সংবাদ শিরোনামঃ

স্থানীয় সরকার ধ্বংসের নীলনকশা ** কেন মানুষ অথৈ সাগর পাড়ি দিচ্ছে, দায় কার? ** দেশকে রাজনীতিহীন করার ষড়যন্ত্র ** গণতন্ত্রহীনতা দেশকে সঙ্কটের দিকে নিয়ে যাবে ** আফগানিস্তানে শান্তির সম্ভাবনা ** গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারে ভোটাধিকারের সুযোগ দিতে হবে : বিচারপতি আব্দুর রউফ ** নরেন্দ্র মোদির সফর : বাংলাদেশের প্রত্যাশা! ** গণতন্ত্র ছাড়া দেশের উন্নতি কখনই সম্ভব নয় ** নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন প্রয়োজন ** সোনা নয়, সোনালী ফাঁস ** নিখোঁজ আর গুম ** জগতসেরা পর্যটক ইবনে বতুতা ** বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষকের মুখে হাসি নেই ** কুষ্টিয়ায় পারিবারিক কলহে নৃশংস হত্যাকাণ্ড বাড়ছে **

ঢাকা, শুক্রবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২২, ৩ শাবান ১৪৩৬, ২২ মে ২০১৫

মো. আবু তালেব
“ওমা, মাগো তোমার তো অনেক সন্তান। তুমি আমাকে নিয়ে কোনো চিন্তা করোনা। আমার যদি কিছু হয়ে যায় তুমি কোনো কষ্ট পাবে না, কেননা আমার তো অনেক ভাই আছে তাদের নিয়ে থাকবে। আজ থেকে আমি তোকে আল্লাহর পথে দিয়ে দিলাম।”

শাহাদাতের তামান্না যদি কোনো মুমিনের জীবনে থাকে, তিনি আল্লাহর পথে গাফেল হতে পারে না। কারো জীবনে তামান্না আছে কিনা তা তার কর্মতৎপরতায় পরিলক্ষিত হয়। দুনিয়ার কোনো লোভ লালসা, ভয়-ভীতি তাকে দমিয়ে রাখতে পারে না। আমিনুর রহমান ছিলো সেই আদর্শের মূর্ত প্রতিক।

৩৭ শহীদের পুণ্যভূমি। ইসলামী আন্দোলনের মদীনা নামে খ্যাত সাতক্ষীরা জেলা। ৩৭ শহীদের মিছিলে একজন নেতার প্রয়োজন হয়তো ছিলো। তাই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার প্রিয় বান্দা আমিনুর রহমানকে শহীদের মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বাছাই করেছেন।

ব্যক্তিগত পরিচয় : ১৮ মার্চ ১৯৮৪ সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ থানার রঘুনাথপুর গ্রামে মধ্যবিত্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১২ ভাই বোনের মধ্যে ১১ তম। ২১১ তম শহীদ।

 à¦¶à¦¿à¦•à§à¦·à¦¾ জীবন : শিক্ষা জীবনের হাতে খড়ি রহমতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১ম-৫ম শ্রেণী। নবযুগ শিক্ষা সোপান থেকে ২০০২ সালে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাস করেন । ২০০৪ সালে শ্যামনগর সরকারি মহসীন কলেজ থেকে এইসএসসি কৃতিত্বের সাথে পাস করেন। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ২০০৯ সালে (বি এ সম্মান) এবং খুলনা বি এল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ২০১১ সালে এম, এ (বাংলা) সমাপ্ত করেন। আমিনুর রহমান ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। স্বপ্ন ছিলো সামাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সকল স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিল জুলুমবাজ সরকারের হিংস্র থাবা।

সমাজসেবক : তিনি আন্দোলনের সাথে সাথে পরিবার ও সমাজের মানুষকে নিয়ে ভাবতেন। সমাজের সকল স্তরের মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য নিজে ছুটে যেতেন। পরিবারের একমাত্র আস্থা হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছিলো। অসুস্থ বোনকে নিজে রক্ত দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে রক্তদাতার নাম জানাতে নিষেধ করেন। এভাবে পরিবার ও সমাজের মানুষের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছে। অসুস্থ মানুষের দেখার জন্য ছুটে যেতেন হাসপাতালে ও বাসা বাড়িতে। এলাকার যেকোনো সমস্যায় আমিনুর রহমান ছুটে যেতেন তাদের পাশে এবং সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করতেন। এলাকায় সকল মানুষের আস্থার একটি নাম আমিনুর রহমান। তারা আমিনুর রহমানকে এলাকার জনগণের নেতা হিসেবে দেখতে চেয়েছিল।

