জিলবাংলা চিনিকলের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয়

দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) সংবাদদাতা : গত ২৮ নভেম্বর বাদ জুমা  ডুঙ্গায় আখ ফেলে ১শ’ ৭১ কোটি টাকা পুঞ্জিভূত লোকসানের দায়ভার নিয়ে জিলবাংলা চিনিকলের আনুষ্ঠানিক আখ মাড়াই শুরু হয়েছে। চলতি মওসুমে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১২ হাজার ৩৭৫ মে. টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।

তবে এবারে দু’দফা বন্যা, প্রবল বর্ষণ ও জলাবদ্ধতার কারণে আখের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় মিল জোন এলাকা থেকে উল্লিখিত পরিমাণে আখ না পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য চলতি মাড়াই মওসুমে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত নাও হতে পারে। তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য মিল কর্তৃপক্ষ মিল জোনের বাইরের এলাকা থেকে আখ সরবরাহের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) মফিজউদ্দিন জানান, গত ২০১৩-১৪ আখ রোপণ মওসুমে মিল জোন এলাকার ৬টি উপজেলায় ১১ হাজার একর জমিতে আখ চাষ করা হয়। এর মধ্যে চরাঞ্চলে প্রায় ৭০ ভাগ আখের চাষ হয়। বন্যা ও প্রবল বর্ষণে জলাবদ্ধতার কারণে চরাঞ্চলের সিংহভাগ আখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জুলাই মাস থেকে তাপমাত্রা হ্রাস ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে  চরাঞ্চলের আখ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অভিযোগ পাওয়া গেছে, মিল জোন এলাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ব্যাপকহারে নিষিদ্ধ পাওয়ার ক্রাসারের মাধ্যমে  আখ মাড়াই করে গুড় তৈরি  করছে। ফলে আখ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা  অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রউফ খান জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া অন্য কোনো কারণে চিনি শিল্পে লোকসানের কথা নয়। তিনি আরও জানান আখ ক্রয় মূল্যের সাথে চিনি বিক্রির সামঞ্জস্যতা না থাকার কারণেও চিনি শিল্প লোকসান গুনছে। চলতি বছর মিল জোনের বাইরের এলাকা থেকে আখ সরবরাহ করে আখের ঘাটতি পূরণ করে মিলটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান। এছাড়াও আধুনিক পদ্ধতিতে আখচাষের  জন্য  চলতি রোপণ মওসুমে কৃষকদের মধ্যে বীজ, কীটনাশক ও সার বাবদ ১১ কোটি ৯ লাখ ৬ হাজার টাকা ঋণ বিতরণের কর্মসূচিও  গ্রহণ করা হয়েছে।