এটিএম আজহারুল ইসলামকে সেফ হোমে জিজ্ঞাসাবাদ

‘অভিযোগ গঠন করার মতো কোনো তথ্য তদন্ত কর্মকর্তারা পাননি’

সোনার বাংলা রিপোর্ট : জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে গত ১০ ফেব্র“য়ারি সেফ হোমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুরে ১ ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তদন্ত কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে নেতৃত্ব দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসএম ইদ্রিস আলী। সকাল ১০টার সময় প্রিজন ভ্যানে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সেফ হোমে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আবার প্রিজন ভ্যানে করেই কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। দেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী দলের অসুস্থ একজন নেতাকে ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রিজন ভ্যানে আনা নেয়ার ঘটনায় উপস্থিত অনেকেই ােভ প্রকাশ করেন। গত ২০১২ সালের ২২ আগস্ট ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে পুলিশ তাকে মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেফতার করে। এর আগে তিনি ২০১১ সালের ১৯  সেপ্টেম্বর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডের নামে নির্যাতন চালায়। তার পর থেকেই তিনি গুরুতর অসুস্থ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সানাউল হক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর অনুমতিক্রমে তারা আজহারুল ইসলামকে সেফ হোমে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে এ টি এম আজহার দাবি করেছেন, অনেক তথ্যই তাঁর মনে নেই। অনেক কিছুই তিনি ভুলে গেছেন।  এটিএম আজহারুল ইসলামকে সেফ হোমে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রার্থনা করলে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল অনুমতি দেন ।

দুই মাসের মধ্যে এ টি এম আজহারুল ইসলামের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের বিষয়ে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হবে বলে তদন্ত সংস্থার প থেকে জানানো হয়েছে। তবে অভিযোগ গঠন করার মতো কোনো তথ্য তদন্ত কর্মকর্তারা পাননি বলে দাবি করেছেন ডিফেন্স পরে আইনজীবীগণ।

ডিফেন্স পরে আইনজীবী এডভোকেট সাইদুর রহমান বলেন, আমরা তাকে এ মুহূর্তে সেফ হোমে জিজ্ঞাসাবাদের বিরোধিতা করেছিলাম। কারণ গ্রেফতারের পর তার ওপর অমানবিক নির্যাতন করার ফলে তিনি মারাত্মক অসুস্থ। তার স্মৃতিভ্রম ঘটেছে। অনেক কিছুই তিনি ভুলে গেছেন কিংবা মনে করতে পারছেন না। তিনি আরো জানান, এটিএম আজহারুল ইসলাম এমন কোনো তথ্য তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে দেননি, যার ভিত্তিতে তারা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে পারবেন। এডভোকেট সাইদুর রহমান আরো জানান, এটিএম আজহারুল ইসলামের সাথে জিজ্ঞাসাবাদের বিরতিতে এবং শেষে তার কয়েকবার কথা হয়েছে, সে সময় তিনি তাকে এ কথা বলেছেন।

 à¦‰à¦²à§à¦²à§‡à¦–্য, ‘সেফহোম’ নামে ধানমন্ডির ২৭ নম্বর রোডের ৪০৫-বি (বর্তমানে ১৬ নম্বর রোডের ২০/এ) নম্বর বাড়িটি ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা বরাদ্দ নিয়েছে। জানা যায়, এ বাড়িটি বিহারিদের মালিকানাধীন ছিল। তারা চলে যাওয়ার পর বাড়িটি সরকারের মালিকানাধীন আসে। এক সময় সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব সফররাজ হোসেন এ বাড়িতে দীর্ঘদিন বসবাস করতেন। প্রায় চার হাজার স্কয়ার ফিটের এ বাড়িতে ছোট বড় ১০-১২টি ক রয়েছে। গত ২০১১ সালের ১৩ এপ্রিল ধানমন্ডির একটি ভাড়া করা বাড়িতে সরকারের ভাষায় ‘সেফহোমে’ জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে জিজ্ঞাসাবাদের সময় দু’পরে দু’জন আইনজীবী উপস্থিত থাকতে পারবেন। তারা পাশের কে অবস্থান করে আসামিদের প্রত্য করতে পারবেন, কিন্তু কিছুই শুনতে পারবেন না।