যাচ্ছেন বিএনপির ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। মোদি সরকার গঠনের পর বিপুল উৎসাহ নিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ভারত সফরে যেতে পারেন। প্রতিনিধি দলে স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য এম কে আনোয়ার, ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক শফিক রেহমান, প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দলের ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান, প্রাক্তন পররাষ্ট্রসচিব ও ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, প্রাক্তন শিামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুক, প্রাক্তন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমান, প্রাক্তন সচিব সাবিহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ থাকবেন। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য থেকে তারেক রহমানও বিজেপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে উষ্ণ যোগাযোগ রাখছেন বলে সূত্রটি জানিয়েছে।

রাইজিং বিডি’র এ খবরে আরো বলা হয়েছে, দলটির নেতারা আশা করছেন, সমমর্যাদার ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে দ্বি-পীয় সম্পর্ক, অমীমাংসিত ইস্যু এবং বাংলাদেশের ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ জনগণের পাশে থাকবে ভারতের নতুন সরকার। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে সময় অনুযায়ী ভারতের নতুন সরকার ‘চাপ প্রয়োগ’ করবে- সে আশাও পোষণ করেন তারা। তাদের মতে, বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে সম্পর্ক রয়েছে সেটি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নয়, আওয়ামী লীগ ও কংগ্রেসের মধ্যে সম্পর্ক। দুই দেশের জনগণের মতামতের ভিত্তিতে ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব বলে মনে করেন তারা।

দলের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নকে বিএনপি এখন এক নম্বর এজেন্ডা বলে মনে করছে।

নির্বাচনের পরে বিএনপির একটি দ বিশ্লেষক দল এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন। গবেষণায় যে বিষয়টি উঠে এসেছে সেটি হচ্ছে, সরকারের মূল শক্তি হিসেবে কাজ করেছে ভারতের কংগ্রেস সরকার। নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগকে ভারতের রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ‘নগ্নভাবে’ সমর্থন করেছিল। বিষয়টি বিএনপির মাথা ব্যথার কারণ হলেও দলটির বিশ্বাস ছিল, ভোটারবিহীন নির্বাচনে কংগ্রেসের সমর্থন তেমন কোনো কাজে আসবে না। অন্তত ভারত ছাড়া অন্য বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর কূটনীতিকরা এমন আভাসই দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কংগ্রেসই বিএনপির সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিয়েছে।

দলের শীর্ষ পর্যায়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘ভারত ফ্যাক্টর’ আরো ব্যাপক হয়ে দেখা দিয়েছে। সেজন্য ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন এই মুহূর্তে বিএনপির এক নম্বর অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাই নরেন্দ্র মোদি সরকার গঠনের এক সপ্তাহের মধ্যেই বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ড. মঈন বলেন, যেটা প্রয়োজন তা হচ্ছে এ দুই দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা। একমাত্র এভাবেই দুই দেশের মধ্যে একটি স্থায়ী বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব। বিজেপি সরকার আসার পর সময়ই বলে দেবে যে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপীয় সম্পর্ক কোনো দিকে মোড় নেবে।

ভারতের নতুন সরকার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অমীমাংসিত ইস্যুগুলো সমাধানে এগিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন দলের অপর স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক হওয়া উচিত সমমর্যাদার। বাংলাদেশের যেসব ন্যায্য অধিকার আছে সে বিষয়ে ভারতকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভারত যেমন তার গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখেছে, তেমনি বাংলাদেশের ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ জনগণের পাশে থাকবে।

একই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমদ আযম খান রাইজিংবিডিকে বলেন, ভারতের গণমানুষের মতামতের ভিত্তিতে একটি সরকার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের যে সরকার দেশ পরিচালনা করছে তা জনগণের মতামতের ভিত্তিতে গড়ে ওঠেনি। সেজন্য দেশে অতি দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে ভারতের নতুন সরকার চাপ প্রয়োগ করবে বলে আশা করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভারত গণতন্ত্র চর্চা করা বিশ্বের একটি মডেল দেশ। তারা গণতন্ত্রের গভীর শেকড়ে পৌঁছে গেছে। তারা গণতন্ত্রকে যেভাবে শ্রদ্ধা করে তেমনি অন্যান্য দেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশেও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা উত্তরণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু অবদান রাখা সম্ভব ভারত সেটি করবে বলে বিএনপি বিশ্বাস করে।

তিনি বলেন, একটি স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়কে জনগণের বিজয় হিসেবেই বিবেচনা করে বিএনপি। ভারতের নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে মির্জা আলমগীর বলেন, ‘ভারতের নতুন সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান সমস্যার সমাধানে এই দেশের জনগণের মনোভাবকে মূল্যায়ন করে কাজ করবে।’

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।