॥ এডভোকেট সাবিকুন্নাহার মুন্নী॥
আমরা সাধারণত রিজিক মানে বুঝি খাদ্যদ্রব্য, টাকা-পয়সা বা আর্থিক সচ্ছলতাকে। অথচ এগুলো হচ্ছে রিজিকের সর্বনিম্ন স্তর। রিজিকের সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছে শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা। নেক জীবনসঙ্গী, নেক সন্তান, নেক বন্ধু-বান্ধবও রিজিকের অন্তর্ভুক্ত। একটা বিষয় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, দৈহিক অসুস্থতার চেয়ে মানসিক যন্ত্রণা মানুষকে অনেক বেশি ক্ষতির দিকে নিয়ে যায়। অথচ আমাদের দেশের বর্তমান আর্থসামাজিক অস্থির পরিবেশের কারণে প্রত্যহ আমাদের মধ্যে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বেড়েই চলছে। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো সহজে মোকাবিলা করতে আমরা প্রায়ই ব্যর্থ হচ্ছি। ফলে মানসিকভাবে আমরা ক্রমেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছি। দীর্ঘদিন এভাবে চলতে থাকলে ক্রমেই মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকবে।
সম্প্রতি ব্রিটিশ জার্নাল অব সাইকেয়েট্রিতে প্রকাশিত ‘কান্ট্রি পেপার অন মেন্টাল হেলথ-বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ১৮.৭ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগে আক্রান্ত। মানুষের মাঝে এ উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও অস্থিরতা একপর্যায়ে মানুষকে হতাশা ও আত্মহননের দিকে নিয়ে যায়। পারিবারিক অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যার বাস্তব প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের সমাজে। মানসিক এ অস্থিরতায় পড়ে মানুষ আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে।
সামাজিক এ অস্থির পরিবেশে প্রতিনিয়ত নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখার দায়িত্ব কিন্তু আপনারই। তাই মানসিক রোগ যেন বাসা না বাঁধে, সেদিকে সময় থাকতে সচেতন হতে হবে। মনে রাখতে হবে যে কোন সমস্যাই জীবনের চেয়ে বড় নয়।
এজন্য প্রথমত যা যা করতে হবে-
* যেকোনো সমস্যাকে প্রথমেই সহজভাবে গ্রহণ করা অর্থাৎ সিরিয়াসলি না নেয়া।
* তকদিরের ওপর দৃঢ়বিশ্বাস রাখা।
* ধৈর্য নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।
* যে কোনো অড সিচুয়েশনের সাথে সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা।
* কোনোভাবেই আল্লাহর সাহায্য থেকে নিরাশ না হওয়া।
* মহান রবের কাছাকাছি আসা, তাঁর সাথে কথাবলার ও বেশি বেশি সেজদার অভ্যাস বাড়ানো। মহান আল্লাহ বলেছেন, ওয়াসজুদ, ওয়াকতারিব- তোমরা বেশি বেশি সেজদাহ দাও এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ কর। (আল কুরআন)।
* পারত পক্ষে নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা না করা,
* অপ্রাপ্তির হিসাব না কষে প্রাপ্তির হিসাব করে সন্তুষ্ট বা তৃপ্ত হওয়া।
আলোর সাথে যেমন অন্ধকার থাকে তেমনি সকলের জীবনেই সুখ-দুঃখ পাশাপাশি চলে। কারো জীবনই কখনো নিষ্কণ্টক যায় নাÑ এটা মনে করে সব ধরনের অতৃপ্তি, অপ্রাপ্তি আর হতাশা ঝেড়ে ফেলতে হবে। সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। অল্পেই তুষ্ট থাকার চেষ্টা করতে হবে।
পাশাপাশি মনোচিকিৎসকদের মতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ১০ উপায় মেনে চলতে হবে-
পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে ও ঊধৎষু ঘুমের অভ্যাস করতে হবে।
ঘুম শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এ রাসায়নিকগুলো আমাদের মেজাজ ও আবেগ পরিচালনা করে। যদি আমরা পর্যাপ্ত না ঘুমাই, তাহলে মস্তিষ্কে বিভিন্ন অংশ ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ফলে হতাশ ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়া স্বাভাবিক। তাই পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই।
পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ : পুষ্টিকর খাবার শুধু শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং মনের জন্যও উপকারী। কিছু খনিজ যেমন- আয়রন ও ভিটামিন বি-১২ এর ঘাটতি মেজাজ পরিবর্তনের জন্য দায়ী। তাই সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। আপনি যদি খিটখিটে মেজাজ, হতাশা বা উদ্বিগ্নতায় ভোগেন, তাহলে কফি খাওয়া কমিয়ে আনুন।
সকল ধরনের বদাভ্যাস পরিহার: অনেকেই হতাশ হয়ে বিভিন্ন বাজে অভ্যাসÑ ধূমপান ও মাদকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তবে জানেন কি, এগুলো হতাশা কাটায় না, বরং শরীর ও মনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। দীর্ঘসময় ধরে অতিরিক্ত মদ্যানে শরীরে থায়ামিনের ঘাটতি হতে পারে। থায়ামিন মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এর ঘাটতি দেখা দিলে স্মৃতিবিভ্রাট, মনোযোগের অভাব, বিভ্রান্তি ও চোখের সমস্যা হতে পারে। আবার যদি আপনি ধূমপান করেন, এতে থাকা নিকোটিন শরীর ও মস্তিষ্ক উভয়েরই ক্ষতি করে। পরবর্তীতে ধূমপান বন্ধ করলে আপনি আরও বিরক্ত ও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠতে পারেন। তাই মাদকমুক্ত জীবন গড়ুন।
সূর্যের আলো গায়ে মাখুন: সূর্যালোক ভিটামিন ডি-এর একটি বড় উৎস। ভিটামিন ডি শরীর ও মস্তিষ্কের খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি মস্তিষ্কের ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে। ফলে মেজাজ আরও উন্নত হয়। কারণ অ্যান্ডোরফিন ও সেরোটোনিন এর উৎপাদন বেড়ে যায়। তবে রোদে গেলে ত্বক ও চোখকে নিরাপদ রাখুন। প্রতিদিন অন্তত আধাঘণ্টা থেকে ২ ঘণ্টা গায়ে সূর্যের আলো মাখুন। শীতের সময় অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন। কারণ তখন সূর্যের দেখা কম পাওয়া যায়। এটি সিজনাল অ্যাফেকটিভ ডিসঅর্ডার (এসএডি) নামে পরিচিত। তাই পর্যাপ্ত সূর্যের আলো গায়ে মাখুন, এতে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে।
দুশ্চিন্তা দূরে রাখুন: সবার জীবনেই কাজের চাপ আছে। তাই বলে এ নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়। এ সমস্যা সমাধানে আপনাকে জানতে হবে কীভাবে আপনি চাপ সামলাবেন। যদি না পারেন তাহলে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
এজন্য দৈনন্দিন জীবনের কোনো না কোনো সমস্যার তালিকা তৈরি করুন। এরপর তা সমাধানের উপায় খুঁজুন। অযথা অলীক কল্পনায় ডুবে থাকবেন না। যখন দেখবেন আপনার ঘুমাতে সমস্যা হচ্ছে, তার অর্থ হলো আপনি বেশি দুশ্চিন্তা করছেন।
শরীরচর্চা আবশ্যক : মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। কারণ যত বেশি সক্রিয় থাকবেন, মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থগুলোও বেড়ে যায়, যা মেজাজ ভালো রাখতে সহায়তা করে। অন্যদিকে শরীরচর্চার অভাবে মেজাজ খারাপ হতে পারে। পাশাপাশি উদ্বেগ, চাপ, ক্লান্তি ও অলসতা বোধ করতে পারেন। তাই শরীর ও মন দুটিই ভালো রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। ম্যারাথন দৌড় বা ফুটবল খেলার প্রয়োজন নেই, আপনি নিয়মিত হাঁটাহাঁটি ও কায়িক পরিশ্রম করেও সুস্থ থাকতে পারবেন। যে কাজটা ভালো লাগে, সেটা করার চেষ্টা করুন।
