সংবাদ শিরোনামঃ

বেকায়দায় সরকার ** দেশে চলছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ** লতিফ সিদ্দিকীর মুক্তি : আওয়ামী লীগের মুখোশ উন্মোচন ** পাকিস্তানের এমকিউএমকে অর্থায়ন করছে ভারত : বিবিসি ** সুকৌশলে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার নীল নকশা বাস্তবায়ন করছে সরকার ** গৃহশ্রমিকের নিরাপত্তা নেই, মর্যাদা নেই ** প্রতিটি রাষ্ট্রের মূলকথা হলো গণতন্ত্র ** পবিত্র রমজানে মিথ্যা অভিযোগে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বন্ধ করা হোক ** রাজনীতির মৃত্যুপুরিতে জল্পনা-কল্পনা ** দিনাজপুরে কীটনাশক মিশ্রিত লিচু খেয়ে ১১ শিশুর মৃত্যু ** গণবিরোধী বাজেট বাস্তবায়ন অসম্ভব ** ‘জাতির সকল দুর্দিনে অতীতের মতো জামায়াতে ইসলামী তার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে’ ** ধনীর দুলাল সালমান (রা.) **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ আষাঢ় ১৪২২, ১৫ রমজান ১৪৩৬, ৩ জুলাই ২০১৫

বরিশাল নগরীতে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ায় রাস্তায় মাছ ধরছে সাধারণ মানুষ

শাহে আলম, বরিশাল থেকে : প্রবল বর্ষণে বরিশাল নগরীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে হাঁটু সমান পানি থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যে হাঁটু সমান পানি ভেঙে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চাকরিজীবী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। জলাবদ্ধ নগরীতে তাদের পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। এদিকে নগরীর নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ২ লাখ মানুষ। বরিশাল আবহাওয়া অফিস এপর্যন্ত ১৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে।

বিশেষ করে গত ২৪ জুন বুধবার রাতে ভারি বর্ণণে নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোড, বটতলা বাজার, ব্রাউন কম্পাউন্ড, কাকলীর মোড়, কাউনিয়া এলাকা এবং নাজির মহল্লায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এছাড়া নগরীর নিম্নাঞ্চল ৫নং ওয়ার্ডের পলাশপুর, রসুলপুর কলোনী ভাটারখাল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে নগরীর বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণী বিতান। বিশেষ করে নগরীর মহসিন মার্কেট ও সিটি সুপার মার্কেটে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নগরবাসীর অভিযোগ, নগরীর খালগুলো উদ্ধারের নামে সিটি করপোরেশনের লোক দেখানো কর্মকাণ্ড আর অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণেই এমন ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের তৈরি ড্রেনে পানি নিষ্কাশনের যে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে তার অধিকাংশ মুখগুলো বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সড়কের চেয়ে মুখগুলো অধিক উচু করায় সেখান থেকে পানি নামতে পারছে না। বরিশাল সাগরে নিম্ন চাপের প্রভাব ও প্রবল বর্ষণে জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। নগরীর নিচু এলাকার বেশিরভাগ বাড়ি-ঘর সমান পানি উঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে পানিতে বরিশাল শহরের অনেক দোকানপাট তলিয়ে গেছে , সকাল থেকেই নগরীতে রাস্তার উপর মাছ ধরতে নেমেছে যুবকরা এবং জেলার অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অনেক এলাকার মানুষ ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে খোলা আকাশের নিচে। সেখানেই মানবেতর দিন কাটছে তাদের। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হচ্ছে। প্লাবিত বেশ কিছু স্থানে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, অরক্ষিত বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে বিস্তীর্ণ জনপদ তলিয়ে যাওয়ার কারণে পলাশপুর, চরআবদানি, গুচ্ছগ্রাম, চরেরবাড়ির মানুষ খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। যাদের নেই নাওয়া খাওয়া কিংবা মাথা গোজার ঠাঁই। খোলা আকাশেই চুলো জ্বালিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল আলম জানান জোয়ারের ও বৃষ্টির পানিতে নিম্নাঞ্চল পানির নিচে। অন্যদিকে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক, কাকলীর মোড়, বটতলা, হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা, রুপাতলী বাসস্ট্যার্ন্ড, নথুল্লাবাদ, বি.এম কলেজ রোড, লঞ্চঘাট, ভাটারখাল, সাগরদী বাজার, বাজাররোড, আমানতগঞ্জ, সিএন্ডবি রোড, আমতলার মোড় এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এবং নগরীর বেশ কিছু পুকুর, মাছের ঘের, ও ছোট বড় হাটবাজার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত শত হেক্টর ফসলি জমি, রাস্তঘাট, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নগরীর ৫নং ওয়ার্ডের পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান জানান, প্রবল বর্ষণে পুরো এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অধিকাংশ বাসা-বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।

বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় বাসিন্দারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। কেউ বাসা থেকে বাইরে বের হতে পারছেন না। এ ব্যাপারে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রনজিৎ দত্ত জানান, অতিবৃষ্টির কারণে নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টি থেমে গেলে পানি চলে যাবে। এছাড়া যেখানে ড্রেনেজ ব্যবস্থায় ত্রুটি রয়েছে সেসব স্থান চিহিৃত করে সমাধানে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ নদীগুলোতে ছোট লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়া ছোট ছোট নৌযানকে দুই নম্বর সতর্কতা সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজার্ভার মিলন হাওলাদার জানান, বুধবার বেলা ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ মওসুমের এটি সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।