সংবাদ শিরোনামঃ

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে মাঠে নামছে জনগণ ** গুরুতর অসুস্থ ড. মাসুদের আবারো ১৪ দিনের রিমান্ড ** সরকার যুক্তি নয় শক্তি দেখাচ্ছে ** গণআন্দোলনের মাধ্যমে অবৈধ সরকারের পতন ঘটানো হবে ** গাজায় দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি ** অবৈধ সরকার রাষ্ট্রক্ষমতার অপব্যবহার করে জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে : ছাত্রশিবির ** সংবিধানের কোথায়ও বলা নেই কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠী রাজনীতি করতে পারবে না ** মামলা করে চরম হয়রানি করা হচ্ছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ** ধোঁকা খেলেন ইমরান খান? ** ক্যাট স্টিভেন্স থেকে ইউসুফ ইসলাম ** ব্যক্তি ও মুসলিম উম্মাহর উন্নয়নের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে ** এরদোগান কেন মুসলিম বিশ্বের জন্য মডেল ** শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে জিডিপি থেকে ৫-৬ শতাংশ ব্যয় করা দরকার ** সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে ** ধেয়ে আসছে বান ** পদ্মার ভাঙনে কুষ্টিয়ার ৭ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন ** ড. মাসুদকে নির্যাতনের প্রতিবাদ॥ নিঃশর্ত মুক্তি দাবি ** গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন, মামলা করায় প্রাণনাশের হুমকি **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ ভাদ্র ১৪২১, ২ জিলক্বদ ১৪৩৫, ২৯ আগস্ট ২০১৪

কুইক রেন্টালের মেয়াদ আরো চার বছর বাড়ানো হলো

জনগণের পকেট কেটে নেয়া হবে ৮৫ হাজার কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার : বিদ্যুৎ খাতে দেয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি সরকার। খাতটি ঘিরে সরকারের নেয়া মহাপরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ায় আবার তা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এর মধ্যেই দ্বিতীয় দফায় আরো চার বছরের জন্য বাড়ানো হলো কুইক রেন্টাল বা  বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) ২০১০-এর মেয়াদ। আর এভাবে বিদ্যুৎ নিয়ে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনায় ঘুরপাক খাচ্ছে সরকার।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ৪ বছরে বিনাশ হবে আরো ৮৫ হাজার কোটি টাকা। দায়মুক্তি দিয়ে কুইক রেন্টাল চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত হাজার হাজার কোটি টাকা জনগণের পকেট থেকে গেলেও সরকার আবারও সেই কুইক রেন্টালকে ৪ বছরের জন্য জায়েজ করার ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ আইন (বিশেষ বিধান) সংশোধনী ২০১৪’ অনুমোদন করেছে। আগামী ৪ বছরেও যে হাজার হাজার কোটি টাকা এধার-ওধার হবে তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এ ব্যবস্থাটি গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের সুক্ষ্মভাবে ভাবতে এবং বিচার বিশ্লেষণ করতে হবে কি জন্য এটার প্রয়োজন হলো? আসলে বিরাজমান সঙ্কটটি কি বিদ্যুতের না জ্বালানির? এ সঙ্কটটি কি নিরাময় অযোগ্য? সরকার একেবারেই জোর করে আমাদের বুঝানোর চেষ্টা করছে, আমাদের গ্যাসের ঘাটতি আছে এবং যাও আছে তা উঠাতে অনেক সময় লাগবে। কাজেই গ্যাসকে পরিহার করে, ত্বরিত বাস্তবায়নের জন্য স্বাভাবিক টেন্ডার প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে “ইচ্ছেমতো” যাকে খুশি তাকে দিয়ে “রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল” স্থাপনই এ সঙ্কট সমাধানের প্রকৃত পন্থা। এ কথা মনে রাখতে হবে, গ্যাস থাকলেই তো ভূর ভূর করে তা উপরে উঠে আসবে না বরং যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ, তা বাস্তবায়নই চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস পাওয়া সম্ভব। কিন্তু তা কখনই হয়নি কেন? আমাদের সে উত্তর খুঁজতে হবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বি ডি রহমতউল্লাহ বলেন, ‘ডিজেল ভিত্তিক রেন্টাল কেন্দ্রের, পুরান বিবেচনায় ট্যারিফ দাঁড়ায় ১০.৪০ টাকা যেখানে ট্যারিফ ধরা হয়েছে ১৬.৮০টাকা। এবং ফার্নেস ভিত্তিক রেন্টাল কেন্দ্রের, পুরান বিবেচনায় ট্যারিফ দাঁড়াচ্ছে ০৬.৬৮ টাকা, যেখানে ট্যারিফ ধরা হয়েছে ৮.৮০টাকা অর্থ্যাৎ ডিজেলের ক্ষেত্রে আমাদের সরাসরি প্রতারণা করা হচ্ছে (১৬.৮০-১০.৪২) ৬.৩৮ আর ফার্নেসের ক্ষেত্রে আমাদের প্রতারণা করা হচ্ছে (৮.৮০-৬.৬৮) ২.১২। দর পার্থক্যের গড় (ওয়েট ফ্যাক্টর অনুযায়ী, ডিজেল অনেক বেশি) টাকা ৫.০০ হিসেবে ন্যূনতম ২০০০ মেগাওয়াট চালু থাকলে শুধু ঠিকাদারকে অবৈধভাবে অতিরিক্ত টাকা দেয়া হচ্ছে বার্ষিক ৬ হাজার কোটি টাকা।

নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র না বসিয়ে পুরনো বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বসাবার ফলে যে অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যবহার করতে হচ্ছে তাতে গড় (ওয়েট ফ্যাক্টর অনুযায়ী) প্রতি ইউনিটে ১০.৮৯ টাকায় (১০.৯৮+১০.৮০-এর গড় = ১০.৮৯) রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীকে সরবরাহ করতে হয় অথচ সরকারের ক্রয়মূল্য হচ্ছে ০.১৮ লিটারের জন্য ৯.২৭ টাকা। অর্থাৎ বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটে বেশি দামে ডিজেল ক্রয় করে কম দামে ডিজেল বিক্রয়ের ফলে সরকারকে জ্বালানি বাবদ বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের জন্য ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ১.৬২ টাকা (১০.৮৯ -৯.২৭)। এ হিসেবে ন্যূনতম ২ হাজার মেগাওয়াট চালু থাকলে আরো অতিরিক্ত বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২৭০০ কোটি টাকা। এটা পুরনো বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বসানোতে অতিরিক্ত জ্বালানির জন্য।

যে ভর্তুকির কথা সবাই বলাবলি করছে তা হলো জ্বালানির ভর্তুকি। কিন্তু বিষয়টিকে এভাবে একপেশে বিবেচনা করলে হবে না। তাহলে এবার আমরা দেখি জ্বালানিতে কতো ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে? ডিজেল ও ফার্নেস ওয়েলে প্রতি লিটার যথাক্রমে ১২.০০ ও ৯.০০ টাকা ভর্তুকির গড় ১১ টাকা ধরলে রেন্টাল ও তথাকথিত কুইক রেন্টাল স্টেশনের উৎপাদন যদি -

১) ২০০০ মেগাওয়াট হয় তাহলে বার্ষিক ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়ায় ১২,০০০ কোটি টাকা,

২) আর সরকার ঘোষিত ৩০০০ মেঃওয়াট হয় তাহলে বার্ষিক ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮,০০০ কোটি টাকা,

ভর্তুকির প্রকৃত বিভাজন : তাহলে স্পষ্টতই ভর্তুকির ৩টি ভাগ পেলাম - ১) টেন্ডার না করে ইচ্ছেমতো অবৈধভাবে দর বৃদ্ধির ফলে ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৬০০০ কোটি টাকা। এর ফলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ১৪.৮০টাকা দরে ক্রয় করে বিক্রয় করছে গড়ে ৫.০০ টাকা। এতে বোর্ডের ক্ষতি দাঁড়াচ্ছে বার্ষিক ৬ হাজার কোটি টাকা।

২) টেন্ডার না করে ইচ্ছেমতো পুরোনো কেন্দ্র বসানোর ফলে অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যবহারে ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২৭০০ কোটি টাকা। যেহেতু জ্বালানি সরবরাহ করছে সরকার এবং এর ফলে সরকারকে অতিরিক্ত অর্থ অপচয় হচ্ছে বার্ষিক ২৭০০ কোটি টাকা।

৩) সরকার প্রতি লিটার ডিজেল প্রতি ৭৩ টাকা দরে এবং ফার্নেস অয়েল ৬৯ টাকা দরে ক্রয় করে রেন্টাল ও তথাকথিত কুইক রেন্টালের কাছে যথাক্রমে লিটার প্রতি ৬১ টাকা ও ৬০ টাকা দরে বিক্রি করার ফলে শুধুমাত্র জ্বালানির মূল্যবাবদ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ১২ হাজার কোটি টাকা। সুতরাং সঠিক হিসাব করলে বর্তমানে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল যদি ২ হাজার মেগাওয়াট চালু থাকে তাহলে আমরা আগামী আরো ৪ বছরের প্রতি বছর মোট ভর্তুকি দিতেই থাকবো ২০ হাজার ৭শ কোটি টাকা করে। অর্থাৎ ৪ বছরে দেশ প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা জলে ফেলে দেবে। আর গত ৪ বছরে কুইক মানি এধার-ওধার করার মাধ্যমে জনগণের টাকা গেছে কমপক্ষে ৬০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ এ ৮ বছরে জনগণের ঘাড়ে চেপে বসবে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা। অথচ প্রথমে বলা হয়েছিল, বিদ্যুতের শনৈ শনৈ উন্নতি হবে। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, ভাগবাটোয়ারার মাধ্যমে কারো কারো উন্নয়ন হয়েছে বটে কিন্তু আসল যে সঙ্কট সেই বিদ্যুতের কোনোই সমাধান হয়নি। কাজেই কুইক রেন্টাল দেশ ধ্বংসের এক নির্মম ও ভয়াবহ পদক্ষেপ।’

