রেজি : ডিএ ৫১৭ ॥ ৬৩ বর্ষ : ৩য় সংখ্যা ॥ ঢাকা, শুক্রবার, ২২ চৈত্র ১৪৩০ ॥ ২৫ রমজান ১৪৪৫ হিজরী ॥ ৫ এপ্রিল ২০২৪

॥ একেএম রফিকুন্নবী॥
মহান আল্লাহর শেষ নবী মুহাম্মদ সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমাদান মাসের রোজা পেল, কিন্তু তার গুনাহ মাফ করাতে পারলো না, তার ওপর আল্লাহর লানত। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে বা শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। তার জন্য দুনিয়ায় যেমন খাওয়া-পরা, চলাফেরা, নদনদী, পাহাড়-পর্বত, গাছপালা, শস্য-শ্যামল আবাসস্থল বানিয়েছেন; যুগে যুগে নবী-রাসূল আ. পাঠিয়ে বাস্তব জীবনে আল্লাহর বাণী প্রচার ও প্রসার ঘটিয়েছেন আবার আখিরাতে সীমাহীন সুখ-শান্তিতে ভরা জান্নাত বানিয়েছেন মানবজাতির কল্যাণের জন্য। সেই আল্লাহ যদি কারো প্রতি লানত দান করেন, তাহলে কত ভয়াবহ অবস্থা। আর আল্লাহ তায়ালা তার সৃষ্টির সেরা মানবজাতি কল্যাণই করতে চান। ফলে ১২ মাসের সেরা রমাদানে সাওয়াবের পরিমাণ ৭০-৭০০ গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, রমাদানে রোজা পালনকারীদের সাওয়াব আল্লাহ তায়ালা হিসাব করে দেবেন না, তিনি খুশি হয়ে বান্দাকে যত খুশি তত প্রতিদান দেবেন এবং রোজাদারদের জন্য জান্নাতে ৮ দরজার মধ্যে ‘রাইয়ান’ নামের দরজা নির্দিষ্ট করে রেখেছেন। এ দরজা দিয়ে শুধুমাত্র রোজাদাররাই প্রবেশ করতে পারবেন। রোজাদাররা এ দরজা দিয়ে প্রবেশের পরপরই দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে আর খোলা হবে না। রোজাদাররা নিয়ামতভরা জান্নাতে সীমাহীন সময়ের জন্য অবস্থান করবেন তার সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে।
তাই রমাদান আমাদের থেকে চলে যাচ্ছে আর কয়েকদিন মাত্র বাকি। এর মধ্যে আল্লাহর ঘোষণা রমাদানের শেষ দশকে বেজোড় রাতের একটি দিনকে হাজার মাসের চাইতে উত্তম বলে ঘোষণা দিয়েছেন। অর্থাৎ এক রাত ইবাদত করলে বান্দা হাজার মাসের চাইতেও উত্তম সাওয়াবের ভাগিদার হবেন। বেজোড় রাত ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। সামনের দিনগুলো আমাদের হেলায় হারানো যাবে না। বেজোড় রাতের সন্ধানে ইতোমধ্যে অনেকেই ‘এতেকাফ’ করার জন্য মসজিদে মসজিদে জড়ো হয়েছেন। দুনিয়ার সব কাজ ফেলে শুধুমাত্র শবেকদর পাওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক ইবাদতে মশগুল থাকার জন্য মসজিদে অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে ফরজ ৫ ওয়াক্ত নামায ছাড়াও রাতে ‘কিয়ামুল লাইল’ পড়ছেন, তাহাজ্জুদ পড়ছেন। তারাবি পড়ছেন। এ সময় ইমাম সাহেবগণ তারাবিতে সুললিত কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত করছেন, যা মানুষকে কুরআনের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিতে সহায়ক হচ্ছে। অনেক মসজিদে তারাবির পূর্বে ঐদিনে পঠিত কুরআনের অর্থ ইমাম সাহেবগণ বর্ণনা করছেন এবং আমাদের শিক্ষণীয় বিষয় বর্ণনা করছেন। কুরআনের আলোকে জীবন গড়ার তাগিদ দিচ্ছেন। মানুষ যাতে কুরআনে বর্ণিত বক্তব্যের আলোকে গোটা জীবন পরিচালিত করতে পারেন, তার বয়ান ইমাম সাহেবগণ তুলে ধরছেন। এ এক অপূর্ব সুযোগ কুরআনকে আয়ত্তে এনে তা পালনের ব্যবস্থা করা।