আমানাতদারী ও তাকওয়া : আমানাতদারী ও তাকওয়ার ব্যাপারে নিজেকে উদাহরণ হিসেবে পেশ করেছে। নিয়মিত কুরআন হাদীস অধ্যয়ন, নফল রোজা ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার চেষ্টা করতেন। কুরআন-হাদীসের আলোকে নিজের জীবন পরিচালনায় উজ্জল দৃষ্টান্ত। আমানতের ব্যাপারে স্বচ্ছ চিন্তার অধিকারী ছিলেন। আমি, কোনো একটা বিশেষ কাজে, কিছু টাকা দিয়েছিলাম । আমি জানতাম সকল টাকা নির্দিষ্ট কাজে খরচ হয়ে গেছে। কিন্তু শাহাদাতের পরে ২ জন ভাই অর্থ সম্পাদকের কাছে ৪০,০০০/ (চল্লিশ হাজার ) টাকা ফেরত দিয়েছিলো। তারা বললো, আমিনুর ভাই শাহাদাত বরণ করার আগে এই টাকাটা আমাদের কাছে রেখেছিলো। আমিনুর ভাই টাকা রাখার পরে অর্থ সম্পাদকের সাথে সমন্বয় করে। শাহাদাতের ২ দিন পূর্ব পর্যন্ত নিজ ডায়েরিতে সংগঠনের সকল হিসাব সংরক্ষিত ছিলো। ব্যক্তিগত রিপোর্ট লেখা ছিলো ২৪.৪.১৪ পর্যন্ত।

সাংগঠনিক জীবন : ১৯৯৯ সালের মাঝামাঝি। তৎকালীন জেলা সেক্রেটারি আব্দুল আলিম ভাইয়ের কাছে কর্মী কন্ট্রাক্ট দেন। ৫ দফা কর্মসূচি, কর্মীর শর্ত, কেন শিবির করবা ইত্যাদি প্রশ্ন করার পর মেহমান আমিনুর ভাইকে কর্মী ঘোষণা করেন। সেই থেকে আমিনুর রহমান শহীদী কাফেলার কর্মী। নবযুগ স্কুল সভাপতির দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। ২০০১-০৪ সাল পর্যন্ত কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন সেক্রেটারি। সেক্রেটারির দায়িত্বরত আবস্থায় সংগঠনের সাথী শপথ নেন। ২০০৫ সালে সভাপতির দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। ২০০৭ কালিগঞ্জ পূর্ব থানা সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কঠোর পরিশ্রমে থানা শাখার কাজকে জেলার দৃষ্টি গোচরে আনতে সক্ষম হয় । পার্শ্ববর্তী থানা আশাশুনি শাখার সংগঠন মজবুতির জন্য হিজরত করিয়ে ২০০৮ সালে আশাশুনি থানা সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০০৮ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০০৯ পর্যন্ত আশাশুনি থানা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কঠোর পরিশ্রম ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে সংগঠনের মজবুত ঘাটি তৈরি করতে সক্ষম হয়। আশাশুনি দায়িত্ব পালনকালে ২০০৮ সালে সংগঠনের সর্Ÿà§‡à¦¾à¦šà§à¦š শপথ (সদস্য) নিয়েছিলো। ২০১০ সালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১১ সালে কলেজ সভাপতি হয়। নির্ভীক সাহসিকতার সহিত সরকারি কলেজের কাজকে এগিয়ে নিতে কঠোর পরিশ্রম করে। ২০১১ সালের জুন, সাতক্ষীরা শহর শাখার ছাত্রকল্যাণ ও ফাউন্ডেশন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে দিন রাত পরিশ্রম করে। ২০১২ সালে শহরের স্কুল ও প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। অমিনুর ভাইয়ের পদচারণায় শহরের স্কুলগুলো মুখরিত ছিলো। তার একটাই চিন্তা ছিলো শহরের স্কুলে কোমলমতি ছাত্রদের মাঝে ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত পৌঁছানো। ২০১৩-১৪ সাল শহরের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেক্রেটারির দায়িত্ব পালনকালে ২৭.৪.১৪.শাহাদাতবরণ করেন। শাহাদাতের পূর্ব মুহূর্ত তিনি একজন সফল সংগঠক হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। স্কুল সভাপতি থেকে শুরু করে ইউনিয়ন সেক্রেটারি, সভাপতি, থানা সভাপতি কলেজ সেক্রেটারি, সভাপতিসহ শহরের বিভিন্ন বিভাগে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। যেখানে দায়িত্ব পালন করেছে নিষ্ঠা ও পরিশ্রম প্রিয়তার কারণে সকল জায়গায় সংগঠনকে গড়তে সক্ষম হয়েছে। সে কারণে ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীলরা বার বার ভিন্ন ভিন্ন শাখা মজবুতি অর্জনের জন্য আমিনুরকে বেছে নিয়েছে। সর্বশেষ শহর স্কুল সম্পাদক থেকে শহর সেক্রেটারি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।

