সংবাদ শিরোনামঃ

খুনিদের বিচার করতে হবে ** দেশে সঙ্কট আরো বাড়বে ** লাগামহীন লুটপাটের যোগান দিতেই সরকার দাম বাড়াচ্ছে ** ব্যাংকিং খাতে সীমাহীন লুটপাট ** গাজায় গণহত্যার দায়ে ইসরাইলের বিচার দাবিতে বিশ্ব জনমত গঠন করতে হবে ** বাংলাদেশে অদ্ভুত কাণ্ড শুরু হয়েছে ** প্রতি বছর দুর্ঘটনার সংখ্যা এবং এতে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে ** গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া জনগণের জানমাল নিরাপদ নয় ** এ এক অসহায়ত্বের যুগ ** বাংলাদেশ : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ ** নাটোরে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩৪ ** পুলিশের গুলিতে পা হারাল সাজু ** তেঁতুলিয়ার টুপি কারখানার শ্রমিকরা মহাব্যস্ত ** ২৮ অক্টোবর : ইতিহাসের কালো অধ্যায় ** মানবতার কান্না ** ২৮ অক্টোবর ও তার বেনিফিশিয়ারি ** ২৮ আক্টোবর যেন ফিরে না আসে বার বার ** রক্তের তৃষ্ণা প্রবলতর হয়েছে **

ঢাকা, শুক্রবার, ৯ কার্তিক ১৪২১, ২৮ জিলহজ ১৪৩৫, ২৪ অক্টোবর ২০১৪

বাংলাদেশে অদ্ভুত কাণ্ড শুরু হয়েছে

॥ কামরুল হাসান॥
মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে ’৭১ সালে। অথচ সাম্প্রতিককালে শহীদ মিনারে  ২০, ২৫ জন ছেলে আমাকেসহ ৯ জনকে স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এসব ছেলেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি কেন? সীমান্তে গুলি করে বাঙালি হত্যা, রামপাল বিদ্যুৎ স্থাপন, গঙ্গার পানি  ও যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুললে যারা প্রতিবাদ করে না তারা স্বাধীনতা বিরোধী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল গত ২০ অক্টোবর সোমবার রাতে বাংলাভিশন টেলিভিশনে ‘নিউজ অ্যান্ড ভিউজ’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

তথ্যপ্রযুক্তি আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই আইন অপপ্রয়োগ করা সম্ভব। অনেক নিয়মকানুন রয়েছে যা দেশ, সরকার, নিরাপত্তা ও বন্ধু রাষ্ট্রের সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের বক্তব্য সম্পর্কে ড. আসিফ নজরুল বলেন, এই ধরনের বক্তব্য দেয়া উচিত হয়নি। কিন্তু এই বক্তব্যের কারণে কোনো সাম্প্রদায়িক উসকানি সৃষ্টি হয়নি। আ’লীগ-বিএনপির অনেক নেতাই এ ধরনের কথা বলে থাকেন।

বাংলাদেশে অদ্ভুত কাণ্ড শুরু à¦¹à§Ÿà§‡à¦›à§‡Ñ à¦à¦®à¦¨ কথা উত্থাপন করে তিনি বলেন, কেউ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কটূক্তি বা গান করলে তার শাস্তি হয়। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কটূক্তি করলে তার শাস্তি হয় না। প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না। এটাই কি গণতন্ত্র? এটাই কি স্বাধীনতা? এটাই কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? তিনি বলেন, একজন মানুষ সমস্ত কিছুর ঊর্ধ্বে বাকি সবাই সাধারণ মানুষ। ওই মানুষ ও তার পরিবার সম্পর্কে কিছু বললে ৭ বছর জেল। এজন্যই কি মুক্তিযুদ্ধ করেছি?

