সংবাদ শিরোনামঃ

বেকায়দায় সরকার ** দেশে চলছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ** লতিফ সিদ্দিকীর মুক্তি : আওয়ামী লীগের মুখোশ উন্মোচন ** পাকিস্তানের এমকিউএমকে অর্থায়ন করছে ভারত : বিবিসি ** সুকৌশলে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার নীল নকশা বাস্তবায়ন করছে সরকার ** গৃহশ্রমিকের নিরাপত্তা নেই, মর্যাদা নেই ** প্রতিটি রাষ্ট্রের মূলকথা হলো গণতন্ত্র ** পবিত্র রমজানে মিথ্যা অভিযোগে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বন্ধ করা হোক ** রাজনীতির মৃত্যুপুরিতে জল্পনা-কল্পনা ** দিনাজপুরে কীটনাশক মিশ্রিত লিচু খেয়ে ১১ শিশুর মৃত্যু ** গণবিরোধী বাজেট বাস্তবায়ন অসম্ভব ** ‘জাতির সকল দুর্দিনে অতীতের মতো জামায়াতে ইসলামী তার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে’ ** ধনীর দুলাল সালমান (রা.) **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ আষাঢ় ১৪২২, ১৫ রমজান ১৪৩৬, ৩ জুলাই ২০১৫

সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ, শীর্ষ নিউজ : সরকারের প্রশাসন বিশাল বড়সড় হওয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন পূর্বসূরীদের মতোই গোটা মন্ত্রিপরিষদকে অন্ধকারে রেখে নিজস্ব হাই প্রোফাইল মিনি কেবিনেট নিয়ে সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছেন, এমন অভিযোগ রয়েছে। অনেক প্রভাবশালী এমনও মন্ত্রী আছেন, জানেনও না কাল কি সিদ্ধান্ত আসছে। অথচ মন্ত্রীদের দাপটে আর অহঙ্কারে গোটা সচিবালয় ও প্রশাসন তটস্থ। যে কারণে জনপ্রশাসনের কাজে নেই কোনো গতি। শেখ হাসিনার সরকার হাজারো ইনজেক্ট করেও প্রশাসনে গতি সঞ্চার করতে পারছেন না। দলীয় নেতা-নেত্রীদের তদবিরেও গোটা প্রশাসন এখন ত্যাক্ত-বিরক্ত। তার উপর আছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির একের পর এক সরকারের বৈধতা নিয়ে নানা ধারালো মন্তব্য ও বক্তব্য। সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশনে সেন্সরশিপ আরোপ করেও বিএনপির সেই সব বক্তব্য আটকানো যাচ্ছেনা। কোনো না কোনোভাবে জনগণের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি নিজেরা জনগণের কাছে যেতে পারছেনা। বিএনপি যেমন ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে বিরোধিতা করছে, ঠিক তেমনি বিদেশী দাতা ও বন্ধুদের কাছেও রয়েছে নানা প্রশ্ন। হালে এই কাতারে শরীক হয়েছে যুক্তরাজ্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকেই স্বচ্ছ ও অবাধ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে আসছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নওতো প্রকাশ্যেই উষ্মা প্রকাশ করছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরের সময় দুই নেত্রীর সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পাশাপাশি একান্তেও আলাপ করেছেন। রাজনীতিতে এই একান্তে আলোচনা নিয়ে আছে নানা সংশয়, নানা প্রশ্ন। নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনার সরকারকে প্রচ্ছন্ন সমর্থন দিলেও নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে অবগত। পার্লামেন্টে যে কারণে মোদি বক্তব্য দিতে যাননি, যদিও সরকারের তরফ থেকে এ ব্যাপারে নিশ্চিত কর্মসূচি ঠিক করা হয়েছিলো। গণতান্ত্রিক প্রথার বিপরীতে দৃষ্টান্ত মোদি স্থাপন করতে চাননি। এর বিকল্প হিসেবে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার সাথে ১৫ মিনিটের মতো যে একান্ত আলোচনা হয়েছে, সেখানে আগাম নির্বাচন প্রসঙ্গ উঠে এসেছে বলে মিনি কেবিনেটে সেই আলোচনা এখন তুঙ্গে। মোদি খালেদা জিয়ার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, আগাম সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ করবেন কিনা? আদালতে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে যে রায় আসুক না কেন, বিএনপি দলগতভাবে নির্বাচনে যাবে কিনা- যদি ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়? খালেদা জিয়া একান্ত নিজস্ব সার্কেলে সেই বক্তব্য নিয়ে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে রাজনৈতিক সহিংসতা ও জঙ্গি উত্থান ঠেকাতে বিএনপিসহ সকল দলের অংশগ্রহণে নতুন আগাম নির্বাচনে শেখ হাসিনা প্রস্তুত কিনা মোদি জানতে চেয়েছিলেন। যে কারণে শেখ হাসিনা তার মিনি কেবিনেটে সেই প্রসঙ্গ তুলে বিস্তর আলোচনাও করেছেন। মোদি শেখ হাসিনাকে বলেছেন, একদিকে তাতে যেমন সন্ত্রাস ও জঙ্গি উত্থান ঠেকানো যাবে, অন্যদিকে রাজনৈতিক সহমত স্থাপনের ফলে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। এ ছাড়াও ইউরোপসহ যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক প্রভাব কমাতে সহায়তা করবে। পোশাক শিল্পসহ বিনিয়োগের পথ উম্মুক্ত হবে। সব চাইতে বড় কথা মার্কিন লবি খুশী ও তাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।

শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদির পরামর্শকে অনেক পজেটিভ হিসেবে দেখছেন। কেননা বিপরীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মায়ানমার ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে যে নতুন এক বীজ এই অঞ্চলে বপণ করতে যাচ্ছে, তা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। চীন ও ভারতের প্রভাব রুখে দিতে মার্কিনীরা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ধীরে ধীরে এই অঞ্চলে নতুন এক রোহিঙ্গা জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় নেপথ্যের খেলা খেলছে। তাতে ‘ভারত শ্যাম রাখি না কূল রাখি’- উভয় দেশ এখন নরেন্দ্র মোদির দরজায় কড়া নাড়ছেন- এমন হিসেবের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা চাচ্ছেন নিজ দেশের মধ্যে স্থিতিশীল এক রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে। না হলে আজ নায়েক রাজ্জাক আটক হয়েছেন, কাল অন্য কিছুও ঘটে যেতে পারে। এসব হিসেব-নিকেশ এবং চাপ সামলাতে সরকার এখন নতুন আগাম নির্বাচনের দিকেই হাঁটছে। শেখ হাসিনা এক ঢিলে তিন পাখী মারতে চান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পর্দার আড়ালে যদি সমঝোতা হয়ে যায়, তাহলে জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই সকলের অংশগ্রহণে শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কিছুটা ছাড় দিয়ে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।