সংবাদ শিরোনামঃ

বেকায়দায় সরকার ** দেশে চলছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ** লতিফ সিদ্দিকীর মুক্তি : আওয়ামী লীগের মুখোশ উন্মোচন ** পাকিস্তানের এমকিউএমকে অর্থায়ন করছে ভারত : বিবিসি ** সুকৌশলে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার নীল নকশা বাস্তবায়ন করছে সরকার ** গৃহশ্রমিকের নিরাপত্তা নেই, মর্যাদা নেই ** প্রতিটি রাষ্ট্রের মূলকথা হলো গণতন্ত্র ** পবিত্র রমজানে মিথ্যা অভিযোগে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বন্ধ করা হোক ** রাজনীতির মৃত্যুপুরিতে জল্পনা-কল্পনা ** দিনাজপুরে কীটনাশক মিশ্রিত লিচু খেয়ে ১১ শিশুর মৃত্যু ** গণবিরোধী বাজেট বাস্তবায়ন অসম্ভব ** ‘জাতির সকল দুর্দিনে অতীতের মতো জামায়াতে ইসলামী তার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে’ ** ধনীর দুলাল সালমান (রা.) **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ আষাঢ় ১৪২২, ১৫ রমজান ১৪৩৬, ৩ জুলাই ২০১৫

সোনার বাংলা রিপোর্ট : জাতীয় সংসদে প্রায় ৬০ ঘণ্টা আলোচনার পর নতুন অর্থবছর ২০১৫-১৬ প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার বাজেট গত ৩০ জুন পাস হয়েছে।  গত মঙ্গলবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধরীর সভাপতিত্বে সকাল ১০টায় অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনে আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট কণ্ঠভোটে পাস হয়। তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা যোগ করলে এই বাজেটের আকার দাঁড়ায় ২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। বুধবার ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম দিন থেকে এই বাজেট কার্যকর হচ্ছে। গত ৪ জুন অর্থমন্ত্রী মুহিত সংসদে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেতা  রওশন এরশাদের উপস্থিতিতে তা পাস হয়। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বিতীয় বাজেট এটি। আর অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিতের টানা সপ্তম বাজেট।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের শুরুতেই সাতটি মঞ্জুরি দাবিতে আলোচনা করার কথা জানান। বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা এসব দাবিতে আলোচনা করেন। এবারের বাজেটে বিশাল ব্যয়ের পরিকল্পনায় আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা। এই হিসেবে বাজেট ঘাটতি দাঁড়ায় ৮৬ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। আর বিদেশী অনুদান হিসাবে ৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা পাওয়ার আশায় আছেন মুহিত। রাজস্ব আয়ের বড় অংশের জোগান আসবে আয়কর, শুল্ক ও মূসক থেকে। এনবি আর আয় করবে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত কর থেকে আসবে ৫ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা, আর কর ব্যতীত প্রাপ্তি ২৬ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। অর্থ বিল ২০১৫ পাস

২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেট পাসের আগের দিন গত ২৯ জুন সোমবার জাতীয় সংসদে অর্থবিল, ২০১৫ পাস হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কয়েকটি খাতে কর কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন। পাস হওয়া বিলে তৈরি পোশাকসহ রফতানি খাতে উৎসে কর হার নির্ধারণ করা হয়েছে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ। অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট প্রস্তাবনায় এই কর হার ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছিলেন। বর্তমানে তৈরি পোশাক রফতানিতে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ উৎসে কর দিতে হয় রফতানিকারকদের। আর তৈরি পোশাক ছাড়া অন্যান্য খাতের রফতানিতে এই কর হার শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ। এখন সব ধরনের রফতানিতে উৎসে কর শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ করা হয়েছে।

গত ২৯ জুন  সংসদে প্রধানমন্ত্রী তৈরি পোশাক রফতানি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও প্রকৌশল কলেজসহ বেশ কয়েকটি খাতে কর কমানোর প্রস্তাব করেন। পাসের আগে বিরোধী দলের সাতজন সংসদ সদস্য বিলটির ওপর জনমত যাচাই এবং দুজন সংশোধনী প্রস্তাব দেন। তবে তাঁদের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়। সরকারি দলের হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার ও শাহাব উদ্দিনের সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

সংশোধিত বিলে ন্যূনতম কর হার এলাকাভেদে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা করা হয়েছে। এর আগে বাজেট প্রস্তাবনায় এই হার সবার জন্যই চার হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু তাতে বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি ওঠে। তাই প্রস্তাবটি সংশোধন করে ঢাকা সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য পাঁচ হাজার, অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য চার হাজার এবং এর বাইরে দেশের সব এলাকার জন্য ন্যূনতম তিন হাজার টাকা কর হার নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিলে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে শুধু সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকার ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) সনদ থাকতে হবে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের টিআইএন সনদ না থাকলেও চলবে। অনলাইনে পণ্য বিক্রির ওপর ৪ শতাংশ হারে মূসক আরোপের প্রস্তাবটিও প্রত্যাহার করা হয়েছে। কমানো হয়েছে মোবাইল সিম ব্যবহারের ওপর প্রস্তাবিত সম্পূরক শুল্ক। অর্থমন্ত্রী সিম-সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছেন।

অর্থবিল সংসদে পাস হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী পোশাক রফতানিতে উৎসে কর-সংক্রান্ত নতুন বেশ কয়েকটি সংশোধনের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রীর কাছে। এর জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব মানেই নির্দেশনা। তাই তাঁর সব প্রস্তাব গ্রহণ করা হলো।’

