সংবাদ শিরোনামঃ

ভয়াবহ ইমেজ সঙ্কটে বাংলাদেশ ** মাওলানা নিজামী খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন করবেন ** রাজকোষ কেলেঙ্কারিতে বিশ^ব্যাপী তোলপাড় ** এদেশে একদিন আল্লাহর দ্বীন বিজয়ী হবে ** কার্গো বিমান নিষেধাজ্ঞা ডাল মে কুচ কালা হ্যায় ** সরকারের বিরাজনীতিকরণ ষড়যন্ত্রে অস্থির দেশ ** আমাদের সন্তানদের ফিরিয়ে দিন ** ভোটের অন্যতম ফ্যাক্টর মুসলিম ও বাংলাভাষীরা ** বিরোধীদের ওপর হামলা অব্যাহত উল্টো পথে হাঁটছে ইসি ** সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নড়বড়ে ** সিন্ডিকেটের দৈনিক চাঁদা কোটি টাকা ** আর্থিক ও ব্যাংকিং খাত অব্যবস্থাপনার দায় সরকারকেই বহন করতে হবে ** দেশের রাজনীতিতে ছাত্রদের ভূমিকা ** মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আমাদের কবিতা ** কুষ্টিয়ায় অপরাধীদের সহজ টার্গেটে পরিণত হচ্ছে শিশুরা ** বেনাপোল কাস্টমসে অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৩০৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা **

ঢাকা, শুক্রবার, ৪ চৈত্র ১৪২২, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৩৭, ১৮ মার্চ ২০১৬

আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন

ভোটের অন্যতম ফ্যাক্টর মুসলিম ও বাংলাভাষীরা

॥ ফেরদৌস আহমদ ভূইয়া॥
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভারতের দুই প্রদেশ পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হতে যাচ্ছে ৪ এপ্রিল। এ দুই প্রদেশই বাংলা ভাষাভাষি ও মুসলিম ভোটারদের প্রাধান্য থাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের রাজনীতিতে একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তাই ঢাকা ও দিল্লির রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও পর্যবেক্ষকমহলের চোখ এখন ঐ দুই রাজ্যের ভোটের দিকে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ দুই রাজ্যেই ত্রিমুখী লড়াই হবে। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একদিকে বামফ্রন্ট তথা সিপিএম-কংগ্রেস জোট, অন্যদিকে বিজেপিও আলাদাভাবে নির্বাচনী লড়াইয়ে সামিল। তবে পশ্চিমবঙ্গে এবারই প্রথম বেশ কিছু আসনে প্রার্থী দিয়েছে ‘ওয়েলফেয়ার পার্টি অব ইন্ডিয়া’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল। আসামে লড়াই হবে তরুণ গগৈইয়ের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস, মাওলানা বদরুদ্দিন আজমলের নেতৃত্বাধীন এআইইউডিএফ ও  বিজেপির মধ্যে। তবে আসামের রাজনৈতিক সূত্রসমূহ থেকে জানা গেছে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস ও এআইইউডিএফ-র মধ্যে জোট হতে পারে। পর্যবেক্ষকমহলের অভিমত আসামে বিজেপিকে ঠেকাতে  এ দু’দলের মধ্যে নির্বাচনী জোট করতে হবে। তবে আসামে মুসলিম ভোটাররা এখনও ঐক্যবদ্ধ নয়। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মুসলিম ভোটাররা প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত। একদল কংগ্রেসের সাথে আর এক দল মাওলানা বদরুদ্দিন আজমলের ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সাথে। তাই বিজেপিকে ঠেকাতে হলে কংগ্রেস ও ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের মধ্যে ভোট জোট না হলেও উভয় দলই নির্বাচনে ভালো ফলাফল করতে পারবে না।

কিং মেকার বদরুদ্দিন আজমল

এবারের আসাম নির্বাচনের স্বঘোষিত কিং মেকার হচ্ছেন মাওলানা বদরুদ্দিন আজমল। তার দল নিখিল ভারত সংযুক্ত গণতান্ত্রিক মোর্চার (এআইইউডিএফ)  আসামের রাজনীতিতে এখন প্রধান ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে। ২০০৫ সালে গঠিত এআইইউডিএফ ইতোমধ্যে লোকসভা ও বিধানসভা দুই নির্বাচনেই ভালো ফলাফল করে এগিয়ে যাচ্ছে। এশিয়া থেকে ইউরোপ, ৩৪টি দেশে বিস্তৃত বিশাল আতর সাম্রাজ্যের অন্যতম কর্ণধার বদরুদ্দিন আজমল ২০০৫ সালে ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট গঠন (সংযুক্ত গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট) করে যোগ দেন ভোট-পলিটিকসে। মূলত আসামের ৩৬ শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু ভোটারই তাঁর ভরসা। অর্থাৎ মুসলিমরাই তাঁর ভোটব্যাংক।

