সংবাদ শিরোনামঃ

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে মাঠে নামছে জনগণ ** গুরুতর অসুস্থ ড. মাসুদের আবারো ১৪ দিনের রিমান্ড ** সরকার যুক্তি নয় শক্তি দেখাচ্ছে ** গণআন্দোলনের মাধ্যমে অবৈধ সরকারের পতন ঘটানো হবে ** গাজায় দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি ** অবৈধ সরকার রাষ্ট্রক্ষমতার অপব্যবহার করে জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে : ছাত্রশিবির ** সংবিধানের কোথায়ও বলা নেই কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠী রাজনীতি করতে পারবে না ** মামলা করে চরম হয়রানি করা হচ্ছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ** ধোঁকা খেলেন ইমরান খান? ** ক্যাট স্টিভেন্স থেকে ইউসুফ ইসলাম ** ব্যক্তি ও মুসলিম উম্মাহর উন্নয়নের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে ** এরদোগান কেন মুসলিম বিশ্বের জন্য মডেল ** শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে জিডিপি থেকে ৫-৬ শতাংশ ব্যয় করা দরকার ** সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে ** ধেয়ে আসছে বান ** পদ্মার ভাঙনে কুষ্টিয়ার ৭ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন ** ড. মাসুদকে নির্যাতনের প্রতিবাদ॥ নিঃশর্ত মুক্তি দাবি ** গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন, মামলা করায় প্রাণনাশের হুমকি **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ ভাদ্র ১৪২১, ২ জিলক্বদ ১৪৩৫, ২৯ আগস্ট ২০১৪

সোনার বাংলা ডেস্ক : মারা যাওয়ার পর দেখা গেল তার আছে পাঁচটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বেশ কিছু টাকা, দুটি সরকারি ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট, কিষাণ বিকাশ পত্র, পোস্ট অফিসে সঞ্চয় আর জীবন বিমার নথি। বাড়িতে নগদ হাজার পনেরো টাকা, দুটি সোনার আংটি, দুটি মোবাইল ফোন। সব মিলিয়ে অন্তত ১৮ লাখ টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আরামবাগে।

না, চাকরি বা ব্যবসা করে নয়। ফটকা, চিটিংবাজি বা তোলাবাজি কস্মিনকালেও করেননি। অমরনাথ দে নামেও ওই ব্যক্তি টাকা করেছেন স্রেফ ভিক্ষা করে। তার মেয়েরা অবশ্য বাবার এমন সঞ্চয়ের কথা আদপেই জানত না। পারলৌকিক কাজের পর আরামবাগের পারের ঘাটে ভাড়া-করা ঘর থেকে বাবার জিনিসপত্র সরাতে গিয়ে দুই বোন হতবাক। কয়েকটি চটের পুরোন বস্তা, আর মরচে-ধরা টিনের বাক্স থেকে যা বেরোল, তা নিয়ে শনিবার গোটা পাড়ায় শোরগোল পড়ে যায়। রহস্যের গন্ধ পেয়ে চলে আসে পুলিশও।

জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তার উক্তি, একজন ভিখারির কাছে ওই পরিমাণ টাকা, ভাবাই যায় না। তাই টাকার উৎস সন্ধানে খোঁজখবর নিতেই হচ্ছে। তার প্রতিবেশীরা বলেন, নিষ্ঠাভরে পরিশ্রম করলে যে ভিক্ষাবৃত্তিতেও সঞ্চয় হতে পারে, তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন অমরবাবু। পড়শি জয়দেব মাল জানালেন, ভোর থাকতেই একটা ছেঁড়া ধুতি অথবা গামছা জড়িয়ে, ভর করে হেঁটে যেতেন বছর পঞ্চাশের ভদ্রলোক। মনে হতো, যেন কোনো অসুস্থ মানুষ আসছেন। সেটাই টিআরপি ছিল ওই বৃদ্ধের। কোথায় না যেতেন তিনি? বাঁকুড়ার কোতুলপুর, বর্ধমানের বুলচন্দ্রপুর, উচানল। কামারপুকুর, জয়রামবাটি। আরামবাগ থেকে যে সব দূরপাল্লার বাস ছাড়ে, প্রতিদিন তার কোনো একটাতে উঠে পড়তেন। বৃদ্ধ ভিখারির কাছে ভাড়া চাইবে কে? শান্ত ভঙ্গিতে হাতটি বাড়িয়ে দিলে কজনই বা মুখ ঘুরিয়ে নিতে পারে?

বছর কুড়ি ধরে রাই কুড়িয়ে বেল করেছেন অমরবাবু। রোজগার আর সঞ্চয় তার এমনই অভ্যাসে দাঁড়িয়েছিল, যে নিজের জন্য কখনো এক টাকা বাড়তি খরচ করেননি। বাড়িতে রান্নার পাট ছিল না। ফুটপাথের হোটেলে ব্যবস্থা ছিল। বাক্সে কয়েক ডজন নতুন ধুতি-গামছা মিলেছে। হয়তো নানা সময়ে দানে পেয়েছিলেন। কিন্তু পরেননি কখনও। শেষ নিঃশ্বাসও ফেললেন বাসেই। কোতুলপুর থেকে আরামবাগ ফেরার বাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চালক সোজা আরামবাগ হাসপাতালে বাস ঢোকান। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। নিয়মমাফিক ময়নাতদন্ত হয় দেহের।

পরিশ্রমী, সঞ্চয়ী অমরবাবু অবশ্য ব্যবসায়ে সুবিধে করতে পারেননি। আরামবাগেই তার একটা ছোট শাঁখা-পলার দোকান ছিল। সেটা যখন উঠে যায়, তখন তার বয়স বছর চল্লিশ। তার পরেপরেই ছেড়ে চলে যান স্ত্রী দীপালি। চার মেয়েকে প্রতিপালন করতে ভিক্ষাবৃত্তির সেই শুরু। গোড়ায় মেয়েরাও তার ভিক্ষার সঙ্গী ছিল। পরে তারা কাজ খুঁজে নিয়েছে, বিয়ে করেছে। বাবা কষ্টে থাকে, এমনই জানত তারা। গত ১৬ আগস্ট শনিবার মেয়ে পার্বতী আর টগরি বাবার সম্পত্তির খোঁজ পেয়ে তাই হতবাক।

বাড়িওয়ালা কার্তিক পালও এত বছর টের পাননি, কত সঞ্চয় করেছেন অমরবাবু। এ দিন অমরবাবুর বাক্স থেকে পাওয়া ১৫ হাজার টাকা নগদ আর দুটি সোনার আংটি দুই বোনকে ভাগ করে দেন কার্তিকবাবু। কিন্তু আরো দুই বোন আছে। তাদের কী হবে? ‘আমরা সবাই টাকা ভাগ করে নেব,’ বললেন পার্বতী আর টগরি। সূত্র : আনন্দবাজার।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।