সংবাদ শিরোনামঃ

ভয়াবহ ইমেজ সঙ্কটে বাংলাদেশ ** মাওলানা নিজামী খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন করবেন ** রাজকোষ কেলেঙ্কারিতে বিশ^ব্যাপী তোলপাড় ** এদেশে একদিন আল্লাহর দ্বীন বিজয়ী হবে ** কার্গো বিমান নিষেধাজ্ঞা ডাল মে কুচ কালা হ্যায় ** সরকারের বিরাজনীতিকরণ ষড়যন্ত্রে অস্থির দেশ ** আমাদের সন্তানদের ফিরিয়ে দিন ** ভোটের অন্যতম ফ্যাক্টর মুসলিম ও বাংলাভাষীরা ** বিরোধীদের ওপর হামলা অব্যাহত উল্টো পথে হাঁটছে ইসি ** সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নড়বড়ে ** সিন্ডিকেটের দৈনিক চাঁদা কোটি টাকা ** আর্থিক ও ব্যাংকিং খাত অব্যবস্থাপনার দায় সরকারকেই বহন করতে হবে ** দেশের রাজনীতিতে ছাত্রদের ভূমিকা ** মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আমাদের কবিতা ** কুষ্টিয়ায় অপরাধীদের সহজ টার্গেটে পরিণত হচ্ছে শিশুরা ** বেনাপোল কাস্টমসে অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৩০৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা **

ঢাকা, শুক্রবার, ৪ চৈত্র ১৪২২, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৩৭, ১৮ মার্চ ২০১৬

॥ কামরুল হাসান॥
বাংলাদেশ ব্যাংকের আটশ কোটি টাকা লুটে নেওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নড়বড়ে। এ ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা কতটা দুর্বল। এর আগেও এ সরকারের আমলেই হলমার্ক কেলেঙ্কারি করে সোনালী ব্যাংক থেকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা লুটে নেওয়া হয়েছে। এখন আবারও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা লুটের ঘটনা ঘটল। এ অবস্থায় সরকার যদি সত্যি কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারে, তবে কে এর দায়দায়িত্ব নেবে? কারণ লুটে নেওয়া অর্থ সাধারণ মানুষের গচ্ছিত অর্থ।

গত ৮ মার্চ মঙ্গলবার রাতে আরটিভি চ্যানেলের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনাভিত্তিক টক শো নিটল টাটা আওয়ার ডেমোক্রেসি অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন আওয়ামী লীগের  কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন।

অর্থমন্ত্রীর মামলা করা প্রসঙ্গে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, মামলা করেই যদি টাকা আদায় হতো, তবে হলমার্ক, ডেসটিনি থেকে এখনো টাকা উদ্ধার হচ্ছে না কেন? যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভে রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের স্থিতি থেকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হ্যাকাররা অর্থ লুট করে নেয়। ফিলিপাইনের  দৈনিক দ্য ইনকোয়েরারের হিসাব মতে, এর পরিমাণ প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। প্রথম দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে কোনো কিছু না জানালেও বিদেশী গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর এর সত্যতা স্বীকার করে নেয়। তবে লুট হওয়া টাকার পরিমাণ কত, টাকা আদায়ে এবং রিজার্ভের সুরায় কী পদপে নেওয়া হচ্ছে- এ বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট  কোনো তথ্য দেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃপ।