আসামের হোজাইয়ে তার জন্ম হলেও ষাটোর্ধ্ব জীবনের বেশির ভাগটাই কেটেছে রাজ্যের বাইরে। পঞ্চাশের দশকে বাবা আজমল আলির হাত ধরে চলে যান মুম্বাই। সেখানে কাস এইট অবধি ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করার পর ধর্মপ্রাণ ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে বদরুদ্দিন উত্তর প্রদেশে ইসলামী শিক্ষার বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান দেওবন্দ মাদরাসায় পড়াশোনা শুরু করেন। মাস্টার্সও করেন ইসলামিক থিওরির ওপর। ধর্মচর্চা, ব্যবসার পাশাপাশি সমাজসেবা ছিল তাঁর মূল বিষয়। হুসেন মহম্মদ মাদানির জমিয়ত-উলেমা-হিন্দের প্রতিই তাঁর আস্থা ছিল প্রথম থেকেই। বিশ্বাস করুন, পৃথিবীটা শুধু মুসলিমদের বাসস্থান নয়, বরং সব মানুষের বাসস্থান।

১৯৮২ সালে মুসলিমদের মধ্যে শিক্ষার প্রসারে গড়ে তোলেন এনজিও মার্কাজুল-মা-আরিফ। পরে অবশ্য সেই সংগঠনই নাম পাল্টে হয় আজমল ফাউন্ডেশন। চারটি দাতব্য হাসপাতাল ছাড়াও বিভিন্ন সেবাকাজের সঙ্গে যুক্ত এই সংস্থার সঙ্গে কাজ করার পাশাপাশি ২০০২ সালে তিনি জমিয়তের আসাম রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হন। আজমলের অভিযোগ, বিজেপি আসামের সবাইকে ধোঁকা দিচ্ছে। হিন্দুদের খুশি করতে গিয়ে তাঁদের গত লোকসভা ভোটের সময় মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, আপাতত আসাম নিয়েই তাঁর সবচেয়ে বেশি চিন্তা। তবে এ রাজ্যের নির্বাচনের পর অন্যত্রও সাংগঠনিক মতা বিস্তারের চেষ্টা করবেন। আসামেও যে খুব বড় শক্তি তাঁরা নন, সেটাও স্বীকার করলেন। বললেন, ২০০৫-এ দল গঠনের পর ২০০৬-এ ১০টি আসনে আর ১১-তে ১৮টি আসনে জিতেছে দল। তবে গত লোকসভা নির্বাচনে ১৬টির মধ্যে কংগ্রেসের সমান তাঁরাও তিনটা আসনে জয়ী হন। সামর্থ্য অনুযায়ী এবারও ভালো ফলের বিষয়ে আশাবাদী আজমল প্রশংসা করলেন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নতির। জানালেন, ল্যান্ড বাউন্ডারি চুক্তি বাস্তবায়নে তিনি খুশি।

তরুণ গগৈ উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য আসামের ভোটে ‘আলি-কুলি’ আর বাঙালি ভোটব্যাংক ধরে রাখতে এবারও মরিয়া কংগ্রেস। আর সেদিকে ল্য রেখেই এবারের নির্বাচনে কংগ্রেসের স্লোগান : ‘১৫ বছরের বিশ্বাস, ১৫ বছরের বিকাশ!’ বিকাশ বা উন্নয়নেরও আগে কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যে অবশ্য বিশ্বাস বা আস্থাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণটাও খুব স্বাভাবিক।

আসাম বিধানসভার ১২৬টি আসনের মধ্যে প্রায় ২২ আসনে বাঙালি মুসলমানেরাই সংখ্যাগুরু। মোট ৪০টি আসনে বাঙালি মুসলমানদের ভোট আছে ৪০ থেকে ৮০ শতাংশ। এ ছাড়া প্রতিটি আসনেই কিছু না কিছু মুসলমান ভোট আছে। ভোটের রাজনীতিতে ‘আলি’ হিসেবে পরিচিত এই গোষ্ঠীর ভোটে অবশ্য এবারও ভাগ বসাতে চলেছে বদরুদ্দিন আজমলের নেতৃত্বাধীন সারা ভারত সংযুক্ত গণতান্ত্রিক মোর্চা (এআইইউডিএফ)। আবার আসামের ৩০টি আসনে চা-বাগান শ্রমিকদের ভোট আছে ৩০ শতাংশেরও বেশি। কংগ্রেসের সেই ‘কুলি’ ভোটে থাবা দিতে চায় বিজেপি। আর বাঙালি হিন্দু ভোটব্যাংক এখন বহু ভাগে বিভক্ত।

