সংবাদ শিরোনামঃ

বেকায়দায় সরকার ** দেশে চলছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ** লতিফ সিদ্দিকীর মুক্তি : আওয়ামী লীগের মুখোশ উন্মোচন ** পাকিস্তানের এমকিউএমকে অর্থায়ন করছে ভারত : বিবিসি ** সুকৌশলে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার নীল নকশা বাস্তবায়ন করছে সরকার ** গৃহশ্রমিকের নিরাপত্তা নেই, মর্যাদা নেই ** প্রতিটি রাষ্ট্রের মূলকথা হলো গণতন্ত্র ** পবিত্র রমজানে মিথ্যা অভিযোগে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বন্ধ করা হোক ** রাজনীতির মৃত্যুপুরিতে জল্পনা-কল্পনা ** দিনাজপুরে কীটনাশক মিশ্রিত লিচু খেয়ে ১১ শিশুর মৃত্যু ** গণবিরোধী বাজেট বাস্তবায়ন অসম্ভব ** ‘জাতির সকল দুর্দিনে অতীতের মতো জামায়াতে ইসলামী তার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে’ ** ধনীর দুলাল সালমান (রা.) **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ আষাঢ় ১৪২২, ১৫ রমজান ১৪৩৬, ৩ জুলাই ২০১৫

প্রতিটি রাষ্ট্রের মূলকথা হলো গণতন্ত্র

॥ কামরুল হাসান॥
প্রতিটি রাষ্ট্রের মূলকথা হলো গণতন্ত্র। গণতন্ত্র ছাড়া কোনো রাষ্ট্রই সঠিকভাবে বিকশিত হতে পারে না। অন্যদিকে আন্দোলন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার। একটি অন্যতম রাজনৈতিক দল হিসেবে আন্দোলন করা বিএনপির অন্যতম অধিকার। কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার বিএনপির সকল আন্দোলনের পথ সুপরিকল্পিতভাবে বন্ধ করে রেখেছে। মানববন্ধন পর্যন্তও করতে দেওয়া হয়নি। এছাড়াও বিএনপির বিভিন্ন কার্যালয়ে তালাবন্ধ করে দলটির সাংগঠনিক নেতৃত্বে চরম বাধাপ্রদান করছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার।

জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় চ্যানেল আই-এর তৃতীয় মাত্রা অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা মোফাজ্জল করিম এসব কথা বলেছেন।  মোফাজ্জল করিম বলেন, অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে, বিএনপি এখনও ক্ষমতায় আসার যোগ্যতা রাখে। কারণ তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির ব্যাপক জনসমর্থন এবং যোগ্যতা এখনও বহাল রয়েছে। যদিও আওয়ামী লীগ চায় না তার একটা শক্তিশালী বিরোধীদল বিএনপি থাকুক। কারণ আওয়ামী লীগ সবসময় একটি নিজস্ব গৃহপালিত বিরোধীদল চায়।

বর্তমান রাজনীতি একপেশে বা এককধারার হয়ে যাচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,  রাজনীতিতে একপেশে-দুপেশের কথা যদি আসে, তাহলে বর্তমান বাংলাদেশে যে রাজনীতি চলছে তা পুরোপুরি এককধারায় অবস্থান করছে। এখানে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, মাঠে নামার আগে যদি কোনো দল তার বিপক্ষ দলকে মাঠে নামতে না দেয়, কিংবা তাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায় তবে সেই দল কখনই ঠিকমত দাঁড়াতে পারে না। রাজনৈতিক দল হিসেবে বর্তমানে বিএনপির মধ্যে শৃঙ্খলা, ঐক্য, সংহতি এবং সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। যার দরুন বিএনপি তার রাজনীতিতে বিভিন্ন সঙ্কটের মধ্যে নিমজ্জিত রয়েছে। এই সঙ্কট থেকে উঠে আসতে বিএনপিকে অনেক কষ্ট করতে হবে। বিএনপির এই সঙ্কটপূর্ণ রাজনীতির জন্য শুধুমাত্র বিএনপিই এককভাবে দায়ী নয়। তাদের সঙ্কটের পেছনে ক্ষমাতসীন সরকারও অনেকাংশে দায়ী। অতীতে দেখা গেছে সকল দলের সম্মতিক্রমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর এই নিয়ম ভঙ্গ হয়। এমতাবস্থায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটা বিএনপির জন্য কখনও অর্থবহ হবেনা। কারণ বিএনপি একটি সাংবিধানিক দল।

