মাওলানা সাঈদীর রায় বাতিলের দাবিতে জাতিসংঘের সামনে বিক্ষোভ

নিউইয়র্ক : জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমীর প্রখ্যাত মুফাস্সির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় বাতিলের দাবি জানিয়ে নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে কোয়ালিশন অফ বাংলাদেশী আমেরিকান এসোসিয়েশন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ শেষে জাতিসংঘ সদর দপ্তর সংলগ্ন পার্ক এলাকায় একটি প্রতিবাদী র‌্যালি বের করা হয়। বিক্ষোভ থেকে জামায়াতের ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও মীর কাসেম আলীসহ বন্দী সকল জামায়াত নেতার মুক্তির দাবি করা হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে রাইটার্স ফোরামের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আরীফের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কাজী ইসমাঈল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাওলানা আবু ওবাইদা, এটর্নি আব্দুল আজিজ, রাইটার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নঈম উদ্দিন, ব্রাদার্স এ্যালাইন্সের সভাপতি মুনিরুদ্দীন, ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা শিহাব উদ্দিন, উলামা কমিটির সভাপতি মাওলানা কামাল উদ্দিন, হিউম্যানিটি ফোরামের সভাপতি মাওলানা রশিদ আহমেদ প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন কোয়ালিশন অফ বাংলাদেশী আমেরিকান এসোসিয়েশনের যুগ্ম-আহ্বায়ক।

বক্তারা বলেন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী একজন আলেমে দ্বীন, বিশ্ববরেণ্য মুফাসসিরে কুরআন। তিনি দেশে-বিদেশে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের তাফসির পেশ করে আসছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা, কাল্পনিক ও বায়বীয় অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

তারা বলেন ১৬ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির না করে তাদের জবানবন্দীকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়। যা বিচার বিভাগের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা। বক্তারা আরো বলেন, সরকার পক্ষের সাক্ষীদের সেইফ হাউসে রেখে মিথ্যা সাক্ষী দিতে বাধ্য করা হয়। আল্লামা সাঈদীর বক্তব্য না শুনেই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানি অন্যায়ভাবে সমাপ্ত করা হয়।

তারা বলেন, দেলু শিকদার নামক কুখ্যাত রাজাকারের অপকর্মের দায় সাঈদী সাহেবের উপর চাপানো হয়। সাঈদী সাহেবের পক্ষের সাক্ষীকে ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে অপহরণ করে ভারতে পাচার করা হয়।

বক্তারা বলেন, স্কাইপ কেলেঙ্কারির পর সংশ্লিষ্ট বিচারক পদত্যাগ করলেও তার রেকর্ড করা জবানবন্দীর উপর ভিত্তি করে ট্রাইব্যুনালে রায় প্রদান করা হয়। ১৯৭২ সালে ইব্রাহীম কুট্টির স্ত্রী মমতাজ বেগমের দায়ের করা মামলা ও চার্জশিটের সার্টিফাইড কপি আদালতে জমা দেয়ার পরেও তা আমলে নেয়া হয়নি। এভাবে মাওলানা সাঈদীকে প্রতিটি ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়। আদালত ন্যায় বিচার করলে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী একদিনের জন্য সাজা ভোগ করতেন না। ইসলাম প্রিয় মানুষের প্রাণের দাবি অনুযায়ী মাওলানা সাঈদীকে নিঃশর্ত মুক্তি দেবে বলে আশা করেন বক্তারা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।