সংবাদ শিরোনামঃ

বিএনপি জামায়াতকে আগামী নির্বাচনে বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র ** ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশাল জনসভায় জনগণের প্রতি বেগম খালেদা জিয়া ** নতুন নির্বাচন দিতে সরকারের উপর বিজেপির চাপ ** আন্দোলনের ঢেউ সামাল দিতে পারবে না সরকার ** মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে সারাদেশে স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল ** নিজের স্বার্থে আফগানিস্তানে শান্তি চায় না যুক্তরাষ্ট্র : কারজাই ** গণতন্ত্রকে হাইজ্যাক করছে আওয়ামী লীগ ** প্রতিরোধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে ** প্রধানমন্ত্রীর ব্যঙ্গ-তামাশা এবং বিশিষ্টজনেরা ** কে বলে আজ তুমি নেই ** ষোড়শ সংশোধনীর বিরুদ্ধে গণঅনাস্থা ** মাওলানা সাঈদীর মুক্তির দাবিতে সারাদেশে জামায়াতের স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত **

ঢাকা, শুক্রবার, ১১ আশ্বিন ১৪২১, ৩০ জিলক্বদ ১৪৩৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪

বিশ্ব মিডিয়ায় মাওলানা সাঈদীর মামলার রায়

সাঈদীর সমর্থন অন্য দলের মানুষের মধ্যেও কম নেই

স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্টে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় বিশ্বজুড়ে মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও মানবাধিকার কর্মীদের সমালোচনাও তুলে ধরা হয়। বিচারপ্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও অনুসরণ করা হয়নি বলে কোনো কোনো প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ভারতের কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দ বাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয় যে প্রশাসনিক সূত্রের ব্যাখ্যা, শেখ হাসিনার সরকার এই রায়ে ঘরে-বাইরে বেশ খানিকটা স্বস্তিতেই থাকবে। ধর্মীয় নেতা হিসেবে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর সমর্থন জামায়াতে ইসলামির চৌহদ্দি ছাড়িয়ে অন্য দলের মানুষের মধ্যেও কম নেই। তার ফাঁসি অনেকেই হয়তো মেনে নিতে পারতেন না।

মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার রায়ের পর বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে কিছু তুলে ধরা হলো :

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল : প্রভাবশালী ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে। বাংলাদেশের অন্যতম সুপরিচিত এই আলেমকে এর আগে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতের দেয়া এই রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বৃহত্তম ইসলামী দলটি ১৮ সেপ্টেম্বর এবং ২১ সেপ্টেম্বর হরতাল পালন করছে। জামায়াত মনে করে, মাওলানা সাঈদী নির্দোষ, এই বিচার ত্রুটিপূর্ণ।

এতে আরো বলা হয় হয়, বাংলাদেশের এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, সাজা কমানোতে রাষ্ট্র হতাশ। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তিনি মৃত্যুদণ্ডের আশা করেছিলেন।

সাঈদীর আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করার আবেদন জানাবেন।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর মাওলানা সাঈদীর মূল বিচারের সময় সাী দিতে এসে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে আসামিপরে এক সাী অপহৃত হওয়ার খবর হিউম্যান রাইটস ওয়াচ প্রকাশ করার পর ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।

সাম্প্রতিক সময়েও মতাসীন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পদপে নিয়ে বাংলাদেশে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, এসব পদেেপর ল্য হলো দেশে তাদের অবস্থান সুসংহত করা এবং বিরুদ্ধপকে নীরব রাখা।

বিরোধীরা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অভিসংশন করার মতা সংসদকে দিয়ে আনা সাম্প্রতিক সংবিধান সংশোধনী প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে। কোনো কোনো আইনজীবীর মতে, এই ব্যবস্থা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ুণœ করবে।

তবে সরকারি দল বলছে, বিচার বিভাগের অসদাচরণ প্রতিরোধ করতে এই সংশোধনী প্রয়োজনীয়।

গার্ডিয়ান : প্রভাবশালী গার্ডিয়ানে বলা হয়, মাওলানা সাঈদীকে কেন মৃত্যুদণ্ডের বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হলো সে ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা রায়ে দেয়া হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার আরো অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। তবে সমালোচকেরা বলছেন, দেশের বিরোধী দলগুলোকে দুর্বল করার জন্য ট্রাইব্যুনালকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