প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে কমানো হয়েছে পোলট্রিশিল্প ও মাছ থেকে আয়ের করমুক্ত সীমা। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, পোলট্রি ও মাছের চাষ থেকে আয়ের ১৯ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত থাকবে। তবে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ এবং ৩০ লাখের ঊর্ধ্বের আয় থেকে ১০ শতাংশ হারে কর আদায় করা হবে। যদিও ৪ জুন বাজেট উপস্থাপনের দিন অর্থমন্ত্রী পোলট্রি ও মাছের চাষ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়কে করমুক্ত রাখার কথা বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর কর-সংক্রান্ত প্রস্তাবনায় ইউনানি, আয়ুর্বেদ ও ভেষজ ওষুধের উৎপাদন পর্যায়ে মূসক প্রত্যাহারের আহ্বান জানালে তাতেও সাড়া দেন অর্থমন্ত্রী।

এ ছাড়া নতুন ব্যাংক যেগুলো এখনো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি, সেসব ব্যাংকের প্রাতিষ্ঠানিক বা করপোরেট করের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ শতাংশ। যদিও বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, যেসব ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক করের হার হবে সাড়ে ৪২ শতাংশ।

কর হারে আরও যা পরিবর্তন : পাস হওয়া অর্থবিল, ২০১৫-তে শুকনা মরিচ, তেলবীজ, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত ভোজ্যতেল, চাল, চালের খুদ, গম, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনি আমদানি পর্যায়ে প্রস্তাবিত ২ শতাংশ করও প্রত্যাহার করা হয়েছে। ৪ জুন বাজেট উপস্থাপনের পর বিশেষ করে ‘চিনি ও ভোজ্যতেল’ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করায় এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কারণ, নিত্যব্যবহার্য এ দুটি পণ্য আমদানিনির্ভর। বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ৫ জুন বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘বাজেট বক্তব্যে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব নেই। তবে ভুলবশত অর্থবিলে এটি রয়ে গেছে।’ ওই দিনই মন্ত্রী আমদানি পর্যায়ে প্রস্তাবিত শুল্ক প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গতকাল তা চূড়ান্ত করা হয়।

প্রস্তাবিত অর্থবিলে বলা হয়েছিল, ভবন বা বাড়ি  নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্মাণসামগ্রী বাকিতে কেনা হলে পরবর্তী বছরের মধ্যে ওই বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। আর এখন পাস হওয়া অর্থবিলে এ ধরনের বাধ্যবাধকতা থেকে আবাসন খাতকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এদিকে পরিপূর্ণ মোটরসাইকেল আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ৪৫ থেকে ৬০ শতাংশ করা হয়েছে। ৯০ হাজার থেকে দুই লাখ বিটিইউ ক্ষমতার শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের জন্য আলাদা ‘এইচএস কোড’ তৈরি করে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও ৪ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক এবং অন্যান্য করারোপের প্রস্তাব করা হয়। ডিশ এন্টেনার কেবল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। প্রত্যাহার করা হয়েছে বইয়ের ৫ শতাংশ আমদানি শুল্কও। এর ফলে বিদেশ থেকে বই আমদানির ক্ষেত্রে আর এ শুল্ক দিতে হবে না। এতে করে জ্ঞানের জগৎ বিস্তৃত হবে বলে মনে করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

ক্ষেপে গেলেন অর্থমন্ত্রী : জনমত যাচাইয়ে নোটিশের ওপর আলোচনায় বিরোধী দলের সদস্যরা বলেন, এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিল পাস করার আগে জনগণের মতামত গ্রহণ করা উচিত। কারণ জনগণ এ সম্পর্কে অবগত নয়। পরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দাঁড়িয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে জনমত যাচাইয়ের কোনো সুযোগ নেই। কারণ সংসদ সদস্যরা জনগণের প্রতিনিধি।

অর্থমন্ত্রী সংসদে দেওয়া তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে একমাত্র বাধা রাজনৈতিক সুস্থিতির অভাব। তবে তিনি মনে করেন, ভবিষ্যতে কেউ দেশে রাজনৈতিক অস্থিতি তৈরি করতে চাইলে দেশের মানুষই তাদের জনশত্রু হিসেবে চিহ্নিত করবে। অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, প্রস্তাবিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটের ওপর ২১৯ জন সংসদ সদস্য মোট ৫৭ ঘণ্টা আলোচনা করেন।

উল্লেখ্য, প্রতি মিনিটে ৫৭ লাখ টাকা এবং প্রতি সেকেন্ডে খরচ হয়েছে ৯৫ হাজার টাকা। রাষ্ট্র পরিচালনার প্রয়োজনে জনগণের কল্যাণে অর্থ খরচ হবে এতে দোষের কিছু নেই। অবশ্য গত অর্থ বছরের বাজেট পেশের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলী খান প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘যে সংসদের ১৫৪ জন সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে বাজেট পেশ এবং পাশের ক্ষমতা আছে কি না?’ তার সেই বক্তব্য হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। মামলা, হামলা, খুন-গুম নির্যাতনের মাধ্যমে বিরোধী দলকে আন্ডার গ্রাউন্ডে পাঠিয়ে গণতন্ত্রের স্লোগানমুখর সরকার চলছে। তাই এ নিয়ে প্রশ্ন করার কোনো সুযোগ নেই।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।