সংবাদ শিরোনামঃ

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে মাঠে নামছে জনগণ ** গুরুতর অসুস্থ ড. মাসুদের আবারো ১৪ দিনের রিমান্ড ** সরকার যুক্তি নয় শক্তি দেখাচ্ছে ** গণআন্দোলনের মাধ্যমে অবৈধ সরকারের পতন ঘটানো হবে ** গাজায় দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি ** অবৈধ সরকার রাষ্ট্রক্ষমতার অপব্যবহার করে জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে : ছাত্রশিবির ** সংবিধানের কোথায়ও বলা নেই কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠী রাজনীতি করতে পারবে না ** মামলা করে চরম হয়রানি করা হচ্ছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ** ধোঁকা খেলেন ইমরান খান? ** ক্যাট স্টিভেন্স থেকে ইউসুফ ইসলাম ** ব্যক্তি ও মুসলিম উম্মাহর উন্নয়নের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে ** এরদোগান কেন মুসলিম বিশ্বের জন্য মডেল ** শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে জিডিপি থেকে ৫-৬ শতাংশ ব্যয় করা দরকার ** সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে ** ধেয়ে আসছে বান ** পদ্মার ভাঙনে কুষ্টিয়ার ৭ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন ** ড. মাসুদকে নির্যাতনের প্রতিবাদ॥ নিঃশর্ত মুক্তি দাবি ** গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন, মামলা করায় প্রাণনাশের হুমকি **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ ভাদ্র ১৪২১, ২ জিলক্বদ ১৪৩৫, ২৯ আগস্ট ২০১৪

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ইউকে উদ্যোগে লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত স্ট্যাটেজি ফর এ প্রসপারাস বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান

আরটিএনএন, লন্ডন : বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশে চলছে গভীর রাজনৈতিক সঙ্কট। একটি  গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অগণতান্ত্রিক, অবৈধ ও অনৈতিক আওয়ামী লীগ সরকারের আগ্রাসী দমন-নিপীড়নে সংক্ষুব্ধ হয়ে আছে গণমানুষ।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সর্বোপরি জাতীয় স্থবিরতা থেকে মুক্ত হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গণতন্ত্রের সুষ্ঠু চর্চাকে পুনঃস্থাপন করা। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ লন্ডন শাখার আয়োজনে ‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের জন্য কৌশলপত্র’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  লন্ডনের দা আর্টস টু লেকচার থিয়েটার ভবনে রোববার রাতে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ডক্টর এম এ মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ, ব্যারিস্টার তারিক বিন আজিজ এবং ব্যারিস্টার নাসিরুদ্দিন অসীম।  অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি, জিয়া শিশু কিশোর সংগঠনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, জিয়া পরিষদের সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক  ইঞ্জিনিযয়র এ কে এম রেজাউল করিম, ব্যারিস্টার আশরাফ চৌধুরী, সাংবাদিক আকতার মাহমুদ, এডভোকেট সৈয়দ আসাফুর আলী রাজা প্রমুখ।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ধর্ম, বিশ্বাস, মত, কিংবা আদর্শ ভিন্ন হতেই পারে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, দেশটা আমাদের সবার।

তিনি বলেন, রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য কেবল ক্ষমতায়ন নয় বরং রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রযাত্রা এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যার মাধ্যমে প্রতিফলন ঘটে দেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা আর চাওয়া-পাওয়ার।

দেশকে রাজনৈতিক বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, আমাদের একদিকে যেমন দেশের গৌরবময় অতীতকে একটি নির্দিষ্ট পরিবার ও দলের রাজনৈতিক বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে, অন্যদিকে তেমন বর্তমান অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী তথাকথিত আওয়ামী লীগ সরকারের শোষণ-নির্যাতনের চিত্র সর্বত্র তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি আমাদের আলোচনা করতে হবে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ভবিষ্যৎ কাঠামো নিয়ে, দেশের মানুষের সামাজিক সমৃদ্ধি ও আর্থিক স্বনির্ভরতার উপযোগী নীতিমালা নিয়ে।