‘‘আল্লাহ যাকে ভালোবাসে, ফেরেস্তাদের ডেকে বলে, ওহে ফেরেস্তারা কোনো ! আমি (আল্লাহ ) ওই ব্যক্তিকে ভালোবাসি তোমরা ও ভালোবাস। ফেরেস্তারা দুনিয়ার মানুষদের ডেকে বলে, ওহে মানুষেরা কোনো ! ওই ব্যক্তিকে আল্লাহ ভালবাসে, আমরা ( ফেরেস্তারা ) ভালোবাসী তোমরাও ভালোবাস।”

আল্লাহ যাকে ভালোবাসে দুনিয়ার মানুষতো তাকে ভালোবাসবেই।

নির্ভীক ও সাহসী : সাতক্ষীরা শহর শাখায় নির্ভীক, সাহসী একটি নাম আমিনুর রহমান। সরকারি কলেজে দায়িত্ব পালন কালে প্রতিটি মুহূর্ত পেরেশানীর মধ্যে কাটাতো দায়িত্বশীলরা। কিন্তু আমিনুর রহমানের পদচারণায় মনে হতো কোনো ভয় তাকে তাড়া করতে পারিনি। অত্যন্ত সাহসী পদক্ষেপের জন্য কঠিন সময়ে ও সরকারি কলেজের অবস্থান ভালো ছিলো।

২০১৩ সালে সাতক্ষীরার আন্দোলন- সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। কেন্দ্র থেকে কোনো কর্মসূচি ঘোষণা হলেই তা বাস্তবায়নের জন্য আমিনুর রহমান সদা তৎপর। ২০১৩ সালে নব মনোনীত সভাপতি মো. রোকনুজ্জামান ভাই এর পা ভেঙ্গে যাওয়াতে ১৩ সালের কেন্দ্রীয় সভাপতি গ্রেফতার, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়, শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় আন্দোলনের যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিলো। সারা বাংলাদেশ থেকে সাতক্ষীরা বিচ্ছিন্ন আন্দোলনের অগ্রসৈনিকের দায়িত্ব পালন করেন আমিনুর রহমান। শহরের যে স্পটে মিছিল ও পিকেটিং সমস্যা ও ঝুঁকিপূর্ণ নিজে সেই এলাকা বেছে নিয়ে আমাকে ঝুকিমুক্ত স্থানে পাঠাতো।

একাধারে তিনি ছিলেন একজন ভালো অলোচক। নিয়মিত মিটিংয়ে তার অলোচনায় কর্মী ও সাথীরা খুঁজে পেত কাজের প্রেরণা ও মান উন্নয়নের আকাক্সক্ষা। অবরোধে দীর্ঘ সময় অবস্থানে জনশক্তি প্রেরণা ছিলো আমিনুর ভাইয়ের আলোচনা। সাহসী নেতৃত্ব ও আলোচনার মাধ্যমে ১৮ দলীয় নেতৃবৃন্দ ও সকল স্তরের মানুষের কাছে একজন সফল নেতা হিসেবে অল্প দিনে পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হয়।

