সংবাদ শিরোনামঃ

ভোট ডাকাতির আশঙ্কা ** বাংলা সাহিত্য বিশ্বে ছড়িয়ে দিন ** দেশের রাজনীতি এখন ছাই চাপা তুষের আগুন ** বিশ্ব হিজাব দিবস পালিত ** হারলেন ট্রাম্প, টিকলেন হিলারি ** মধ্যবর্তী নির্বাচনের চাপ ** বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলেন খালেদা জিয়া ** অন্তর্দ্বন্দ্বে বিপর্যস্ত জাতীয় পার্টি ** মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা আজও পূর্ণাঙ্গ হয়নি ** শিশু নির্যাতন ও অপহরণ বন্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ** নিশ্চিত অনিশ্চয়তার মুখে দেশ ** নাজাত লাভের উপায় ** যেভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ** নড়াইল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাস করছে ** করতোয়া নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হুমকিতে তীরবর্তী স্থাপনা **

ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ মাঘ ১৪২২, ২৫ রবিউস সানি ১৪৩৭, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

শামীম খান যুবরাজ
ঘুম থেকে উঠেই বাতাবিলেবুর ছোট্ট গাছটির পাশ দিয়ে হাঁটছিলো সিয়াম। বাতাবিলেবু গাছের দিকে চোখ পড়তেই খুশিতে নেচে উঠলো সে। সিয়ামের হইচই দেখে ছুটে এলেন জমিরচাচা।

জমিরচাচা বাগানের মালি। বাড়ির সামনের ছোট্ট বাগানটির তিনিই পরিচর্যা করেন। কোমর থেকে গামছা খুলে মুখের ঘাম মুছতে মুছতে সিয়ামের সামনে এসে দাঁড়ালেন।

Ñকী দেখছো বাজান? জমিরচাচা জানতে চান।

Ñচাচা দেখুন না, বাতাবিলেবুর পাতায় দু’টো প্রজাপতির ছানা। কি সুন্দর তুলতুলে!

জমিরচাচা ভালো করে দেখে বললেন, প্রজাপতির বাচ্চা তো দেখলাম না। উড়ে গেলো নাকি?

Ñনা চাচা, প্রজাপতির ছানারা উড়তে পারেনা। তারা গাছের পাতার মধ্যেই বসে থাকে। পাতা খায়। এই যে দেখুন, সবুজ রঙের দু’টি প্রজাপতির ছানা। সিয়াম আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।

এবার চাচা খেয়াল করলেন, বাতাবিলেবুর সবুজ পাতায় সবুজ রঙের দু’টি পোকা। বসে বসে পাতা খাচ্ছে। পাতার রঙের সাথে মিশে আছে ও দু’টোর গায়ের রঙ। ভালো করে না দেখলে বোঝাই যায় না পাতায় আদৌ কিছু আছে কি না!

জমিরচাচা বললেন, তুমি ভুল করছো বাজান। এগুলো এক ধরনের পোকা। গাছের পাতা খেয়ে শেষ করে দেয়। গাছের ক্ষতি করে। তাই আমি এগুলো দেখলেই ফেলে দিই। মাঝে মাঝে কীটনাশক ওষুধ দিলেও এগুলো মরে যায়।

 Ñচাচা, প্রজাপতি স্তুপাকারে ডিম পাড়ে গাছের পাতায়। সেই ডিম থেকে শুঁয়োপোকা বা শূককীট হয়।

তারপর জমিরচাচাকে হাত দিয়ে দেখালো সিয়াম, এগুলো হচ্ছে শূককীট। কিছুদিন পর এরা মূককীটে পরিণত হবে। তখন এরা কিছু খাবে না। তার সপ্তাহখানেক পর এগুলো পূর্ণ প্রজাপতি হয়ে বেরিয়ে আসবে।

জমিরচাচা অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলেন সিয়ামের দিকে।

Ñচাচা বিশ্বাস করুন। আমি বইয়ে পড়েছি। আপনি বাবার কাছ থেকেও জেনে নিতে পারেন।

সিয়ামের কোনো কথাই জমিরচাচার বিশ্বাস হলো না। তার কাছে রূপকথার গল্পের মতো মনে হলো। পাতাখেকো একটা পোকা কীভাবে প্রজাপতি হবে! পাখা আসবে কোথা থেকে? সবুজ রঙের একটি পোকাই বা কীভাবে রঙ-বেরঙের প্রজাপতি হবে? চাচার মাথায় এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খেলো কিছুক্ষণ। তারপর বাতাবিলেবুর পাতা থেকে পোকাগুলো ফেলে দিতে চাইলে সিয়াম চাচাকে অনুরোধ à¦•à¦°à¦²à§‹Ñ à¦šà¦¾à¦šà¦¾, এরা গাছের পাতা খেলেও গাছের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। আপনি এদের মেরে ফেলবেন না প্লিজ। দেখবেন এরা প্রজাপতি হয়ে এ বাগানেই উড়ে বেড়াবে।