কেন বাংলাদেশ ব্যাংক এ ধরনের আচরণ করল তদন্ত করতে হবে

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য মনে হয় ফেইক রিকুইজিশন পাঠানো হয়েছিল। আর ওই রিকুইজিশনের সূত্র ধরেই এত বিপুল পরিমাণ অর্থ রিজার্ভ ফান্ড থেকে লুটে নেওয়া হয়েছে। এই টাকা যেহেতু কোনো ব্যাংকিং চ্যানেলে নেই তাই ফেরত আনা নিয়ে অনেক সন্দেহ-সংশয় রয়েছে। আবার ঘটনা ঘটেছিল মধ্য ফেব্রুয়ারিতে। এরপর প্রায় এক মাস পার হয়ে গেলেও বাংলাদেশ ব্যাংক তা কেন অর্থমন্ত্রী, সচিব বা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেনি, তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কাজটি ঠিক করেনি। তারা স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বা অটোনমাস বডি- ঠিক আছে। তার পরও তো এত বড় একটি ঘটনা লুকিয়া রাখা যায় না। কেন বাংলাদেশ ব্যাংক এ ধরনের আচরণ করল তারও তদন্ত হতে পারে।

সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় গত ১৩ মার্চ রোববার রাতে চ্যানেল আইয়ের সংবাদ পর্যালোচনাভিত্তিক টক শো গ্রামীণফোন আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বিরুদ্ধে সরকারের মামলা প্রসঙ্গে এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘মনে হয় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ আন্তর্জাতিক তদন্ত ছাড়া এ ধরনের মামলা করা যাবে না। আর আমাদের এখান থেকে যে ফেইক রিকুইজিশন পাঠানো হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে কিছুই বলছে না।’

সরকারের অনেক তদন্ত কমিটি করার উদ্যোগ প্রসঙ্গে মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, এটা মনে হয় ভেবেচিন্তে করা ভালো। কারণ একাধিক তদন্ত সংস্থা হলে একটি গোঁজামিল তৈরি হতে পারে। এক সংস্থা তদন্তকালে বলবে এটা ঠিক, অন্যরা বলবে ওটা ঠিক। তখন প্রকৃত কারণ হয়তো উদঘাটনে সমস্যা থেকেই যাবে। এখন যেই তদন্ত বা যেকোনো উদ্যোগই নেওয়া হোক না কেন, সব কিছু আগে থেকেই বুঝেশুনে করা উচিত। না হয় অতীতের হলমার্ক, ডেসটিনি বা আরো যেসব অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনার তদন্ত হয়েছে, তার মতো ধীরগতি হতে পারে। প্রাথমিক তদন্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটির দুর্বলতার বিষয়টি উঠে এসেছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রযুক্তিগত নিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি থাকার কারণেই এমনটি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পুরো সিস্টেমে দুর্বলতাসহ দ জনবলের অভাব ছিল। যারা আছে তাদের সেভাবে প্রশিতি করা হয়নি। এ ঘটনার পর বাংলাদেশ ব্যাংককে আরো কঠোর হতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক কেলেঙ্কারি গণমাধ্যমের জন্য প্রথম অভিজ্ঞতা

বাংলাদেশ ব্যাংক কেলেঙ্কারির যে ঘটনাটি ঘটেছে তার জন্য বাংলাদেশের আইটি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে অন্তত একটা বৈঠক করা যেত। অনেক আগেই এই বৈঠকটি করা উচিত ছিল। সবাইকে জানিয়ে জানতে চাওয়া উচিত ছিল জাতির এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে আমরা কি করতে পারি?

গত ১২ মার্চ শনিবার বাংলা ভিশনে প্রচারিত ‘নিউজ এন্ড ভিউজ’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংক কেলেঙ্কারি এবং বিদেশীদের উপর নির্ভরতা সম্পর্কে দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান এ কথা বলেন।

নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, এই ঘটনাটি গণমাধ্যমের জন্যও প্রথম অভিজ্ঞতা। সবাই কিন্তু একই যোগ্যতা নিয়ে সংবাদটি তুলে আনতে পারেনি। তবে এই যে প্রায় একমাস ব্যাপারটি গোপন রাখতে পারল বাংলাদেশ ব্যাংক এটি কিন্তু একপ্রকার সাংবাদিকতার দুর্বলতাও। এটা আমাদের জানাশোনার বাইরে, আমরা ফ্রেমে নেই। এখানে কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আমাদের টেকনিক্যাল লোকজন আমাদের সাহায্য করার কথা। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকতো সম্পূর্ণ চুপ। আর আমাদের না জানার যে বিষয়টি, ব্যাংকিং সচিব বলেছেন তিনি অন্তত ছয়টা মিটিং করেছেন। ছবিতে দেখা গেছে তিনি নানান বিষয় নিয়ে হাসাহাসি করছেন। আর এই বিষয়টি জানাননি। ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির জন্য যদি ব্যাংকের এমডিকে পদত্যাগ করার কথা বলা যায় তবে একই নৈতিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্পূর্ণ ম্যানেজমেন্টের পদত্যাগ করা উচিত।