 à¦—্রেফতার, মিছিলে গুলি ও প্রশাসনের ঘোষণা সভাপতি, সেক্রেটারিকে যেখানে পাবে গুলি করে মারবে। কোনো কিছুই যেন তাকে দমাতে পারে না। হার না মানা এক নাম। এই কঠিন পরিস্থিতির মাঝেও কেন্দ্রের সকল কর্মসূচি সফল করার ব্যাপারে আপোষহীন।

 à§§à§® জানুয়ারি ২০১৪ যৌথ বাহীনির গুলিতে শাহদাতবরণ করলো শহর শাখার কর্মী আবু হানিফ ছোটন। সকালে আমিনুর ভাইকে ছোটন ভাইয়ের বাড়িতে পাঠালাম। পরিবারের সকলকে সন্ত্বনা দিয়ে উপস্থিত শহীদের সাথীদের দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা করলো। বিকাল গড়িয়ে সন্ধার পরে লাশের কফিন পুলিশ প্রহরায় বাসায় পৌঁছায়। উপস্থিত সকলে সংক্ষিপ্ত পরিসরে জানাজার পরামর্শ দেয়। আমি, আমিনুর ভাই ও ইকবাল হুসাইন ভাই পরামর্শ করে একমত হই যে, আমাদের প্রিয় ভাই যিনি শাহাদাতবরণ করেছে, আমরা আমাদের ভাইকে এভাবে বিদায় দিতে পারি না। জানাজা পূর্ব সমাবেশ হবে, তারপর জানাজা সম্পন্ন হবে। আমিনুর ভাই অশ্রুসিক্ত নয়নে শহীদ ছোটন ভাইয়ের কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে স্মৃতিচারণ করে। স্পষ্ট ঘোষণা করে এক আবু হানিফ ছোটন নয়, প্রয়োজন হলে অনেকে শহীদ হতে প্রস্তুত, শহীদ করে আন্দোলনের অগ্রযাত্রাকে রোধ করা যাবেনা। কে জানতো দীপ্ত কণ্ঠে স্মৃতিচারণকারী ব্যক্তিটি ২ মাস পরে শাহাদাতবরণ করে নিজেই স্মৃতিচারণের পাত্র হবেন। সেদিন আমিনুর ভাইয়ের সাহসী ভূমিকায় আমরা আমাদের প্রিয় ভাইকে সকল ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে সন্তোষজনকভাবে বিদায় দিতে পেরেছিলাম।

অনুকরনীয় ও অনুসরণীয় : আমিনুর রহমান ছিলেন এক অনুকরণীয় আদর্শের নাম। ইসলামী ছাত্রশিবিরের এই নিষ্ঠাবান দায়িত্বশীল সংগঠনের জন্য সব সময় পেরেশান থাকতেন, কিভাবে সংগঠনকে এগিয়ে নেয়া যায়। বাড়ি থেকে দীর্ঘ ২০ কি. মি. কর্দমাক্ত পথ পায়ে হেটে মাসিক সাথী বৈঠক ও দায়িত্বশীল বৈঠকে কালিগঞ্জ এ আসতেন। কোনো মিটিং-এ দেরি করে আসতেন না। নরমাল জামা- কাপড় পরে, আর ভালো শার্ট-প্যান্ট ব্যাগে নিয়ে আসতেন। বৈঠকে প্রবেশের পূর্বে কাদা-পানিতে ভেজা ড্রেস পরিবর্তন করে, ভালো ড্রেজ পরে বৈঠক করতেন। ১১ মার্চ-১৪ দিনব্যাপী ওয়ার্কশপ ছিল। সন্ধ্যা ৭টায় হঠাৎ যৌথবাহিনীর আভিযান। আমিনুর ভাই সকলকে নিরাপদে সরিয়ে দিয়ে, সকলের শেষে মিটিং স্থল থেকে নিরাপদে যায়। থানা শাখায় দায়িত্ব পালন কালে ঊর্ধ্বতন শাখা থেকে ধার্যকৃত বায়তুলমাল ও এককালীন টাকা নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ করে দিতো। কোনো দিন সুপারিশ করেন নি বা সময় নেননি। প্রয়োজনে ঋণ করে পরিশোধ করেছে। শাহাদাতের ২ দিন পূর্ব পর্যন্ত নিজের ডায়েরিতে সকল হিসাব সংরক্ষিত ছিল। ২৪ তারিখ পর্যন্ত ব্যক্তিগত রিপোর্ট লেখা ছিল। কোনো দায়িত্ব দেয়ার পরে ঐ দায়িত্ব পরিপূর্ণভাবে পালন করাই ছিল একমাত্র লক্ষ। ভয়-ভীতি, ক্ষুধা ও কোনো প্রতিবন্ধকতা ওই দায়িত্ব পালন থেকে পিছিয়ে রাখতে পারেনি। আমাকে ছাড়া তিনি একা কোনোদিন খাবার খেতেন না। একান্ত সফরে থাকলে ফোন করে আমি খেয়েছি কিনা খোঁজ নিয়ে নিজে খেতেন। কোথাও ভালো কোনো নাস্তা খেলে আমার জন্য নিয়ে আসতেন।