এবার সিয়ামের কথার গুরুত্ব দিলেন জমিরচাচা। তবে মনের ভেতর বিশ্বাস আনতে পারলেন না। তাই তিনিও উৎসাহ নিয়ে দেখতে চান, সিয়ামের কথাগুলো আসলে সত্যি কি না, নাকি নিছক কল্পকথার গল্প।

এখন থেকে প্রতিদিন ভোরেই সিয়াম বাগানে যায়। প্রজাপতির ছানাদের বেড়ে ওঠা দেখে। একদিন ভোরে সে দেখলো, একটি ছানা শূককীট থেকে মূককীটে পরিণত হলো। দেখে সিয়ামের সেকি আনন্দ! জমিরচাচাকে ডেকে এনে দেখালে তিনিও বিস্ময়ে দেখলেন। মূককীটটি পাতার নীচের অংশে ঝুলে আছে। মনে হচ্ছে ওটার মাঝখানে কেউ যেন চিকন সুতো দিয়ে বেঁধে রেখেছে।

তার দু’দিন পর অন্য ছানাটিও মূককীটে পরিণত হলো। এটাও জমিরচাচা বিস্ময়ভরা চোখে দেখলেন।

এভাবে সপ্তাহখানেক কেটে গেলো। একদিন ভোরে সিয়াম বাগানে গিয়ে দেখলো একটি মূককীটের খোলসটুকু শুধু ঝুলে আছে, প্রজাপতি নেই। মন খারাপ হয়ে গেলো তার। জমিরচাচাকে দেখালো সে। চাচা বিশ্বাস করলেন না। একটি পোকা বা কীট প্রজাপতি হয়ে উড়ে গেছে- না দেখে এ কথাটি বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি।

চাচা বললেন, পোকাটিকে কোনো পাখি এসে খেয়ে গেছে হয়তো। সিয়াম অনেক যুক্তি দিয়ে চেষ্টা করেও চাচাকে বোঝাতে পারছে না। বারান্দায় দাঁড়িয়ে সবই শুনলেন সিয়ামের বাবা।

তিনি দু’জনকে চমৎকার একটি বুদ্ধি দিলেন। বাবার বুদ্ধি দু’জনেরই মনে ধরলো। বাবার কথা অনুযায়ী জমিরচাচা বাতাবিলেবু গাছের চারপাশে চারটি খুঁটি দিয়ে বড়ো একটি মশারি টানিয়ে দিলেন।

সিয়াম মনে মনে খুব খুশি। যেভাবেই হোক জমিরচাচাকে বিশ্বাস করাতেই হবে। প্রজাপতির জীবনচক্র সম্পর্কে চাচার ধারণাকে পাল্টে দিতে হবে।

তিনদিন পর। সকালবেলা। জমিরচাচা ডাকলেন সিয়ামকে। সিয়াম ছুটে গেলো বাগানে। চোখ বড়ো বড়ো করে সে দেখলো মশারির ভেতর কালোয় লাল সাদা মেশানো একটি প্রজাপতি উড়ে বেড়াচ্ছে আর পাতার নীচে তার খোলস ঝুলে আছে।

জমিরচাচা ছোট্ট সিয়ামের কথা বিশ্বাস করলেন। সিয়াম তার বই থেকে প্রজাপতির জীবনচক্রের ছবি দেখালো জমিরচাচাকে। অভিভূত হয়ে চাচা দেখলেন আর আল্লাহর সৃষ্টির নৈপুণ্যতার প্রশংসা করে বলে উঠলেন- ‘সুবহানআল্লাহ’।

তার ক’মাস পরের ঘটনা।

একদিন ঘুম থেকে উঠে সিয়াম দেখলো, বাগানজুড়ে শত শত প্রজাপতিরা উড়ে বেড়াচ্ছে। চাচা মুচকি হেসে বললেন, এখন আমি প্রজাপতির ছানাদের যতœ করি। ওরা আদর পেয়ে বাগান ছেড়ে কোথাও যায় না।

সিয়াম খুশিতে কিছুক্ষণ ছুটোছুটি করলো প্রজাপতিদের পেছনে। প্রজাপতিতে ভরে গেছে বাগান। সিয়ামদের বাগান এখন শুধু ফুল-ফলের বাগান নয়, প্রজাপতির বাগানও।  Vrinda'>মধ্যে একটা অহঙ্কার ছিল সাহেবের আর্দালী বলে।

 

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।