বাংলাভিশনের অপর এক টকশো ‘নিউজ এন্ড ভিউজ’-এ সাবেক সচিব মোফাজ্জল করিম বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলছে। কিন্তু এ বিচার শেষ হবার আগেই সরকারি দলের অনেকে বলছেন তার জন্যে কাশিমপুর কারাগার তৈরি। যদি কেউ অপরাধ করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করুন, সুষ্ঠু তদন্ত করুন, নিরপেক্ষ বিচার করুন, বিচারে যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে তাকে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুন। কিন্তু আগে থেকে যদি বলে দেয়া হয় তার জন্য গাজীপুরে জেল তৈরি হচ্ছে। তখন সাধারণ জনগণ মনে করবে সরকার আগে থেকেই নির্দেশ দিয়ে রেখেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যে তাকে গাজীপুরে পাঠাতে হবে।

তিনি বলেন, বিচারের আগেই রায় নিয়ে সরকারি দলের নেতারা কথা বললে, বিচার ব্যবস্থার উপর থেকে জনগণের আস্থা উঠে যাবে। যে কোনো বিচারের রায়, সেটা জেলে পাঠানোর নির্দেশ হোক আর ফাঁসির আদেশ হোক, তা আগে থেকে নির্দেশ দেয়া হলে, জনগণ আশাহত হবে। তিনি বলেন, বেগম জিয়ার বিচার কেবল শুরু হয়েছে, এখন সাক্ষী চলছে, রায় হওয়ার আগেই বেশ উচ্চ পর্যায় থেকে বলে দেয়া হয়েছে তাকে আমরা জেলে পাঠিয়ে দিচ্ছি। ফলে ২০১৯ সালে যে নির্বাচন হবে তাতে তিনি অংশগ্রহণ করতে পারবেন না এবং তার দলও অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

সরকারি দল বলেছে বিএনপিকে হোয়াইট ওয়াশ করা হবে এটা বলা ঠিক কি না জানতে চাইলে সাবেক সচিব বলেন, যে ব্যক্তি এই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তিনি ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন, হোয়াইট ওয়াশ বলতে কি বুঝিয়েছেন। হোয়াইট ওয়াশ তখনি হয় যখন দুই দল এক সাথে তিন ম্যাচ মাঠে খেলে। এক দল জিতে অন্য দল একটি খেলাতেও জিততে পারে না। সে ক্ষেত্রে যিনি বলছেন বিএনপিকে হোয়াইট ওয়াশ করা হবে, তিনি ভাবছেন দুই দল নির্বাচন করবে, অন্যদিকে আর একজন মাননীয় ব্যক্তি বলছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। ফলে দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। সাধারণ মানুষ এসব চায় না, তারা চায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন।

মোফাজ্জল করিম বলেন, দেশে এখন শান্তি বিরাজ করছে, যে কারণেই হোক দেশে এখন জ্বালাও পোড়াও নাই, সন্ত্রাস নাই, মানুষ মোটামুটি শান্তিতে রোজা রাখতে পারছে। এই রমজান মাসে এমন বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে উত্তপ্ত করার কোনো মানে হয় না। আর যে অভিযোগগুলো বেগম জিয়া করেছেন এগুলো যে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, অমুলক সেটা কিন্তু নয়।