উন্নয়নের নামে আমাদের বিষপান করানো হচ্ছে

আমাদের বলা হয় উন্নয়ন হচ্ছে, তাতে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু আমি সবিনয়ে বলব সন্দেহ আছে। আমরা কোন কিছুর ভেতরে প্রবেশ করি না। প্রথমে বাইরে দেখেই বলি, কিন্তু ভেতরে ব্যাখা বা বিশ্লেষণ করলে অন্য কিছু দেখা যায়, আসলে উন্নয়ন হচ্ছে কী? আমার মতে না। উন্নয়নের নামে আমাদের বিষপান করানো হচ্ছে।

গত ১২ মার্চ শনিবার সময় টেলিভিশনের ‘উন্নয়ন ও সুশাসন’  শিরোনামের টকশোতে এমন মন্তব্য করেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ এর অধ্যাপক সলিমুল্লাহ্ খান। অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন  তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ।

সলিমুল্লাহ্ খান বলেন, আমি মনে করি উন্নয়নের নামে আমাদের বিষপান করানো হচ্ছে। যেমন ধরেন একজন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী সুন্দরবনের আন্দোলন নিয়ে বলে, না জেনে আন্দোলন করছে, তিনি একাই জানেন? রামপাল বা অন্য স্থানে এই সুন্দরবন নিয়ে একটা প্রতিবেদন বের হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে সুন্দরবনে ডলফিন থাকবে না, বাঘ থাকবে না, কিন্তু মানুষের কি হবে সেটা কেউ বলছে না। এটা কার স্বার্থে? কেন করা হচ্ছে?

তিনি আরো বলেন, আমি বিদ্যুতের বিরুদ্ধে না, এটা আমাদের দরকার কিন্তু তাই বলে বিদ্যুৎ আমাদের কয়লা দিয়ে আনতে হবে? এটাই যে একমাত্র পথ এমন কথা কেউ বলে নাই। তাহলে তো পশ্চিম বঙ্গে হতে পারত।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ্ খান বলেন, আমরা বিশ্ব অর্থনীতির কথা বলি তবে বিশ্ব অর্থনীতি কোথায় কিভাবে কাজ করছে তা দেখি না। একটা উদাহরণ দিই। যেমন- বস্ত্র তৈরিতে গার্মেন্টস শ্রমিকরা যে যন্ত্র ব্যবহার করেন মার্কিন শ্রমিকরাও একই যন্ত্র ব্যবহার করেন। পণ্যের গুণগত মানও প্রায় সমান কিন্তু বেতন এত কম যার কারণে মালিকরা অধিক লাভবান হয়। তুলনামূলকভাবে সব ঠিক থাকলেও আমাদের দেশের শ্রমিকের বেতন ২০ গুণ কম। এটা তো শোষণ, আমরা এটাকে শোষণ না বলে বলছি উন্নয়ন।

অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, সুন্দরবন বেদখল হয়ে যাচ্ছে এটা কেমন কথা? বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা বেদখল হয়ে যাওয়া আর সুন্দরবন বেদখল হয়ে যাওয়া এক কথা নয়। এই জন্য বলেছি উন্নয়নের মধ্যে যে সমস্যা আছে সেটা আমরা দেখতে পারছি না বলে সুশাসনের মধ্যে যে সমস্যার উৎপত্তি কোথায় সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি না।