আপনার জন্য হালাল কাজের মধ্যে যা ভালো লাগবে বা করতে ইচ্ছে করবে তা-ই করুন। আপনার যদি বই পড়তে, বাগান করতে, ঘুরতে যেতে, প্রকৃতির সংস্পর্শ পেতে, কিংবা প্রিয়জনের সাথে গল্প করতে ভালো লাগে তাহলে তা-ই করুন। আপনি যা উপভোগ করেন সেই কাজগুলো যখন করবেন তখন মনও ভালো থাকবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা অন্যের বাধ্যগত হয়ে নিজের আনন্দ-খুশিকে দমিয়ে রাখেন, তাদের মধ্যে খিটখিটে মেজাজ ও অসুখী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যায়। তাই নিজের ভালো লাগাকে প্রাধান্য দিন।
মিশুক হওয়ার চেষ্টা করুন : অন্যদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করুন। যখনই সুযোগ পাবেন মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। গবেষণায় দেখা গেছে, অন্যদের সঙ্গে মাত্র ১০ মিনিট কথা বলা স্মৃতিশক্তি ও পরীক্ষার স্কোর উন্নত করতে পারে! তাই মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান ও মিশুক হওয়ার চেষ্টা করুন।
অন্যের জন্য কিছু করুন : কাউকে সাহায্য করলে নিজের মধ্যেও অন্যরকম ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করে। তাই অন্যের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন। কোনো দরিদ্রকে খাবার বা পোশাক কিনে দিন কিংবা সামান্য অর্থ দিয়ে সাহায্য করুন। দেখবেন আপনার মন ভালো হয়ে যাবে।
তখন নির্দিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে হতাশ না হয়ে বরং বিশ্ব সম্পর্কে ধারণা তৈরি হবে। নিজেকে অসহায় ভাবার আগে না খেয়ে থাকা মুখগুলোর ছবি ভাসবে মনে। ফলে অন্যের জন্য কিছু করার স্পৃহা জন্মাবে। এর মাধ্যমে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ পাবেন।
অন্যের সাহায্য নিন: আপনি যদি মানসিকভাবে অসুস্থবোধ করেন, তাহলে অন্যের সাহায্য নিন। মুখ বুজে থাকবেন না। নিজের অসুবিধার কথা নিকটজনের সঙ্গে শেয়ার করুন। কারণ অত্যধিক মানসিক চাপে আপনি বিকারগ্রস্তও হয়ে পড়তে পারেন। অনেকেই মনে করেন, মন ভালো নেই এ বিষয়ে কাউকে জানালে সে পাগল বা অপ্রকৃতিস্থ ভাববে। এ ধারণা থেকে সরে আসুন। মানুষের শরীর যেমন সবদিন ভালো যায় না, ঠিক তেমনি মনও সবসময় ভালো থাকে না। তাই মানসিকভাবে চাপ অনুভব করলে কাউন্সেলিং করুন বা মনোবিদের সাহায্য নিন। তার আগে পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করুন। [সূত্র: মেন্টাল হেলথ/পিপল ফার্স্ট ইনফো]
প্রাত্যহিক জীবন আমরা সবাই কমবেশি দুর্ঘটনার শিকার হই। অনেকে সেটা সহজভাবে গ্রহণ করি আবার অনেকেই সেটা সহজভাবে নিতে পারি না। অল্পতেই ভেঙে পড়ছি বা মুষড়ে পড়ছি; এমনকি কেউ কেউ দিনের পর দিন সেটা নিয়ে হতাশার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছি। আমরা একেকজন একেক দৃষ্টিভঙ্গিতে ঘটনার ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি।
নিচের গল্পটি তারই এক টুকরো প্রতিচ্ছবি, যা আমাদের জীনের হতাশা ও অপ্রাপ্তির মানসিকতাকে ঝেড়ে ফেলে হৃদয়ের চোখ খুলে দেবে, হৃদয়ে প্রশান্তি এনে দেবে।
ঘটনাটি হচ্ছে- একজন বিখ্যাত লেখক তার স্টাডি রুমে বসে ছিলেন। তিনি তার কলম তুলে নিয়ে লিখতে শুরু করলেনÑ এ বছর আমার একটি অপারেশন করা হয় এবং আমার পিত্তথলি কেটে ফেলে দিতে হয়। আর এ অপারেশনের কারণে আমাকে দীর্ঘদিন বিছানায় পড়ে থাকতে হয়।
এ একই বছর আমার বয়স ষাট স্পর্শ করে এবং আমার সবচেয়ে প্রিয় কাজটি আমায় ছেড়ে দিতে হয়। এ প্রকাশনা সংস্থায় গত ত্রিশ বছর যাবত আমি কাজ করেছি।
এ একই বছর আমাকে আমার বাবা হারানোর মতো দুঃখের সম্মুখীন হতে হয়।
এবং একই বছরই আমার ছেলে মেডিকেল পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়। কারণ সে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়, যার ফলে তাকে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে কাটাতে হয়। এছাড়া আমাদের গাড়ির ক্ষতি তো আছেই।