অতি সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশের জন্য খুব একটা ভালো খবর নয়। বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা আজ বিশ্বের সবার মুখে মুখে এই সম্পর্কে কোনো সন্দেহ নাই। এতে আমরা খুশি কিন্তু এর সাথে সাথে যদি আমাদের পায়ের নিচে থেকে মাটি সরে যায় তাহলে সেই উন্নতিতে কোনো লাভ নাই।

দেশের অর্থনীতির এত উন্নতি হওয়া সত্ত্বেও কেন মানুষ অবৈধভাবে সাগর পথে বিদেশে যাচ্ছে জানতে চাইলে সাবেক সচিব বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের এক শ্রেণীর মানুষ এই পথে যাচ্ছে, সবাই না। বাকি যারা সমুদ্রে না গিয়ে হালচাষ করছে, শ্রমিকরা যারা কল কারখানাই কাজ করছে, অফিস আদালতে যারা কাজ করছে, ছোট খাটো ব্যবসা করছে তাদের মধ্যে একটা অশান্ত পরিবেশ আছে। যারা ভাগ্যের সন্ধানে অভিবাসী হয়ে অবৈধভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে বিদেশে যাচ্ছে তারা একটা নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষ। এর আগেও এরা গেছে তবে এখন যাবার পরিমাণ বেশি কারণ তাদের ভুল পথে পরিচালনা করছে এক শ্রেণির মানুষ যারা এটা থেকে ফায়দা লুটছে। তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, দেখছে লোক ঠকানোর চমৎকার একটা আইডিয়া এটা। তারা লোভ দেখিয়েছে যেখানে দিন ১’শ টাকা পাওয়া যায় না সেখানে মালয়েশিয়ায় গেলে মাসে এক লাখ পাবে। এজন্যে তাকে কিছু করতেও হবে না। এমন প্রলোভনে পড়ে সে সবকিছু হারাচ্ছে।

মন্ত্রীরা বিচার বিভাগ ও বিশ্বাসের জায়গাটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন

বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতিদিনের বক্তব্য, বিবৃতি শুনলে মনেই হয় না খালেদা জিয়া পরাজিত হয়ে গেছেন। খালেদা জিয়া যদি পরাজিত হতেন তা হলেতো তাকে উপেক্ষা করা যেতো।

বাংলাভিশনের ‘নিউজ এন্ড ভিউজ’ টকশোতে দৈনিক সকালের খবরের সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আলোচনার দিক থেকে বিএনপি কিন্তু প্রতিদিনই এগিয়ে আছে। বিএনপি নিজে যতটুকু সামনে আছে, তার থেকে আওয়ামী লীগের কথাই বেশি সামনে রেখেছে বিএনপিকে। ক্ষমতাসীনরা তাদেরকে অদম্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মনে করেন বলেই দিনের পর দিন তারা এভাবে বক্তৃতা করছেন।

সম্প্রতি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে উস্কানিমূলক ও দায়িত্বহীন বক্তব্য রাখছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খালেদাকে নিয়ে মন্ত্রীদের অতিকথনে সাধারণ মানুষ ধরেই নিবে যে, বিচারের বিষয় আগে থেকেই ঠিক হয়ে আছে। এবং তার জন্য জেল নির্ধারণ করা হয়েছে, এতে করে মন্ত্রীরা বিচার বিভাগ ও বিশ্বাসের জায়গাটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন।

তিনি মনে করেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে পরস্পরবিরোধী সংঘাতমূলক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে প্রকৃত নির্বাচনসহ সংসদকে অর্থবহ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এখনতো সংসদে আর বিরোধী দল নেই, সংসদে সরকারি দলের লোকজনই ডেকে পাওয়া যায় না, বলা চলে একদমই ফাঁকা থাকে সংসদ অধিবেশন। এসব নিয়েতো আর গর্ব করা যায় না।