তারেক রহমান তার বক্তব্যে একটি উন্নয়নশীল ও উৎপাদনমুখী বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রূপরেখা এবং রাষ্ট্র পরিচালনার সময়োপযোগী নীতিমালা বিষয়ে তার বিভিন্ন খাতওয়ারী চিন্তাভাবনাসমূহ উপস্থিত পেশাজীবীদের কাছে উপস্থাপন করেন।

যে ছয়টি খাতের ওপর তিনি তার রূপরেখা প্রদান করেছেন সেগুলো হচ্ছে- শিক্ষা, শিল্পায়ন, কৃষি, অবকাঠামো, পরিবেশ এবং জ্বালানি।

শিক্ষা খাতে একটি দীর্ঘমেয়াদী ও সুপরিকল্পিত শিক্ষানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের সুযোগ করে দিতে বৃত্তির ব্যবস্থা করা হলে এবং সকল পর্যায়ের শিক্ষকদের বেতন কাঠামো পুনর্বণ্টনের মাধ্যমে তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষাদান ও প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রদান করে শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে শিক্ষা খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা সম্ভব।

শিক্ষাখাত নিয়ে তার মূল পরিকল্পনাগুলো হচ্ছে-শিক্ষিত জাতি তৈরির লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো বেশি যুগোপযোগী ও ব্যবহারিক করতে দীর্ঘমেয়াদি  ও সুপরিকল্পিত শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা; দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে হিসেবে ইংরেজি শিক্ষার উপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা; বহুভাষা শিক্ষার মাধ্যমে রেমিটেন্স ২৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা; বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য পাঠ্যসূচিতে খেলাধুলা, সংগীত, নৃত্য, অঙ্কন, অভিনয়, ফটোগ্রাফি, চারু ও কারুকলা সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা; পাঠ্যসূচিতে ‘ব্যক্তিগত এবং পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন’ নামে নতুন একটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কর্মজীবনে বাস্তবমুখী করা; পাঠোত্তর মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শতভাগ নাম্বার লিখিত পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ না রেখে এক-তৃতীয়াংশ নম্বর এসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন এবং গ্রুপ প্রজেক্টের জন্য বরাদ্দ রাখা; কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে গুরুত্ব আরোপ করা হবে এবং এই লক্ষ্যে পৃথক বিভাগ বা মন্ত্রণালয় গঠন করা।

কর্মজীবী বাংলাদেশীর সংখ্যা ৫.৫ কোটি থেকে ৮ কোটিতে উন্নয়নের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের হার মোট জনসংখ্যার ৩১% থেকে ১০% এ কমিয়ে আনা; বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ রোধ করে মানসম্মত উচ্চশিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা; মেধাবী শিক্ষার্থীদের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ করে দিতে বৃত্তির ব্যবস্থা করা; সকল পর্যায়ের শিক্ষকদের বেতন কাঠামো পুনর্বণ্টনের মাধ্যমে তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষাদান ও প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রদান করা এবং শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; এবং মেধা পাচার রোধ করতে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা সকল চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, সাংবাদিক ও বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ যেন বাংলাদেশের মাটিতে তাদের পেশাগত দক্ষতা অনুযায়ী কাজের অনুকূল পরিবেশ পান, তা নিশ্চিত করা।

অর্থনীতি ও সার্বিক বৈশিষ্ট্যকে বিবেচনা করে বাংলাদেশকে একটি শিল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা একটি সময়ের দাবি উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দেশীয় চাহিদা পরিপূরণ, বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, এবং রফতানির ব্যাপক প্রসার এই তিন লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশের সম্ভাবনাময় ও রফতানিমুখী শিল্পগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আলোকপাত করেন।

তিনি বলেন, শিল্পায়নের বহুমুখী পরিকল্পনার দরুন দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতার বিচারে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় ক্ষেত্রে পরিণত হবে।