প্রচলিত দরপত্র প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে সংক্ষিপ্ত সময়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রকল্প অনুমোদনের উদ্দেশ্যে ২০১০ সালে আইনটি করা হয়। আগেই এক দফা বাড়ানোর পর এবার এর মেয়াদ আরো চার বছরের জন্য বাড়ানো হলো। গত ২৫ আগস্ট সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ মেয়াদ বৃদ্ধি অনুমোদন করা হয়। আইনটির আওতায় গত চার বছরে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল ও ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন এবং চলমান প্ল্যান্টগুলোর মেরামত, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বিদ্যুৎসাশ্রয়ী কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহের জন্য এ বিশেষ আইন করা হয়। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, আইনটি খুবই কার্যকর। আগামী ১১ অক্টোবর আইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তার আগেই আরো চার বছর বাড়ানো হলো।

বিশেষ এ আইনের মাধ্যমে সরকারের গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন উত্থাপনের বিষয়ে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা সীমিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব কাজের জন্য কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা আইনগত অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না বলে উল্লেখ রয়েছে আইনটিতে। আর এর আওতায়ই রেন্টাল-কুইক রেন্টালের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন, গ্যাজপ্রমের মাধ্যমে ১০টি গ্যাসকূপ খনন এবং বিদ্যুৎ আমদানি করছে সরকার। এমনকি জ্বালানি বিভাগ এলএনজি টার্মিনালও এর অধীনেই নির্মাণ করছে। তবে জ্বালানি বিভাগের তুলনায় বিদ্যুৎ বিভাগেই আইনটির প্রয়োগ হচ্ছে বেশি।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সম্প্রতি বলেন, ‘অনেক কাজ সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ঝুলে আছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের সংকট পুরোপুরি দূর হয়নি। তাই সঙ্কট সমাধানে বিশেষ এ বিধানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এ কারণে আমরা বিশেষ আইনের মেয়াদ চার বছর বাড়াতে মন্ত্রিসভার কাছে সুপারিশ করি।’

২০১০ সালে বিশেষ আইনটি করার পর ছয় দফায় বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৬৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আইন পাস হওয়ার আগে গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ছিল ৩ টাকা ৭৬ পয়সা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৬ টাকা ১৫ পয়সা। আইনটির মেয়াদ আরো চার বছর বাড়ানোর ফলে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও ২০১৪ সাল থেকে বিদ্যুতের দাম কমে আসবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।

এদিকে দেশে গ্যাসের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ২০০৫ সালে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের নেয়া মহাপরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। কয়লাকে প্রাধান্য দিয়ে ২০১০ সালে চূড়ান্ত হয় নতুন মহাপরিকল্পনা। কিন্তু কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনেও গতি না আসায় এ পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পথে।

পিডিবি সূত্র জানায়, মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে ২০৩০ সালে ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ আসবে কয়লা থেকে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ দেশীয় ও ২০ শতাংশ আমদানিকৃত কয়লা থেকে। এ হিসাবে চলতি বছর থেকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে আসার কথা ছিল। অথচ কোনো কেন্দ্রই এখন পর্যন্ত নির্মাণকাজ শুরু করতে পারেনি। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ আসতে আরো পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে। এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহামাদ হোসাইন বলেন, কৌশলগত কারণেই বড় আকারে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। উল্লেখ্য, গ্যাসের অভাবে বর্তমানে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। এর জন্য প্রয়োজন প্রতিদিন ২২ কোটি ঘনফুট গ্যাস।

ভবিষ্যতে প্রক্রিয়াধীন নতুন ও পুনর্বাসিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য চলতি বছরে প্রতিদিন আরো সাড়ে ২২ কোটি ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হবে। আগামী বছরে প্রয়োজন হবে ৩১ কোটি ঘনফুট। দুই বছরে বিদ্যুৎ খাতে অতিরিক্ত গ্যাস প্রয়োজন হবে মোট ৭৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস। বাড়তি এ গ্যাস সরবরাহের ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। তাই গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্র নিয়েও কোনো আশা নেই।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।