সাংবিধানিকতা, আইনের সুশাসন, নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের শাসনকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করাসহ সংসদকে অর্থবহ করতে দু’দলের প্রতি রাজনৈতিক আস্থা অর্জনের পরামর্শ দেন তিনি।

তিন ‘জটের’ সমাধান আছে

ঢাকায় জলজট, যানজট, এর সাথে জড়িত হয়েছে জনজট। অর্থাৎ ঢাকাতে সারা বাংলাদেশের মানুষ অহরহ আসছে। এসব সমস্যাকে উপেক্ষা করে ঢাকাকে তিলোত্তমা নগরী বানানোর যতই চেষ্টা হবে, ঢাকা ততই ধ্বংসের মুখে চলে যাবে। সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারলে জলজট, যানজট ও জনজট সমস্যার সমাধান মিলবে।

এনটিভির ‘এই সময়’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি ও বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদ মোবাশ্বের হোসেন এসব কথা বলেন। মোবাশ্বের হোসেন প্রশ্ন রেখে বলেন, বাংলাদেশের পাশে সমুদ্র থাকার পরও কি কারণে আমাদের নেভাল হেড কোয়ার্টার ঢাকায় থাকবে? কেউ আমাকে এর উত্তর দিতে পারেননি। আর যদি নৌ-বন্দরই না থাকে তবে আমার মতে নৌ-মন্ত্রণালয়ের দরকার নেই। আর যদি তা থাকে তবে যেখানে নৌ-মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজন সেখানেই থাকা ভালো।

তিনি বলেন, নেভাল হেড কোয়ার্টার ঢাকায় রাখা হয়েছে। অথচ বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে এই হেডকোয়ার্টার সহজেই খুলনা, বরিশাল, কক্সবাজার অথবা চট্টগ্রামে রাখা যায়। এতে রাজধানী ঢাকার উপর জন-চাপ কমবে। এই টেকনোলজির যুগে যোগাযোগ ব্যবস্থা এতোটাই উন্নত যে, কোনো অসুবিধে হওয়ার কারণ নেই। অনেক প্রতিষ্ঠানের সদর দফতর ঢাকার বাইরে স্থাপিত হলে ঢাকার মতোই আরো অনেকগুলো শহর সুন্দর করে তৈরি করা যাবে।

রাজধানীর জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার জন্ম ঢাকাতেই। আমি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় থেকেছি। ধোলাইখালে নৌকা, বাংলাদেশ ব্যাংকের পিছনে ছোট ছোট লঞ্চ, এছাড়া নটরডেম কলেজের পাশ দিয়ে নদী বয়ে যেতে দেখেছি। আজ সেগুলো আমরা কালভার্টের মাধ্যমে বন্ধ করে দিয়েছি। এ কারণেই ঢাকার আশেপাশের ছোটো ছোটো খাল ও নালায় পানি জমে। ফলে সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে ঢাকা শহর।

তিনি বলেন, আমি কখনই মনে করি না রাজধানীতে কালভার্ট বানানোর প্রয়োজন ছিল। তারপরও যখন এসব কালভার্ট বানানো হলো, তখন কেন এগুলোর সংরক্ষণ ও পরিচর্যা করা হলো না? আর সংস্কার না করায় ধীরে ধীরে কালভার্টগুলো তলানি জমে জমে এগুলো ভরাট হয়ে গেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ধোলাইখাল ছিল ১৪ ফুট গভীর। এখন তলানি জমে জমে ওটা মাত্র চার ফুটে এসে ঠেকেছে। এতে নগরীর বাড়তি পানি দ্রুত সরতে না পেরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, যে বর্ষাকে আলিঙ্গন করার জন্য আমরা উন্মুুখ হয়ে থাকি, কবিতা রচনা করি, সেটা বিভীষিকাময় হতো, তাহলে আমরা তা কখনই করতাম না।