আসিফ নজরুল বলেন, বাংলাদেশে প্রত্যেক সরকারের আমলে দুর্নীতি হয়েছে। সেই দুর্নীতির মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিরোধী দল সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি না করতে পারলে সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় ঘটবে না। বিএনপি তীব্র আন্দোলন থেকে সরে থাকায় সরকার à¦¬à¦²à¦›à§‡Ñ à¦¬à¦¿à¦à¦¨à¦ªà¦¿à¦° সঙ্গে কিসের আলোচনা। অর্থাৎ বিএনপি তীব্র আন্দোলন করতে পারলে সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনায় বসবে। বিএনপিকে ঝুকি নিয়ে আন্দোলন করতে হবে।

ভুল তথ্য দিয়ে থাকলে জবাবদিহি করবো

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, পিয়াস করিম সম্পর্কে আমি যদি কোনো ভুল তথ্য দিয়ে থাকি তবে তার জন্য আমাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।

গত রোববার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন ৭১ টিভিতে প্রচারিত ‘একাত্তরের জার্নাল’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, আমি যে তথ্য দিয়েছি তা নিয়ে অনুসন্ধান করা হোক আমি এটাই চাই। যারা এটা নিয়ে রিসার্চ করছেন তারা এর সত্যতা খুঁজে বের করুক।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সচিবালয়ে তার নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের  সাথে আলাপকালে বলেছেন, প্রয়াত অধ্যাপক পিয়াস করিমকে ১৯৭১ সালের মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধরে নিয়ে গিয়েছিল। তাঁর কুমিল্লার বাসার সামনে থেকে তাঁকে তারা তুলে নিয়ে যায়। আটকে রাখে কুমিল্লা সার্কিট হাউজে। ওই সময়ে পিয়াস করিম ছিলেন চার বোনের এক ভাই। বাবার একমাত্র ছেলে। এই কারণে তাকে ছাড়ানোর জন্য সব ধরনের চেষ্টাই করা হয়। এর অংশ হিসাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। তখন পিয়াস করিমের বাবা এডভোকেট এম এ করিমকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শর্ত মেনে নিতে হয়। তাদের শর্ত ছিল তারা পিয়াস করিমকে মুক্ত করে দিবে, তবে সে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কোনো কাজ করতে পারবে না। কোনো বৈঠক করতে পারবে না। দ্বিতীয়ত তাকে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের পক্ষে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমি পিয়াস করিমের ব্যাপারে অনেক কিছুই জানি। যেটা আমি বলছি তা প্রমাণও করতে পারবো। আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি।

তিনি বলেন, অনেকেই বলছেন পিয়াস করিমের দাদা ছিলেন রাজাকার। কিন্তু এই কথাটি ঠিক নয়। কারণ তার দাদা ছিলেন ড. আব্দুর রউফ। তিনি ১৯৫৭ কি ১৯৫৮ সালে মারা গেছেন। একজন মৃত মানুষ রাজাকার হন কেমন করে? তার রাজাকার হওয়ার খবরটি যে গণজাগরণ মঞ্চ কিংবা অন্যান্যরা বলছে এটা ঠিক না।

তিনি তার দাদা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন, তার নানা লিল মিয়া। বাড়ি বাঞ্ছারামপুর। তিনি যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীও ছিলেন। তার নানা স্বাধীনতার যুদ্ধের পর মারা গেছেন তবে রাজাকার ছিলেন না। কোথাও রাজাকার হিসেবে তার নামও নেই। তিনি বলেন, আমি এও শুনেছি তিনি নাকি কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

