সংবাদ শিরোনামঃ

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে মাঠে নামছে জনগণ ** গুরুতর অসুস্থ ড. মাসুদের আবারো ১৪ দিনের রিমান্ড ** সরকার যুক্তি নয় শক্তি দেখাচ্ছে ** গণআন্দোলনের মাধ্যমে অবৈধ সরকারের পতন ঘটানো হবে ** গাজায় দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি ** অবৈধ সরকার রাষ্ট্রক্ষমতার অপব্যবহার করে জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে : ছাত্রশিবির ** সংবিধানের কোথায়ও বলা নেই কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠী রাজনীতি করতে পারবে না ** মামলা করে চরম হয়রানি করা হচ্ছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ** ধোঁকা খেলেন ইমরান খান? ** ক্যাট স্টিভেন্স থেকে ইউসুফ ইসলাম ** ব্যক্তি ও মুসলিম উম্মাহর উন্নয়নের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে ** এরদোগান কেন মুসলিম বিশ্বের জন্য মডেল ** শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে জিডিপি থেকে ৫-৬ শতাংশ ব্যয় করা দরকার ** সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে ** ধেয়ে আসছে বান ** পদ্মার ভাঙনে কুষ্টিয়ার ৭ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন ** ড. মাসুদকে নির্যাতনের প্রতিবাদ॥ নিঃশর্ত মুক্তি দাবি ** গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন, মামলা করায় প্রাণনাশের হুমকি **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ ভাদ্র ১৪২১, ২ জিলক্বদ ১৪৩৫, ২৯ আগস্ট ২০১৪

সোনার বাংলা রিপোর্ট : কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের চূড়ান্ত আর্গুমেন্ট (যুক্তিতর্ক) উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে। গত ২৫ আগস্ট সোমবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে অপর দুই সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হকের সমন্বয়ে গঠিত  ট্রাইব্যুনালে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক পেশ করেন প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল। গত ২৫ আগস্ট তিনি ৬ নং অভিযোগ এবং কমান্ড রেসপনসিবিলিটির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। গত ১৮ আগস্ট সোমবার থেকে সরকারপক্ষের আর্গুমেন্ট শুরু হয়। এ নিয়ে সরকারপক্ষ ষষ্ঠ দিনের মতো তাদের আনীত অভিযোগের পক্ষে যুক্তি পেশ করলেন। গত ২৫ আগস্ট আর্গুমেন্টের মাধ্যমে তাপস কান্তি বল আজহারের বিরুদ্ধে আনীত ৬টি অভিযোগের সব ক’টির উপরই তার যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন।

৬ নং অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রংপুর শহরের গুপ্তপাড়ায় একজনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। একই বছরের ১ ডিসেম্বর রংপুর শহরের বেতপট্টি থেকে একজনকে অপহরণ করে রংপুর কলেজের মুসলিম ছাত্রাবাসে নিয়ে আটক রেখে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন ও গুরুতর জখম করেন।

এই অভিযোগের বিষয়ে সাক্ষীদের জবানবন্দী উদ্ধৃত করে অভিযোগ প্রমাণের চেষ্টা করেন। তবে কমান্ড রেসপন্সিবিলিটির উপর যুক্তি উপস্থাপন করতে গিয়ে বিচারকদের উপর্যুপরি প্রশ্নের মুখে পড়েন। ইসলামী ছাত্রসংঘের একজন স্থানীয় নেতার কথায় পাকিস্তান আর্মি পরিচালিত হতে পারে। আজহারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তার প্রায় সবগুলোই সঙ্ঘটিত করেছে পাকিস্তান আর্মি। সেই আর্মির উপর কমান্ড করার মতো অবস্থান আজহারের ছিল কিনা। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রশ্ন করেন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম যার কোনো সদুত্তোর দিতে পারেননি প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল। তিনি প্রশ্ন নোট করে নেন এবং পরে জবাব দিবেন বলে জানান।

বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম জানতে চান, ঝাড়–য়ার বিলের ঘটনা ঘটিয়েছে আর্মিরা। এটা আপনারা বলেছেন। যদি ধরে নিই যে তাদের সাথে আজহারুল ইসলাম ছিলেন তার পরেও কি ছাত্রসংঘের স্থানীয় নেতা হিসেবে আর্মির উপর কমান্ড করার এখতিয়ার তার ছিল কিনা।

তিনি আরো প্রশ্ন করেন একজন স্থানীয় ছাত্রনেতা তথা আলবদর বাহিনীর উপর তার নিয়ন্ত্রণ থাকতে পারে। যদি অভিযোগ আসতো যে আলবদর বাহিনী হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তাহলে তার কমান্ড রেসপন্সিবিলিটি আজহারের উপর আসতে পারতো। কিন্তু ঘটনা তো ঘটিয়েছে সেনাবাহিনী।

তিনি বলেন, একটি সহযোগী বাহিনী মূলবাহিনীকে কি করে কমান্ড করতে পারে। ঐ সময় তার বয়স এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়  অবস্থান বিবেচনা করলে তাতে কি দাঁড়ায়?

তিনি প্রশ্ন করেন, আর্মিদের কাউকে শাস্তি দেয়া বা পুরস্কৃত করার অধিকার আজহারুল ইসলামের ছিল কিনা। যদি তা না থাকে তবে তার উপর কমান্ড রেসপন্সিবিলিটি আসে কি করে?

প্রসিকিউটর এরূপ অনেকগুলো প্রশ্নের কোনো সদুত্তোর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, কামারুজ্জামানের মামলা, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মামলা, অধ্যাপক গোলাম আযমের মামলা এবং সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার রায়ে এ প্রশ্নের মীমাংসা হয়ে গেছে।

চেয়ারম্যান ইনায়েতুর রহিম এবং সদস্য আনোয়ারুল হক বলেন, গোলাম আযম ছিলেন পূর্বপাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর, মুজাহিদ ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন, সেই হিসেবে তাদের উপর কমান্ড রেসপনসিবিলিটি আসতে পারে। আজহার তো স্থানীয় নেতা। শেষ পর্যন্ত প্রসিকিউটর তাপস ট্রাইব্যুনালকে বলেন, আমি এসব প্রশ্ন লিখে নিলাম পরে জবাব দিব।

গত ২৫ আগস্ট  সরকারপক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, আলতাফ উদ্দিন, রেজিয়া সুলতানা চমন প্রমুখ। অপরদিকে আজহারের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আব্দুস সুবহান তরফদার, শিশির মোহাম্মদ মনির, রায়হান  উদ্দিন, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন প্রমুখ। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তার বিরুদ্ধে সরকার পক্ষের সর্বমোট ১৯ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দী পেশ করেছেন। আসামিপক্ষ তাদের জেরাও করেছে। আর আজহারের পক্ষে একজন মাত্র সাফাই সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।