মোবাশ্বের হোসেন উদাহরণ দিয়ে বলেন, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় যত বৃষ্টিই হোক কারো বাড়িতে পানি উঠেছে বলে আমার জানা নেই। কারণ এই এলাকার সমস্ত পানি লেকে চলে যায়। সোনারগাঁও ও রূপসী বাংলার পাশেও জলাবদ্ধতার ঘটনা ঘটে না। কারণ পাশেই আছে হাতিরঝিল। সেখানকার সব পানি চলে যায়।

তিনি বলেন, অবশ্যই এই সমস্যার পরিত্রাণ আছে। মানুষই এ সমস্যার পরিত্রাণ আনতে পারে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগকে কন্ট্রোলে আনতে সময় লাগে। কিন্তু মানুষকে কন্ট্রোলে আনতে সময় লাগে না।

জলাবদ্ধতা নিয়ে দুই মেয়রের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমাদের মেয়র দুজনকে ওয়াসার চেয়ারম্যান বানিয়ে দিলেই হয়।

তিনি বলেন, সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগুলে ৬ মাসের মধ্যে যানজটের পাশাপাশি জলাবদ্ধতাও দূর করা যাবে।

ভারতকে নিয়ে রাজনীতি করার জন্য বাংলাদেশের জন্ম হয় নাই

আমরা আমাদের রাজনীতিতে শয়নে, স্বপনে, জীবদ্দশায় কখনো ভারতের পক্ষে রাজনীতি করি নাই এবং ভবিষ্যতে আর করতেও চাই না।

প্রধান বার্তা সম্পাদক সাইফুল হুদার সঞ্চালনায় এসএ টেলিভিশনের ‘লেট এডিশন’ অনুষ্ঠানে বিএনপির সাবেক এমপি মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান এ কথা বলেন।

আখতারুজ্জামান বলেন, ভারত বিএনপির জন্য এমন কিছু করে নাই যে এখন তাদেরকে নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। বিএনপি যদি ভারতকে নিয়ে রাজনীতি করতে চায়ও তাহলে আমি একা এর বিরোধিতা করব। ভারতকে নিয়ে রাজনীতি করার জন্য বাংলাদেশের জন্ম হয় নাই।

তিনি বলেন, আপনাদের অনেকেই বলছেন বিএনপি এখন ভারতপ্রেমী হয়ে গেছে, আগে কখনো ভারতের পক্ষে ছিল না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাথে আমাদের মৌলিক পার্থক্যটাই হলো তারা সব সময় চান ভারত নিয়ে রাজনীতি করতে আর আমরা চাই না। এমনকি আমরা কোনোদিন ভারতের পক্ষে রাজনীতি করি নাই আর করতে চাইও না।

গরিবের সঞ্চয়ে ধনীদের ঋণ ডাকাতি

বর্তমানে বাংলাদেশে ৫৫/৫৬টি ব্যাংক রয়েছে। এসব ব্যাংকে ৫৫ হাজার কোটি টাকা মন্দ ঋণ রয়েছে অর্থাৎ যে ঋণ কখনোই ফেরত আসার সম্ভাবনা থাকে না। গড়ে প্রত্যেক ব্যাংকে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। যার অধিকাংশই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। কারণ, ব্যাংক মানুষের উদ্বৃত্ত অর্থ আমানত হিসাবে রাখবে এবং যাদের টাকার প্রয়োজন তাদেরকে ঋণ দিয়ে লাভসহ তুলে আনবে। কিন্তু সেখানে ১০%-ই মন্দ ঋণ হিসাবে রয়েছে। ব্যাংকগুলোর এই হাল রাতারাতি হয়নি।

আহমেদ জোবায়েরের সঞ্চালনায় সময় টেলিভিশনের ‘সম্পাদকীয়’ অনুষ্ঠানে ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ এসব কথা বলেন।