আনিসুল হক আরো বলেন, যাই হোক এবার আসি পিয়াস করিমের বাবার কথায়। তিনি কুমিল্লার একজন আইনজীবী ছিলেন। সুখ্যাতিও ছিলো। তিনি এডভোকেট এম এ করিম। তার রাজনৈতিক জীবনের শুরুর দিকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কুমিল্লা জিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা কোষাধ্যক্ষ’র দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও এখন তিনি গণজাগরণের কাছে রাজাকার। তবে এটা ঠিক তিনি শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। এর পেছনের কারণ হচ্ছে তার ছেলেকে রক্ষা করা। ১৯৭১ সালে পিয়াস করিম কুমিল্লা জিলা স্কুলে সম্ভবত ক্লাস ফাইভে পড়তেন। ওই সময়ে মুক্তিযুদ্ধের জোয়ার সারা দেশে উত্তাল। তখন তিনিও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষেই একটি বৈঠক করেছিলেন। ওই বৈঠক করার পর তাকে তার বাসার কাছ থেকে পাকিস্তান বাহিনী ধরে নিয়ে যায়। পিয়াস ছিল চার বোনের এক ভাই। এই কারণে আদরও ছিল বেশি। এই আদরের কারণেই তাকে মুক্ত করার জন্য পরিবারের সদস্যরা উতলা হয়ে যান। পরে পাকিস্তান আর্মির সঙ্গে কথা বলেন তার বাবা। পাকিস্তান আর্মি তাকে শর্ত দেয়। সেই অনুযায়ী ওই বন্ডেও সাইন করেন। এরপর তিনি মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে এসে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হলেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষেই ছিলেন। কারণ ওই পদে থেকেও তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছেন। তাদের জন্য কার্ডেরও ব্যবস্থা করতেন। পরিচয় পত্র দিয়েছিলেন অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে। তারপরও তাকে জেলে যেতে হয়েছিল। জেল থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগেই ছাড়া পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, পিয়াস করিমের বোন মিসেস তৌফিকা আমার বাবার জুনিয়র ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলায় সরকারি পক্ষের কৌঁসুলি হিসেবে কাজ করেছেন। তাই অবাক লাগে পিয়াস করিম কেমন করে রাজাকারের নাতি, ছেলে বা রাজাকার হোন। আসলে কেউ কেউ বলেছেন এম এ করিম বীরেন দত্তকে হত্যা করিয়েছেন। কিন্তু বীরেন দত্তকে তো ১৯৭১ সালের ২৭ কি ২৮ মার্চ ধরে নিয়ে গিয়েছিল। তাকেতো এম এ করিম হত্যা করাননি।

আইনমন্ত্রী বলেন, আসলে পিয়াস করিম যে রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন সেটা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। বা তিনি তার মত প্রকাশে যে রকম ছিলেন সেটা নিয়ে বলবো না। কারণ ভিন্ন মত মানুষ প্রকাশ করতে পারে। তবে কারো সম্পর্কে বলতে হলে অবশ্যই জেনে-শুনে ও সঠিক তথ্য নিয়ে বলতে হবে। পিয়াস করিমকে নিয়ে ছাত্র মৈত্রী ও গণজাগরণ মঞ্চের নেতারা যে সব কথা বলেছেন এই সব অনেক কথার কোনো ভিত্তি নেই। আমি যে কথাগুলো বললাম এই সব কথা চির সত্য। কেউ আমার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলে তা আমি মিথ্যে প্রমাণ করে দিতে পারবো।

লতিফ ভারতকে অনেক বেশি নিরাপদ মনে করছে

লতিফ সিদ্দিকী সময় হলে দেশে ফিরে আসবে এবং তার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমনটি খোদ লতিফ সিদ্দিকী বলছে। লতিফ সিদ্দিকীর এমন বক্তব্যের পেছনে দুটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত জনগণকে বোকা বানানো অথবা এর পিছনে অন্য কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। কেননা লতিফ সিদ্দিকী বার বার প্রধানমন্ত্রীকেই তার সকল অবস্থানের সাথে জড়ানোর চেষ্টা করছে।

সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ গত ১৫ অক্টোবর চ্যানেল আইয়ের ‘আজকের সংবাদপত্র’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