পশ্চিমবঙ্গে এবার ওয়েলফেয়ার পার্টি অব ইন্ডিয়া

পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানরা হচ্ছে শতকরা ৪০ ভাগ। পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা একজোট হয়ে যেদিকে ভোট দিবে সেদিকেই বিজয়ের পাল্লা। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে তৃণমূল কংগ্রেস মুসলমানদের কাছে টানতে পারায় তারা নির্বাচনে বিজয়ী হচ্ছে। একটা সময় পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা বামদের বিশ্বাস করে ভোট দিত সিপিএমকে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বামরা মুসলমানদের ভোট নিলেও তাদের উন্নয়নের জন্য তেমন কিছু করেনি। সাম্প্রতিক কালে সংখ্যালঘু কমিশনের এক প্রতিবেদনে তা স্পষ্ট হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা চরমভাবে অবহেলিত। তারা শিক্ষা থেকে শুরু করে চাকরি ব্যবসা বাণিজ্য সর্বক্ষেত্রেই পিছিয়ে পড়েছে। তাই সাম্প্রতিক সময়ে মুসলমানরা বামদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অপরদিকে  পশ্চিমবঙ্গেও মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ নয় এবং মুসলমানদের একক কোনো নেতা নেই।  তবে এবার পশ্চিমবঙ্গে ওয়েলফেয়ার পার্টি অব ইন্ডিয়া বিধানসভা নির্বাচনে ১৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় ওয়েলফেয়ার পার্টি তাদের প্রার্থী দিয়েছে। ২০১১ সালে গঠিত এ ওয়েলফেয়ার পার্টি অব ইন্ডিয়ার পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসায় ভোটের হিসেব নিকেশে কিছুটা হলেও পরিবর্তন হবে।

ভোট শুরু ৪ এপ্রিল : ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে একইদিনে বিধানসভা ভোট শুরু হচ্ছে। ৪ এপ্রিল দুটি রাজ্যে প্রথম দফার ভোট। তবে পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে ৬ দফায়, সাত দিনে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে। আর আসামে এক সপ্তাহ ধরে দুই দফায় দুই দিনে ভোট হবে। পশ্চিমবঙ্গে ভোট শেষ হবে ৫ মে, আসামে ১১ এপ্রিল। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার আসন হচ্ছে ২৯৪ আর আসামে ১২৬ । তবে একই সময়ে ভারতের আরো তিনটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অপর তিনটি রাজ্য হচ্ছে তামিলনাড়– কেরালা ও পন্ডিচেরি। সবকটি রাজ্যের ভোট গননা করা হবে একই দিন ১৯ মে।

আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ দুটি রাজ্যেই বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। তাই বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দুটি রাজ্যের ভোট তাৎপর্যপূর্ণ বলে গণ্য করা হয়। আসামে ভোটার সংখ্যা এক কোটি ৯৮ লাখ আর পশ্চিমবঙ্গে ৬ কোটি ৫৫ লাখ। আসামে দু’দফায় দু’দিনের ভোটে ৪ এপ্রিল হবে ৬৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে আর ১১ এপ্রিল হবে বাকি ৬১টিতে। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোট আবার দু’দিনে নেওয়া হবে। অন্যান্যবারের ভোটের সঙ্গে এবার এখানেই পার্থক্য। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফা ভোট হবে মাওবাদী প্রভাবিত জঙ্গলমহলে, অর্থাৎ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনিপুর জেলায়। ৪ এপ্রিল ১৮টি কেন্দ্রে আর ১১ এপ্রিল ভোট ৩১টি কেন্দ্রে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে শেষদফা ভোট হবে ৫ মে, ২৫টি কেন্দ্রে। এরমধ্যে বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন জেলাগুলোর অন্যতম উত্তরবঙ্গের কুচবিহার জেলাও পড়ছে। কিন্তু সাধারণত কুচবিহার ও উত্তরবঙ্গের অন্য ৫টি জেলার ভোট গোড়ার দিকেই নেওয়া হয়। এবার তার ব্যতিক্রম বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যা, গতবছর কুচবিহারের কিছু ছিটমহল বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে এসেছে। সেখানকার বাসিন্দারা যাতে এবার ভোট দিতে পারেন তার ব্যবস্থা করতে সময় লাগবে। তাদের জন্য সচিত্র ভোটার তালিকা তৈরি করছে কমিশন। সেগুলো ভোটারদের মধ্যে বিলি করতে হবে।

পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় দফা ভোট হবে ১৭ এপ্রিল ৫৬টি কেন্দ্রে, তৃতীয় দফা ভোট হবে ২১ এপ্রিল ৬২টি কেন্দ্রে, ৪র্থ দফা ভোট হবে ২৫ এপ্রিল ৪৯টি কেন্দ্রে ও পঞ্চম দফা ভোট হবে ৩০ এপ্রিল ৫৩টি কেন্দ্রে। কলকাতায় ভোট ২১ ও ৩০ এপ্রিল।

২০১১-এর আদমশুমারি অনুযায়ী, আসামের জনসংখ্যার প্রায় ২৭ শতাংশ মুসলিম। ৩১ শতাংশেরও বেশি মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। এ ছাড়া রয়েছেন বোড়ো, ডিমাসা, রাভা, চা জনজাতিসহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠী। ফলে এখানকার নির্বাচন জাতপাতের প্রভাবমুক্ত হওয়া খুব কঠিন। আর এটাই ভাবাচ্ছে সব কটি রাজনৈতিক দলকেই। তবে বিরোধীরা একাট্টা না হওয়ায় ভোটের পাটিগণিতে কংগ্রেস কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।