বন্যার ভাঙনের পর ঝগড়ারচর ডিসি সড়কের বেহাল দশা

বন্যার ভাঙনের পর ঝগড়ারচর ডিসি সড়কের বেহাল দশা

শওকত আলী মণ্ডল রৌমারী (কুড়িগ্রাম) থেকে : কুড়িগ্রাম জেলার ব্রহ্মপুত্র পূর্বপাড় ভারতীয় আসাম সীমান্ত ঘেঁষা রৌমারী উপজেলার ঢাকা যাতায়াতের সড়ক ও সংযোগ সড়কগুলো নির্মাণ কাজে অপরিকল্পিত, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কালভার্ট, ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই ভেঙ্গে যায় এবং স্লুইস গেট নির্মাণে সমস্যায় পড়ে এলাকাবাসী।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে রৌমারী দাঁতভাঙ্গা হতে ঢাকাগামী একমাত্র যোগাযোগ এফসি সড়ক (ডিসি) রাস্তা দাঁতভাঙ্গা হতে রাজিবপুর উপজেলার শেষ এবং জামালপুর উপজেলার প্রথম মাথা পর্যন্ত কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে ও দু’পাশে স্লাপ ভেঙ্গে এবং ২০১২ সালের ২য় বারের বন্যায় ঝগড়ারচর নামক স্থানে এফসি (ডিসি) রাস্তা ভাঙনে যাতায়াতের বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে।

দাঁতভাঙ্গা হতে ধর্মপুর পর্যন্ত ব্রিজ ভাঙন কার্পেটিং, ইটখোয়া, রৌমারী বাজার সদর হতে সুতিরপাড়া বামনেরচর খাটিয়ামারী পর্যন্ত রাস্তা ভাঙন ইটখোয়া, কার্পেটিং. রৌমারী উপজেলা হতে কলেজ রোড ফলুয়ারচর পর্যন্ত রাস্তায় ব্রিজ ভাঙন, ইটখোয়া, ও কার্পেটিং, থানা মোড় হতে মহিলা কলেজ রোড খঞ্জনমারা স্লুইস গেট হয়ে রিপ-২ রাস্তা দাঁতভাঙ্গা শালুর মোড় পর্যন্ত ভাঙন কার্পেটিং ইটখোয়া, মহিলা কলেজ মোড় হতে টাপুরচর রোড ইট খোয়া উঠে গিয়ে সকল সংযোগ সড়কের বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যাতায়াতে জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি যানবাহন চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। এলাকাবাসীর ভাষ্যে জানা যায় ১০/১৫ বছর পুর্বে ডিসি রাস্তা ও সংযোগ রাস্তাগুলো নির্মাণ এবং সংস্কার করা হয়। কালভার্ট ব্রিজ স্লুইস গেটগুলোও ২/৮ বছর পূর্বে নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে ডিসি সড়ক ও সংযোগ সড়ক গুলি সংস্কারের দেখা নেই। তবে আমরা শুনেছি সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও এলজিইডি বিভাগ থেকে সড়ক সংস্কারের কোটি কোটি টাকা দিয়েছে কিন্তু কোন কাজ দেখা যায়নি। সংস্কারের অভাবে সড়কগুলোর ইটখোয়াগুলো উঠে গিয়ে শতশত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এবং সড়কের দু’পাশে ভেঙ্গে গিয়ে মানুষের যাতায়াত ও পরিবহনের চলাচলের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। এবং ঝগড়ারচর নামক স্থানে পাকা সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় মেরামত না করার কারণে পথচারীসহ পরিবহন যানবাহনে দুর্ভোগের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। অপর দিকে রৌমারী সদর হতে সুতির পার বামনেরচর সড়কে অপরিকল্পিত ভাবে স্লুইস গেট নির্মাণে বন্যার পানিতে রাস্তার উত্তর পাশে থাকা প্রায় ১০টি গ্রামের মানুষের রোপা আমন শাক সবজি হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল বিনষ্ট হয়ে যায় এবং হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী থাকে। স্লুইস গেটের পাশে বন্যার তীব্র পানির চাপে সড়কটি বারবার ভেঙ্গে যায়। এলাকবাসীর দাবি স্লুইস গেট সংলগ্ন ভাঙন জায়গায় পরিকল্পিতভাবে একটি ব্রিজ নির্মাণ প্রয়োজন। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান জানান, এবারের বন্যায় মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবং ৬টি ইউনিয়নের ৫টি ইউনিয়নেই বেশি রাস্তাঘাট ভেঙ্গে মানুষ ও পরিবহন যাতায়াতে অনুপযোগী হয়েছে। এগুলো রাস্তাঘাট মেরামতের জন্য অতি তারাতারি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর কথা ইঞ্জিনিয়ার ও উপজেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী নাজমুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এফসি (ডিসি) রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে এবং এলজিইডি বিভাগে সংযোগ সড়কগুলা সংস্কার ও ব্রিজ কালভার্ট এর জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। অভিজ্ঞ মহল বলেন, সড়ক ও কালভার্ট ব্রিজগুলো পরিকল্পিতভাবে জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।