আব্বা ও আম্মার অভিব্যক্তি : আমার সবথেকে ভালো ছেলেটাকে তারা শহীদ করেছে। মায়ের অভিব্যক্তি, আমি গর্বিত মা। আমার ছেলে অনেক আগে আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়েছিলো। সেদিন থেকে আমি তাকে ইসলামের জন্য দিয়ে দিয়েছিলাম।

এক নজরে শহীদ আমিনুর রহমান

নাম : মো. আমিনুর রহমান

মায়ের নাম : রহিমা খাতুন

পিতার নাম : মফিজুদ্দীন সরদার

স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম : রঘুনাথপুর, ডাকঘর : কৃষ্ণনগর, থানা : কালিগঞ্জ, জেলা : সাতক্ষীরা।

ভাইবোনের সংখ্যা : ১২ জন, (৮ ভাই, ৪ বোন)।

ভাইবোনদের মাঝে অবস্থান : ভাইদের মধ্যে ৭ম, ভাই-বোনের মধ্যে ১১ তম।

জন্ম তারিখ : ১৮/০৩/১৯৮৪

সাংগঠনিক মান : সদস্য।

সর্বশেষ দায়িত্ব : সাতক্ষীরা শহর সেক্রেটারি।

শাহাদাতের তারিখ ও সময় : ২৭/০৪/২০১৪, বিকাল ৪.০০।

শাহদাতের স্থান : কামাল নগর কবর স্থানের বিপরীতে মুকুলের বাড়ি, সাতক্ষীরা শহর।

সর্বশেষ পড়াশুনা : মাস্টার্স পাস সরকারি বি.এল. কলেজ (বাংলা)।

সমর্থক ও কর্মী হওয়ার সময় : ১৯৯৯ সালে সংগঠনের দাওয়াত প্রাপ্ত হন, ১৯৯৯ সালে সংগঠনের কমী।

সাথী হওয়ার সময় : ২০০৪ সালে সাথী হন।

সদস্য হওয়ার তারিখ : ০৭/০৩/২০০৮ সালে সদস্য হন।

 à¦¶à¦¹à§€à¦¦à§‡à¦° কফিন এতো ভারী, কষ্ট ও বেদনার সেদিনের আগে কোনোদিন কল্পনার তুলিতে ছবিও আঁকতে পারিনি। আমিনুর ভাই আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় ফেরার পরামর্শ দিলেন। মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিতে গেলে মা বললো! আমার ছোটন বলতো, মা আমি যদি কোনোদিন শহীদ হই তুমি যেন কেঁদো না। তোমরা দেখেছো আমি কিন্তু কাঁদিনি। আমার ছোটনের কাছে দেওয়া কথা আমি রেখেছি। মা আজ থেকে আমি তোমার “ছোটন”। তুমি আমাকে ছোটন বলেই ডাকবে।

লেখক : সভাপতি, সাতক্ষীরা শহর শিবির

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।