সংবাদ শিরোনামঃ

মার্কিন-ভারত প্রক্সি-যুদ্ধ! ** জামায়াতের মিছিলে পুলিশের গুলি ** শাহবাগের কথায় রায় দেয়া হলে ট্রাইব্যুনালের আর প্রয়োজন কি? ** রাজনৈতিক অপশক্তি প্রতিরোধে মানুষ চায় বিরোধী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ** ফ্যাসিবাদকে সহায়তা দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ সম্ভব নয় ** কন্যা পররাষ্ট্রনীতিতে পিতার পথ পরিত্যাগ করেছেন ** ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবি ** তালায় কপোতা খনন প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত **

ঢাকা, শুক্রবার, ৩ ফাল্গুন ১৪১৯, ৪ রবিউস সানি ১৪৩৪, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

সোনার বাংলা রিপোর্ট : গত ১১ ফেব্র“য়ারি আটক জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক খানের জবানবন্দী পেশ করেন। জবানবন্দীতে আবদুর রাজ্জাক খান বলেন, তদন্তে জানা গেছে, আসামি কামারুজ্জামান শেরপুরের জিকে ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণীর ছাত্র অবস্থায় ইসলামী ছাত্রসংঘের রাজনীতিতে জড়িত হয়ে নেতৃস্থানীয় পদে ছিলেন। শেরপুরে তদন্তকালে আমি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুহাম্মদ কামারুজ্জামান কর্তৃক অপরাধের বিষয় তদন্ত ও সাীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করি। রাষ্ট্রপরে ১৮তম সাী তদন্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক খান কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১১টি ডকুমেন্ট প্রদর্শন করেন। ডিফেন্স পরে আইনজীবী কফিল উদ্দিন বলেন, কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনীত একটি অভিযোগও রাষ্ট্রপ প্রমাণ করতে পারেনি। তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দী শেষ হলে এ মামলায় আসামিপরে সাফাই স্যাগ্রহণ শুরু হবে। 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্যানেলে তিনি জবানবন্দী পেশ করেন। প্যানেলের অন্য দু’জন সদস্য হলেন বিচারপত মজিবুর রহমান, বিচারপতি শাহিনূর ইসলাম।  জবানবন্দী পেশ শেষে আসামিপরে আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরী তাকে জেরা শুরু করেন। তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, তদন্তের স্বার্থে ২০১১ সালের ২৯ মে তারিখে ৩ দিনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রসিকিউশনের মাধ্যম ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন করা হয়। এরপর ট্রাইব্যুনাল অনুমতি দিলে ওই বছরের ১৪ জুন কামারুজ্জামানকে সেইফ হোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাতে তার কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায় বলে তদন্ত কর্মকর্তা তার জবানবন্দীতে বলেন। তদন্ত কর্মকর্তার স্যাগ্রহণের মাধ্যমে প্রসিকিউশনের সাীদের স্যাগ্রহণ প্রায় শেষের দিকে চলে আসছে। এ সাীর জেরা শেষ হলে আসামিপরে স্যা গ্রহণের দিন ধার্য করবে ট্রাইব্যুনাল। কামারুজ্জামনের পে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আহসান কবির, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী ও এডভোকেট শিশির মনির। রাষ্ট্রপে ছিলেন একেএম সাইফুল ইসলাম।

গত ১৫ জুলাই স্যাগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে কামারুজ্জামানের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক খান ও জব্দ তালিকার সাী বাংলা একাডেমীর সহকারী গ্রন্থাগারিক এজাব উদ্দিন ও মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের প্রধান ডকুমেন্ট কর্মকর্তা আমেনা খাতুনসহ এ পর্যন্ত ১৮জন সাী স্যা দিয়েছেন।

গত ৪ জুন কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট সাতটি ঘটনায় অভিযোগ গঠন করা হয়। তার বিরুদ্ধে গত ৩১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। ২০১০ সালের ২৯ জুলাই তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

এদিকে ট্রাইব্যুনালে আটক জামায়াত নেতাদের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের চেম্বারে পুলিশি তল্লাশি ও আইনজীবী মতিউর রহমান আকন্দসহ অন্যান্য আইনজীবীকে হয়রানি বন্ধ করার প্রতিকার চেয়ে গত ১১ ফেব্র“য়ারি  ডিফেন্স পরে করা আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।