অনেক মসজিদে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ‘এতেকাফ’ বসা লোকদের খাওয়া থাকার সুব্যবস্থা করছেন। খুবই প্রশংসার দাবিদার। দেশের সব মসজিদে সরকারের উদ্যোগে এ ব্যবস্থা নিলে জাতি উপকৃত হবে। সরকার ও জনগণ একসাথে মহান আল্লাহর দেয়া এ গুনাহ মাফের মাস, কুরআন নাজিলের মাস উদযাপন করে জাতিগতভাবেই আমরা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের সাথে শরিক হয়ে যাব। মহান আল্লাহ আমাদের দেশের প্রতি রহমত ও বরকতের ভাণ্ডার খুলে দেবেন, আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণে ভরে দেবেন।
রমাদানের গোটা মাসটাই ব্যক্তিগতভাবে পারিবারিকভাবে, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের উদ্যোগ নিলে আমরা সবাই উপকৃত হব। কল্যাণের  ভাগিদার হব, ইনশাআল্লাহ। এ মাসে বিশেষ করে শেষ দশকে সারাক্ষণ পড়তে হবে, আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি অর্থ ‘হে আল্লাহ তুমি ক্ষমাকারী, ক্ষমাকে তুমি পছন্দ কর, অতএব আমাকে ক্ষমা করে দাও।’
রমাদানের লক্ষ্য উদ্দেশ্য বর্ণনা করে দেশের মিডিয়াজগৎকে কাজে লাগাতে হবে। পত্রপত্রিকায় বিশেষ সংখ্যা বের করে কুরআনের শিক্ষা রমাদানের মধ্যে পালনের দিকগুলো তুলে ধরার ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থাৎ রমাদান মাসকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আমাদের ঘটে যাওয়া গুনাহ মাফের সব দরজা খুলে দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। বান্দা মাফ চাইলে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের গুনাহ মাফ করে দেবেন। নবী মুহাম্মদ সা. বলেছেন, ‘রমাদানে বান্দার চাওয়া সব গুনাহ মাফ করে দেবেন। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ দেবেন। মনে হবে রমাদানের মাসে বান্দা গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে মায়ের পেট থেকে শিশু জন্মের অবস্থায় নিষ্পাপ অবস্থায় পৌঁছে যাবে।’ আমরা অবশ্যই পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চাই।
এ রমাদানে আল্লাহ দুটি বিশেষ পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছেন। মানুষের ২টি পুরস্কারের একটি হলো রোজাদারের ইফতারের সময় গুনাহ মাফ করে দেবেন। আর একটি পুরস্কার-আখিরাতে, যা হলো কিয়ামতে আল্লাহ বান্দাদের সরাসরি সাক্ষাৎ দেবেন। আমরা উভয়টিই পাওয়ার আশা করব, ইনশাআল্লাহ।
ইতোমধ্যেই দেশের আনাচে-কানাচে রমাদান পালনের জন্য ঘরোয়াভাবে, সামাজিকভাবে ও দলীয়ভাবে ইফতারের ব্যবস্থা আমাদের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। ইফতারপূর্ব জনগণের উদ্দেশে ইসলাম অনুযায়ী জীবন পরিচালনার ঘোষণা প্রচারিত হচ্ছে। মানুষ কুরআনের বাণী অবহিত হয়ে তা পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