মাহফুজ উল্লাহ বলেন, ধর্মের নামে অবমাননামূলক বক্তব্যের জন্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রী এবং দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ হতে বলা হচ্ছে à¦¯à§‡Ñ à¦²à¦¤à¦¿à¦« সিদ্দিকীকে যদি আওয়ামী লীগ থেকে বহিঃস্কার করাও হয়, তারপরও তার সদস্য পদ থেকে যাবে। তবে এটা নিয়ে বিতর্ক আছে à¦¯à§‡Ñ à¦¸à¦¾à¦‚à¦¬à¦¿à¦§à¦¾à¦¨à¦¿à¦•à¦­à¦¾à¦¬à§‡ যদি লতিফ সিদ্দিকী পদত্যাগ করেন তবে তিনি সদস্য পদ হারায়। যেহেতু তাকে বহিষ্কার করা হচ্ছে সেই সুবাদে তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে থাকবে। নৈতিকতার ব্যাপারে এটা অত্যন্ত হাস্যকর ব্যাপার à¦¯à§‡Ñ à¦¤à¦¿à¦¨à¦¿ সংসদ সদস্য থেকেই যাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, ভারতে থেকে লতিফ সিদ্দিকীর বাংলাদেশে রাজনৈতিক গুটি চালনা করা যতটা সহজ, তার চেয়ে লন্ডনে বা আমেরিকায় বসে ততটা সহজ নয়। তিনি ভারতকে অনেক বেশি নিরাপদ মনে করছে, কারণ মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি সেখানে ছিলেন।

আ’লীগ ৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারে না

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল এভাবে নির্বাচন করে ৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারে না। উপমহাদেশে এটা অন্যতম পুরাতন রাজনৈতিক দল। এ দলটি গণতান্ত্রিক ভাবেই গড়ে উঠেছে। গত ১৫ অক্টোবর জহিরুল আলমের উপস্থাপনায় এনটিভি’র ‘এই সময়’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সরকারও বলেছে এটা নিয়মরক্ষার নির্বাচন। সরকার শিগগিরই সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করার মনোবৃত্তি নিয়ে এগিয়ে আসে কি না, সেটা এখন দেখার বিষয়।

তিনি বলেন, সেই নির্বাচনে যখন সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়, তখন বিদেশী পর্যবেক্ষকেরাও আগ্রহ হারান। কত ভোট পড়বে, তা বড় বিষয় নয়, এটা গণতন্ত্রের জন্য কতখানি সহায়ক হবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক ধারায় দেশকে যদি ফিরিয়ে না আনে তাহলে ভবিষ্যতে অন্য দল ক্ষমতায় গেলে তারাও এ ভাবেই দেশ চালাবে। এমনকি এর চেয়েও খারাপ ভাবে দেশ চালাতে পারে।

আওয়ামী বিএনপির সাথে মাস্তানি করছে

বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতি যেভাবে চলছে তাতে স্পষ্ট বোঝা যায় à¦¯à§‡Ñ à¦†à¦“à§Ÿà¦¾à¦®à§€ বিএনপির সাথে মাস্তানি ছাড়া অন্য কিছু করছে না। বিএনপিও যদি আওয়ামী লীগকে ঐ অবস্থা পায় তবে বিএনপিও আওয়ামী লীগের চেয়ে ভিন্ন কোনো আচরণ কখনই করবে না। গত ১৬ অক্টোবর নিউ এইজ এর সম্পাদক নুরুল কবীর এনটিভির ‘এই সময়’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

নুরুল কবীর বলেন, বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। বাংলাদেশে বিএনপি একটি সুপরিচিত রাজনৈতিক দল এবং এদের সমর্থন এখনও আছে। বর্তমানে বাংলাদেশের যে রাজনীতি চলছে তা মাস্তানি ভিন্ন অন্য কিছু নয়। আর ঐ মাস্তানির শিকার হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি গণতন্ত্রের বিকাশ রুখার জন্য ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের অংশগ্রহণ করেনি ব্যাপারটা মোটেও এরকম নয়। কারণ তাদের দাবি ছিল নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে। তবে বাস্তবে কতকগুলো জিনিসের ব্যাপারে তারা ব্যর্থ হয়েছে বলেই বর্তমানে বিএনপির এই অবস্থা। ঢাকা শহরে সাধারণ পাবলিক গ্লোবালাইজেশনে তারা ফেল করেছে, সংগঠনের নেতৃত্বের ব্যাপারে তারা আপোষবাদি, আপোষকামী অথবা ভীতু অথবা উভয়ই। আর এই সুযোগে বর্তমানে বিএনপির উপর মাস্তানির রাজনীতি করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। যদি আওয়ামী লীগেরও এই অবস্থা হয়, তবে বিএনপিও আওয়ামী লীগের উপর একই রাজনৈতিক মাস্তানি করবে।

