সংবাদ শিরোনামঃ

দেশ গভীর সঙ্কটে : গণঅভ্যুত্থানের পদধ্বনি ** ইন্দো-মার্কিন আওয়ামী মইন চক্রান্ত ফাঁস ** অকার্যকর হয়ে পড়ছে সার্ক ** মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে যোগ্যতার বিকল্প নেই : শিবির সভাপতি ** খুব ভালো হতো যদি আইন তার নিজস্ব গতিতে চলতো ** সড়ক যেন মৃত্যুফাঁদ ** নিশা দেশাই এবং সৈয়দ আশরাফের ‘দুই আনা-তত্ত্ব’ ** গানের পাখি আব্বাস উদ্দিন ** অবৈধ সরকারকে হটাতে আন্দোলনের বিকল্প নেই ** ভরা মওসুমে ভারত থেকে চাল আমদানি ** বিক্ষোভে অচল বিশ্ববিদ্যালয় **

ঢাকা, শুক্রবার, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪২১, ১১ সফর ১৪৩৬, ৫ ডিসেম্বর ২০১৪

বেনাপোল : বেনাপোল বন্দর গোড়াউনে রক্ষিত ভারত থেকে আমদানি করা চাল

ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক
বেনাপোল সংবাদদাতা : ভারতীয় চাল আমদানির ফলে ভরা মওসুমে দেশীয় ধান ও চালের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশীয় ধানচাষি কৃষকরা। এই কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যশোরের  কৃষক ও চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের চাতাল মালিকরা।

দেশীয় চাতাল মালিক আর কৃষকদের বাঁচাতে অবিলম্বে সককারকে চাল আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা।

শুল্ক ছাড়াই চাল আমদানির সুযোগ থাকায় ভারতীয় চাল দখল করে নিয়েছে দেশীয় বাজার। ফলে অবিক্রীত পড়ে আছে দেশীয় চাতালের হাজার হাজার মেট্রিক টন চাল। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এ বছর দেশের প্রায় সব অঞ্চলে আমনের ফলন বেশি হওয়া সত্ত্বেও এক শ্রেণির মুনাফা লোভী ব্যবসায়ী ভারত থেকে চাল আমদানি করে যাচ্ছেন। আর এর খেসারত গুণতে হচ্ছে গ্রাম অঞ্চলের মধ্যবিত্ত চাষিদের।

বাজারে ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রি করতে না পেরে অর্থের অভাবে অনেকে নতুন ফষলের চাষ শুরু করতে পারেনি। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা। যে কোনো সময় তারা চাল আমদানি বন্ধের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনেও নামতে পারেন।

গত ১১ মাসে শুধু বেনাপোল বন্দর দিয়েই ভারত থেকে ১ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চাল আমদানি হয়েছে। প্রায় ৩০ জন আমদানিকারক এ পথে ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন। আর এদের অধিকাংশ আমদানিকারক হচ্ছেন যশোর অঞ্চলের।

ভারত থেকে স্বর্ণা সিলকি, স্বর্ণা নন সিলকি, মিনিকেট, বিজয় ভোট ও ব্রোকেন নামে প্রায় ৮/১০ প্রকারের চাল আমদানি হচ্ছে।

এছাড়া খাওয়ার অনুপোযোগী চালও আমদানি হতে দেখা গেছে। চালের ওপর কোনো শুল্ক না থাকায় কি চাল আমদানি হচ্ছে তার ওপরও তেমন কোনো নজরদারী নেই কাস্টমস কর্তৃপক্ষের।

এদিকে, ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত থাকায় এদেশ থেকে চাল রফতানির স্বপ্ন পূরণ হচ্ছেনা ব্যবসায়ীদের। গত বছরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বাংলাদেশী চাল বিদেশে রফতানি হবে আনুষ্ঠানিকভাবে এমন কথা ব্যবসায়ীদের জানিয়েছিলেন।