কয়েকদিন পূর্বে হোটেল সোনারগাঁওয়ে একটি ইফতার পার্টিতে শরিক হওয়ার সুযোগ হয়েছিল। অপূর্ব দৃশ্য। সমাজের উচ্চপর্যায় থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সাংবাদিক, সমাজ পরিচালনার সাথে জড়িত শত শত লোকের সমাবেশ দেখে মনে হয়েছে, মহান আল্লাহ আমাদের এ দেশকে কবুল করেছেন তাঁর দেয়া কুরআনের আলোকে সমাজ গড়ার জন্য। আয়োজকরা তাদের মন উজাড় করে অংশগ্রহণকারীদের সেবার দ্বার খুলে দেবার চেষ্টা করেছেন ইফতারিতে সহযোগিতা করার জন্য। ইফতার শেষে বড় জামাতে মাগরিবের নামাযের আয়োজন সবই উল্লেখ করার মতো। আয়োজকদের উদ্দেশ্য সফল হোক এবং আয়োজক প্রধানের ইফতারপূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা এবং মহান আল্লাহর কাছে কায়মনে দেশের সবার কল্যাণ কামনা করে দোয়া করাটা ছিল সবচাইতে আকর্ষণীয় এবং মহান আল্লাহ তায়ালা ঐ দিনের দোয়া কবুল করেছেন, তা আমার দৃঢ় বিশ^াস। এভাবে গোটা দুনিয়াতেই মুসলমান জনগোষ্ঠী রমাদান পালন করছেন, আলহামদুলিল্লাহ।
কাবাঘর থেকে শুরু করে মদীনার মসজিদগুলোয় রমাদান পালনের উৎসব চলে। মহান আল্লাহ তায়ালা ঐ পবিত্র দুই মসজিদেই আমার রমাদানের ইফতারে শরিক হওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন, আলহামদুলিল্লাহ। মসজিদে নববীতে ইফতারের দৃশ্য অভূতপূর্ব। আসর নামাযের পরপরই সারিবদ্ধ হয়ে ছোট বড় বৃদ্ধ মহল ডাকতে থাকে তার ইফতার আয়োজনে শরিক হতে। খেজুর, জমজমের পানি এবং আরবীয় অনেক আইটেম দিয়ে ইফতারের আয়োজন হয়। মহান আল্লাহ তায়ালা ফিরিশতাদের ডেকে বলেন, দেখ, ‘আমার বান্দারা ইফতার সামনে রেখে অপেক্ষা করছে সূর্য ডোবার ঘোষণার জন্য এবং আমাকে স্মরণ করে তারা এর পূর্বে কেউ খাচ্ছে না।’ তাই ঐ বান্দাদের আমি মাফ করে দেব এবং নিয়ামতভরা জান্নাত দেব।’ আল্লাহ কবুল করুন।
আমাদের সময়ে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে ছাত্ররা উৎসবমুখর পরিবেশে ইফতারে অংশগ্রহণ করতো। আসলেই ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে রমাদানে ইফতার একটি উৎসব এবং ইবাদতের বিষয়। আমরা এ উৎসব শহর-বন্দর, গ্রামে-গঞ্জে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অব্যাহত রাখব, সরকার প্রধানের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে ইফতারের টাকা অসহায় জনগণকে দান করতে। মহান আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা তোমাদের অর্জিত টাকার মধ্যে আড়াই শতাংশ গরিব-মিসকিনসহ যাকাতের আট খাতে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। গরিব-মিসকিনদেরকে ইফতার আয়োজনে শরিক করাও নিঃসন্দেহে ভালো কাজ।
অন্যদিকে পত্রিকা খুললেই দেখা যাচ্ছে, ব্যাংকগুলো খালি হয়ে গেছে দেশের একদল দেশদ্রোহী গোষ্ঠীর মাধ্যমে। সরকারের কর্তব্য এদের চিহ্নিত করা এবং টাকা উদ্ধারের দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়া এবং তাদের আইনের আওতায় আনা। তাহলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হবে না। দুর্বল ব্যাংক একত্রিত করলেই হবে না, কারা ব্যাংক দুর্বল করলো তাদের চিহ্নিত করা, আইনের আওতায় এনে বিচার করা। দেশ আমাদের সবার। দুর্বৃত্তদের স্থান আমাদের দেশে থাকতে দেয়া যাবে না।