ধর্মদ্রোহীতার কারণে লতিফ সিদ্দিকীকে শাস্তি দেয়া হয়নি

গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার তার ব্লগে মহানবী (সা.), হজ্ব, জাকাত ও আল্লাহপাক সম্পর্কে জঘন্য মন্তব্য করেছেন। এর কিছু দিন পরে তিনি আততায়ীর হাতে নিহত হোন। নিঃসন্দেহে তিনি ধর্মদ্রোহী ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ধর্মদ্রোহীকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী à¦¬à¦²à§‡à¦›à§‡à¦¨Ñ à¦¡à¦¾à¦•, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছেন। মূলত ধর্মদ্রোহীতার কারণে লতিফ সিদ্দিকীকে শাস্তি দেয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সাংঘর্ষিক।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান গত ১৭ অক্টোবর রাতে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের উপস্থাপনায় আরটিভির ‘গোল টেবিল’ টকশোতে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বার বার ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলে। আসলে ধর্ম নিরপেক্ষ বলে কিছু নেই। বিএনপি ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাস করে। অর্থাৎ সকল ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম পালন করুক। আ.লীগ এটা বিশ্বাস করে না।

আহমেদ আজম খান বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক পথে রাজনীতি রাখতে চায়। সমঝোতার মাধ্যমে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে চায়। এজন্য বার বার আলোচনার কথা বলছে। আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার চায়।

৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি সংঘাতের রাজনীতি চায় না। ৫ জানুয়ারি প্রহসনমূলক নির্বাচন হওয়ার পরেও পুলিশের অনুমতি ছাড়া বিএনপি সভা-সমাবেশ করেনি। আমরা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে সম্মান করি। আওয়ামী লীগ এটাকে বলছে- বিএনপির আন্দোলনের মুরোদ নেই। সরকার চায় বিএনপি অনুমতির বাইরে আন্দোলন করুক। এজন্য এখনি বলা শুরু করেছে বিএনপি নৈরাজ্য করছে। গণতন্ত্রের কথা উল্লেখ্য করে আহমেদ আজম খান বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপির আন্দোলনকে গণতান্ত্রিক পথে রাখতে চায় না। সংঘাতের পথে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু বিএনপি এ পথে যাবে না। আমরা গণতান্ত্রিক ধারায় আন্দোলন করতে চাই।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার নৈরাজ্য চায়। বিএনপি সেই নৈরাজ্য প্রতিহত করে গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করতে চায়। জন বিস্ফোরণ সময় নিয়ে ঘটে না। দেশে জন বিস্ফোরণের সমস্ত কিছু রয়েছে যে কোনো সময় এটা ঘটতে পারে।

জাতীয় রাজনীতি সুষ্ঠু না হলে, ছাত্র রাজনীতি সুষ্ঠু করা সম্ভব নয়

সিনিয়র সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র ও সামগ্রিক রাজনীতির সঙ্কট রয়েছে। সেখানে জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক চর্চায় ফিরে না আসলে ছাত্র রাজনীতি আলাদা করে সুষ্ঠু করা সম্ভব নয়।

গত শুক্রবার রাতে একাত্তর টেলিভিশনে ‘একাত্তর জার্নাল’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী।

নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, একজন শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একবার ভর্তি পরীক্ষা না দিতে পারলে আর পরীক্ষা দিতে পারবে না, এই পদ্ধতি সমর্থন করি না। মনে à¦•à¦°à§à¦¨Ñ à¦•à§‹à¦¨à§‹ শিক্ষার্থী অসুস্থতার কারণে পরীক্ষায় ভালো করতে পারেনি। কিন্তু ছাত্র হিসেবে মেধাবী। পরের বছর সুস্থ হয়ে পরীক্ষার জন্য ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। কিন্তু সে পরীক্ষা দিতে পারবে না। একবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ রয়েছে, এমন বিধান বিশ্বের কোথাও নেই। তবে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা কমিয়ে আনা যেতে পারে।