আল জাজিরা : আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে যাদেরকে খুন করার অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের একজনের ভাই সুখরঞ্জন বালী ২০১২ সালের নভেম্বরে সাী দিতে এসে দৃশ্যত ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে অপহৃত হলে এই বিচার বিতর্কিত হয়ে পড়ে।

কয়েক মাস পর বালীকে ভারতের একটি কারাগারে পাওয়া যায়। তিনি সেখানে বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা তাকে আদালতের বাইরে থেকে ধরে নিয়ে ছয় সপ্তাহ আটকে রাখে। তারপর তাকে ভারতীয় সীমান্তে ফেলে যায়। বাংলাদেশ সরকার অভিযোগটি অস্বীকার করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অধিকার গ্রুপগুলো বলছে, ট্রাইব্যুনালের আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করা হয়নি। সরকার অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বিবিসি : বিবিসির খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে এই রায় দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

গালফ নিউজ : গালফ নিউজে বলা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় ঘোষণার পরপরই ঢাকায় বিােভ হয়। এই বিােভ ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাঁদানে গ্যাস এবং পানি কামান ব্যবহার করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবারের ( ১৭ সেপ্টেম্বর) রায়টি ছিল অবাক করা। গত বছর মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী রাজনৈতিক সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, জামায়াত এই রায়ের প্রতিবাদে দুই দিনের হরতাল ডেকেছে। তারা জানিয়েছে, ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ অভিযোগে সাঈদীর বিচার করা হয়েছে।

আনন্দবাজার পত্রিকা : কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজার পত্রিকার শিরোনাম ছিল ‘স্বস্তিতে সরকার : বাংলাদেশে জামাত নেতার ফাঁসি রদ’। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার এই রায়কে সর্বোচ্চ আদালতের স্বাধীন মতামত বলে ঘোষণা করেছে। কিন্তু সাঈদীর ফাঁসির দাবিতে কাল থেকে ঢাকার শাহবাগ চত্বরে অবস্থান শুরু করা গণজাগরণ মঞ্চের সদস্যরা এই রায়কে ‘সরকার-মৌলবাদী আঁতাতের রায়’ বলে বর্ণনা করেছেন। তবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ‘ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি’ সরকারকে দোষারোপ না-করে ব্যর্থতার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতরকে দায়ী করেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয় যে প্রশাসনিক সূত্রের ব্যাখ্যা, শেখ হাসিনার সরকার এই রায়ে ঘরে-বাইরে বেশ খানিকটা স্বস্তিতেই থাকবে। ধর্মীয় নেতা হিসেবে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সমর্থন জামায়াতে ইসলামির চৌহদ্দি ছাড়িয়ে অন্য দলের মানুষের মধ্যেও কম নেই। তার ফাঁসি অনেকেই হয়তো মেনে নিতে পারতেন না। তা ছাড়া, যৌথ বাহিনীর একের পর এক অভিযানে জামায়াতের সংগঠন এখন অনেকটাই কোণঠাসা। সুপ্রিম কোর্ট সাঈদীর ফাঁসির রায় বহাল রাখলে নাশকতার মাধ্যমে তারা ফের সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পেত। আন্তর্জাতিক মহলেও জামায়াত নেতাদের ফাঁসির বিরুদ্ধে একটা জনমত গড়ে উঠেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা ও কয়েকটি প্রভাবশালী দেশ ধর্মীয় নেতাদের ফাঁসির বিরোধিতা করেছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ইইউ। সরকারের এক কর্তার কথায় এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট যে সরকারকে অস্বস্তি থেকে বাঁচাল, শেখ হাসিনা তার জন্য বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ দিতেই পারেন।

জি নিউজ : জি নিউজের শিরোনাম ছিল ‘ফাঁসির সাজা খারিজ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাঈদীর’। এতে বলা হয়, বুধবারের (১৭ সেপ্টেম্বর) রায়কে ঘিরে ঢাকা শহরজুড়ে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়। মঙ্গলবার রাত থেকেই বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে আদালত চত্বরে। রাজশাহী, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, সিলেট, চট্টগ্রামে টহল দিতে শুরু করেছে বিজিবি।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।