পোর্ট থানা বেনাপোলের বড়আঁচড়া গ্রামের চাষি সাজেদুর রহমান বলেন, প্রতিমণ আমন ধান উৎপাদন খরচ হয়েছে ৬৮০ টাকা আর বাজারে মন প্রতি বিক্রয় দাম পাওয়া যাচ্ছে ৬৪০ থেকে ৬৬০ টাকা। প্রতি বিঘায় তাদের লোকসান হচ্ছে প্রায় ৬শ’ টাকা। তার পরেও কম মূল্যে ধান বিক্রয় করে টাকা পাওয়া যাচ্ছেনা। এমতাবস্থায় ভারত থেকে চাল আমদানি তাদের জন্য মাথায় হাত বলে জানান তিনি।

শার্শা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া বাজারের চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ময়নামতি রাইস মিলের মালিক জালাল উদ্দিন জানান, তার মিলে প্রায় শতাধিক নারী, পুরুষ চাল উৎপাদনের কাজ করেন। এবার প্রচুর পরিমাণে আমন ধানের উৎপাদন হয়েছে। গ্রামের অনেক কৃষক তাদের কাছে ধান বিক্রি করেছেন। ধান থেকে চাল প্রস্তুত প্রক্রিয়া অনেক আগেই শুরু হয়েছে। তার গুদামে প্রায় এক হাজার মেট্রিক টন চাল পড়ে আছে।

তার অভিযোগ ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত থাকায় তাদের উৎপাদিত চাল বাজারে বিক্রি হচ্ছেনা। আর চাল বিক্রি না হওয়ায় চাষিদের পাওনা টাকাও তারা পরিশোধ করতে পারছেন না। কাজ না থাকায় বেকার হতে বসেছে মিলের শ্রমিকরাও।

আল্লাহর দান রাইস মিলের মালিক মোশারেফ হোসেন বলেন, আমন চাল সংগ্রহে সরকার কেজি প্রতি ৩২ টাকা দাম নির্ধারণ করেছে। এ অবস্থায় আমাদের এক কেজি চাল উৎপাদন করতে খরচ পড়েছে ৩০ থেকে ৩১ টাকা। আর ভারতীয় চাল আমাদানি হচ্ছে ২৪ টাকা থেকে ২৮ টাকায়। বিনা শুল্কে চাল আসা অব্যাহত থাকলে অধিক মুনাফার আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা ভারতীয় চাল সরকারি গুদামে ঢুকিয়ে দিতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এজন্য তিনি অবিলম্বে চাল আমদানিতে শুল্ক বসানোর জোর দাবি জানান।

বেনাপোলের চাল আমদানিকারক নিপু হোসেন জানান, ওয়ান ইলেভেনের সময় থেকে বিনা শুল্কে ইনভয়েজ মূল্যে চাল আমদানি চলছে। দেশের বাজারে ভারতীয় চালের চাহিদা থাকায় তারা চাল আমদানি করছেন। তবে বর্তমানে যে দরে চাল আমদানি করা হচ্ছে তাতে তারা লোকসানে আছেন।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি, রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, আমদানি, রফতানি বাণিজ্যে নিয়ন্ত্রণের ওপর সংশ্লিষ্ট দফতরের আরো বেশি নজর দেওয়া উচিত। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে দেখা যায়, সেখানে কোনো পণ্যের উৎপাদন বেশি হলে তারা আমদানি বন্ধ করে দিয়ে রফতানির ওপর গুরুত্ব দেন। আবার দেশে ওই পণ্যের ঘাটতি দেখা দিলে আমদানি করেন। আমাদের দেশে এ বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, শুল্কমুক্ত প্রক্রিয়ায় ভারত থেকে চাল আমদানি হচ্ছে। বর্তমানে চাল আমদানি গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। প্রতি মেট্রিক টন চালের আমদানি মূল্য ৩৬০ থেকে ৩৭০ ডলার।

২০১৪-১৫ অর্থ বছরের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত  ১ লাখ ৬শ’ মেট্রিক টন চাল ভারত থেকে আমদানি হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।