ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় বার অংশ নেয়ার সুযোগ

ছাত্রদের উচ্চ শিক্ষার পথ রুদ্ধ করার অধিকার কারো নেই : ছাত্রশিবির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় বার অংশ নেয়ার সুযোগ থেকে শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করার বিষয়ে গত ১৯ অক্টোবর বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। 

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আজ চরম সঙ্কট কাল অতিক্রম করছে। স্বাধীন বাংলাদেশ কখনোই শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন জাতি বিনাশী তৎপরতার সামনে দাঁড়ায়নি। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ছাত্রলীগ ও সরকারি দলের লোকদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নজীর বিহীন নকল এবং রেকর্ড সংখ্যক মেধাবীদের ফেল করানোর ঘটনা সচেতন দেশবাসীর নজর এড়ায়নি। যা প্রতিটি সচেতন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও দেশবাসীকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। আর সেই অপকর্ম থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চাতুরতার সাথে সরকার হঠাৎ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় বার অংশ নেয়ার সুযোগ থেকে হাজারো শিক্ষার্থীকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা করছে। অথচ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সরকার বা কর্তৃপক্ষ কোনো রকম জনমত যাচাই করেনি। এমনকি কোনো শিক্ষাবিদের সাথেও পরামর্শ করার প্রয়োজন বোধ করেনি। উল্টো শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ নিরীহ ছাত্রদের উপর হামলা চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার ও অনেককে আহত করেছে। নিরীহ ছাত্রদের উপর এ বর্বরতার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। এ অন্যায় তাণ্ডব ছাত্রসমাজ কিছুতেই মেনে নেবে না।  নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রদের উচ্চ শিক্ষার পথ রুদ্ধ করার অধিকার কারো নেই। এটা অমানবিক সিদ্ধান্ত।  নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে গিয়ে সরকার আগামী দিনে জাতির কাণ্ডারীদের ধ্বংস করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। এটা সরাসরি জাতি বিনাশী অপতৎপরতা। ইতোমধ্যেই দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা এ সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং এ সমস্যা সমাধানে মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন। সুতরাং আমরা অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। একই সাথে ছাত্রসমাজের এ ন্যায্য দাবির সাথে ছাত্রশিবিরের একাত্মতা ঘোষণা করছি।   

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে এ সিদ্ধান্ত বাতিল ও গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।