পুলিশ বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও জনগণের প্রতি জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে : অধ্যাপক মুজিব

চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী ওসমান গণিকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার, তার বোনকে গুলি করা এবং হয়রানি করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান গত ১৯ অক্টোবর রোববার বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী মো. ওসমান গণিকে গত ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে। পুলিশ তার বোন সাজু আখতারকে পায়ে গুলি করে পঙ্গু করে মারাত্মকভাবে আহত করে। হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তার পা কেটে ফেলে। গ্রেফতারকৃত ওসমানকে দেখতে থানায় গেলে তার অপর দুই বোন ও এক ভাইকে পুলিশ অন্যায়ভাবে আটক করে কোর্টে চালান দেয়। পুলিশের এহেন ন্যক্কারজনক অমানবিক আচরণের নিন্দা জানানোর কোনো ভাষা আমাদের জানা নেই। তিনি বলেন, পুলিশ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। তারা সরকারি দলের ক্যাডার নয়। তারা অন্যায়ভাবে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী মো. ওসমানকে গ্রেফতার, তার নির্দোষ বোনকে পায়ে গুলি করে পঙ্গু করে দিয়েছে এবং অপর দুইবোন ও একভাইকে কোর্টে চালান দিয়ে তাদের উপর চরম জুলুম করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। তিনি এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

তিনি বলেন, সরকার পুলিশকে দলীয় কর্মীর ন্যায় ব্যবহার করে তাদের দিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ জনগণের প্রতি জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। সরকারের এহেন অমানবিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য তিনি দেশী-বিদেশী সকল মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থা এবং দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী মো. ওসমানকে এবং তার দুই বোন ও এক ভাইকে অবিলম্বে মুক্তি প্রদান এবং তার বড় বোন সাজু আখতারকে পায়ে গুলি করে পঙ্গু করে দেয়ার ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।