সবশেষে তিনি লিখলেন, “হায়! এই বছরটা কতই না খারাপ কাটলো আমার।”
এমন সময় তার স্ত্রী রুমে প্রবেশ করে স্বামীকে ভগ্ন হৃদয়ে দেখতে পান। তিনি তার পেছনে দাঁড়িয়ে লেখাটি পড়েন এবং নীরবে রুম থেকে বেরিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর তিনি হাতে লেখা অন্য একটি কাগজ তার স্বামীর লেখা কাগজের পাশে রাখেন।
লেখক কাগজটির দিকে মনোযোগ দিয়ে দেখতে পান তাতে লেখা আছে : এ বছর, অবশেষে আমি আমার পিত্তথলির ব্যথা থেকে মুক্তি লাভ করি, যা কয়েক বছর যাবত আমাকে ভোগাচ্ছিল।
এ বছরই আমি এখনো পর্যন্ত সুস্থ শরীরে ষাট বছরে পদার্পণ করি এবং আমার চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করি। ফলে এখন আমি আরো মনোযোগ সহকারে এবং শান্তিতে ভালো কিছু লিখতে পারবো।
এ একই বছর আমার বাবা ৯৫ বছর বয়সে, অন্য কারো মুখাপেক্ষী না হয়ে এবং কোনো ধরনের রোগব্যাধি ছাড়াই স্রষ্টার সান্নিধ্যে চলে গেছেন।
আর এ একই বছর, স্রষ্টা যেন আমার ছেলেকে নতুন জীবন দান করেন। যদিও আমাদের গাড়ির ক্ষতি হয়েছে কিন্তু আমার ছেলে কোনো ধরনের পঙ্গুত্ব বরণ করা ছাড়াই বেঁচে ফিরে এসেছে।
সব শেষে তার স্ত্রী লিখেছেন, “এ বছরটা আল্লাহর অশেষ রহমতে কত ভালোই না কাটলো!”
কী চমৎকার! একই ঘটনা কিন্তু কেমন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি।
এভাবে আমরা যদি ভাবি-
প্রত্যেকটি ঘটনাই “আরো অনেক কিছুই ঘটতে পারতো”Ñ এ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে প্রতিটি ঘটে যাওয়া ঘটনা/দুর্ঘটনার জন্য আল্লাহকে বা ভাগ্যকে দোষারোপের পরিবর্তে আমাদের মন থেকে মহান রবের প্রতি কৃতজ্ঞতায় অন্তর নুয়ে যাবে, শুকরিয়ায় মস্তক নত হয়ে আসবে।
আল্লাহ কোনো ব্যক্তিকে তার সামর্থ্যের বাইরে দায়িত্ব দেন না। (সূরা আল্ বাকারা : ২৮৬)। এ আয়াতের মাধ্যমে আমাদের সকল বিপদ-মুসিবত ও খারাপ সিচুয়েশনে মানসিক সান্ত্বনা খুঁজে নিতে হবে। আপনার সফলতা ও আনন্দের কারণগুলো স্মরণ করুন। দুর্দশা ও ঝামেলাপূর্ণ জিনিসের কথা ভুলে যান। মানুষের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণ মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন, “আপনার পালনকর্তা মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল; কিন্তু তাদের অধিকাংশই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।” [সূরা আন-নামল : ৭৩]
মহান আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রশান্তিতে রাখুন। আমাদের জীবনে সকল ইতিহাচক-নেতিবাচক ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো আমরা সহজে মেনে নেয়ার চেষ্টা করি, আলহামদুলিল্লাহ্ বলতে অভ্যস্ত হই আর বলি- মহান আল্লাহ যা কিছু করেন, আমাদের ভালোর জন্যই করেন। তাহলে আমাদের জীবনটাই পাল্টে যাবে। অতএব দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, জীবনও বদলে যাবে...
লেখিকা : নির্বাহী পরিচালক, মানবাধিকার ও আইনী সুরক্ষা কেন্দ্র (মাসুক)।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- শাওয়াল মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
- একটি ঐতিহাসিক ঈদকার্ড
- আল্লাহর লানত থেকে বাঁচতে রমাদানে গুনাহ মাফ করাতেই হবে
- ঈদের দিনে করণীয়
- লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব ও মর্যাদা
- যাকাত-ফিতরা কী এবং কার জন্য
- নূহের জাহাজ
- ফিলিস্তিন
- আশরাফ জামান-এর দুটি কবিতা
- জাকির আবু জাফর-এর কবিতা
- অফুরন্ত শান্তির ঈদ
- সোনার বাংলা
- সরল পথ
- লাহাব
- জেগে ওঠো ঐক্যবলে
- আত্মবিশ্লেষণে সামাজিক উৎসব ঈদুল ফিতর
- সাদকাতুল ফিতর ও ঈদ উৎসব
- সারপ্রাইজ ডে
- সামাজিক নিরাপত্তার গ্যারান্টি যাকাত
- আনন্দের বারতা নিয়ে আসে ঈদুল ফিতর
- ঈদ আনন্দ আজ