সংবাদ শিরোনামঃ

অবশেষে সরকার ও আ’লীগের পরাজয় ** তত্ত্বাবধায়কের দাবি মানুন নয় তো বিদায় নিন ** আওয়ামী লীগাররা বিস্মিত হতবাক! ধস আর ঠেকানো যাচ্ছে না! ** উন্নয়নের রাজনীতি উপহার দিন না হলে তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে বিদায় করে দেয়া হবে ** আ’লীগের ফ্যাসিবাদী চেহারা ** প্রধানমন্ত্রীর ব্যঙ্গ-তামাশা বনাম খালেদা জিয়ার আলটিমেটাম ** সংবাদপত্রের পাতা থেকে ** ঢাকার মহাসমাবেশে আসতে পথে পথে বাধা ** ৪২টি ট্রেন চলাচলের জংশন স্টেশন পার্বতীপুরে যাত্রী ভোগান্তির শেষ নেই **

ঢাকা শুক্রবার ২ চৈত্র ১৪১৮, ২২ রবিউস সানি ১৪৩৩, ১৬ মার্চ ২০১২

সোনার বাংলা রিপোর্ট
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই আওয়ামী লীগকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃবহাল করে নির্বাচন দিতে হবে। অন্যথায় সব দায় দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তাবে।’ তিনি বলেন, ‘মহাসমাবেশে বাধা দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে তাদের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে না।’ গত ১৪ মার্চ দুপুরে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে মহাসমাবেশ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ। মির্জা আলমগীর, মুন্সীগঞ্জের লঞ্চডুবি ও ডেইলি স্টারের ফটো সাংবাদিক শওকত জামিলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

‘খালেদা জিয়া’ আর আট কার্যদিবস সংসদে না গেলে সদস্য পদ বাতিল হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসুক না আট দিন, তারপর দেখা যাবে।’ মির্জা আলমগীর বলেন, ‘সংসদে কিভাবে যাবো? গত ১৩ মার্চও বিরোধীদলের ৮৬টি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছে। আমরা কি সংসদে খিস্তি খেউর শোনার জন্য যাবো?’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা আশঙ্কা করেছিলেন আমাদের মহাসমাবেশে নাশকতা হবে। কিন্তু নাশকতাতো দূরে থাক অত্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে এ সমাবেশ হয়েছে।’ এজন্য তিনি দলীয় নেতাকর্মী, ঢাকাবাসী, শিল্পী, কবি, সাহিত্যিকসহ সবাইকে দলের নেত্রীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে দেশের জনগণকে তিন দিন অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। বর্ডার গার্ড, পুলিশ, র‌্যাব, ছাত্রলীগ, যুবলীগ যেভাবে সমাবেশে আগত জনতার ওপর আক্রমণ ও নির্যাতন করেছে রাজনৈতিক ইতিহাসে তা আর কোনো দিন দেখা যায়নি।’

মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সারাদেশ থেকে পাঁচ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি অবিলম্বে তাদের মুক্তি ও আহতদের সুচিকিৎসার দাবি জানান।

মির্জা আলমগীর বলেন, ‘কখন একটি সরকার নিজেই নিজ দেশের রাজধানীর গলা টিপে ধরে, মন্ত্রীরা মিথ্যা বক্তব্য দেয়? যখন তারা জনগণকে ভয় পায় ও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নিজেদের দুর্বল ভাবে।’

শত বাধা ও নির্যাতনের পরও মহাসমাবেশ সফল হওয়ার মাধ্যমে সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। তাই আশা করবো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বেধে দেয়া ৯০ দিনের মধ্যেই সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস ও সরকার পদত্যাগ করকে। দেশ, দেশের অর্থনীতি, রাজনৈতিক স্থীতিশীলতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য এটাই একমাত্র পথ।” এক দেশে দুই রকমের আইন চলছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘১২ মার্চের মহাসমাবেশে যাতে মানুষ না আসতে পারে সেজন্য সরকার দেশকে অচল করে দিয়েছিল। লঞ্চ, বাস, ট্রেন, ফেরি, খেয়া, হোটেল রেস্তোরাঁ সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছিল। পুলিশ নির্ধারিত সীমনার বাইরে মাইক লাগাতে দেয়নি। অথচ দু’দিন পরে  ১৪ মার্চ আরেকটি মহাসমাবেশে মানুষ আসার জন্য সরকার সবকিছু খুলে দিয়েছে। ট্রেন বাসে বিনা পয়সায় মানুষ নিয়ে আসছে। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য চাপ দেয়া হয়েছে। পুরো সচিবালয় এলাকায় মাইক লাগানো হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশের সরকারের দ্বারা এভাবে দুই ধরনের আচরণ সম্ভব নয়।’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই আইনমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইনমন্ত্রী তার নিজস্ব ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এটা নিয়ে সরকার লুকোচুরি খেলছে। পূর্ণাঙ্গ রায় না হওয়া পর্যন্ত আইনমন্ত্রী একজন আইনজ্ঞ হয়ে কিভাবে একথা বললেন আমার বুঝে আসে না।’ বিএনপি তাহরির স্কয়ার করতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমদ এর এই বক্তব্যের জবাবে মির্জা আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে অন্যদেশের তুলনা করা যাবে না। এদেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনই এখানে বিফলে যায়নি।’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা আলমগীর বলেন, ‘আগেও বলেছি আমরা যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে নই। আমরা ক্ষমতায় গেলে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচার করবো।’ একটি সফল গণতান্ত্রিক সমাবেশের পরে হরতালে গেলেন কেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারের অত্যাচার নির্যাতনের প্রতিবাদ করতেই হরতাল দিয়েছি। তবে আওয়ামী লীগের হরতাল আর আমাদের হরতাল এক নয়। আমাদের আমলে আওয়ামী লীগ ১৭৭ দিন হরতাল দিয়েছিল।’

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।