রমাদানের শেষ সময়ে আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের অসহনীয় অবস্থার আশু মুক্তির জন্য আসুন আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে মুসলিম দেশগুলোর ভূমিকা আরো জোরদার হওয়া একান্ত জরুরি। ছোট একটি অবৈধ দেশ ইসরাইলকে শিক্ষা দেয়ার জন্য মুসলিম দেশগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে উদ্যোগ নিলে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে এবং শান্তি স্থাপনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আল্লাহর সাহায্য আসবে, ইনশাআল্লাহ। রমাদান মাসে ফিলিস্তিন এবং হামাসের জন্য আমরা মন খুলে দোয়া করবো। রমাদান শেষে ঈদুল ফিতর রোজাদারদের জন্য একটি বড় উৎসব। খোলামাঠে রোজাদাররা ইমামের পেছনে দুই রাকাত ওয়াজিব নামায পড়ে এবং নামাযের পর ইমাম সাহেব খুতবা দিয়ে থাকেন। খুতবা শোনাও আমাদের জন্য জরুরি। মহিলাদের জন্যও ঈদুল ফিতরের জামাতে যোগদান করা জরুরি, এমনকি যাদের নামায নাই তাদেরও ঈদের জামাতে যেতে বলা হয়েছে, যাতে তারা খুতবা শুনেন এবং তা পালন করার চেষ্টা করেন।
রমাদানে আরেকটি বড় কাজ ফিতরা দেয়া। প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ফিতরা দিতে হবে। এমনকি ঈদের দিন যে শিশু জন্মাবে, তার ফিতরাও অভিভাবক দেবেন। ফিতরা হলো এক সা পরিমাণ। আমাদের দেশের হিসাবে ৩ কেজির একটু বেশি। ফিতরা দেশের অধিকাংশ লোক যা খায়, তাই দিয়ে দেয়া ভালো। আমাদের দেশে চালই আমরা বেশি খাই। তাই সোয়া তিন কেজি চাল বা তার দাম গরিব-মিসকিনদের দিতে হবে ঈদের নামাযের পূর্বেই। যাতে করে তারাও ঈদের খুশিতে শরিক হতে পারে। যারা টাকা কামাই করে তাদেরই এ ফিতরা দিতে হবে। কাজের লোকদের পক্ষ থেকেও ফিতরা দিতে হবে। ফিতরার কাজ হলো রমাদানের রোজার কোনো ত্রুটি হলে তা ক্ষমা করার একটি উদ্যোগ।
বাংলাদেশ ছোট দেশ হলেও শস্য-শ্যামল আমাদের এ দেশ। আমরা আল্লাহয় বিশ্বাসী লোকেরা সজাগ-সচেতন হলে, আল্লাহকে একমাত্র ইলাহ মেনে তাঁরই সাহায্য চেয়ে দৃঢ়চিত্তে সামনে এগোলে আল্লাহ আমাদের সাহায্য করবেন। আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। আমাদের চাওয়া-পাওয়া সব পূরণ করে দেবেন। দুনিয়া-আখিরাতের কল্যাণ দেবেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই, ইনশাআল্লাহ।
তাই আসুন, রমাদানের শেষাংশের দিনগুলোয় আমাদের নামায, আমাদের সব ধরনের ত্যাগ-তিতিক্ষা, দান-খয়রাত, জাকাতসহ সব ভালো কাজ করে আমাদের গুনাহ মাফ করে নিই। আল্লাহর অভিশাপ ও লানত থেকে বেঁচে তার প্রিয় বান্দা হিসেবে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ চেয়ে রমাদানের সব ফজিলত, নিয়ামত ও বরকতের ভাগীদার হই- এই আমাদের কামনা ও বাসনা ।
লেখক : সাবেক সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।



অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।