শিল্পখাতে তার রূপকল্পের প্রধান দিকগুলো হচ্ছে-বাংলাদেশকে একটি শিল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা; প্রতিষ্ঠিত শিল্পখাতগুলোকে আরও বেশি অবকাঠামোগত সুবিধা প্রদান করা; ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত সুবিধা সহজলভ্য করা; গার্মেন্টস শিল্পের মালিক, শ্রমিক, উপাদান সরবরাহকারী ও বিক্রয়কারী, সরকার ও বিদেশী ক্রেতা গোষ্ঠী, সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে শ্রমিকদের বেতন, নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ ও স্থিতিশীলতার স্থায়ী সমাধান করা; স্বয়ংসম্পূর্ণ শিল্পপার্ক নির্মাণ করা; গার্মেন্ট শিল্প প্রসারের জন্য আলাদা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা; কৃষিকে রফতানিমুখী শিল্পায়নের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত করা যেন আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশী কৃষি ও খাদ্যপণ্যের প্রবেশ নিশ্চিত হয়; মেশিনারিজ শিল্প বিকাশে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা; কৃষি নির্ভর শিল্প, নির্মাণ কলকারখানা এবং যানবাহনের যন্ত্রাংশ তৈরির শিল্প, হালকা যানবাহন এবং জাহাজ নির্মাণ ও ভাঙ্গা শিল্পের মতো কৌশলগত খাতগুলোকে আর্থিক, ব্যাংকিং, অবকাঠামোগত এবং প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা; প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবসা প্রসারে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করা; ইন্টারনেট সেবা নিরবিচ্ছিন্ন করতে আরেকটি সাবমেরিন কেবল বসানোর ব্যবস্থা করা  এবং পর্যটন শিল্পকে ঢেলে সাজানো (কক্সবাজারে গলফ রিসোর্ট, সিলিকন বিচ, পার্বত্য এলাকায় কেবল কার নির্মাণ, সুন্দরবনে ওয়াটার বেসড সাফারি জঙ্গল, থিম পার্ক ইত্যাদি নির্মাণ)।

কৃষি প্রধান বাংলাদেশে দেশ এবং মানুষ বাঁচানোর পূর্বশর্ত হিসেবে কৃষির মানোন্নয়ন এবং কৃষকের জীবনোন্নয়ন উল্লেখ করে তারেক রহমান সময়ের দাবি অনুযায়ী কৃষক এবং কৃষিকে বাঁচানোর জন্য তার রূপকল্প অনুযায়ী নতুন কিছু ভাবনা ও নতুন কিছু কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন।

এগুলো হচ্ছে-কৃষির জন্য প্রয়োজনীয় মূলধনকে কৃষকদের কাছে সহজলভ্য করে তোলা; কৃষি ভর্তুকির সর্বোচ্চ উপযোগিতা এবং কৃষকের জন্য সেই ভর্তুকির সুবিধা পাওয়া নিশ্চিত করা; কমপক্ষে ১০-১৫% হার লাভে বিক্রির জন্য কৃষকের অনুকূলে বাজার ব্যবস্থা পুনর্গঠনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা; দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে উৎপাদিত কৃষি পণ্যের সুষ্ঠু ও সুষম বিতরণ নিশ্চিত করা; কৃষি সংক্রান্ত সকল উপাত্ত এবং তথ্য এক সাথে পাওয়ার জন্য ‘কৃষি তথ্যভাণ্ডার’ গড়ে তোলা; সমতলের কৃষকদের পাশাপাশি সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পাহাড়ি কৃষিকে মূল কৃষি পরিকাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসা; কৃষিপণ্যে ফরমালিন তথা ভেজাল নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহণ করা।

