নন্দীগ্রামে সরকারি জায়গায় ১০টি পাকা দোকান

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের দাশগ্রাম হাট-বাজারের জায়গায় অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করছে প্রভাবশালীরা

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) সংবাদদাতা : বগুড়ার নন্দীগ্রামে সরকারি জায়গা দখল করে ইট দিয়ে পাকা ঘর নির্মাণের মহোৎসব শুরু হয়েছে। সেদিকে দেখার কেউ নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট না থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের দাশগ্রাম হাট-বাজারের জায়গায় অবৈধ দখল করে রাতের আঁধারে ইট দিয়ে ১০টি পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য শামছুল হকসহ চার ব্যক্তি। এনিয়ে বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি দাশগ্রামের হাট-বাজারের জায়গায় দোকানঘর নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। যেকোন মুহূর্তে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে এমন মন্তব্য করেছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা। তবে সরকারি হাট-বাজারের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে ১০টি পাকা দোকানঘর নির্মাণ কাজ করলেও উপজেলা প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।

গত ৪ অক্টোবর রোববার সকাল ১০টায় সরেজমিন জানা গেছে, দাশগ্রাম হাট-বাজারের জায়গায় জোর করে ১০টি পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য শামছুল হক, ওই এলাকার আমজাদ হোসেন, গোপাল চন্দ্র ও একাব্বর আলী। এর মধ্যে একাব্বর আলীর দোকানঘর নির্মাণ কাজ শেষ করে মুদি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বীরদর্পে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার ইমাম ইন্ডিয়ায় প্রশিণে গেছেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে উপজেলার দাশগ্রামের হাট-বাজারের জায়গাগুলো প্রায় লোপাটের উপক্রম। গড়ে উঠছে ইট দিয়ে পাকা দোকানঘর। স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ চার ব্যক্তি মিলে ১০টি দোকানঘর নির্মাণ করছেন। এতে কারো মাথাব্যথা নেই। বারবার উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন হাটের ইজারাদার কোরবান আলী। তিনি জানান, দোকানঘর নির্মাণে বাধা দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। গায়ের জোরে রাতের আঁধারে একের পর এক দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে হাটের জায়গা কমে যাচ্ছে। সরকারও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ব্যবসায়ী আবুল হোসেন, শহিদুল, শ্যামল চন্দ্র, আলমগীর ও মোজাম্মেল হক বলেন, রাতের আঁধারে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ চার ব্যক্তি ইট, সিমেন্ট দিয়ে পাকা ১০টি দোকানঘর নির্মাণ করলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। যে কারণে হাট-বাজারের সরকারি জায়গায় অবৈধ দখলের মহোৎসব চলছে। ইউপি সদস্য শামছুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অনেকেই সরকারি জায়গার ওপর অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছে। আমিও সে ভাবেই করছি। তবে বুড়ইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন জানান, দাশগ্রামের হাট-বাজারের সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও দোকানঘর নির্মাণ বন্ধের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। সরকারি হাট-বাজারের জায়গায় অবৈধ দখলকৃত স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।