ছাত্র রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রী বিবাহ করতেই পারে, সেজন্য ছাত্র রাজনীতি থেকে বাদ পরে যাবে, সেটা হতে পারে না।

সংলাপ মানেই নির্বাচন এমন চিন্তা ঠিক নয়

আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয় পক্ষই যদি সংলাপ মানে নির্বাচন বোঝেন, তবে তাত্ত্বিক বিচারে এটা দেশের জন্য মোটেও ভালো নয়। এমন চিন্তভাবনা দেশ ও জনগণের জন্য আশঙ্কামূলক।

গত ১৮ অক্টোবর সিনিয়র সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান চ্যানেল আইয়ের ‘আজকের সংবাদপত্র’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী।

মিজানুর রহমান খান বলেন, সংলাপ বান্ধব পরিবেশ ছাড়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে শান্তি বা স্থিতি কখনই আশা করা যায় না। গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় কথা হলো পরমত সহিষ্ণুতা। বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই জায়াগাটায় ধীরে ধীরে ঘাটতির সৃষ্টি হচ্ছে। দুই দলই মনে করছে সংলাপ মানেই নির্বাচন। কিন্তু গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে নির্বাচন বড় কথা নয় বরং সরকারি এবং বিরোধী দলের মধ্যে সমঝোতাই বড় কথা।

আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ধ্বংস করতে চায়

বর্তমান শাসক গোষ্ঠী আওয়ামী লীগের মানসিকতা à¦¹à¦²à§‹Ñ à¦¸à¦‚à¦¸à¦¦à§‡à¦° বাইরের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে পঙ্গু করে ধ্বংস করে দেয়া। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কাজকর্ম এবং কথাবার্তায় তা স্পষ্টই প্রমাণিত।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল গত ১৮ অক্টোবর চ্যানেল আইয়ের ‘তৃতীয় মাত্রা’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন। জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. তাজুল ইসলাম এমপি।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যেভাবে বিএনপির উপর উঠেপড়ে লেগেছে তাতে বোঝা যাচ্ছে যে- বিএনপিকে শেষ না করা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ মন্ত্রীরা ঘরে ফিরবে না। এটা তাদের বিভিন্ন জনসভায় শোনা যায়। শুধু কথাবার্তায় না কাজকর্ম দিয়েও তারা বিএনপিকে কোণঠাসা করতে চাইছে বিভিন্ন মামলা দিয়ে। বিএনপি নেতাদের এখন বেশির ভাগ সময় কাটে আদালতে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির দুটি স্তম্ভ আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি। দ্বি-দলীয় রাজনীতি সারা পৃথিবীতে বর্তমান, বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। গণতন্ত্রের অন্যতম ধারা হল সংখ্যালঘিষ্ঠ বা বিরোধী দলের মতামতকে সম্মান করা। কিন্তু বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মতামতকে সম্মান করে না। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করছে না এবং এর উপযুক্ত উদাহরণ পাওয়া যায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের দিকে নজর দিলে। এই নির্বাচনে ভোটার নেই, প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারও নেই। তাই এতগুলো নেই এর মাঝে শুধু একটি হ্যাঁ প্রকাশ পেয়েছে তা হল ‘আমরা আর মামারা ভাগাভাগি করে খাবো।’

প্রত্যেক অধ্যাপকের রাজনৈতিক মতবাদ বা বিশ্বাস রয়েছে

সাবেক সচিব ও কূটনীতিক মোফাজ্জল করিম বলেছেন, অধ্যাপক ড. পিয়াস করিমের অপরাধ কী? তিনি রাজনৈতিক বিশ্লেষক ছিলেন। দেশে প্রত্যেক অধ্যাপকের রাজনৈতিক মতবাদ বা বিশ্বাস রয়েছে। এই মতবাদ ও বিশ্বাসের কারণে এভাবে অসম্মান দেখানো হবে। শহীদ মিনার এটাকেও কি দলীয়করণ করতে হবে?