অবকাঠামো খাতে রূপকল্প উপস্থাপন করতে গিয়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বাংলাদেশের অপরিকল্পিত নগরায়ণকে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন। এ বিষয়ে তার পদক্ষেপসমূহ হচ্ছে- দেশের প্রধান ২ টি শহর ঢাকা ও চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের আদলে মেট্রোপলিটান এরিয়া গড়ে তোলা; ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুর এই তিনটি জেলা নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটান এরিয়া গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে; রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় সকল কল-কারখানা, রাসায়নিক পদাথের্র গুদামসহ পরিবেশের জন্যে ক্ষতিকর সকল স্থাপনা সরিয়ে অন্যত্র স্থানান্তর করা যেখানে সেই সকল কলকারখানার বর্জ্য পরিশোধনের ব্যবস্থা থাকবে; ঢাকার চারপাশ ঘিরে ওভারগ্রাউন্ড রেল চালু করা; নতুন-নতুন রাস্তা গঠনের সাথে-সাথে ঢাকায় প্রবেশ ও নির্গমনের জন্য আরো কয়েকটি পথ নির্মাণ করা; দেশ জুড়ে নতুন শিল্পাঞ্চল তৈরি করে ঢাকায় অবস্থিত কল-কারখানাগুলোকে সেখানে স্থানান্তরে করা; সরকারি অফিস-আদালতকে কার্যকরভাবে বিকেন্দ্রীকরণ করা; ঢাকার নিকটবর্তী জেলাগুলোয় কয়েকটি আধুনিক স্যাটেলাইট শহর গড়ে তোলা; দেশব্যাপী যাত্রীদের চাহিদা মেটাতে সম্পূর্ণ নতুন রেল লাইন স্থাপন, রেলপথে দ্রুতগতির রেলগাড়ি সংযোজন করা; বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরের সাথে একই বৈশিষ্ট্যের আন্তর্জাতিক শহরগুলোর মধ্যে পার্টনার সিটি সম্পর্ক গড়ে তোলা; যেমন ঢাকার সাথে লন্ডন, নিউইয়র্ক ও প্যারিস; সমুদ্র বন্দর ও বাণিজ্যিক ঐতিহ্যের কারণে চট্টগ্রামের সাথে লস-এঞ্জেলস, মুম্বাই ও সাংহাই ইত্যাদি এবং কৃষিজমি হ্রাস রোধ করতে গ্রামবাসীর জন্য স্বল্প জমিতে বহুতল আবাসন নির্মাণ করা।

আগামী প্রজন্মের স্বার্থে পরিবেশকে দূষণমুক্ত করার বিষয়ে তারেক রহমান গুরুত্ব আরোপ করেন।

পরিবেশ সংক্রান্ত রূপকল্পে তার কার্যতালিকায় প্রধান বিষয়গুলো হচ্ছে- আগামী প্রজন্মের স্বার্থে পরিবেশ দূষণ রোধে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমনকে ৫০ হাজার কিলোটনের নিচে নামিয়ে আনা; কার্বন-ডাই-অক্সাইড হ্রাসে পুরাতন বেসরকারি যানবাহনগুলোকে প্রতিস্থাপন করে হাইব্রিড যানবাহনের প্রচলন করা; দেশের মোট আয়তনের ২৫ ভাগ বনায়নের লক্ষ্যে সুদুরপ্রসারী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা; শহীদ জিয়ার খাল খনন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভূ-পৃষ্ঠস্থ জলাধার তৈরি ও সরবরাহের মাধ্যমে পানি সঙ্কট মোকাবেলা করা; ঢাকাসহ সকল বড় শহরে সিঙ্গাপুরের ন্যায় সুপেয় পানি ধরে রাখতে জলাধার তৈরি করে সারাবছর বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করা।

পরিবেশবান্ধব গ্রীন এনার্জির ওপর প্রাধান্য দিয়ে তারেক রহমান তার জ্বালানি বিষয়ক রূপকল্প উপস্থাপন করেন। তিনি সুন্দরবন ধ্বংস করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের তীব্র সমালোচনা করেন এবং এভাবে পরিবেশকে শেষ করে দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চিন্তা পরিহার করতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

জ্বালানি খাতে তার উল্লেখযোগ্য পরিকল্পনাগুলো হচ্ছে-বিদ্যুতের দীর্ঘমেয়াদী ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদন নিশ্চিত করতে মোট উৎপাদনের কমপক্ষে ২৫% নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক জ্বালানি ব্যবহারের প্রকল্প গ্রহণ করে ২০২৫ সাল নাগাদ দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৫,০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করার ব্যবস্থা করা; সৌরশক্তি, বায়ুপ্রবাহ, সমূদ্র স্রোত, বর্জ্য এবং জৈববর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অগ্রাধিকার দেয়া; প্রত্যেকটি বিভাগে সোলার পার্ক স্থাপন করার ব্যবস্থা করা; সুন্দরবনের রামপালে পরিবেশ বিধ্বংসী বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চিন্তা পরিহার করা; গ্রীন প্যানেল গঠনের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব জ্বালানী ব্যবহার নিশ্চিত করা।

তারেক রহমান সবাই মিলে দেশকে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতির দিকে এবং জনকল্যাণমূলক ও ভবিষ্যৎমুখী সরকারের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।