তিনি আরও বলেন, দেখেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্যাতন করা যায় না কারণ তাদের আইনে বাধা আছে, কিন্তু বাংলাদেশে নির্যাতন প্রকাশ্যে করা হচ্ছে। অর্থাৎ এখানে যেটা ঘটতে পারে সেটা মার্কিন রাষ্ট্রে ঘটছে কালোদের ক্ষেত্রে। তাদেরকে পুলিশ গুলি করে মারছে এই জন্য কিন্তু তাদের জনগণও অন্দোলন করছে। বাংলাদেশেও তো এমন কত ঘটনা ঘটছে কিন্তু আমরা এই গুলোকে অনুমোদন করে দিচ্ছি।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী নজিরবিহীন

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেকে বিজয়ী হয়েছেন এমন নজির থাকলেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার নজির বাংলাদেশে মনে হয় কমই আছে। এখন প্রথম ধাপে অনেক ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ৬৩টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যানরা নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এতে প্রথম ধাপের ৯ শতাংশ ইউপিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকল না। এটা প্রথম তৃণমূল পর্যায়ে দলীয়ভাবে ইউপি নির্বাচন। এ জন্যই এমন হয়েছে- এটা অনেকে মনে করতে পারেন। কিন্তু এমন চলতে থাকলে আগামী দিনে গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠা পাবে না। কারণ ইউনিয়ন পরিষদ হলো দেশের সবচেয়ে ছোট প্রশাসনিক ব্যবস্থা। যদি সেই তৃণমূলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হয়, তবে দেশের শীর্ষ পর্যায়ে কিভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে। গত ১১ মার্চ শুক্রবার রাতে আরটিভি’র সমসাময়িক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনাভিত্তিক টক শো নিটল টাটা আওয়ার ডেমোক্রেসি অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক ড. ফেরদৌস আহমেদ এসব কথা বলেন। সাংবাদিক সেলিম ওমরাও খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন দৈনিক সমকালের সাবেক ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাংবাদিক আবু সাঈদ খান ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওয়াহিদুজ্জামান।

সাংবাদিক আবু সাঈদ খান বলেন, ‘প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ সরকারই নির্বাচিত হয়ে মতায় এসেছে। সেটা কোনো বড় কথা নয়। কথা হলো কেন এমনটা হচ্ছে? হয় যেসব এলাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছে, সেখানে কোনো প্রার্থী ছিলেন না বা যাঁরা প্রার্থী হতে চেয়েছেন তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি। যদি পরের খবরটি সত্য হয়, তবে আমাদের কথা হলো, এটি যেহেতু দলীয় প্রতীকের প্রথম নির্বাচন, সেখানে আগে দলের মধ্যেই গণতন্ত্র আছে কি না তা ভেবে দেখতে হবে। যদি দল সেটাকে গ্রহণ করে, তবে সেটা তাদের ব্যাপার। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে আগে দলের মধ্যে গণতন্ত্র রা করতে হবে, পরে অন্য কোথাও।’ সামনে দুটি বড় দলের জাতীয় কাউন্সিল। এ প্রসঙ্গে ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, জাতীয় সম্মেলন হলো দলকে সংগঠিত করার ব্যবস্থা। একটি দল দুই বছর বা তিন বছর পর এ ধরনের জাতীয় সম্মেলন করে থাকে। এখানে মতাসীন দল কিভাবে সম্মেলন করছে সেটা বড় না হলেও সবার নজর বিএনপির সম্মেলনের দিকে। কারণ তারা এখন মতায় নেই। দেখা যাচ্ছে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের তথা চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। এখন অন্য পদগুলোতেও তাঁদের মনোনীতরাই নির্বাচিত হবেন। সেখানে আদতে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। চেয়ারপারসন বা সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের মনোনীতরাই সুযোগ পাবেন। এর পরও এভাবে সম্মেলন হলে নেতাকর্মীরা উৎসবমুখর হয়।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।