গত ১৭ অক্টোবর বাংলাভিশন টেলিভিশনে ‘নিউজ অ্যান্ড ভিউজ’ টকশোতে এসব কথা বলেন তিনি।

মোফাজ্জল করিম বলেন, ড. পিয়াস করিম যুদ্ধাপরাধীর বিচার চেয়েছিলেন। সেই বিচার যেন স্বচ্ছ হয় সেকথা বলেছেন। তার এ কথায় কেউ কেউ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। সেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া এ ধরনের হওয়া উচিত নয়।

তিনি আরো বলেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ ওঠেছে তা মারাত্মক। তিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছেন। এর চেয়েও কম অপরাধের জন্য তসলিমা নাসরিন ও দাউদ হায়দারকে দেশ ত্যাগ করতে হয়েছে।

এই সরকার রাজনৈতিকভাবে অবৈধ

৬টি বইয়ের লেখা উল্লেখ করেÑদৈনিক ইংরেজি পত্রিকা নিউ এজে’র সম্পাদক নূরুল কবীর বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধকে দলীয় যুদ্ধ করার যে প্রবণতা সেটা ’৭১ সালে দেখেছি। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও অন্যান্য বামপন্থী দলগুলোকে আগস্ট মাস পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য অস্ত্র সরবরাহ, ট্রেনিং ও খাদ্যের ব্যবস্থা দেয়া হয়নি। কিন্তু যখনি মস্কো-দিল্লির মধ্যে স্ব-দলীয় কমিটি ও চুক্তি করা হয় তখনি এসব সুযোগ পায়। গত শনিবার মঞ্জুরুল আলম পান্নার উপস্থাপনায় একুশে টেলিভিশনে ‘একুশের রাত’ অনুষ্ঠানে এসব কথা উল্লখ করেন তিনি।

নূরুল কবীর বলেন, গণতন্ত্রে জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে সরকার গঠন করতে হয়। সেই সম্মতির জন্য প্রয়োজন নিরপেক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন। ৫ জানুয়ারি নিরপেক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন সংগঠিত হয়নি। এই সরকার রাজনৈতিক ভাবে অবৈধ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাংবিধানিক যে কাঠামো সেখানে একনায়কতন্ত্র ছাড়া প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায় না। একই ব্যক্তি ক্ষমতাসীন দলের প্রধান, সরকারের প্রধান, সংসদের প্রধান। আ’লীগ-বিএনপি মিলেই এটা করেছে।

মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ মিনার দলীয়করণ করা হচ্ছে

মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ মিনার দলীয়করণ করা হচ্ছে। এর ফলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও আ’লীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাই কি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন? সেখানে কি অন্যকারো অবদান নেই?

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খান গত শনিবার মঞ্জুরুল আলম পান্নার উপস্থাপনায় একুশে টেলিভিশনে ‘একুশের রাত’ অনুষ্ঠানে এসব প্রশ্ন তুলেন।

তিনি বলেন, ভারতে সমস্ত নেতাদের সম্মান দেয়া হয়। ভারতে লালকেল্লায় ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ মানে একটি অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানে ভারতের সমস্ত ইতিহাস তুলে ধরা হয়। সূর্য সেন, খুঁদি রাম সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন করত তাও উল্লেখ্য রয়েছে। আইনের কথা তুলে ধরা হয়েছে। গান্ধী ও জিন্নাহর কথাও রয়েছে।

মঞ্জুরুল আহসান খান আরো বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরএসএসে’র সদস্য ছিলেন। সেই আরএসএসে’র লোক গান্ধীকে হত্যা করেছে। সেই গান্ধীর মৃত্যু বার্ষিকীতে মোদি ঝাড়– দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করেছেন।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।