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, বর্তমান সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন মন্দ ঋণের পরিমাণ ছিলো প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এ কয় বছরে তার পরিমাণ বেড়ে বর্তমানে ৫৫ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ায়। ব্যাংকের ঋণ মূলত গরিবদের জন্য কিন্তু বর্তমানে এটা ধনীদের জন্য হয়ে গেছে যা প্রফিটসহ তুলে আনার ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে দেখা যায়, গরিবরা তাদের কষ্টার্জিত টাকা ব্যাংকে সঞ্চয় করে আর সেই টাকা ধনিক শ্রেণী ঋণ ডাকাতি করে। প্রাইভেট ব্যাংকের চেয়ারম্যানরাও যে ভালো সে কথাও বলা ঠিক নয়।

তিনি হলমার্কের প্রসঙ্গে বলেন, হলমার্কের যে ট্রানজেকশন অর্থাৎ কিভাবে টাকা বের করে নিতে হবে এটি বিভিন্ন ব্যাংকারের পরামর্শেই হয়েছে। তবে ব্যাংকারদের নিজেদের সাহস নেই এমন কাজ করার। দেখার বিষয় কোন ছাতার নিচে থেকে এটা করা হয়েছে? ছাতাটি কে ধরে রেখেছিলো? আর এটা নিশ্চয়ই রাজনৈতিক মদদেই হয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলো ডোবে ভুলের কারণে

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় তারা নিজেরা নিজেদের মধ্যে কলহ সৃষ্টি করে এবং নিজ নিজ দলের ভুল-ত্রুটিগুলো অধিক হারে সমালোচনা করে। ফলে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং দলগুলোতে বিভাজনের উদ্ভব হয়। এতে করে একটি দল নিশ্চিহ্ন বা ধ্বংস হয়ে যায়।

একাত্তর টেলিভিশনের ‘একাত্তর জার্নাল’ অনুষ্ঠানে বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল এ কথা বলেন।

মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ১৯৪৭ সালে বা যখন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলো তখন মুসলিম লীগ মনে করতো এটি তাদের বিশাল অর্জন। সেসময়ে মুসলিম লীগই ছিল সবচেয়ে বড় দল। সে কারণে তারা মনেই করত পূর্ব-পাকিস্তান তাদের প্রতিষ্ঠিত, স্বাধীন এবং অর্জন করা দেশ। কাজেই তারা তাদের মতো গা ভাসিয়ে চলতেন। এমনকি তারা মূল বিষয় বা চাহিদার সঙ্গে থাকলেন না। ফলে একপর্যায়ে তারাও নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেন। একটি দল নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় সময় এবং মানুষের সাথে তাল মিলিয়ে না যেতে পারলে। আবার তাল মিলিয়ে যেতে পারলে নতুন দলও গঠন হতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা অনেকবার দেখেছি যারা দুই নেত্রীকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, একপর্যায়ে তারাই বাদ হয়ে গেলেন। তারা দুই নেত্রীর ভুল-ত্রুটি নিয়ে দলের মধ্যে বা দলের বাইরে সমালোচনা করতো। কিন্তু তাতে কি? মূল ধারার নেতৃত্বে দুই দলের নেত্রী দুই দলের মধ্যেই আছেন।

তিনি বলেন, বিএনপি কারা, কখন, কিভাবে ভাঙবে বা আদৌ ভাঙবে কিনা তা আমি জানি না। তবে খালেদা যতদিন থাকবেন বিএনপি ভাঙবে না। বিএনপি বিতর্কের নানা কারণ, নানা ¯à§à¦°à¦¾à§‡à¦¤ থাকতে পারে কিন্তু মূল ¯à§à¦°à¦¾à§‡à¦¤à§‡à¦° জায়গাটিতে বেগম খালেদা জিয়াই থাকবেন। বেগম জিয়াকে বাদ দিয়ে আরেকটি বিএনপি শক্তভাবে দাঁড়াবে এটি চিন্তা করা যায় কিন্তু চিন্তা করাটা সম্পূর্ণ ভুল। বাংলাদেশের রাজনীতির দিকে তাকালে দেখতে পাবেন বাস্তবতা কিন্তু তাই।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।