অধ্যক্ষ দেলোয়ারকে জেলগেট থেকে গ্রেফতারে ডা. শফিকের নিন্দা

নাটোর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসাইন খানকে নাটোর জেলগেট থেকে গ্রেফতার করার এবং ঢাকা দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি শাহীনূর ইসলামকে ও বগুড়ায় জামায়াতের ৫ জন মহিলা কর্মী এবং খুলনা জেলার কয়রা উপজেলায় ২৪ জন ধর্মপ্রাণ রোজাদার মহিলাকে গ্রেফতার করার ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান গত ২৯ জুন এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন,

“নাটোর জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসাইন খান উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করে গত ২৮ জুন নাটোর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ তাকে পুনরায় গ্রেফতার করে জেলে ঢুকিয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শাহীনূর ইসলামকে ২৮ জুন রোজাদার অবস্থায় ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। বগুড়ার এরুলিয়ায় রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা থেকে জামায়াতের ৫ জন মহিলা কর্মী ও খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার গোবরা গ্রাম থেকে ২৪ জন ধর্মপ্রাণ রোজাদার মহিলাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে রোজাদার অবস্থায় নাটোর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসাইন খানকে ও ঢাকা দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সেক্রেটারি শাহীনূর ইসলামকে এবং বগুড়ার সদর থেকে ৫ জন মহিলা জামায়াত কর্মীকে ও খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার গোবরা গ্রাম থেকে ২৪ জন ধর্মপ্রাণ রোজাদার মহিলাকে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জালেম সরকার অন্যায়ভাবে জামায়াতের নেতা-কর্মী এবং ধর্মপ্রাণ রোজাদার মহিলাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে রমজানের পবিত্রতা ক্ষুণœ করেছে। সরকার তাদের গ্রেফতার করে অন্যায় করেছে। এ থেকেই প্রমাণিত হয় যে, সরকার রমজানের পবিত্রতা এবং ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়।

নাটোর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসাইন খান উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে মুক্তি লাভ করার পর তাকে জেলগেট থেকে পুনরায় গ্রেফতার করে সরকার দেশের উচ্চ আদালতের প্রতি অবজ্ঞা ও অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে।

খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার গোবরা গ্রাম থেকে গ্রেফতারকৃত ২৪ জন মহিলাকে গ্রেফতারের স্থান থেকে ৩টি বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করার যে কল্পকাহিনী কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হরেন্দ্রনাথ সরকার প্রচার করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। গ্রেফতারকৃতদের মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হীন উদ্দেশ্যেই পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। পবিত্র মাহে রমজানে জামায়াতের নেতা-কর্মী এবং রোজাদার ধর্মপ্রাণ মহিলাদের গ্রেফতার করে তাদের কষ্ট দেয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

নাটোর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসাইন খান ও ঢাকা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শাহীনূর ইসলামসহ জামায়াতের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মী এবং ২৯ জন ধর্মপ্রাণ রোজাদার মহিলাকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”