শাহ দাউদাবাদ রাস্তার বেহাল দশা

সিলেট-মোগলবাজার সড়কের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন নৈখাই-দাউদপুর চৌধুরীবাজার শাহ দাউদাবাদ রাস্তার চরম বেহাল দশা। দীর্ঘদিন যাবত এ অবস্থা থাকলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই ছবি- এম.এ খালিক

এম.এ খালিক, দক্ষিণ সুরমা থেকে : দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষের মধ্য দিয়ে নৈখাই থেকে দাউদপুর চৌধুরীবাজার পর্যন্ত চলে যাওয়া ব্যস্ততম শাহ দাউদাবাদ রাস্তাটি সম্পূর্ণভাবে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই রাস্তা দিয়ে উপজেলা পরিষদে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করার জন্য প্রতিদিন লোকজন যাতায়াত করে থাকেন।

দাউদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণকে উপজেলা পরিষদে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াতের একমাত্র এ রাস্তাটি দীর্ঘ দিন যাবৎ সংস্কার না করায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানে পিচের গালা উঠে গিয়ে শুধু চীফ পাথর দেখা যাচ্ছে। চীফ পাথরের উপর দিয়ে যখন যানবাহন চলাচল করে তখন গাড়িতে থাকা বৃদ্ধা, শিশু ও রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ভাঙ্গা রাস্তায় গাড়ি চলার সময় ঝনঝনানি শব্দে যাত্রীদের কান ঝালাপালা হয়ে উঠে। এ রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ভাঙ্গা রাস্তায় সময় বেশি লাগায় এলাকবাসীকে কর্মক্ষেত্রে আসতে বাড়ি থেকে বের হতে হয় এক থেকে দেড় ঘণ্টা আগে। বৃষ্টির পর গর্তে জমা থাকা পানি যানবাহন চলাচলের সময় পথচারীসহ সড়কের পার্শ্ববর্তী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিটকে গিয়ে ক্ষতি সাধন করছে। এলাকার জনসাধারণ মনে করছেন আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণেই রাস্তাটি সংস্কার হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজের সময় মাটি বহনকারী ট্রাক এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করলে এলাকাবাসী রাস্তার স্বার্থে বাধা প্রদান করেন। ওই সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাজ শেষ হওয়ার পর রাস্তা সংস্কার করা হবে। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ২ বছর আগে। অথচ রাস্তার সংস্কারের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এলাকার জনসাধারণের দাবি কালক্ষেপণ না করে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে যত দ্রুত সম্ভব এ সড়কটি সংস্কার করা হোক। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মহল স্থানীয় এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করছেন।